নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের কংকা বলেছিলেন “এস ডি বর্মন মেরী দেশ কে লোগ”

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪০





জসীম উদ্দিন অসীম:

বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি, আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কই রইলারে, টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল..’ এ রকম অজস্র অমর গানের শিল্পী কুমার শচীন দেববর্মণ , যিনি এস.ডি বর্মণ নামেই পরিচিত।

১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের উত্তর চর্থা রাজবাড়িতে তার জন্ম। ষাট বিঘা জমির উপর শচীন দেববর্মনের এ বাড়ি। বাগানঘেরা ওই জরাজীর্ণ বাড়ি এখন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িটি এখন সরকারি হাঁস-মুরগির খামার। বহু কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থা। এর ছাদ কোন অংশে ভেঙ্গে পড়েছে। আবার কোথাও পলেস্তরা খসে পড়েছে। ভবনের মধ্যে পরগাছা বংশবিস্তার করেছে। ভবনের ভেতরের বিভিন্ন কক্ষে মলমূত্রের ছড়াছড়ি। রয়েছে ফেনসিডিলের খালি বোতলও। আর ভবনের পেছনের অংশের দেওয়ালে লেখা রয়েছে ‘এই ভবনটি মহারাজ কুমার নবদ্বীপ চন্দ্র দেববর্মন বাহাদুরের রাজবাড়ি। ১৯২২ সালে কবি নজরুল শচীনের সঙ্গে এ বাড়িতে বসে সংগীত গাইতেন।’

১৯৮৩ সালের ২৯ আগষ্ট কুমিল্লা নজরুল স্মৃতি রক্ষা পরিষদ ওই লেখাটি খোদাই করে। আর পুরো বাড়ি জুড়ে এখন সরকারি হাঁস-মুরগির খামারের টিনের শেড, গুদাম ঘর ও সরকারি কোয়ার্টার ও অফিস। ১৯৫৬ সালে রাজ পরিবারের সদস্যরা এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখানে মুরগির খামার গড়ে ওঠে। তখন পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে শিল্পী কুমার শচীন দেববর্মণের চিহ্ন ধ্বংস করে দিয়ে এ মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করে। অথচ ভারতের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সংস্কৃতিকর্মীরা প্রায়ই এ বাড়িটি দেখতে আসেন। এসে তাঁরা এ চিত্র দেখে হতাশও হয়ে পড়েন। শচীন দেব বর্মন ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর মারা যান

ভারতের কলকাতায় আমার এক মেয়ে বন্ধু ছিলেন , তবে বাঙালী নন। কাজের সূত্রে তিনি একসময় থাকতেন কলকাতায়ও। বাংলাও তেমন জানতেন না। নাম ছিল তার কংকাবতী রায়। কলকাতার কবি সুকান্ত সরণিতে ছিল তার অফিস। তার সঙ্গে আমার মেসেজ আদান-প্রদান হতো প্রায়ই। ২০০৫ সালে আমি আমার ইংরেজিতে লেখা কিছু কবিতা দিয়ে একটি প্রদর্শনী করেছিলাম। প্রদর্শনীর সেসব কবিতার অনেক অংশও কংকাবতী রায়কে পাঠিয়েছিলাম। তিনি আমাকে হিন্দীতে লেখালেখিরও পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম , ‘কিতনী শর্ম কী বাত হায়। এ্যয়সা নেঁহী হো সকতা।’ এটা হতেই পারে না।

তারপর কংকাবতী রায় আর এ বিষয়ে জোর খাটাননি। তারও অনেক পরে কংকাবতী রায় আমাকে একদিন ইংরেজি বর্ণমালা ব্যবহার করে একটি হিন্দী মেসেজ পাঠান , যার মানে হলো-কংকা শচীনদেব

বর্মণের গান খুবই পছন্দ করে। কংকা বলেন , শচীনদেবের মতো শিল্পী ভারতে জন্মেছেন বলে তিনি খুব গর্ববোধও করেন। সঙ্গে সঙ্গেই আমি তাকে মেসেজ পাঠিয়েছিলাম এই বলে যে , শচীনদেব বর্মণ বাংলাদেশে জন্মেছিলেন এবং আমাদেও এই কুমিল্লাতেই। তিনি ভারতবিখ্যাত বটে , কিন্তু জন্ম তার বর্তমান বাংলাদেশে। কংকা ফের মেসেজ পাঠান : ‘মেনে দেখা এসডি বর্মণ মেরী দেশকে লোগ’ । আমি বললাম-না। ‘নেহী নেহী। ম্যায়নে অনেকবার শচীন কা ইমারত [ঘর] ম্যারা কুমিল্লা পর দেখা হায়’। কংকা বলেন , ‘তুমনে ক্যায়া কাহা? আর ইউ সিউর? সাচমুচ’? আমি ফের লিখলাম : ‘সাচমুচ’। আরও লিখলাম , ‘বিবিধভারতী রেডিও কা কারইয়ক্রম ম্যায়নে শুনা। ম্যাঁয়নে বিবিধভারতী রেডিও পর এসডি বর্মণ কো শুনা। ম্যারা মা-বাপ তব বিবিধভারতী পর ফিল্মী গান শুননে কা শওক হ্যায়। কাফি সময়কে বাদ মে ম্যায়নে অনেকবার শচীনকা ঘর কুমিল্লা পর দেখা হায়। বাট মুঝে মালুম নেহী:কেসে উসকা মূল্য কম হ্যায়...। হামারি শচীন কা ঘর ঠিক নেহী হায়...।’ আমার কথা শুনে কংকা তখন খুবই অবাক হন। তিনি জানতেন শচীনের জন্ম কলকাতায় , শচীন বাংলাভাষী লোক। কিন্তু শিল্পী কুমার শচীন দেববর্মণ , যে

বাংলাদেশের লোক-সেটা কংকাবতী রায় জানতেনও না-কেউ তাকে জানায়ওনি। আমার কাছে জেনে তিনি খুবই অবাক হয়েছিলেন।









মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.