নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক আর ‘সাংঘাতিক’ এর মধ্যে পার্থক্য কী!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১



জসীম অসীম



পেশাগত জীবনে আমি স্থির নই-বিভিন্ন কারণে। তাই বলে সাংবাদিকতা জগতের ‘অগা-মগা-বগা’দের সঙ্গে আমার কোনো পথ চলা নেই-ছিলও না কোনোদিন। কুমিল্লার সাংবাদিকতায় এখন অনেক ‘অগা-মগা-বগা’ ঢুকেছে। এই ‘বগা’দের উপদ্রবে সাধারণ মানুষও যেমন কখনো কখনো উপদ্রুত-তেমনি যারা প্রকৃতই সাংবাদিক-তাদেরও হচ্ছে প্রতিনিয়ত মানহানি। এই ‘বগা’দের উপদ্রবে সাধারণ মানুষও যেমন কখনো কখনো উপদ্রুত-তেমনি যারা প্রকৃতই সাংবাদিক-তাদেরও হচ্ছে প্রতিনিয়ত মানহানি। এই ‘বগা’দের ঠোঁট-‘ঠ্যাং’ অনেক লম্বা-ওদের কিছু বলতে গেলে দেখা যাবে মাছের বদলে চোখের দিকেই নজর পড়েছে ওদের।

প্রকৃতই যারা সাংবাদিক-যারা অনেক যোগ্যতা থাকার পরও সহনীয়-নমনীয়-আচরণে অহিংস-তারা কেন এর প্রতিবাদ করছেন না? তবে কি তারা পরিস্থিতির শিকার? নাকি তারা সময়কে বিচারক মেনে শুধু অপেক্ষা করছেন?

আমি নিজে সাংবাদিক নই ভালো কথা-কিন্তু যদি কোনো কুখ্যাত লোককেও সাংবাদিক পরিচয় দিতে দেখি-তখন কি খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক নয়? এ পেশা তো একটা অতিরিক্ত দায়সম্পন্ন পেশা। কোনো ‘বগা’ যখন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয় তখনই লোকে ওদের ‘সাংঘাতিক’ বলতে শুরু করে। আসলে সাংবাদিকদের কেউ কখনোই ‘সাংঘাতিক’ বলে না-বলে ওই ‘বগা’দেরকেই।

২০০৪ সালে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ঢাকা অফিসে আমার চাকুরি হয়েছিল। আমার চাকুরির জন্য পত্রিকাটির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানকে অনুরোধ করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজি। রাজি ভাইয়ের ডাকনাম পাপ্পু। বাড়ি তার নাটোরে।

ঢাকায় গিয়ে যখন নাঈমুল ইসলাম খানের সঙ্গে দেখা করি-তিনি বললেন-তুমি আমার কুমিল্লার দেবিদ্বারের ছেলে। তোমার প্রতি আমার দুর্বলতা থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু কাজকর্ম আগে কোথায়-কী করেছো? আমি বললাম-কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদ ও দৈনিক রূপসী বাংলায় কাজ করেছি। তিনি বললেন-কুমিল্লার সেরা দুই পত্রিকা। সঙ্গে সঙ্গেই আবার বললেন-তুমি নীতিশকে চেনো-নীতিশ সাহা? আমি বললাম-চিনবো না কেন? নীতিশ দা’র দৈনিক শিরোনাম পত্রিকায়ও আমি চাকুরি করেছি। কিছু ট্রেইনিংও করেছি সাংবাদিকতা বিষয়ে বিসিডিজেসিসহ বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে। বললেন-তুমি আবু হাসান শাহরিয়ারের নাম জানো? আমি বললাম-জানবো না কেন? তিনি তো এক সময় কুমিল্লায়ও ছিলেন। তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। আমি বাংলা সাহিত্যে ঢাকায় লেখাপড়া করে কুমিল্লায় গিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করি। তাই আবু হাসান শাহরিয়ারের নাম জানি অনেক আগে থেকেই। উল্লেখ্য যে তখনও বের হয়নি কুমিল্লার পত্রিকা-কুমিল্লার কাগজ-যার প্রথম দিকে আমি কাজ করেছিলাম। তবে নাঈম ভাইয়ের সঙ্গে আলাপের পর আমার কাজ হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত আমি কাজে যোগদান করিনি। আমার স্বভাবই এমন।

‘নাঈমুল ইসলাম খানের সঙ্গে কাজ করতে পারলে শিখতে পারতো অনেক কিছুই-’...আমার উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন কুমিল্লার সাংবাদিক-সাহিত্যিক ড. আলী হোসেন চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন কলেজেও অধ্যাপনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ [অনার্স] পাশ করার পর-এমনকি এম.এ-তে ভর্তি হওয়ার পরও আমার প্রায়ই ইচ্ছে হতো ভবিষ্যতে অধ্যাপনা করার। অথচ পরে আমি পেশাগত জীবনে স্থির হতে পারলাম না কোথাও-ই। ড. আলী হোসেন চৌধুরী একজন বহুমাত্রিক প্রতিভা। তিনি একজন অধ্যাপক-নজরুল গবেষক-কবি-আবৃত্তিকার-নাট্যকার-সম্পাদক-সাংবাদিক। তার জন্ম ১৯৫৩ সালের ১০ জানুয়ারি-কুমিল্লাতেই। ১৯৭৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনিও কুমিল্লায় সাংবাদিকতা করেছেন-অন্যদিকে কুমিল্লার সাংবাদিকতায় এখন এমনও অনেক ‘অগা-মগা-বগা’ ঢুকেছে, যারা বুঝে না উচ্চারণ কী-আবৃত্তি কী-সাহিত্য কী-বানান কী-ভাষা কী-পেইন্টিং কী-ফটোগ্রাফি কী। অথচ তাদের অনেকেই রীতিমত দাবড়িয়ে বেড়ায়-কেউ কেউ নিজে লিখতে পারে না বলে অন্যকে দিয়ে লেখায়। কেউ আবার দু’কলম লিখতে পারে না বলে লেখার ঝামেলায় না গিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে এখন ‘ডিজিটাল সাংবাদিক’। ইতিহাস-ঐতিহ্যে এককালের ঈর্ষনীয় সাংবাদিকতার স্বাক্ষর বহন করতো কুমিল্লা। এখন কি সেই গৌরব হারাতে বসেছি আমরা? যারা প্রশিক্ষণও নেবে না-চর্চাও করবে না-আরও মনে করে বিদ্যারও দরকার নেই-শুধু গলায় কার্ড ঝুলিয়ে যারা ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়ায়-তারা তো সত্যিই সাংবাদিক নয়-আসলেই ‘সাংঘাতিক’। কুমিল্লার সাংবাদিকতায় এখন অনেক ‘অগা-মগা-বগা’ ঢুকেছে। এই ‘বগা’দের উপদ্রবে সাধারণ মানুষও যেমন কখনো কখনো উপদ্রুত-তেমনি যারা প্রকৃতই সাংবাদিক-তাদেরও হচ্ছে প্রতিনিয়ত মানহানি। কোনো ‘বগা’ যখন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়, তখনই লোকে ওদের ‘সাংঘাতিক’ বলতে শুরু করে। আসলে সাংবাদিকদের কেউ কখনোই ‘সাংঘাতিক’ বলে না-বলে ওই ‘বগা’দেরকেই।

২৬-০৬-২০১১

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.