পাহাড়ে চাঁদাবাজিঃ নেপথ্যে কারা?

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩১

খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান,এই তিন জেলা নিয়ে ঘঠিত পার্বত্য চট্রগ্রাম।এই পাহাড় অফুরন্ত সম্পদের ভান্ডার।কিন্তু এই বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ কে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।এর পেছনে সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজি সম্পর্কিত কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই।পার্বত্যাঞ্চলে সব থেকে বড় চাঁদার উৎস
হচ্ছে পরিবহণ এবং কাঠ ব্যবসা।

♦♦প্রথমেই বলি>>
.
-- সন্তু-লারমা'র PCJSS, প্রশিত খিসা'র UPDF
এবং পেলে বাবুর PCJSS(সংস্কার) নামক তিনটি
আঞ্চলিক সসস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান
কাজ চাঁদাবাজি করা।
.
-- পার্বত্যাঞ্চলে যে, সব পরিবহণ চলে তাদের
সবার তিনটি করে বাৎসরিক টোকেন কাটা আছে,
তিন সংগঠনের।
.
-- বাস্ ট্রাক জিপ পিকাপ সিএনজি মাহেন্দ্র
অটো-রিক্সা এবং মটর সাইকেলও। বিশেষ কিছু
আছে যেমনঃ শান্তি সৌদিয়া এসআলম ইউনিক
সেন্টমাটিন ঈগল ইত্যাদি পরিবহণ গুলোরও এই
টোকেনের আওতায়।

-- মাঝেমাঝে ই দেখা যায় সমতল থেকে যে, সব
ট্রাক বা বাস্ পার্বত্যাঞ্চলে ভাড়া নিয়ে ঢোকে
যায় তাদের পরতে হয় ব্যপক সমস্যার মাঝে,
এবং দিতে হয় মোটা অংকের টাকা।
.
-- শুধু পরিবহণ গুলো থেকে চাঁদা নিয়ে শান্ত নন
তারা, রিতিমত ব্যবহার করছেন পরিবহণ ড্রাইভার
এবং মালিকদের।
.
-- যদি আপনি ট্রাক, জিপ বা বাস্ যোগে কিছু
মালামাল নিয়ে যেতে চান পার্বত্যাঞ্চল থেকে
তাহলে আপনাকে প্রথমে-ই সেই পরিবহণের
ড্রাইভারের সাথে সেই মালের চাঁদার হিসাব কষতে
হবে।
.
--আপনি যদি ড্রাইভার এর সাথে আতাত করে চাঁদা
না দিয়ে চলে যান তাতেও কোন সমস্যা নাই
বাবুদের।
.
--ধরেন আপনি চাঁদা না দিয়ে ফেনী বা কুমিল্লা চলে গেছেন,
বাবুরা ট্রাক সমিতি'তে একটা ফোন দিবেন।
বাবুদের একটা কল-ই যথেষ্ট আপ্নার পরিবহণের
চাকা থামিয়ে দেওয়ার জন্য।

>>>চলবে

০ টি +০/-০