নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একেবারে শেষ বিকেলে আমি পৌঁছালাম পাহাড়ের চুড়ায়। এখান থেকে দূরে আরো কিছু পাহাড় দেখা যায়। শেষ বিকেলের ম্লান সূর্যালোকে কুঁচকে যাওয়া চোখে গাছপালা, পাথর আর মাটি আলাদা করা যায়না। দামাল বাতাস উড়িয়ে নিতে না চাইলেও, ঠেলে ফেলে দিতে চায় পাশের তলাবিহীন খাদে। আমি যেখানে দাঁড়িয়েছি, তার খানিকটা পেছনে একটা ঝাঁকড়া বৃক্ষ। পাহাড়ের গা ঠেলে বেরিয়ে আসা একটা অনড় পাঁচিল শক্তিশালী বাতাসের প্রবাহ থেকে গাছটাকে রক্ষা করে চলেছে। নাহলে হয়ত শৈশবেই উপরে গিয়ে অবসান ঘটত নাম না জানা এই বৃক্ষের ইতিহাসের। বিধ্বংসী বাতাস থেকে রক্ষা পেলেও, গাছটির নিচে বসলে মন জুড়িয়ে যাচ্ছিল ফুরফুরে বাতাসের একটা নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহে।
দেখতে দেখতে নামল আঁধার। ছোট একটা নিয়ন্ত্রিত আগুন জ্বালিয়ে সেদ্ধ করলাম পাহাড়ে উঠার পথে সংগ্রহ করা কিছু বুনো পাখির ডিম। একটা ঝরনা থেকে ভরে আনা বোতলের পানি সেদ্ধ করতে দিয়ে তাতে ছেড়ে দিলাম এক চিমটি চা-পাতা আর এক মুঠোর চার ভাগের এক ভাগ চিনি। আহার শেষে কাঁধের ঝোলা থেকে একটা চাদর বের করে পাতলাম ঝাঁকড়া পাতাগুলোর শেষ সীমায়। তারপর ঝোলাটাকে বালিশ বানিয়ে শুয়ে শুয়ে গুনতে থাকলাম আকাশের তারাগুলো। নিদ্রার কোলে ঢলে পড়ার আগ-মুহূর্তে আমি ভাবলাম, "আমিতো এমনটাই চেয়েছিলাম"।
বিঃদ্রঃ- ছবিটি google থেকে সংগৃহীত...।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আবেগটুকু লিখে ধরে রেখেছেন।