![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিনি ক্যান্টনমেন্ট। প্রায় দু'যুগ ধরে এখানে আধিপত্য বিস্তার করে আছে শিবির। চবির হল সংসদের কক্ষ ব্যবহার করেই চলে তাদের কার্যক্রম। ১৯৯০ সালের চাকসু নির্বাচনে মাত্র একটি হলে তাদের আধিপত্য ছিল। '৯১-এ বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে চবির সব হল দখল করে নেয় তারা। এরপর সরকার বদল হলেও শিবিরের আধিপত্যে এতটুকু নড়চড় হয়নি। সারাদেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে মিনি ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে শিবির। গুঞ্জন রয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি এলাকায় শিবিরের অস্ত্রের ঘাঁটি রয়েছে। দু'যুগ ধরে ৫০ বারের বেশি হল তল্লাশি হলেও
কিছুই পাওয়া যায়নি।
জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা বেশিরভাগ সময় হলগুলোর প্রভোস্ট থাকার কারণে শিবির রামরাজত্ব কায়েম করার সুবিধা পায় বেশি। জামায়াত পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের উপাচার্য জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক এজিএম নুরুদ্দিন চৌধুরী সব নিয়মকানুন উপেক্ষা করে ৩০৪ শিক্ষককে নিয়োগ দিয়ে যান। তাদের মধ্যে ১৫০ জনই জামায়াতের। তারাই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় শিবিরের অস্ত্রধারী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত অনেকে এখন বিভিন্ন বিভাগের প্রধান। কেউ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনজিও কার্যক্রমের আড়ালে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও অনেকের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। জামায়াতের রাজনীতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত শিক্ষক নেতা কেএম গোলাম মহিউদ্দিন, ড. কাজী আহমেদ নবী, ড. নেছারুল করিম, ড. শামীম উদ্দিন খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জামায়াত শাখার আমির ড. হাবিবুর রহমান, দর্শন বিভাগের শিক্ষক মোজাম্মেল হক বর্তমানে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বাঁচাতে নানা কর্মপরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গুণগান গেয়ে একাধিক নিবন্ধ যাতে বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপানো হয়, সে জন্য চলছে লবিং। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকাংশে এসব শিক্ষকের টাকার জোগান দিচ্ছে শিবির, যা চবি থেকে 'কালেকশন' করা হয়।
ছাত্রদের সব আবাসিক হলে শিবিরের পক্ষ থেকে চলে অন্য সংগঠনের তৎপরতার ওপর কড়া নজরদারি। এর ফলে ২০০১ সালের পর সেই হলগুলোতে উঠতে পারেননি অন্য কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী। শিবিরের হাতে ধরা পড়া অন্য সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের ওপর চলে নির্যাতন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চবিতে শিবিরের এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি হলে দুটি করে গ্রুপ রয়েছে। এর একটির কাজ তদারক করা, অন্যটির কাজ সরাসরি প্রতিরোধ।
জানা গেছে, শিবির আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আট শতক জমিসহ বাড়ি কিনে স্থায়ী অফিস নির্মাণ করেছে। প্রথমে কোচিং সেন্টারের নামে তৈরি হলেও বর্তমানে স্টুডেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এসআরসি) নামের আড়ালে পুরোপুরি সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে ভবনটিতে। সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চবিতে সেই একক দখলদারিত্ব রাখতে বিভিন্ন ছাত্র হলে 'অপারেশন হল সার্চ' চালায় শিবির!http://samakal.com.bd/details.php?news=13&action=main&option=single&news_id=233895&pub_no=956
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন সমকালকে বলেন, সারাদেশের মানুষের কাছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের মিনি ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে পরিচিত। এখানে ছাত্রছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। শিবির ২১ বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। যার কারণে এখানে নেই কোনো সাংস্কৃতিক পরিবেশ। প্রগতিশীল রাজনীতি এখানে নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেকটা জিম্মি করে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রশিবিরের হাতে। আধিপত্য বিস্তার করতে শিবির এ ক্যাম্পাস তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। অন্যদিকে প্রগতিশীল ছাত্ররা শিবিরের হাত থেকে ক্যাম্পাস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালালে বারবার সংঘর্ষ বাধে।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৭
সান্টু বলেছেন: তারাতো এমনভাবে কাউকে মেরেছে বলে দেখিনি।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৮
চতুষ্কোণ বলেছেন: অনেক লাফাইছে হালারা। এইবার হালাগোরে খেদানির টাইম আইছে। কুপা শামসু কুপা..
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৯
আসিবি বলেছেন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ বছরে ১৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এর একটিরও বিচার হয়নি। এর মধ্যেই গতকাল বুধবার আরো দুই ছাত্র খুন হয়েছেন। এই দুই খুনের বিচারও অতীতের ঘটনাগুলোর মতোই ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত ২৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। এর মধ্যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। বুধবারের জোড়া হত্যাকাণ্ডের বিচার আদৌ হবে কি না, এ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তাঁরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অতীতে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেগুলোর বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে শিক্ষাঙ্গনে খুনের ঘটনা বন্ধ হতো। কিন্তু অতীতে খুনের ঘটনায় বিচার হয়নি। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।'
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের হাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী মারা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির আধিপত্য বিস্তার করতে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।'
সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটির ওই নেতা বলেন, অতীতে বেশির ভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে শিবিরের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকার কারণে সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্ভব হয়নি। এখনো শিবির পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। আইন করে শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান খালেদ চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি বদিউল আলম বলেন, 'অতীতের হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাবে। আর আজ যে দুজন শিবির নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হলো, এর বিচার প্রশাসন আন্তরিক হলে অবশ্যই করা সম্ভব।'
অতীতে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য শিবিরকে দায়ী করা হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত সমর্থক ছাত্র সংগঠনটির এ নেতা বলেন, 'শিবির হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এমন নথিপত্র কেউ দেখাতে পারবে না।'
কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হারুনর রশীদ কায়সার ও মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর ৯ বছর আগে ২০০১ সালে ছাত্রলীগের তখনকার সহসভাপতি আলী মর্তুজাকে হত্যা করা হয়। এর জন্য শিবিরকে অভিযুক্ত করা হয়। আলী মর্তুজা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। এর আগে ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনের পাশের একটি কটেজে ঢুকে গুলি চালিয়ে ছাত্রলীগকর্মী আমিনুল ইসলাম বকুলকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের জন্যও শিবিরকে দায়ী করা হয়। বকুল বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ওই বছর নগরীর বটতলী রেলস্টেশনে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তালাপাত্রকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডটিও শিবির ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সঞ্জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ১৯৯০ সালে শিবিরবিরোধী আন্দোলনে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারুককে হত্যা করা হয়। ফারুকুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। ১৯৯৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মুছাকে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। নুরুল হুদা মুছা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
চবিতে পড়াশোনা না করলেও শিবিরের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে আরো দুজন ছাত্রকে। ১৯৯৮ সালের আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলের কক্ষে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা আইয়ুব আলীকে। ছাত্রলীগ আইয়ুব আলীকে তাদের কর্মী দাবি করে সে সময় শিবির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। একইভাবে ১৯৯৮ সালে নিহত হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিক। শিক্ষক বাসে গুলি করে তাঁকে শিবিরকর্মীরা হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহত মুশফিক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমদ নবীর ছেলে।
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ছাত্রলীগের সঙ্গে শিবিরের গোলাগুলিতে নিহত হন রহিমুদ্দিন ও মাহমুদুল হক। ১৯৯৯ সালের মে মাসে জোবায়ের হোসেনকে হত্যা করা হয়। জোবায়ের হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৮ সালে নিখোঁজ হন আইনুল হক। তিনি ভূগোল বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ নেতারা তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন অভিযোগ করে থানায় মামলা করে শিবির। একই বছর নিহত হন আমিনুল ইসলাম। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর পুলিশের আর কোনো দায়িত্ব থাকে না।' তিনি বলেন, 'গতকাল যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।'
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
অপরিচিত বন্ধু বলেছেন: অনেক কিছু নতুন জানলাম। সত্যি হলে ভালো মিথ্যা হলে আরো বেশি ভালো। শেষ কথা এই ঘৃণিত ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হউক.।
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০১
তীর্থযাত্রী বলেছেন: জামাত শিবিরের নেতাকর্মীদের পাকিস্তানে পাঠানোর দাবী করছি
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০৮
তীর্থযাত্রী বলেছেন: সান্টু বলেছেন: তারাতো এমনভাবে কাউকে মেরেছে বলে দেখিনি।
দেখ সান্টু, তুই প্রান ভরে দেখ........
৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৫
আরবিকে007 বলেছেন: শু:ধু একদিক দেকলে হবে না। ওরকম লাশ শিবিরের বহুবার পড়েছে। তাইলে চলতে থাক এই খুন। আর লাশের মিছিল আরো বড় হোক
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২২
আসিবি বলেছেন: বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য সর্বস্তরে নিন্দিত ছাত্র সংগঠন শিবিরের প্রতিষ্ঠা ১৯৭৭ সালে। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের জন্য বিতর্কিত দল জামায়াতে ইসলামীর এই ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় জবাই করে হত্যার রাজনীতি শুরু করে চট্টগ্রাম থেকে। মূলত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই তারা এখানকার মেধাবী ছাত্র ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের হত্যার কৌশল নেয়।
শিবিরের হত্যার রাজনীতির প্রথম শিকার চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত এজিএস ও ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেন। ১৯৮১ সালের মার্চে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। এর তিন বছর পর চট্টগ্রাম কলেজের সোহ্রাওয়ার্দী হলের ১৫ নম্বর কক্ষে শিবিরেরকর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে।
শিবিরের নৃশংসতায় চট্টগ্রামে আরো যাঁরা প্রাণ হারান তাঁদের মধ্যে আছেন ছাত্রমৈত্রী নেতা ফারুক ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছা। এ ছাড়া শিবির ডান হাতের কবজি কেটে দেয় জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা আবদুল হামিদের। পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় ছাত্রনেতা ফরিদের।
'ধর্মের নামে তারা যে রাজনীতি করছে সেটি কোনো মুসলমান করতে পারে না। সহপাঠীরা আমাকে খারাপ ভাবতে পারে, গুনাহগার হতে পারি আমি, কিন্তু কোনো মুসলমান বিনা কারণে আরেক মুসলমান ভাইয়ের হাত কেটে ফেলতে পারে না।' গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন শিবিরের নৃশংসতার শিকার হয়ে এক হাত হারানো আবদুল হামিদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় ছাত্রসমাজের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হামিদ বর্তমানে ব্যবসায়ী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক ভিপি নাজিমউদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে ২৯ বছর আগের তবারক হত্যাকাণ্ডের বীভৎস বিবরণ দেন। তিনি বলেন, 'কিরিচের এলোপাতাড়ি কোপে মুমূর্ষু তবারক যখন পানি পানি করে কাতরাচ্ছিল তখন এক শিবিরকর্মী তার মুখে প্রস্রাব করে দেয়।' তবারকের সহপাঠী ও সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের তৎকালীন বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, সাক্ষীর অভাবে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। কারণ রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ভয়ে অনেকে সাক্ষ্য দেয়নি।
১৯৮৪ সালের ২৮ মে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মহব্বত আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ঘুমাতে যান। তাঁর রুমমেটরা ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে। শাহাদাতের সহপাঠী ও বর্তমানে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আতিক জানান, শিবিরকর্মী হারুন রেয়াজউদ্দিন বাজার থেকে নতুন ছুরি কিনে এনেছিল শাহাদাতকে জবাই করার জন্য। এ কথা হারুন আদালতে স্বীকার করেছে। তার যাবজ্জীবন এবং আরেক আসামি ইউসুফের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে আপিল করে দুই বছর পর ইউসুফ খালাস পেয়ে যায়।
শাহাদাতের বড় ভাই নির্মাণ ঠিকাদার সাখাওয়াত হোসেন সাক্কু গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শাহাদাতের হত্যার পর আমরা যাতে মামলা না চালাই সে জন্য শিবিরের তরফ থেকে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।'
১৯৮৬ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহ্রাওয়ার্দী হলের চত্বর থেকে ভাত খেয়ে রিকশাযোগে আলাওল হলে ফেরার সময় জঙ্গল থেকে প্রথমে গুলি করা হয় জাতীয় ছাত্রসমাজের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হামিদকে। তারপর ডান হাতের কবজি কেটে দেয় শিবিরকর্মীরা। বিনা দোষে হাতের কর্মক্ষমতা হারানোর সে গ্লানি তিনি এখনো বয়ে চলেছেন।
চট্টগ্রাম কলেজ এখন শিবিরের দখলে। পাশের চট্টগ্রাম সরকারি মুহাম্মদ মহসিন কলেজও তাদের নিয়ন্ত্রণে। শুধু এই দুই কলেজ নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও শিবিরের আধিপত্য। ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর দেশের অন্যতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্য ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ এক মিছিলে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্রমৈত্রী নেতা ফারুককে। ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছাকে শিবিরকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করার জন্য শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। এ প্রসঙ্গে ছাত্রদল মহানগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শিবিরের আক্রমণে যারা মারা যায় তাদের অধিকাংশের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় তারা।'
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামের আমির শামসুল ইসলাম এমপি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজনৈতিক মহলে শিবিরকে হেয় করার জন্য এসব অভিযোগ তোলা হয়। বরং শিবিরই বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।' 'শাহাদাতকে জবাই করে হত্যা ও হামিদের হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ কি তাহলে মিথ্যা?' এ প্রশ্নের জবাবে জামায়াত নেতা বলেন, 'কারা দায়ী সেই খবর আপনারা (সাংবাদিকরা) নেন। শিবিরকে দায়ী করা যাবে না!
Click This Link
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
চিটির বাক্স বলেছেন: আমাদের আসল সমস্যা হল ইন্জিনিয়ারীং পড়ে ডাক্তারী করা।
আসিবি বলেছেন: ওই বছর নগরীর বটতলী রেলস্টেশনে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তালাপাত্রকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডটিও শিবির ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সঞ্জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ভাই সঞ্জয় তালাপাত্রকে আমার পাশে হত্যা করা হয়, তার মুখে দাড়ি দেখে শিবির মনে করে তাকে আমার চোখের সামনে মেরে ফেলে..মনে করতে চাইনা সেই ভিবতস সৃত্বি। এইটা শিবির করেছে এইটা বলেই আপনি আপনার পরিচয় দইয়ে দিলেন..একজন কুত্তালীগের পা-চাটুকার। জানেন না বলে উল্টো বলার কি দরকার।
১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫২
মোয়ােজজম হোেসন বলেছেন: বাংলাদেশে এই নোংরা রাজনীতি কভে যে বনধ হবে।আর কত মায়ের বুক খালি হবে..।
১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ছাগু গুলারে ধইরা কাচ্চি বানানো দরকার ।
১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৯
আসিবি বলেছেন: ২৯ জানুয়ারীর চঁপুরের ঘটনার কয়েকটি বিষয় এখনো পরিষ্কর হয়নি। এই ঘটনাগুলি পরষ্কার হলে আসল ঘটনাটা জানা যাবেঃ
১। বি এন পির দুই গ্রুপের যে শো ডাউন হয়েছে এবং দুই গ্রুপ যে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে তার কোন ছবি বা খবর পরিত্রকায় আসলো না কেন ?
২। শিবির এবং জামাত যে পুলিশের উপর বৃষ্টির মত ইট পাটকেল ছুড়েছে এবং মহিলা পুলিশের উপর আক্রমন করেছে তার কোন বিবরণ বা ছবি পত্রিকায় আসলো না কেন ?
৩। বি এন পি এবং শিবির প্রধান মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ছবি ভাংচুড় করেছে তার ছবি পত্রিকায় আসলো না কেন ?
৪। শুধুমাত্র পুলিশের একশন পত্রিকায় আসলো কেন এর রহস্য কি ?
৫। স্থানীয় পত্রিকাগুলি এ ব্যাপারে নীরব কেন ? স্থানীয় মানুষ কিন্তু অনেক কথাই বলে। পত্রিকাগুলি সত্যটাই বলে না কেন ?
৬। যে দুজন মারা গেছে তারা কে ?
এই সমস্ত বিষয়গুলি জানা অতিব জরুরী। একটা ইস্যু সৃষ্টি করার জন্য কি কি করা হয়েছে তাও জানা জরুরী। বি এন পি দুই গ্রুপ যে মারামারি করবে শো ডাউন করবে এটা তো পূর্ব নির্ধারিত। ঐ দিনের চাঁদপুর কন্ঠ তার পূর্ন বিবরণ দিয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কি সেটা জেনেও না জানার ভান করেছে ? এ প্রশ্নগুলির মীমাংশা হওয়া জরুরী। এবং তা যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল।
১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩১
জুবাইর রেযা বলেছেন: জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক।
১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৭
হবু ইঞ্জিনীয়ার বলেছেন:
১৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: জামাত শিবিরের রাজনীতির নামে জঙ্গীবাদ নিষিদ্ধ করা হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৫
ঝড়007 বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেন না... শিবিরের মিনি ক্যন্টেনমেনট অথচ তার প্রয়োগ নাই বরং আমাদের ভদ্র ছাত্রলীগের রামদার আঘাতে শিবিরের নেতা নিহত হয়। তাহলে আমরা কার মিনি ক্যন্টেনমেনট ধরে নিব? আর আপনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে পুলিশ বার বার তল্লাশী করে কিছুই পায় নাই অথচ কিছুদিন পর পর ছাত্রলীগের কাছ থেকে কিছুদিন পর পর বিভিন্ন প্রকার অস্র উদ্ধার হয়। আর বর্তান সরকার তো শিবিরের পক্ষে না যদি আপনার কথা মত মিনি ক্যন্টেনমেন্ট হয তাহলে ব্যবস্থা নেয় না কেন? কোন এই হত্যা?