![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
দেখতে দেখতে নতুন একটি জেনারেশন চলে এলো। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক পরিবর্তন!!! দেখতে অনেক সময় বয়ে গেলো। কিন্তু ভালো করে খেয়ালই করা হয়নি। আমাদের সেই হাসি আনন্দের ছেলেবেলা ফেলে এসেছি। আসলে ঐ সময়টা খুব মজার ছিলো। ছোট বেলা খুব মজার ও নির্ভেজাল আনন্দের কিন্তু ঐ সময় তা উপলব্ধি করা যায় না। আর যখন উপলব্ধির বোধ গুলো যখন জাগ্রত হয় তখন আর ছেলেবেলা থাকে না। আমার জন্ম ১৮অক্টোবর,১৯৮২ইং সালে। বয়স ৩০+। কিন্তু এতটুকু বয়সে এতো পরিবের্তন দেখে অবাক লাগছে।
যাই হোক মূল আলোচনায় আসি। আমি এখন বরিশালে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলছে। কিন্তু কোথায় সেই হৈ-হুল্লোর!!!
ছোট বেলায় দেখেছি একজন প্রার্থীর বাসায় তার আত্নীয় স্বজন ভির জমাতো। নির্বাচন মানে বিশাল এক উৎসব। প্রার্থীর বাড়ীতে র-চা মুরি ফ্রি। মানুষকে ফৃ বিড়ি দেয়া হচ্ছে। মহিলারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিভাবে ভোট দিতে হবে ও কিভাবে সীল দিতে হবে তা শিখিয়ে দিচ্ছে। আহা কি আনন্দ। বেশীর ভাগ প্রার্থীর পোস্টারই হল নিউজ প্রিন্টের উপর লাল বা সবুজ রংয়ের। আর যাদের একটু টাকা পয়সা বেশি আছে তারা কালার পোস্টার ছাপাতেন। মানুষ কালার পোষ্টারের দিকে আনন্দ নিয়ে চেয়ে থাকতেন। ভোটের ৪-৫দিন আগে থেকে মানুষ সজাগ থকতেন অন্য প্রার্থী টাকা নিয়ে বেড় হয় কিনা। সেই আনন্দ কোথায় গেলো?
একদল মানুষ জাল ভোট দেওয়ায় ওস্তাদ ছিলেন। পেপের কষ দিয়ে আঙ্গুলের কালি মুছে ফেলে আবারও ভোট দিতেন। জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা খাওয়ার মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ ছিলো। আর এখন কার ভোটের মধ্যে তেমন কোনো আনন্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজ যদি নির্বাচন কমিশনের এতো এতো বাধ্য বাধকতা না থাকতো তাহলে পলি সাইনে শহর ঢেকে যেতো। দেয়ালে দেয়ালে এ্যানামেল পেইন্টএ প্রার্থীদের প্রচারণা চলতো। কিন্তু ঐ সময়ের একখানা রঙ্গীন পোস্টারের সমান আনন্দ হতো না।
টিনের তৈরী এক ধরনের মাইক নিয়ে মানুষ মুখে মুখে প্রচারনা চালাতো। আর মাইকে বাজানো হতো প্রার্থীর বিভিন্ন ধরনের গুনোবাচক শব্দ। যেমনঃ ও আমার অমুক ভাইয়া রে......... পাগল বানাইলোরে............ইত্যাদি ইত্যাদি। ভোট দেবার দিন রিকশা সব ফ্রি করে দেয়া হতো মা-নানীরা সেই রিকশায় চেপে ভোট দিতে যেতেন। মহল্লায় মহল্লায় হোগলা দিয়ে বেড়া দেয়া প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প থাকতো সেখানে মানুষ কেরাম বোট খেলতো................
আমি সেই দিন খুঁজে ফিরি। আরো লিখতে হচ্ছে হচ্ছে কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারছি না। তাই আমার আগের একটি লেখা যা টেকটিউনস থেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম একটি পোস্টটি দিয়ে দিলাম। নির্বাচন নিয়ে আপনাদের কোনো স্মৃতি থাকলে শেয়ার করার জন্য বিনীত ভাবে বলছি...............
সময় বয়ে যাচ্ছিলো, যাচ্ছে এবং যাবে। মানুষ আজীবন সময়ের কাছে অসহায়।
বাস্তব জীবন থেকে দেখা যায়ঃ
(ক) ছোট্টবেলা, বাল্যকালে ও ছাত্র জীবনে শারিরিক শক্তি ও পর্যাপ্ত সময় থাকে কিন্তু টাকা পর্যাপ্ত না থাকার ফলে অথবা গার্ডিয়ানের কাছে খরচের জবাবদিহিতার কারণে অনেক মনের খায়েশ মিটানো সম্ভব হয় না।
(খ) কর্মজীবনে শরিরিক শক্তি ও টাকা থাকে কিন্তু আনন্দ উল্লাস করার মতো সময় থাকে না।
(গ) বৃদ্ধ বয়সে যশ, প্রভাব, প্রতিপত্তি ও অঠেল সম্পদ থাকতে পারে কিন্ত শারিরিক জোড় হারিয়ে যায়। তখন শুধু মৃত্যু নামের পরম বিশ্বস্ত বন্ধুটির জন্য অপেক্ষা!!!
এটাই জীবন নামের রচনা। সবার জীবনই এক একটি উপন্যাস। আবার জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে ছোট গল্প সৃষ্টিকর্তা সৃজন করে রেখেছেন। সেই ছোট গল্পের কোনটা দুঃখভরা, করুন, মানবতা বহির্ভূত আবার কোনটা চরম আনন্দের। প্রতিটা মানুষের জীবনেই এমন কোনো দুঃখ স্মৃতি থাকতে পারে যা কোনোদিন কাউকে শেয়ার করা সম্ভব হয় না। এমনকি কাছের বন্ধু, প্রেমিক/প্রেমিকা ও স্বামী/স্ত্রীর কাছেও বলা যায় না শুধু মাত্র নিজ অন্তরের গহিন গুহায় থেকে যায়। মনটা তো আর হার্ডডিস্ক না যে চাইলেই ডিলেট বাটন প্রেস করা যাবে!!!
এবার মূল প্রসংগে ফিরে আসি। আমার এই যৎসামান্য বয়সে যা দেখেছি তা আমার আগের কিংবা পরে জেনারেশনের চেয়ে ঢেড় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। কারণ আমরা খুব তাড়াতাড়ি অনেক বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছি। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে পয়েন্ট (১,২,৩...) আকারে তার সামান্য কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাচ্ছি। আপনাদের মনের গহিনে এমন কিছু থাকলে অনুগ্রহপূর্বক কমেন্ট করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। যাই হোক, শুনুন তাহলেঃ
১। ছোট্ট বেলায় আমরা ছি-বুড়ি, বৈচি, লাটিম, দাড়িয়া বান্দা, গোল্লাছুট, কুতকুত, সাত চারা, ডাংগুলী, মারবেল, চারা মারি, পলাপলি, ইটকুড়ি মিটকুড়ি, ফুটবল, ডুব সাঁতার, কৃকেট, হাডুডু, মাটি দিয়ে বিভিন্ন খেলনা ও ফেলনা কাপড় দিয়ে বানানো পুতল বিয়ে ইত্যাদি খেলা খেলেছি। আর এখন আমাদের সন্তান, ছোট ভাই, ভাইয়ের ছেলে কিংবা ভাগ্নেদের জীবন শুরু হয় সম্পূর্ণ সিন্থেটিক ও কম্পিউটার গেইম নির্ভর খেলা দিয়ে। তারফলে তারা অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কাঁদা মাটির ঘ্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেহেতু মাটির মমতা শিখছে না তাহলে কিভাবে মাটির তৈরী মানুষকে সম্মান দিতে শিখবে? বলুন কি করে শিখবে? সেখা কি সম্ভব?
২। আমরা ছোট বেলায় পাড়া মহল্লার বড় ভাইদের দেখেছি রে-বেন্ড সানগ্লাস, বেল্টের সাথে ওয়্যকম্যান বাঁধা, একটি লুকিং গ্লাস লাগানো ফিনিক্স সাইকেলে চলতে। সে কি স্টাইল। সবাই সবাইকে চিনতো। বড়রা তার বড়দের দেখলে হাতের একটান দেয়া সীগারেটও ফেলে দিতো। কোথায় গেলো সেই স্টাইল ও সম্মান? আজ যদি পাড়া গাঁয়েও কেউ হঠাৎ হ্যালিকপ্টার নিয়ে হাজির হয় তখনকার সেই পুলকিত নয়নে স্টাইল দেখার মতো আনন্দের হবে না। আজ হয়তো হাতে হাতে ল্যাপটপ, ওয়াইফাই, ইন্টারনেট আছে কিন্তু মনগুলো সেই রকম নেই। কোথায় সেই এক সাথে দশজন মিল ১টি আপেল ভাগাভাগি করে খাওয়ার মজা? কোথায় সেই অল্প সম্পদের মধ্যে একটু ভালোখাবার সবাই আনন্দ করে খাবার মজা? কোথায় সেই পাড়া মহল্লায় গ্যঞ্জাম হলে সাইকেলের চেইন, হকস্টিক ও রামদা নিয়ে মহরা দিয়ে নিজের যৌবনের অস্তিত্ত জানান দেবার মজা?
৩. মা, খালা, বোনেরা একসাথে বসে মাথায় উকুন খুঁজতেন। একসাথে লুডু বা বিশ্ব লুডু খেলতেন। একসাথে শীতের পিঠা বানাতেন। সীমিত সম্পদের মধ্যেও অথিতী আসতো ও আত্ময়ের বাড়িতে বেড়াতে যাবার অফুরন্ত আনন্দ থাকতো। আবার আমাদের মুরুব্বিরা জানতেন কিভাবে অন্তর থেকে অতিথী আপ্যায়ন করা যায়। একটি মুরগী জবাই করে ১০জনকে খাওয়ানো। আবার খাবার পরে সবার মনেই আনন্দের জোয়ার। যেনো এক গরীব স্বর্গ। আজ ফ্রিজ ভরা মাছ, মাংস। খালা, চাচি, বোনেরা নিয়মিত স্টার জলসা, স্টার প্লাস কিংবা কোনো ডেইলী সোপে আসক্ত হলে সেই স্টাইলে পোষাক কিনতে মার্কেটে যাচ্ছেন। আজকালকার ছেলেপানরা ফ্রিজের মুরগী ফ্রাই করে বা ম্যাগডোনান্ডসের ফাস্টফুড খাচ্ছে তারা কিভাবে বুঝবে সেই আনন্দ? কিভাবে গার্ডিয়ানরা বুঝাবে একটু ভালোখাবারের স্বাদ মুখে কিভাবে লেগে থাকতো? কোথায় সেই আদর্শ?
৪। আগে আত্মীয় স্বজন অনেকে দূরে বা প্রবাসে বাস করতেন। ফুল আঁকা প্যাডে চিঠি পাঠাতেন। পরম যত্নে সেই চিঠি খোলা হতো যাতে ছিড়ে না যায়। বিদেশে চিঠি পাঠানোর ক্ষেত্রে পাতলা কাগজ বেছে নেয়া হতো যাতে কম ওজন হয়। একটি চিঠির প্রতিক্ষায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। বানান ভুল করা কাঁচা হাতের চিঠিও অত্যান্ত মনযোগ দিয়ে পড়া হতো। এক চিঠি বার বার পড়ার পরও মনের স্বাধ মিটতো না। আরও পড়তে ইচ্ছে হতো। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। দূরকে দূর মতে হয় না। টাইপের অক্ষরে ফরমালিটিক্যাল লেখা সাজানো ঘুছানো চিঠি। কিন্তু কোথায় সেই আবেগ? ই-মেইলের পর ই-মেইল। মোবাইলে রকমারী রিংটোনের সমাহার। কলের পর কল কিন্তু কোথায় সেই আনন্দ? কোথায় সেই লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমিকাকে চিঠি পাঠানো? এখন মোবাইল ও ফেসবুকের কল্যানে শত শত প্রেম করা এক সাথে সম্ভব কিন্তু কোথায় সেই সত্যিকারের প্রেম? বাংলাদেশের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে অন্ততপক্ষে একজন পাওয়া যেতো যিনি প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আজীবন বিয়ে না করে কাটিয়েছেন। আজ কোথায় হারিয়ে গেলো সেই বিয়ে না করা ব্যর্থ প্রেমিক? আজ কালকার প্রেমও সফটওয়্যারের নিত্য নতুন ভার্সনের মতো পরিবর্তনশীল?
৫। আমরা জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যত কিছুই শিখি আমাদের জেনারেশন বেয়াদবি শিখিনি। আমরা জানতাম কিভাবে মুরুব্বীদের সম্মান করতে হয় ও ছোটদের স্নেহ করতে হয়। আমরা যোশ, বস, হায়, হ্যালো, ওয়াও, গুড মর্নিং, ও মাই গড, শিট, লাইক, স্টাটাস, ট্যাগ বুঝতাম না কিন্তু বড়দের চোখ রাঙানো দেখলেই অন্তর কেঁপে উঠতো। মুরুব্বীদের কথা ধর্য্য ধরে শুনতাম। আজ কোথায় সেই ধর্য্য? কোথায় সেই প্রথম কেডস পায়ে দেবার মজা? কোথায় সেই প্রথন ইন করার মজা? কোথায় সেই বিয়ে বাড়ীতে কাঁসা-পিতলের কলসের গায়ে চুন মেখে ডিজাইন করা উপহার নিয়ে হাজির হবার মজা? এখন মেইলে ইচ্ছেমতো কার্ড পাঠানো যায়। ই-কমার্স ভিত্তিক ওয়েবসাইটের কল্যানে ঘরে বসে গিফট পাঠানো সম্ভব হয়। দাওয়াতে কমিউনিটি সেন্টারে নগদ টাকা উপহার দিয়ে রোবটের মত বসে চমৎকার খাবার দাবার খাওয়া যায়। কিন্তু কোথায় সেই বেয়াই বেয়াইনের গায়ে রং মাখানোর আনন্দ?
আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না। পরবর্তি পর্বে আরও অনেক বিষয় শেয়ার করা যাবে। যদি আপনাদের এসব শুনতে ইচ্ছে হয় তাহলে এর বাকি পর্বটি লিখবো।
এই পোস্টটি লেখার পিছনের কারণটি স্পষ্ট করা আমার নৈতিক দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাই বলছি- যারা টেকটিউনসকে শুধু মাত্র সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় তারা বোঝে না মানুষের হৃদয় থাকে। যেখানে থাকে সীমাহীন আবেগ। নিজের ইচ্ছায়ও সেই আবেগকে বশ করা সম্ভব করার মত টেকনোলজি আজও আসে নি। খোদার উপর খোদকারির পরিনাম কোনদিন ভালো হয় নি।
বিশ্বের সেরা মেয়র শওকত হোসেন হিরন
[link|বিশ্বের সেরা মেয়র শওকত হোসেন হিরন এই পেইজটি আমি হিরণ ভাইয়ের নির্বাচনের জন্য খুলেছি আশা করি লাইক দিবেন।|বিশ্বের সেরা মেয়র শওকত হোসেন হিরন] এই পেইজটি আমি হিরণ ভাইয়ের নির্বাচনের জন্য খুলেছি আশা করি লাইক দিবেন।
০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!!
জীবনের হিসেব নিকেষ করতে খুব কষ্ট হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
আন্ধার রাত বলেছেন:
খুব ভাল লাগলো, অসাধারন লেখা। আপনি লিখতে থাকুন আপনার লেখা ইতিহাস হয়ে থাকবে, বার বার পড়তে ইচ্ছা করবে। লেখা থেকেই যেন সেই স্মৃতিগুলোর রস আস্বাদন করা যায়।