নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পর্শ করতে চাই তাকে, কিন্তু পারিনা তবুও চেয়ে তার পথ ছুয়ার আসায় ।

স্পর্শ

স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।

স্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বৈরাচারী হাসিনার পালানোর এক বছর: ইতিহাস কীভাবে স্মরণ রাখবে এই বাকশালী শাসককে?

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৬




স্বৈরাচারী হাসিনার পালানোর এক বছর: ইতিহাস কীভাবে স্মরণ রাখবে এই বাকশালী শাসককে?

ঠিক এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট — এই তারিখটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের পরিসমাপ্তির দিন। ক্ষমতালোভী, স্বৈরাচারী ও দিল্লির দালাল শেখ হাসিনা যখন জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে পালায়, তখন তার রক্তচক্ষু, দমন-পীড়ন আর দুর্নীতির রাজত্বের অবসান হয়। আজ সেই কুখ্যাত স্বৈরাচারীর পালানোর এক বছর পূর্ণ হলো।


---

© এক দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থেকে কী রেখে গেছে হাসিনা?

১️⃣ গণতন্ত্র হরণ:
২০০৯ থেকে ২০২৪ — এই সময়কে বাংলাদেশের জনগণ মনে রাখবে একদলীয় শাসনের নামে বাকশালী বাকরুদ্ধতার জন্য। বিরোধী দল, মতপ্রকাশ, সাংবাদিকতা — সবকিছু ছিল রক্তচক্ষুর নিচে। ভুয়া নির্বাচন, ভোটচুরি আর র‍্যাব-পুলিশ দিয়ে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়।

২️⃣ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যা:
শেখ হাসিনার শাসনামলেই রাজনৈতিক বিরোধীদের তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ওপর মধ্যরাতে চালানো গণহত্যা, গুম-খুনের রাজনীতি, এ যেন গণতন্ত্র নয় — এক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের চালচিত্র।

৩️⃣ দিল্লির প্রতি অনুগত দাসত্ব:
বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে তুষ্ট করতে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে দিল্লির ছায়া দেখা গেছে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে পানি-গ্যাস-বন্দর — সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতের হাতে।

৪️⃣ ইসলাম ও আলেম সমাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র:
আলেম-ওলামাদের যেভাবে অপমান ও নির্যাতন করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। মাদ্রাসা শিক্ষাকে ‘জঙ্গিবাদের কারখানা’ আখ্যা দিয়ে আলেমদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।

৫️ ⃣ ব্যক্তিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদ:
দেশের পুরো প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ — সবই শেখ হাসিনার ব্যক্তিকেন্দ্রিক লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছিল। ‘রাষ্ট্র মানেই হাসিনা’ — এই ভাবনার চরম অবসান ঘটে এক বছরের আগে।


---

# ৫ আগস্ট ২০২৪: পতনের দিন

গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা যখন ঘরছাড়া হয়, তখন তার মুখোশ খুলে যায়। গণভবনের এসিও বন্ধ করতে ভুলে যাওয়া এক স্বৈরশাসকের আতঙ্কিত ছায়া দেখা যায় সেই রাতে। লাগেজ পড়ে থাকে, মোছার সময়ও মেলে না — এটাই এক স্বৈরাচারের করুণ পরিণতি।


---

# একটি বছর পর — শিক্ষা কী?

বাংলাদেশ শিখে গেছে, কখনো একজন শাসককে ঈশ্বর ভাবা যাবে না। শাসকের সীমা না থাকলে, রাষ্ট্র হয়ে ওঠে কারাগার। এক বছর পেরিয়ে গেছে — কিন্তু শহীদের রক্ত, নির্যাতিতের কান্না, মায়ের বুকফাটা আহাজারি এখনও প্রতিধ্বনি তোলে।


---

# হাসিনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে!

এবার সময় দাঁড়াবার, প্রতিজ্ঞা করার —

> # আর কোনো বাকশাল নয়
# আর কোনো দিল্লির দালাল নয়
✅ চাই জনগণের সরকার, ন্যায়ের শাসন, ইসলাম-সম্মত রাষ্ট্রনীতি।




---

৫ আগস্ট – স্বৈরাচার পতনের বার্ষিকী নয় শুধু, এই দিন একটা প্রতিজ্ঞা — ভবিষ্যতে যেন আর কোনো হাসিনার জন্ম না হয় এদেশে!

#স্বৈরাচার_হাসিনার_পতন
#৫_আগস্ট_অভ্যুত্থান
#দিল্লির_দাসত্ব_নাকচ
#বাংলাদেশ_জয়_করবে

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০২

মেঘনা বলেছেন: ইতিহাস, ইতিহাস এই দিনটাকে মনে রাখবে ৭১ এর পরাজিত শক্তির উত্থান হিসেবে।- এবং এর জন্য ১৪০০ নিরীহ ছাত্র-জানতাকে বলির পাঠা করা হয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭

স্পর্শ বলেছেন: ইতিহাস বিকৃতির জবাব ইতিহাসই দেবে!

৫ই আগস্টকে “৭১ এর পরাজিত শক্তির উত্থান” বলা — চরম অপমান শহীদ ছাত্রদের প্রতি, যারা কোনো দল নয়, দেশকে মুক্ত করতে রক্ত দিয়েছিল।

আপনারা যখন ৭১-এর চেতনার কথা বলেন, তখন ৭১-এর মতো নিপীড়ন কেন করেন?
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল গণতন্ত্রের মুখে থাপ্পড়।
১৪০০ এর বেশি ছাত্র-জনতা মরে গেছে কার নির্দেশে? কার গুলি চালানোয়? তাদের পরিবার কি ৭১-এর শত্রু?

এই দেশের মানুষ এখন ৭১-এর পরাজিত শক্তির বয়ান নয়, ২০২৪-এর গণবিপ্লবের সত্য জানতে চায়। এবং ইতিহাস ঠিকই জানবে — কে ছিল স্বৈরাচার, কে ছিল বীর।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইতিহাস এখনো ডরে আছে। কবে আবার তিনি আয়া পড়ে কি কান্ড করে কে জানে?

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৪২

স্পর্শ বলেছেন: তাকে ফিরিয়ে আনার কথা বললেই ইতিহাস হেঁচকি তোলে!
একজন বাকশালির ফিরে আসা মানে—

➤ রাতের আঁধারে ভোট চুরি,
➤ পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থী পেটানো,
➤ মা-বোনের পর্দা টেনে নামানো,
➤ আলেমদের লাশ গুম করে রাখা,
➤ সাংবাদিকদের চাকরি খাওয়া,
➤ ইসলামী প্রতিষ্ঠানে তালা মারা,
➤ জুলুম, জবরদস্তি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।

এটাই কি মানুষ আবার ফিরে পেতে চায়?

গণভবন থেকে পালানোর সময় এসিও বন্ধ করতে ভুলে যাওয়া সেই হাসিনা এখন ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত পাতায় জায়গা পেয়েছে। এখন আবার কেউ কেউ তাঁর ‘ফিরে আসার’ কথা বলে? এটা কি রাষ্ট্রকে ফের মৃত্যু উপত্যকা বানানোর ষড়যন্ত্র নয়?

শেখ হাসিনা ফিরে আসার কথা বলা মানে—
গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা,
ইসলামের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা,
এবং জনগণের ইচ্ছাকে পদদলিত করার ইচ্ছা!

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন,
না হলে আবার সেই ভয়াল দিন ফিরে আসবে,
যেখানে আওয়াজ তুললেই হয় ‘রাজাকার’,
আর সত্য বললেই হয় ‘গুম’!

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাকশালীকে মানুষ ভুলে যাবে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

স্পর্শ বলেছেন: বাকশালীকে মানুষ ভুলে যাবে? না, ভুলবে না। ভুললে জাতি বারবার ধ্বংস হবে!

বাকশালী মানে কী?
▪️ বাকশাল মানে একদলীয় স্বৈরশাসন
▪️ বাকশাল মানে সংবাদপত্র বন্ধ
▪️ বাকশাল মানে বিরোধী কণ্ঠ রুদ্ধ
▪️ বাকশাল মানে গুম, খুন, গ্রেফতার
▪️ বাকশাল মানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিকৃতি করে জনগণের কণ্ঠে তালা মারা
▪️ বাকশাল মানে গণতন্ত্র হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা

বাকশাল শুধু ইতিহাস নয়, তা এখনো বেঁচে আছে “শেখ হাসিনার” শাসনে—

➤ যে সরকার পত্রিকা বন্ধ করে
➤ সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করে
➤ আলেম-উলামাদের বন্দী করে
➤ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের গুলি করে
➤ বিচারবহির্ভূত হত্যা চালায়
➤ অনলাইনে মতপ্রকাশের জন্য কারাবন্দি করে

সেই সরকার আধুনিক বাকশাল, যার নেতৃত্বে রয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা।

তাহলে বলুন—
যে মা তার সন্তানকে হারিয়েছে, সে কি ভুলবে বাকশাল?
যে ভাইকে গুম করে দিয়েছে র‍্যাব, সে কি ভুলবে বাকশাল?
যে ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সে কি ভুলবে বাকশাল?

না, জাতি ভুলবে না। ভুললে আবারও অন্ধকার নামবে।
তাই “বাকশালী” শব্দটা শুধু ইতিহাস নয়, আজকের জীবন্ত ভয়ংকর বাস্তবতা!


---

✪ গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার জন্য— আমাদের স্মৃতি ঠিক রাখতে হবে। ভুললে চলবে না। যারা ভুলাতে চায়, তারা আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়।

✔ আমরা ভুলবো না, আমরা ভুলতে দেবো না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.