নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ম্যাডাম-আমি পঞ্চগড়ের বোদা থেকে এসেছি’... কেন এই নামের পরিবর্তন হচ্ছে না ?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২



জসীম অসীম



‘ম্যাডাম-আমি পঞ্চগড়ের বোদা থেকে এসেছি’ - একজন নিজের এলাকার নাম এভাবে বলার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকেই হেসে উঠলেন। অথচ যারা হাসলেন-তাদের সবাই শিক্ষিত এবং অধিকাংশই সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিক।

২০০৬ সালের আগস্ট মাসে ঢাকার বেসরকারী সাহায্য সংস্থা ‘গণস্বাক্ষরতা অভিযান’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসেছিলেন সারা বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিক এবং সংস্কৃতিকর্মী। প্রশিক্ষণের আয়োজক ছিল ‘স্বাক্ষরতা অভিযান’ নামক সেই বেসরকারি সাহায্য সংস্থাটিই। এই প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অনেক সেরা সাংবাদিক প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ শুরুর আগে পরিচিত পর্বে ‘গণস্বাক্ষরতা অভিযান’-এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে.চৌধুরী সবার সঙ্গে পরিচিত হতে কথা বলছিলেন। তিনি এক সময় বাংলাদেশের একটি তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকার-এর নারী ও গণশিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টাও ছিলেন। তিনি সবার পরিচয় জানতে জানতে তখন পঞ্চগড় জেলার মোহাম্মদ হারুন-অর রশিদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন। পাশে বসেছিলেন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আরেক উপদেষ্টা ড.হোসেন জিল্লুর রহমানও। সে সভায় একজন সাংবাদিক হিসেবে আমিও উপস্থিত ছিলাম।

হারুন এসেছিলেন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার ‘বোদা’ উপজেলার প্রামাণিকপাড়া থেকে। তার সংস্থার নাম ছিল-পল্লী সাহিত্য সংস্থা। কিন্তু পরিচিতিপর্বে তার নিজের উপজেলা ‘বোদা’র নাম বলার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকেই হেসে উঠলেন। কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ আঞ্চলিক শব্দটি দিয়ে ‘মহিলাদের ...’কে বুঝানো হয়। ফলে ভদ্রলোক হলেও এ রকম শব্দ উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে অনেকে অনেক সময় না হেসেও পারেন না। এ জন্য তাদের বিশেষ দোষও দেয়া যায় না।

১৯৯২-৯৩ সালের দিকে আমি যখন লেখাপড়ার জন্য ঢাকায় ছিলাম-মনে পড়ে তখন ‘ঢাকাস্থ বোদাবাসী’ দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ ঢাকার অনেক দেয়ালকে ‘বোদা’ নামের পরিবর্তনের জন্য দেয়াল লিখনের মাধ্যমে রাঙিয়ে ফেলেছিলেন। কারণ এ নামটি বিভিন্ন জায়গায় উচ্চারণ করতে তারা প্রায়ই বিব্রতবোধ করতেন। নিজের এলাকার নাম বলতে গিয়ে যদি কাউকে বিব্রতবোধ করতে হয়-তবে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? রাশেদা কে.চৌধুরী গত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাও ছিলেন। ড.হোসেন জিল্লুর রহমানও একজন উপদেস্টা ছিলেন। কিন্তু সেই নামের পরিবর্তন বিষয়ে তারাও কি কিছু করেছেন? দেশের বিবেকবান ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ-আপনারা কি এ নামটির পরিবর্তনের জন্য কিছুই করতে পারেন না? এ নামটি উচ্চারণ করতে গিয়ে শুধু ‘বোদা’বাসীই নয়-সারা বাংলাদেশের মানুষই বিব্রতবোধ করেন। চীনের রাজধানী ‘পিকিং’ বিভিন্ন কারণে যদি-‘বেইজিং’ হতে পারে-বার্মার নাম যদি মায়ানমার হতে পারে-তবে ‘বোদা’ নামটির কেন পরিবর্তন করা যাবে না? কেন এই নামের পরিবর্তন হচ্ছে না? কেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.