নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাপ্তাহিক আমোদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী -------------------------------------------------------------- তার আর দেখা পাইনি আমি

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:১২



জসীম অসীম

১.

কি হে সাহিত্যিক। কেমন আছ?

সালাম দেবার আগেই প্রশ্ন করলেন সাপ্তাহিক “আমোদ” সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ।

আমি লজ্জিত হলাম ।কারণ আমাকে সাহিত্যিক বললে যথার্থ সাহিত্যিকদের অমর্যাদা করা হয়। সাহিত্যিক হওয়া কোন সহজ ব্যাপার নয় যে ঘিলু ছাড়া ব্যক্তিদের পক্ষেও কাজটা সম্ভব ।

তাই বললাম , খালু আমাকে আমার নাম ধরে ডাকলেই খুশি হবো। কবি বা সাহিত্যিক নামে নয়। কারণ আমি সামান্য লেখালেখির নাম করে কিছু আগাছার জন্ম দিচ্ছি। ফসলের আশা আরও অনেক পরে।

না না! এ কথা আমি মানবো না । মানতে পারিনা । নিজেকে এত ক্ষুদ্র ভাবলে বড় হবে কেমন করে? তা ছাড়া তোমার শেষ পরিচয় আজকের দিনেই সীমাবদ্ধ নয়। সামান্য বটের বীজই একদিনই বৃক্ষে রুপান্তরিত হয় , যদি তার ঝড় , খরা প্রতিহত করার ইচ্ছেশক্তি থাকে। জীবনটা যুদ্ধের। যুদ্ধক্ষেত্রে যদি কোনো সৈনিকের দৃঢ় মনোবলের অভাব না থাকে , তবে তার মরণেও জয়।

২.

একদিন আলোচনার ভেতর দিয়ে প্রসঙ্গক্রমে একটি প্রতœতাত্ত্বিক ইংরেজি শব্দের গভীর অর্থ নিয়ে আমার আর তার মধ্যে কিছুটা মতভেদ দেখা দেয়। শব্দটির তিনি যে অর্থ বললেন , আমার কাছে সেটি বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছিল না। পক্ষান্তরে আমার ব্যক্ত করা অর্থ বা পরিভাষাটিও তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। তখন তিনি তার আলমারী থেকে ইংরেজি-বাংলা শব্দার্থের একটি বড় অভিধান বের করে শব্দটির অর্থ আমাকে দিয়েই খুঁজে বের করালেন। সুখের কথা যে, মূল ইংরেজির যে দু’টো বাংলা অর্থ অভিধানে লিপিবদ্ধ ছিল , তার দু’টোই ছিল আমাদের দু’ পক্ষের সম্বল । সুতরাং কিছু সময়ের জন্য আমাদের মধ্যে হাসাহাসির স্রোত বয়ে যায়। একটি শব্দের যে দুটি কিংবা অনেক অর্থ হতে পারে , সে ব্যাপারটা আমার কাছে সেদিন আরও পরিষ্কার হয়েছিলো ।

আরেক দিনের কথা । ভৌগলিক একটা ব্যাপার নিয়ে আমাদের দু’জনের মধ্যে খটকা বেঁধেছে। তিনি বললেন , আল্লাহর রহমতে পৃথিবীর কম তো আর ঘুরে দেখিনি। সুতরাং তোমাকে দেখিয়েই ছাড়বো ব্যাপারটা।’

জটিলতা নিরসনের জন্য , তিনি একটি শক্ত কাঠি দিয়ে ‘আমোদ’ অফিসের দেয়ালে ঝুলন্ত মানচিত্রটা নামিয়ে এনে আমাকে পুরো ব্যাপারটা সহজ করে বুঝিয়ে দিলেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম। দু’চারগুচ্ছ গ্রন্থ নাড়াচাড়া করে আমি যে ব্যাঙের মতো লম্ফঝম্ফ শিখেছিলাম , সেদিন তার অনেকটাই ধ্বংশ হয়েছিলো। সেদিন আমি বুঝেছিলাম , পৃথিবী অনেক বড় , ইতিহাস তার অনেক দীর্ঘতর।

১৯৯৩ সালের একদিনের কথা। একদিন ‘আমোদ’ অফিসে প্রবেশ করেই দেখলাম তিনি খুব ব্যস্ত আছেন। কাজে ব্যস্ত থাকার পরও তিনি আমাকে দেখে প্রথমেই প্রশ্ন করলেন ::কোনো খবর আছে ? ’

আমি বোকার মতোই বললাম , ‘না’।

তিনি মৃদু হেসে বললেন , ‘খবর থাকবে না কেন ? দশদিকে যে খবরেরই ছড়াছড়ি।’

আমি তখন দেশ-বিদেশের তাজা খবর কিছুটা হলেও রাখি। তখন তেমন কোনো তাজা খবর এ অঞ্চলের জন্য ছিল না। তাই আমি আবারও বোকার মতোই বললাম ‘কৈ কোনো সড়ক দুর্ঘটনা , মহামারী , বন্যা... কিছুই তো ইদানিং এ অঞ্চলে ঘটেনি।

তিনি হাসলেন । তারপর বললেন , ‘শুধু কি সড়ক দুর্ঘটনা আর বন্যাই খবর ? বাবা,খবরের শেষ নেই। খবরের জন্য চাই চোখ , কান, নাক।



তখন তিনি আমার কাছে তার জীবনের কয়েকটি সেরা সংবাদ সংগ্রহের কাহিনী বর্ণনা করলেন। সেসব বর্ণনায় রোমাঞ্চ ছিল। কিন্তু তারই রচিত গ্রন্থ ‘কাগজের নৌকা’য় সেসব সংবাদ সংগ্রহের গল্প কেন আসেনি , তা আমি জানিনা। হয়তো তিনি লিখতে ভুলে গিয়েছিলেন। থাকতে পারে অন্য কোন কারণও। তার সে দিনের সংবাদ সংগ্রহের গল্প বর্ণনার শেষে , আমি অন্য এক খালুর পরিচয় পেলাম , যার দৃষ্টিশক্তি আমার চোখে ছিল ভাষাতীত। সংবাদ সংগ্রহের গল্প বর্ণনার শেষে তিনি আমাকে অনেকটা জোর করেই সাপ্তাহিক ‘আমোদ’ অফিসের চেয়ারে বসিয়ে বললেন , তোমাকে এক্ষুনি আমার পত্রিকার জন্য একটা রির্পোট তৈরী করতে হবে।’

এ কথা শুনে আমার তো মাথায় হাত । আমি লিখবো রিপোর্ট । আমি ? এর আগে আমি কোনদিন রিপোর্টার হবো , তেমনটি ভাবিনি। মনযোগ সহকারে তেমন কোনো রিপোটর্ও পড়ে দেখিনি কোনদিন। আমি যেটুকু সংবাদ সচেতন, সেটা আমার ইচ্ছেশক্তির জন্যেই বলা যায়। তাই পত্রিকার রিপোর্ট লেখার ভাবনা আসেনি এর আগে । তাই অত্যন্ত বিনয়ী আর ভীতকন্ঠে জবাব দিলাম , খালু , পত্রিকার রিপোর্ট লেখা আমার দ্বারা সম্ভব নয় । তিনি জোর গলায় বললেন , ‘সম্ভব’। বলেই টেবিলে নিয়ে কাগজকলম দিলেন। আরও বললেন , ‘শুরু করো , প্রয়োজনে সময় বেশী নাও , কিন্তু কাজটা তোমাকে শেষ করতেই হবে।’ ততক্ষনে তার বাসার ভেতর থেকে আমার জন্য চা-মিষ্টি এসেছে। মিষ্টির প্রতি আমার চিরকালই লোভ। কিন্তু সে মূহূর্তে মনে হয়েছিল মিষ্টি দুটি যেন মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর বড় বড় দু’ চোখ এবং চোখ দুটি আমাকে রিপোর্ট লেখার জন্য বারবার আদেশ দিচ্ছে।

আচ্ছা রিপোর্ট লেখা কি এতো সহজ ? এতই সহজ খবর তৈরী করা ? সহজ হতে পারে , কিন্তু সবার জন্য নয়। ঠিক তখনও

‘আমোদ’ অফিসের আরেক টেবিলেই সৃষ্টিমগ্নের মতো কাজ করছিলেন সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল। আমার সংকটাপন্ন সেই অবস্থার অনেকটাই বুঝতে পেরে তিনি যেন কাজের মধ্যেই মিটমিটিয়ে হাসছিলেন। খালু তার সঙ্গে দিনকয়েক আগে আমাকে পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছিলেন। সুতরাং লজ্জায় খালুর সামনে ‘অসম্ভব’ শব্দটি আর উচ্চারণ করতেও পারলাম না।

কোন কাজ পারি , না পারি , আমার বুক থেকে সহজে সাহস সরে যায় না। কিন্তু মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর জ্ঞানের প্রকৃত গভীরতা টের পেয়ে তখন তার সামনে আমার আর বাহাদুুরিও চলে না। বাহাদুরি তো গুরুদের সঙ্গে চলেনা। শিষ্যের দরবারে চলে । তবু সাহস করে কলম নিলাম । কাঁপতে লাগল হাত । কাঁপতে কাঁপতে ততক্ষনে প্রচন্ড ঘামে আমার গা ভিজে গেলেও , আমার পোশাকে তার অনেকটাই ঢাকা ছিল। কিন্তু কপাল খারাপ । তাই কপালের ফোঁটা ফোঁটা ঘামগুলো দেখে ফেললেন খালু মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী। মনে মনে হাসলেনও কিছুটা । এ ব্যাপারে আমাকে কিছু না বলে শুধু বললেন , আগে চা-মিষ্টি শেষ করো , তারপরই তো কাজ ।

মিষ্টির স্বাদ ছিল চমৎকার। কিন্তু ভক্ষক ভয়ের কারণে মিষ্টি থেকে সিদ্ধ আলুর স্বাদও পাইনি। জীবনে অনেক বড় জায়গায় গিয়েছি। আলাপ করেছি বড় বড় কতো লোকের সঙ্গে। কিন্তু ভয় পাইনি। খালুর সঙ্গে কথা বলতেও এর আগে তেমন একটা ভয় পাইনি। অথচ রির্পোট লিখতে বলাতে কেন যে দুনিয়ার সমস্ত ভয়ের ভূমিকম্প এসে আমাকে আক্রমণ করলো।

একসময় ভাবলাম , মাথাব্যথার মিথ্যে দোষ দিয়ে , খালুর কাছে বিদায়ের আবেদন করি। এ বয়সে বিপদের সময় যদি দু’টো মিথ্যে কথা বলে নিরাময় না মেলে , তবে মিথ্যে কথা দিয়ে আমাদের মতো কিছু সংখ্যক দুষ্টু তরুণদের কী লাভ আছে ? কিন্তু তাও কি পারলাম। যে খালু চোখ দেখেই মানুষ চিনে ফেলেন , তাঁকে ফাঁকি দিলে ফাঁকিবাজ বলেই তাঁর চোখে গণ্য হবো। অন্যদিকে সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল ভাইয়ের চোখ দেখেও বুঝেছি , তিনিও খুব বুদ্ধিমান। পরে তার সামনে মুখ দেখাতেও লজ্জা পাবো। সবকিছু ভেবে আবার কলম ধরলাম। লিখতেও শুরু করলাম। কাঁপন তখনও যায়নি। ক-ব এর মতো এবং ন-ম এর মতো হতে লাগলো। হাতটাকে গালি দিলাম , কেননা কলমটাকে দায়ি করতে পারি , এমন কোনো দোষও কলমটার ছিলনা। পুরোপুরি সুস্থ কলম।

মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর স্ত্রী

শামসুন নাহার রাব্বীর টেবিলে রেখে যাওয়া সম্পাদনার কলম।

খালু সব কিছুই বুঝলেন , কিন্তু রিপোর্ট লেখা থেকে আমাকে মুক্তি দিলেন না। কেন কারণটা তিনিই জানেন। রিপোর্ট কি আর পদ্ধতি না জেনে , জোর করে লেখা যায় ? তাও আবার জীবনের প্রথম ? তারপরও হয়তো কিছুটা সম্ভব হতো , যদি তিনি আগে থেকে বিষয়টা বলতেন। আমার এ অগ্নিপরীক্ষা ছিল প্রস্তুতিহীন পরীক্ষা। আমিও হারবার পাত্র নই। শেষ পর্যন্ত লিখলাম। দেখলাম। দেখালাম খালুকেও। খালু হাসলেন। বললেন , রিপোর্ট হয়নি , প্রবন্ধ হয়েছে। তবে রিপোর্ট লেখা তোমার দ্বারা সম্ভব। আমাকে আশা দিলেন তিনি। সেদিনের মতো আমি আমোদ অফিস ত্যাগ করে বাসায় ফিরলাম।

নানা কারণে ইচ্ছে ছিল যুদ্ধ করে হলেও জীবনে পেশা হিসেবে অভিনয়কেই বেছে নেব। যখন আমি নবম শ্রেণির ছাত্র , তখনই একবার সিনেমায় অভিনয় করার ব্যবস্থা প্রায় করেই ফেলেছিলাম । বাবার অনুমতি ছিলোনা বলে এ পথে আর অনেকদিনই পা দেইনি। কিন্তু এ বিরতি ছিল স্বল্পমেয়াদী। সিনেমায় অভিনয় করার আশা নিয়ে ঢাকাকেন্দ্রিক নাট্যচর্চায় যোগ দেই একসময়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে নিজে নাট্যদলও গড়লাম। নাট্যকর্মী নিলাম আমার নাট্যদল পেরিস্কোপ নাট্যচক্রের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাটকে অভিনয়ের জন্য কন্ঠস্বর পরীক্ষা দিলাম , আরো কত কি ! আর এ অবস্থায় অভিনয় জগৎ থেকে আমাকে বিদায় করে কে ?

কিন্তু না। কেমন একটা পরিবর্তন ঘটে গেল আমার ভিতরে। আমার স্থির সিদ্ধান্তে ফাটল ধরল যেন।নতুন করে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সাংবাদিক হবো। সাংবাদিকতা শিখবো। তাই সংবাদের উৎস , নিয়ম , সংবাদ লেখার মূলনীতি , সংবাদচিত্র , গ্রামীণ সাংবাদিকতার নীতিমালা...ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন লেখাপড়াও করলাম তখন। তারপর একদিন সকালে একটি রিপোর্ট তৈরী করে সাপ্তাহিক ‘আমোদ’ অফিসে নিয়ে গেলাম সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর কাছে। রির্পোটটির শিরোনাম ছিল , ‘চর-চাষীদের দুর্ভোগ’। খালু আমার তৈরী রির্পোটটি মনযোগ দিয়ে দেখলেন। পড়লেন। বুঝতে পারলেন আমার সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছে জেগেছে। আমার তৈরী রিপোর্টের শিরোণাম , বিষয় ও গঠন কৌশলের জন্য তিনি আমাকে ধন্যবাদ দিলেন। তবে তিনি আমার সেই রিপোর্টের কিছুটা ভৌগলিক দুর্বলতা নিজ হাতে সংশোধন করলেন। তারপর নতুন করে লিখে আবার রিপোর্টটি জমা দিতে বললেন। কিন্তু অনিবার্য কারণে আকস্মিকভাবে ঢাকায় যাবার সিদ্ধান্ত নিতে হলো আমাকে। রির্পোটটি আর জমা দেওয়া হলোনা। ঢাকা গিয়ে ‘আমোদ’ পত্রিকার সঙ্গে যোগাযোগও রাখতে পারিনি অনেকদিন । তবে ঢাকায় একদিন সাপ্তাহিক “আমোদ” সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর একমাত্র ছেলে বাকীন ভাইয়ের একটি চিঠি পেলাম। লেখা চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। চিঠির উত্তরও লিখলাম। চিঠিতে আমি যে সাংবাদিকতার অঙ্গনে আসতে চাই , তাও উল্লেখ করতে ভুল করলাম না। দুর্ভাগ্যের বিষয় , ডাক বিভাগের দুর্বলতায় সেই চিঠিটি হারিয়ে যায় , সাপ্তাহিক “আমোদ”-এ পৌঁছেনি। ফলে আমার ইচ্ছের কথাও খালুর কানে আর পৌঁঁছেনি। তারপর ‘আমোদ’ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হলেও সাপ্তাহিক “আমোদ”-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী খালুর সঙ্গে দেখা হয়নি আর ।



১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ। আমি ঢাকা থেকে কুমিল্লা এসেছি। পরিকল্পনা নিয়েছি , আমার ইচ্ছে ও স্বপ্নের কথা খালুকে জানাব। আরও জানাবো ,“বাংলাদেশের আঞ্চলিক সাংবাদিকতায় ‘আমোদ’-এর অবদান ’’ শীর্ষক গবেষণাপত্র তৈরির ইচ্ছের কথা। এ ব্যাপারে এর কয়েক বছর আগেও তার সঙ্গে আমার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল । তিনিও তখন তার সাধ্যমত সাহায্যের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন।

কিন্তু হায় ! কুমিল্লা এসে তার দেখা পাইনি আমি। সকলেই তখন তাঁর নামের আগে যোগ করে দিচ্ছেন ‘মরহুম’ শব্দটি। আমি বাক্যহারা হলাম , মর্মাহত হলাম। এই কি পৃথিবী! এত ক্ষণস্থায়ী ?

সাপ্তাহিক আমোদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী

খালু আজ এ পৃথিবীতে নেই। কিন্তু খালুর দেয়া প্রেরণাগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাস করছে আমার ভেতর। আমি আমাকে সৎ সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে প্রমাণ করার আশা রাখি যে , তার প্রেরণাগুলোর মূল্য কোনোভাবেই কম নয়।

আমার বাবা-মা ও ভাই-বোন সবাই আমাকে সাংবাদিকতা করার এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বলেন। এ পথের বিপদের কথাও তারা আমাকে বলতে ভুলেননি । তবু আমি অবিচল। সিদ্ধান্তে অটল । কেননা এ পথ মাটি ও মানুষকে সেবা করার অন্যতম একটি পথ।

রচনা : ডিসেম্বর : ১৯৯৪

প্রথম প্রকাশ:সাপ্তাহিক আমোদ : মে ১৯৯৫

দ্বিতীয় প্রকাশ:ফজলে রাব্বী স্মারকগ্রন্থ : ১৯৯৯



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.