![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
জসীম উদ্দিন অসীম
ঢাকায় আমাদের বাংলা বিভাগের একজন ছাত্রী ছিলো-মৌ। আমাকে দেখলেই উচ্চস্বরে বলে উঠতো-‘সীমার মাঝে অসীম তুমি/বাজাও আপন সুর/আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ/তাই এত মধুর।...’
কিন্তু কুমিল্লাতেও একজন মানুষ আমাকে দেখলেই রবীন্দ্রনাথের সেই ‘গীতাঞ্জলি’-র গানের চরণগুলো আবৃত্তি করতে থাকতেন। কে তিনি? তিনি কুমিল্লার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা...। আমি যখন কুমিল্লার দৈনিক শিরোনাম পত্রিকায় চাকুরি করতাম-তখন প্রায়ই সে পত্রিকা অফিসে কুমিল্লার অনেক প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ এসে আড্ডা জমাতেন। সেসব আড্ডার ব্যক্তি ও তাদের বক্তব্য নিয়েও লেখা যেতে পারে চমৎকার চমৎকার লেখা। সেসব আড্ডার অনেক নোটও রয়েছে আমার খাতায়।
দৈনিক শিরোনাম সম্পাদক নীতিশ সাহাও আড্ডাপিয়াসী ছিলেন। আড্ডা জমে উঠলে তো তিনি দারুণ প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেন। আড্ডা হতো কতো বিষয় নিয়ে। কিন্তু অনেকে আড্ডাতে বিষয় করে নিয়ে আসতেন কুমিল্লার বরুড়ার উপজেলার গালিমপুরের বামপন্থী রাজনীতিক কমরেড এয়াকুব (বড় মিয়া)-এর বিভিন্ন অবদানের কথা। বলে যেতেন , লাকসামের হাসনাবাদ কৃষক সংগ্রামে বড় মিয়ার কেমন অংশগ্রহণ ছিল। ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি কুমিল্লা প্রেসক্লাবে একবার কমরেড মুহম্মদ এয়াকুবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে। সে অনুষ্ঠানেও আমি উপস্থিত থেকে দেখেছি এ অঞ্চলের মানুষ বড় মিয়ার বিষয়ে আরও জানতে চায়। সে প্রক্রিয়া কিভাবে চাঙ্গা হবে ? তরুণ সাহসী সৈনিকদের স্পর্শ পেলে সে অভিযান নি:সন্দেহে গতিশীল হবে।
©somewhere in net ltd.