নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যক্তিগত ডায়েরী : আমি কি আমার বাবা-মাকে সত্যি ভুলে গেছি?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩



জসীম অসীম:

২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আমার বাবা ইন্তেকাল করেন একই বছর ২৮ আগষ্ট তারিখে তিনি আমাকে বললেন-তিনি আর বেশিদিন বাঁচবেন না। আমি হেসে উড়িয়ে দিলাম তাঁর সেই কথা। অথচ দেখা গেলো তিনি সত্যি সত্যিই এর এক মাস পরই ইন্তেকাল করলেন।

বাবার মৃত্যুর বছর দেড়েক আগে আমার প্রথম বিয়ে ভাঙ্গে। তাতে বাবা মনে খুব দু:খ পান। তারপর চাকুরি ছেড়ে বেকার হয়ে পথে পথে ঘুরি আমি। লক্ষ স্থির করি শুধু লেখালেখি করবো- বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করে। ঠিক সে সময়েই বাবা একদিন বললেন-আমি যেন নরসিংদী থেকে আমার ছোটবোন ‘কথা’ কে এনে তাকে দেখিয়ে দেই। তা না হলে তিনি মরেও শান্তি পাবেন না। তিনি তখন কোটবাড়ি বার্ডে আমার বড় ভাইয়ের বাসায় ছিলেন।

২১ আগষ্ট ২০০৩: সকালে কুমিল্লা থেকে নরসিংদীতে ছোটবোন কথার বাসায় যাই। বিকেলে অন্য ছোটবোন মনিকার স্বামী ইকবালের সঙ্গে মোটর সাইকেলে চেপে রায়পুরা যাই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখতে। সঙ্গে ছিলো মনিকার তখনকার ছোট্ট ছেলে কৌশিক। রায়পুরা থেকে কৌশিকের জন্য একটি বইও কিনি আমি। কৌশিক খুশি হয়। ২২ আগষ্ট ২০০৩ কথা ও কথা-র স্বামী মোশাররফকে নিয়ে কুমিল্লায় আসি। কৌশিক সঙ্গে আসার জন্য খুবই কাঁদে। খুব। কান্না দেখে আমিও স্থির থাকতে পারিনি। বুঝি-রক্তের কাছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত কিছুই নয়। সেই রক্তকে যেন আজকাল ভুলে গেছি আমি। কী কারণে? আমি জানি না। কতোদিন আমি আমার বাবা-মায়ের কবর দেখতেও যাই না। অথচ আমাকে লালন পালন করতে তারা কতো না কষ্ট করেছেন। কতোদিন হলো আমি আমার বাবা-মায়ের হাসিমুখ আর দেখি না। দেখবোও না আর কোনোদিন। মনে হলে কেমন লাগে-আমি জানি। অথচ আজ আমি-আমার বাবা-মাকে যেন দিব্যি ভুলে গেছি। সেটা কি সত্যি সত্যি ভুলে গেছি? না। যেমন প্রতিটি কাজে কর্মেই সবার মতোই আমারও বাবা মাকে মনে পড়ে। যেমন অনেক ছড়া পড়তে গিয়েই আগে মনে পড়ে মায়ের কথা। আমার মা প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও অনেক জ্ঞান রাখতেন। আমাদের পরিবারে মা ছিলেন সেই জ্ঞানবতী ও দায়িত্ববতী। কারণ এত ভাইবোনের লালন পালনের পরও এত বিষয়ে মা খোঁজখবর রাখতে চাইতেন-ভাবলেও অবাক হতে হয়। মা বিখ্যাত ছড়াকার সুকুমার রায়ের একটি ছড়া মৃত্যুর পূর্বের দিনগুলোতেও মুখস্থ বলতে পারতেন-সেই ছড়াটি হলো : ‘রামগরুড়ের ছানা’।

মায়ের কাছে এ ছড়া শুনতে শুনতে আমাদেরও কারো কারো এ ছড়া মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। ‘রামগরুড়ের ছানা/ হাসতে তাদের মানা/হাসির কথা শুনলে বলে/হাসব না-না-না না/... ... ...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.