নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারপিক শ্যাম্পু নয়-দালালও নয় সাংবাদিক

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

।। জসীম অসীম ।।



নীতিমালা না মানা হলে নিজ পেশার ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দেয়। হারপিক শ্যাম্পু নয়-দালালও নয় সাংবাদিক।। ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’।

পুলিশের কিছু ‘সোর্স’ থাকে পাবলিক তাদের ‘সোর্স’ না বলে কখনো কখনো দালালও বলে। এ রকম লোক সব অফিসেই দেখা যায়-আজকাল তাদের অনেকে আবার সাংবাদিক পরিচয়ও প্রদান করে। এতে করে জনমনে বিভ্রান্তি বাড়ে। যেমন বিভ্রান্তি বাড়ে টয়লেট ক্লিনার হারপিককে শ্যাম্পু মনে করলে। হারপিক কিন্তু শ্যাম্পু নয়। কিন্তু অনেকেই হারপিককেই শ্যাম্পু ভাবে-যদি সে মোস্তফার মতো মানুষ হয়। “গ্রাম থেকে শহরে কাজের ছেলে হয়ে এসেছিল মোস্তফা। কিন্তু সে শ্যাম্পু চিনতো না। বাথরুমে ঢুকে টয়লেট ক্লিনার হারপিককে শ্যাম্পু মনে করে মাথায় মেখে মহাবিপদে পড়েছিল। তারপর যা হওয়ার-তা হয়। এই গল্পটি সত্য। কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদ-এর কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ আবদুল হালিম-এর নিকট থেকে পাওয়া। সত্যিই অনেকে যেমন হারপিক আর শ্যাম্পুর মধ্যে পার্থক্য বুঝে না-মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারের মধ্যে পার্থক্য বুঝে না-তেমনি সাংবাদিক এবং দালালের মধ্যেও পার্থক্য বুঝে না। সাংবাদিক-সাংবাদিকই এবং দালাল-দালালই। দালালকে সাংবাদিক বলা যাবে না-সাংবাদিককেও দালাল বলা যাবে না। প্রকৃত সাংবাদিক সারাদেশে-সারাবিশ্বে এখনও খুবই ঝুঁকিতে আছেন-অবহেলায় আছেন-কিন্তু দালালরা আছেন ভালো। দালালরা সাংবাদিকদের ব্যবহার করে সুবিধা নেন। অবহেলিত থাকেন যুগে-যুগেই প্রকৃত সাংবাদিকগণ। এ দু:খ কে করবে দূর?

কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন ‘সকলেই কবি নয় কেউ কেউ কবি’। কিন্তু নিজেকে কবি দাবি করে এত এত লোক কবিতা নামের কিছু লেখা শুরু করলো যে বুঝতে পারা কঠিন হয়ে গেল কে যে কবি-আর কে যে কবি নয়। তারপরও কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মজা করে লিখলেন ‘কেউ কেউ কবি নয় সকলেই কবি’।

হ্যাঁ এখন ভাবখানাও এমন যে কেউ কেউ সাংবাদিক নয়-সকলেই সাংবাদিক।কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের এক পান-বিড়ি সিগারেট বিক্রেতাকেও একবার সাংবাদিক পরিচয় দিতে দেখলাম। তিনি আমার পরিচয় জানতে চাইলে আমি সাংবাদিক পরিচয় দেই। তখন ঐ পান-বিড়ি বিক্রেতাও বলে-‘আমিও সাংবাদিক। আপনি আমার জাতি ভাই।’ ঐ লোকের কাছে আমি একটি দৈনিক ভূমিকম্প মার্কা পত্রিকার পরিচয়পত্রও দেখতে পাই।

একবার কথা কথায় পরিচয় হয় কুমিল্লা শহরের ব্যবসায়ী ধর্মপুরের .... সঙ্গে। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী কিংবা নেতা বলেই জানতাম। শাসনগাছার একটি দোকানে বসে তিনি অসম্ভব ভদ্র ব্যবহার করে একবার চা খাওয়ান এবং সব শেষে তিনিও তাকে সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং ঢাকার একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখান। একবার একজনকে দেখলাম ৫/৬টি মুরগী কিনে মোটর সাইকেলের সঙ্গে বেঁধে লুঙ্গি পরে বাজার থেকে ফিরছে। কিন্তু মোটর সাইকেলে লাগানো আছে একটি লোগো-মিডিয়ার লোগোর পাশে ঝুলন্ত মুরগী-এখানে মিডিয়াকে বিন্দুমাত্র হলেও ব্যবহার করা হয়েছে বাজার করার কাজে। তবে কি সাংবাদিকগণ বাজারও করতে পারবেন না? পারবেন-তবে সাংবাদিক শুধু সাংবাদিকতার কাজেই যদি পরিচয়টাকে ব্যবহার করেন-তাহলে খুব ভালো হয়। একবার সাপ্তাহিক আমোদ অফিসে একজন লোক আসলেন সাংবাদিকতার একটি কার্ডের জন্য। লোকটি কার্ডের জন্য সর্বমোট ১/২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে প্রস্তুত বলেও জানালেন। সেটা ১৯৯৬ সালের দিকের ঘটনা। সাপ্তাহিক আমোদ-এর বাকীন রাব্বী সব কথা শোনার পরে লোকটিকে মজা করে বললেন-আমরা সাংবাদিকদের কার্ড দেই বটে কিন্তু কার্ডের দোকানদার নই ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.