নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

আশরাফ আল দীন

কবি, শিক্ষাবিদ ও প্যারেন্টিং এক্সপার্ট

আশরাফ আল দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনের মাস

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২৬

শুধুমাত্র সওয়াবের আশায় রমজানের এমন কষ্টকর দিনগুলোতেও দীর্ঘ সময় ব্যয় করে অনেকেই কোরআন শুনছেন অথবা পাঠ করছেন, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছেন না! অনুরোধ করবো, এর পাশাপাশি যত কমই হোক না কেন, কিছু সময় অন্তত অর্থ বুঝার জন্য ব্যয় করুন! "কোরআনের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির মজা"টা আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন। সওয়াব তো অবশ্যই হবে অনেক বেশি।

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেকেই অনলাইনে হাফেজের মুখে তেলাওয়াত শুনছেন। অনেকেই নিজেদের ঘরে হাফেজ সন্তানের তেলাওয়াত শুনছেন। অনেকে সমগ্র কোরআন একবার নয় অনেকবার পাঠ করে 'খতম' করছেন। কিন্তু এই শোনা এবং এই পাঠ করার মধ্যে শুধু আরবী ভাষাটা আমরা কিছু না বুঝেই শুনে বা পড়ে যাচ্ছি, কয়েকটি পরিচিত সূরা বা আয়াত ছাড়া। এতে যে সওয়াব হবে না তা নয়! কিন্তু যদি অর্থটা বুঝতে পারতাম তাহলে কি সওয়াব আরো অনেক বেশি হত না? এমন কষ্টকর সময়ে আমরা বেশি সওয়াবের দিকেও হাত বাড়াবো। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন।

রামাদানকে বলা হয় কুরআনের মাস। কারণ কোরআন নাজিল হয়েছিল এই মাসে শবে কদরের মুহূর্তে। তাই কোরআনের জ্ঞান অর্জন কোরআনের বয়ে আনা 'মেসেজ' বা বার্তা যত বেশি সম্ভব হৃদয়ঙ্গম করা অত্যন্ত জরুরী, এই বরকতপূর্ণ মাসে। যত অল্প পরিমাণেই হোক না কেন, প্রতিদিন কিছু কিছু আয়াতের অর্থ বুঝার ও হৃদয়ঙ্গম করার অভ্যাস যদি আমাদের হয়ে যায়, তাহলে সারাটা বছর কোরআনকে সাথে করে জীবনযাপন করা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।

এই কাজে আমরা যত পদক্ষেপ নেব তার প্রতিটি মুহূর্তের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ সওয়াব আল্লাহ অবশ্যই আমাদের দান করবেন। আল কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যা স্পর্শ করলেও সওয়াব আছে, যত্ন করে চুমু খেলেও সওয়াব হবে, না বুঝে পড়লেও বা অন্যের তেলাওয়াত শুনলেও সওয়াব আছে। কিন্তু, এসবের তুলনায়, বুঝে পড়ার সওয়াব ও হৃদয়ঙ্গম করার সওয়াব যে অনেক অনেক গুন বেশি তা প্রত্যেক সচেতন মুসলমানই বুঝতে সক্ষম।

তাই, সারাদিন রোজা রাখার পর হাতে অল্প যেটুকু সময় পাই, এমন কষ্টকর সময়ে অন্তত কয়েকটি আয়াতের অর্থ বুঝার চেষ্টা করুন, কয়েকটি আয়াত মুখস্ত করুন অর্থসহ বুঝে বুঝে। এতে অবশ্যই কোরআনের সাথে আপনার হৃদয়ের সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে এবং আল্লাহ আপনার অন্তরে কোরআনের জ্ঞান বাড়িয়ে দেবেন। এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে, আল্লাহ যেন আপনাকে-আমাকে কোরআনের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ্ না চাইলে আল্লাহর দেওয়া পবিত্র গ্রন্থের সঠিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্তু, আপনাকে-আমাকে তো চেষ্টা করতে হবে সে জ্ঞান অর্জনের জন্য! সারাদিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা সময় এই কাজে ব্যয় করুন। তাহলে কোরআনের মাসের হক আদায় করা সম্ভব হবে। আল্লাহ আমাদের কোরআনের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন এবং আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে এবাদত হিসেবে কবুল করুন।
মিরপুর ঢাকা ৬/৫/২০

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.