![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
জসীম অসীম
আমার একটি স্যুট ছিল-যা পরলেই মেয়েরা আমার প্রেমে পড়ে যেতো। স্যুটটি আমাকে গিফট করেছিলেন ‘কুমিল্লার পঙ্কজ উদাস’। কুমিল্লায় পথ চলতে গিয়ে আপনি কি কখনো ভারতের প্রখ্যাত গজল শিল্পী পঙ্কজ উদাসকে দেখেছেন?। হয়তো খেয়াল করেননি। এই পঙ্কজ উদাসের নাম বাবুল-রেজাউর রহমান বাবুল। তিনি কুমিল্লা ক্লাবেরও মেম্বার। এই বাবুল সাহেবের চেহারার সঙ্গে ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাসের চেহারার অসম্ভব মিল রয়েছে।
বাবুল একসময় আত্মীয়তার সূত্রে আমাকে অত্যন্ত উন্নতমনের স্যুটের কাপড় এনে কুমিল্লার একটি প্রসিদ্ধ পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপ্লিট স্যুট বানিয়ে গিফট করেছিলেন। সেই স্যুট পরে পরম শান্তি পেয়েছিলাম আমি। যদিও জীবনের প্রথম আমাকে একটি কমপ্লিট স্যুট গিফট করেছিলেন-কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী। সেটা ১৯৯৩ সালে। ফজলে রাব্বী যখন আমাকে কমপ্লিট স্যুট গিফট করেছিলেন-তখন আমার স্যুটের জন্য দারুন নেশা ছিল। আর রেজাউর রহমান বাবুল আঙ্কেল আমাকে যে স্যুট গিফট করেছিলেন-সেটা পরলে নিজেকে আমার ‘রাজা’ মনে হতো এবং সেই স্যুটপরা অবস্থায় অনেক মেয়েই আমার প্রেমে পড়েছিল। অত্যন্ত দুঃখজনক: কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ের মাতৃভবন বাসার তৃতীয়তলার আমার একসময়কার বাসা থেকে কোন এক চোর সেই কমপ্লিট স্যুটটি চুরি করে নিয়েছে।
শুধু স্যুট দেয়া নয়-বাবুল আঙ্কেলের বাসায় অনেক খেয়েছি আমি। আপনি যদি তার বাসায় না খেয়ে থাকেন-তাহলে জীবনে ‘গ্রেট মিস’ করেছেন। কারণ তার বাসায় খাওয়াদাওয়ার সিস্টেমটি রীতিমত রাজকীয়। তার বাসায় খাওয়া না খেলে তার আত্মার সঙ্গে আপনি পরিচিত হতে পারবেন না। ১৯৯২ সালে আমার ঢাকার বন্ধু ফারজানা ইসলাম রূপালী যখন আমাকে একের পর এক অডিও ক্যাসেট গিফট করতে থাকে-তখন বাধা দেইনি। প্রথমে সে পঙ্কজ উদাসের ‘ভালোবাসা’ শীর্ষক বাংলা গানের একটি অডিও ক্যাসেট গিফট করে। পঙ্কজ তখন আমার প্রিয় গায়কদের অন্যতম। তারপর দেয় সম্ভবত : আমীর খান ও পূজাভাট অভিনীত ‘দিল হ্যায় কী মানতা নেহী’ ছবির অডিও গানের ক্যাসেট। সেই যুগ সিডি-ভিসিডি কিংবা ডিভিডির ছিল না। কিন্তু আমার এতই অভাব ছিল- কোনোদিন নিজের জন্যও একটি ক্যাসেট কিনতে পারতাম না। ১৯৯১ সালে ঢাকার পুরানা পল্টন থেকে কণ্ঠশিল্পী কাদেরী কিবরিয়ার একটি রবীন্দ্র সংগীতের ক্যাসেট কিনেছিলাম-সেটাই বারবার শুনতাম। অবশ্য বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে অনেক ভালো গানও শুনেছি তখন।
১৯৯২ সালে যে পঙ্কজ উদাস আমার প্রিয় গায়ক ছিলেন-১৯৯৩ সালে সেই পঙ্কজ উদাসকে আমি আবিস্কার করি কুমিল্লায় সংরাইশের সাহেব বাড়িতে। পরে যে বাড়িতে-যার আপন ভাইয়ের মেয়েকে আমি দুই বছরের প্রেম শেষে বিয়ে করেছিলাম। তবে এ পঙ্কজের পুরো নাম রেজাউর রহমান বাবুল। কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে তার মেয়ে সুম্মিতার নামে ‘সুস্মিতা শাড়ি বিতান’ নামে তার একটি শাড়ি দোকান ছিল। তিনি কুমিল্লা ক্লাবেরও মেম্বার। এই বাবুল সাহেবের চেহারার সঙ্গে ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাসের চেহারার অসম্ভব মিল রয়েছে।
©somewhere in net ltd.