![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমার শ্রদ্ধেয় নানা আব্দুর রশিদ সরদার। যার পেন্সিল স্কেচে লান্ড স্কেপে আর্টপেপারে আঁকা ছবি দেখলে চারুকলার শিক্ষকও অবাক হতে বাধ্য। ৩০এর কম বয়সে ৩টি মেয়ে একটি ৯মাস বয়সের ছেলে আর ননীর গর্ভে একটি মেয়ে রেখে পাকিস্তানী হানাদারদের হাতে শহিদ হয়েছিলেন। ঝালকাঠী শহরের পশ্চিম চাঁদকাঠীর সরদার বাড়ীর সন্তান আমার নানা আব্দুর রশিদ সরদার। তৎকালীন ঝালকাঠী সহরের অন্যতম প্রধান রাজাকার মৃতঃ আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের সহায়তায় হানাদার বাহিনীর হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়। ২০শে মে তাঁকে চোখ বেধে গুলি করে হত্যা করা হয়। ধিক্কার সেই রাজাকারদের আজ আমার নানার আত্মা সহ শত লক্ষ অযুত কোটি আত্মা শান্তি পেয়েছে। যার স্বজন হারায়নি তিনি আজ কি করে বুঝবেন এক মুসলিম ভাই হয়ে অন্য মুসলিম অমুসলিম বা বাঙালী ভাই কে কি করে তুলে দিতে পারে পাকিস্তান দেশটির হারামী মানুষদের হাতে। আজ এই ফাঁসীকে ছাইদী নামের একজন সুকন্ঠের অধীকারী বক্তার ফাঁসী ভাবলে ভুল হব। মনে করতে হবে সেই ১৯৭১ইং সালে ৩০বছর বয়সী দেলু রাজাকারের ফাঁসী হয়েছে। যে দেলু রাজাকার ধর্মের ঢাল ব্যবহার করে কন্ঠ বেঁচে জীবিকা নির্বাহ করে তার আসল পরিচয় লুকাতে চেয়েছিলো সেই সাইদীর বিচার হয়েছে। আজ আল্লাহ্ শত শত শহীদ পরিবারের আকুতি কবুল করেছেন।
নানা দেখো!!! তোমায় যারা মেরেছে তাদের বেঁচে থাকার অধীকার যে এই ভূমিতে হবে না তা স্পষ্ট হয়েছে। নানা তোমার আজ একটি নাতি না কোটি কোটি নাতি তোমার ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে কোনো আপোষ করে নি। সেই ১৯৭১ইং এর রাজাকার মৃতঃ আব্দুর রাজ্জাক বা দেলু রাজাকার নামের মানুষদের মতো তোমার নাতিরা খুনিদের সাথে আপোষ করে নি। জানি তুমি কোনোদিন আসবে না তারপরও মনকে একটু সান্তনা দিতে দোষ কোথায়? নানা তোমার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট আমাদের দরকার নেই। যখন দরকার ছিলো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বা মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা তখন এই দেশ ছিলো সেই রাজাকারদের দখলে। আজ আমরা স্বচ্ছল। আজ অনেক শহীদ পরিবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে- এখন আর এই ফাঁসীর চেয়ে বড় সার্টিফিকেট আর নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: আজ আমার নানা’র আত্মা শান্তি পেয়েছে :: দেখো দেখো রাজাকারের ফাসিঁ হয়েছে!!!
কিসু কিসু রাজাকারের বাচ্চার হিসু পাইসে, শান্তি নাই। বলগে বলগে গিয়া্ ঠুয়া মারেন আইজকার দিনে, পারলে মাল্টিদা