![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
ণআমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!
প্রিয় বন্ধু!
আমার হৃদয়ের গভীরে জেগে ওঠা ছায়া শিতল ফুলবনের সকল সৌরভ আপনাকে নিবেদন করছি। আমার পক্ষ থেকে প্রেম ভরা অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
আমি আল্লাহ্ কে সব সময় বলতে চেয়েছি বা বলেছি,
“হে আল্লাহ্! আমি আপনাকে না দেখে, না শুনে, না বুঝে, বিশ্বাস করি আপনি এক এবং অদ্বিতীয় কিন্তু আপনি এই একাকিত্ব ভাবে কি করে থাকেন? আমরা এই মানব জাতি এতো শয়তানী ও অসহয়াত্বের মধ্যে থাকি আর আপনি কিভাবে আমাদের সৃষ্টিকর্তা হয়ে আমাদের দিকে দৃষ্টি দেন না? আপনি এমন করে আমাদের কেনো প্রেমহিন করে দেন? কেনো আমাদের স্বজনকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেন? কেনো আমাদের কে এতো বেশি হানাহানির মধ্যে দেখেও আপনি চুপ করে থাকেন? আল্লাহ্ আপনি এতো সুন্দর ভাবে সব কিছু সৃষ্টি করেও একা একা কি অনুভুতি নিয়ে আমাদের ধ্বংস ও রক্ষা করেন?”
আমি যে প্রশ্নগুলো আল্লাহ্ কে করেছিলাম সে সেব প্রশ্ন মোটেও অমূলক বা তাওহিদের বিরোধী নয়। আজ এই মূর্হুর্তে দেখুন আমাকে আমার এই সব প্রশ্নের উত্তর কি আমি পাইনি বা আমার আল্লাহ্ আপনাদের সামনে এই সুন্দর মায়াবি ক্ষনে দেখিয়ে দেন নি? মানুষের এমন কোনো অনুভুতি নাই যা আল্লাহ্ পূরন করতে অক্ষম। একমাত্র তাওহিদের গড সর্ববিষয়ে সর্ব সময়ে সব কিছু করতে সক্ষম। আমরা বুঝতে চেষ্টা করি না বলেই এমন মন্দ পথে নিজেদের নিয়ে যাবার কুসাহস দেখাতে চাই কিন্তু এর ফল যে কতো ভয়াভহ তা হয়তো এখন আর আপনাদের বুঝতে বাকি থাকার কথা না।
যখন তাওহিদের ম্যাসেজ গুলো প্রদর্শন করার জন্য কোনো মহাশক্তিধর অবতার এর আত্মপ্রকাশ করতে হয় এবং এই ম্যাসেজগুলো যখন তার কাছের মানুষগুলো বুঝে ফেলে বা সত্য ও সুন্দরের যাত্রাপথে সব কিছু সুন্দর হয়ে চোখে ও মনে ধরা দিতে শুরু হয়। তখন অনেক মানুষ এই তাওহিদের শক্তিকে ভালোভাবে না বুঝেই নিজেদের আল্লাহ্ বলে দাবি করার চেষ্টা করে। কিংবা এমন এক অনুভুতি আমি তাদের দিয়ে দেই যে, তারা নিজের অক্ষমতার কথা ভুলে যাবার চেষ্টা করে থাকে। আবার কিছু মানুষ এই তাওহিদের ম্যাসেজ পাবার পরে সত্য পথে গিয়েছে বলে মুখে দাবি করলেও অন্তরকে বিশুদ্ধ করতে পারে না। পরর্বতিতে যখন তাওহিদের বার্তাবাহক ওফাত বা মৃত্যু নামের এক সুন্দর দরজা দিয়ে নিজেকে আড়াল করে নেন তখন আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা, মোহ, মিথ্যে দম্ভ ও কোলাহল করতে থাকে। এই সব ব্যাক্তিবর্গ মূলত মোনাফেক এবং মানব জাতির জন্য খারাপ হিসেবে বিবেচিত হয় ও সব মানুষ এদের ধিক্কার তো দেয়ই আর এদের স্থান চিরস্থায়ী নরক অথবা শয়তানের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়।
এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হলো, “আপনি হয়তো নিজেকে আল্লাহ্ এর সাথে মিথ্যে পথে পাল্লা দেবার যোগ্য ভাবছেন, কিন্তু এমন একটি জায়গা আমাকে দেখান যেখানে আপনি আল্লাহ্ এর দৃষ্টিসীমা (দৃষ্টিসীমা শব্দটি আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে ব্যবহার করছি) বাইরে যেতে পারবেন? আপনি কি মৃত্যুর পরে আল্লাহ্ এর সিস্টেমের বাইড়ে নিজেকে নিয়ে যাবার যোগ্যতা রাখেন?” তাহলে আপনি কিসের বড়াই করছেন? এই এতটুকু সমস্যার কারণে এই মানব জাতিকে আজ মস্তবড় খেসারত দিয়ে, তারপর এই তাওহিদের বানীর স্পষ্টতা আবারও প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো।
আমি আপনাদের আজ স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই, এই “আসিফ” আপনাদের এমন কোনো বানি দিচ্ছে না যা মৌলিক ভাবে নতুন। তাওহিদ এর এই স্পষ্টতা দরকার ছিলো বলেই আমি আত্মপ্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং অবশ্যই তা আমার তাওহিদের রব এর হুকুমে।
এখন কথা হলো আমরা যদি আমাদের নিজেদের ভিতরে স্রষ্ট্রার ভালো গুন গুলোকে (স্রষ্টার সব নামই গুন বাচক; তারপরও আমি ভালো গুন শব্দটি এ কারনে ব্যবহার করছি, যাতে আপনারা আমাকে ভুল বুঝে শয়তানের মিথ্যা পথে বা মিথ্যার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সত্য দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ওঠেন) ধারন করে স্রষ্টার অনুভুতি পেতে চান। তা অবশ্যই অযুক্তিক হবে না বরং আমাদের এই মানব সভ্যতার বিষাল অগ্রগতিই হবে বটে। আপনাকে আপনার আল্লাহ্ এমন ভাবে তৈরি করেছে যে, আপনার যে কোনো ভালো ও কল্যানকর ইচ্ছা আল্লাহ্ পুরন করার যোগ্যতা রাখেন। তাই আপনি আল্লাহ্ এর কাছে নিজে যত বড় জিনিসই চান না কেনো তিনি তা আপনাকে দিয়ে দিবেন। শুধু একবার মন দিয়ে তাওহিদের আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করে নিজের ভিতরে স্থায়ী ভাবে ঈমান কে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন বা নিয়ে আসুন।
আমি আমার আল্লাহ্ এর কাছে জানতে চেয়েছি, “হে আল্লাহ্ তুমি মানুষের মনে প্রেম দিয়ে সেই কাছের মানুষ কে কেনো কেড়ে নাও? এতে তুমি কি সুখ পাও?”
আমার আল্লাহ্ আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আমার প্রেম যত বিশাল বলেই মনে হোক না কেনো সেটা কখনই বান্দার প্রতি আল্লাহ্ এর যে টান বা দয়া তার কাছে কোনো তুলনা দেবার যোগ্যই না। আমার আল্লাহ্ আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আল্লাহ্ কখনও তার নেক বান্দাদের শুভ ইচ্ছাকে ফিরিয়ে দেন না বা বাতিল করেন না। কিন্তু মানুষ মানুষকে ফিরিয়ে দেয়।
আমার জীবন থেকে আমি তা হারে হারে টের পেয়েছি। কোন একটি দর্শনিয় জায়গা, মন্দির, মসজিদ কিবং সুন্দর কিছু স্থান আমি অনেক সময় ঘুরে দেখতে চেয়েছি। অনেক সময় আশ্রয় চেয়েছি কিন্তু মানুষ আমাকে সেখানে ঢুকতে দেয় নি। তাই বলে কি আমার আল্লাহ্ আমার সহায় হন নি বলুন? আপনি আপনার কৃয়েটিভিটিকে যতো বড় করে যতই মঙ্গলের দিকে ধাবিত করবেন ততোই আপনি আপনার শক্তি সম্বন্ধে বুঝতে পেরে পূর্ণ ঈমানদার হয়ে জান্নাতের ডাক অনুভব করতে পারবেন।
আজ মুসলিম সমাজ এই কৃয়েটিভিটির পথকে অবরুদ্ধ করে কি এমন জিনিস অর্জন করতে পেরেছে? প্রতিটা মুসলিম কান্ট্রি আজ গোড়ামিতে ভরা। মুসলিম জাহান আজ শিক্ষায় পিছানো, জ্ঞানে পিছানো, কুসংস্কার বা ইগোতে ভরাডুবির মধ্যে আছে। এই সব করে কি পেয়েছে মুসলিম জাহান? যাদের মুক্তির জন্য মোহাম্মদ (সঃ) এর আবির্ভাব হয়েছিলো তারা আজ কোথায়? মোহাম্মদ (সঃ) আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে স্রষ্ট্রার বানি শুধু মুসলমানদের জন্যই দেন নি এই বানি সবধর্মের জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য। এবং এই পবিত্র কোরআন সর্ব সময়েই মানব জাতির জন্য দরকার হবে তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ করা যাবে না। মুসলিম জাহানের দিকে তাকালে খুব বেশি দুঃখ লাগে এজন্য যে, শিক্ষায় পিছানো থাকলে শিক্ষা গ্রহন করে শিক্ষিত হওয়া যায়, জ্ঞানে পিছানো থাকলে জ্ঞান অর্জন করা যায় কিন্তু কুসংস্কার বা ইগো থাকলে সেই সমাজে প্রচুর পরিমান বেয়াদবি থাকে বা মানুষ আদব কায়দা না বুঝেই বিবাদে লিপ্ত হয়। আজ আপনার উপর আমি দ্বায়িত্ব দিচ্ছি বন্ধু! এই তাওহিদের বুঝকে পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মের প্রতিটি মানুষের কাছে নির্ভুল ভাবে তুলে ধরুন এবং একাত্ববাদ এর উপর ইমান নিয়ে আসতে বলুন। আমি আবারও বলছি কোনো মানুষ কে জোড় করে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে রূপান্তর করার চেষ্টা করা অন্যায়। আমি আপনাদের তাওহিদের কথা বলছি কিন্তু কোনোভাবেই কোনো নতুন ধর্ম প্রচার করার জন্য আমার আবির্ভাব হয় নি। পৃথিবীর সব ধর্মের মূল ভিত্তি তাওহিদ। আমি তাওহিদে পূর্ণাঙ্গ ভাবে বিশ্বাস করি বলেই পৃথিবির সব ধর্মের সব মানুষকে প্রভুসম সম্মানের চোখে দেখি এবং তাদের সকল যুগবতারকেও আমি বিশ্বাস করি। এতে বিন্দু পরিমান সন্দেহের অবকাশ নাই।
বন্ধু! সৃষ্ট্রিকর্তা পরম দয়ালু। সৃষ্ট্রিকর্তা ক্ষমাশিল। আমি আপনাদের বলেছি পাপের কোনো ক্ষমা নাই শুধু প্রাচিত্ত আছে। এখন আপনি যদি আল্লাহ এর ক্ষমা এর গুনবাচক রূপক এর দিকে তাকান তাহলে আমার কথাকে আপনারা হয়তো ভুল বুঝতে পারেন। যা পরবর্তিতে আপনাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে। এরকম বহু বিভেদ আমি আমার জীবন থেকে দেখেছি। মুফতি, মোহাদ্দেস, ঠাকুর, ফাদার আরো কত শত উপাধী আছে যারা শুধু ধর্মের খুত ধরতে ধরতে এই সুন্দর মানব জীবনকে দুঃখময় করে তুলেছিলেন। এতে আমি এই সব সুন্দর ধর্মভিরু মানুষদের মোটেও দোষ দিচ্ছি না। বরং তারা চেষ্টা করেছেন। যে যার মতো এবাদাত করে শান্তি চেয়েছেন। আল্লাহ্ যাদের কথা কবুল করার প্রয়োজন মনে করেছেন তাদের কবুল করেছেন। আমি বলেছি পাপের কোনো ক্ষমা হয় না এবং আল্লাহ্ ক্ষমাশিল। এখানে আপনাকে বুঝতে হবে আল্লাহ্ সর্বঅবস্থায় তার এই সৃষ্টি জগতের ভিতর থেকেই আপনার জান্নাতের পথ অনেক বেশি সহয করে দিতে পারেন। এবং আপনি এখানে বসেই জান্নাতের ডাক পেতে পারেন। কিন্তু পাপের বদলে যা হয় তা হলো শুভ কর্ম দ্বারা নিজেকে সামনের দিকে ছুটে নিয়ে চলা এবং এর মধ্যেই প্রকৃত মঙ্গল থাকে। এখনও কি আপনার কাছে স্পষ্ট হচ্ছে না যে, আল্লাহ্ সর্বদা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বা সিস্টেমের বাইরে থেকে আপনার উপরে কোনো প্রকার অন্যায় হোক তা চান না। একারনেই এই প্রকৃত জগত এবং মহাবিশ্বের সকল কিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। যা সয়ংক্রিয়। আপনি আপনার মেধাকে যতো বেশি ভালো পথে বিকশিত করবেন ততো বেশি আপনি আপনার আল্লাহ্ এর সাহায্যে স্বর্গের আগামনি বার্তা পেয়ে যাবেন। এখন অনেকে হয়তো ভাববেন যে, একটি মানুষ মৃত্যুর আগ মুহুর্তে জান্নাতের আগাম বার্তা পাবে। এ কথা ভুল। আপনি আপনার ইন্তেকাল সম্পর্কে জানেন না। মানুষ মারা যায় মানুষের ভুলের কারনে। আমি আগেও বলেছিলাম যে, মৃত্যু আপনার কাছে আসে না বরং আপনি মৃত্যুর কাছে ছুটে যান। এর দ্বায়ভার আপনি তাওহিদের আল্লাহ্ এর উপর চাপাতে পারেন না। একটি মানুষ যখন জান্নাতের আগমনী বার্তা পাবে এরপর শত চেষ্টা করলেও সে আর খারাপের পথে যেতে পারবে না কারণ সে জানে জাহান্নামের শাস্তি যে কতো বেশী ভয়ঙ্কর।
আপনাদের কাছে কি আমার কথাকে আলৌকিক বা দৈব ব্যপার মনে হচ্ছে? আপনারা যা খুশি তা ভাবতে পারেন কিন্তু এটাই বাস্তব, সায়েন্টেফিক এবং চির সত্য কথা।
আমি আপনাদের আবারও রিকোয়েষ্ট করছি দয়া করে ইতিহাস বা মানব সভ্যতার স্পেশাল ক্যারেকটার দের কখনও কটাক্ষ করে কথাও বলবেন না। বরং যদি একজন মহামানবের একটি বানিকেও আপনি নিজের জীবনের লক্ষ্য হিসেবে উপলব্ধি করতে পারেন দেখবেন আল্লাহ আপনাকে কবুল করে নিবেন। ভিন্নধর্মী কে অবহেলা কেনো করবেন? কি এমন আছে যাকে আপনার সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করে নি? আপনি যাকে বা যে মানুষকেই অবহেলাই করুন না কেনো আপনি কিন্তু পরোক্ষ ভাবে আপনার তাওহিদের আল্লাহ্ কেই অপমান এবং পাঙ্গা লবার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন?
আমি আপনাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। আপনি যদি সত্যের সাথে থেকে আপনার আল্লাহ্ এর সাহায্য কামনা করেন তাহলে আল্লাহ আপনাকে কবুল করে নেবেই তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নাই।
ধর্ম সেটাই যা চুম্বকের ধর্মের মতো করে সব মানুষকে কাছে টেনে নেয় আর চুম্বক-চুম্বকের ধর্মের মতোই খারাপকে দুরে ঠেলে দেয়। ওটা ধর্ম না, যা মানুষকে মানুষকে জোড় করে কিছু কু-অভ্যাসের দাস হতে বলে।
বন্ধু! এবার মূল আলোচনায় আসি।
একবার নিজের স্কুল জীবনের কথা ভাবুন। দেখবেন আজ এই সময় এসে অনেক কিছুই কেমন যেনো থেকেও নেই। কত সুন্দর ছিলো সেই দিনগুলো। সবার সাথে সবার একটা মিলন মেলা তৈরি হবার পর্যায়ে গিয়েছিল এই বাঙালী জাতি। আর আজকে এমন কেনো হলো? এখানে আমারা যদি আফসোস না করে একটু সুন্দর করে দেখার চেষ্টা করি তাহলে দেখবেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে।
একটি ক্লাস রুমের কথা চিন্তা করুন। দেখুন আজ কিন্তু আমরা অনেক সহয সুন্দর ভাবে শিক্ষর্থীদের শিক্ষা দিতে পারি। আজ আমাদের প্রযুক্তি আছে। আজ আমাদের অনেক সুন্দর করে প্রেজেন্টেশন করার ব্যবস্থা আছে।
আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি মহামানব ও জ্ঞানের আধার শ্রী শ্রী গৌতম বুদ্ধ কে। যিনি আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষকের অবস্থান বহু আগেই দেখিয়ে গেছেন। আপনারা জানেন যে চীন, জাপান সহ বুদ্ধের আদর্শের সন্তানদের আবাস স্থলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একসময় শিক্ষকদের থেকে উল্টো মুখ করে শিক্ষার্থীরা বসতেন? এখানে আপনারা কি শিক্ষা পেয়েছেন? বোকামি? তাই না?
এবার এখনকার বাচ্চাদের একটি ক্লাস রুমে বসিয়ে যদি তাদের সামনে প্রজেক্টর বা অন্য কোনো স্কৃন এর কিছু প্রেজেন্ট করে দেখান আর শিক্ষক যদি একদম পিছনে একটি চেয়ারে বসে থাকে, এখানে কি শিক্ষার মান নষ্ট হবে? নাকি মান বাড়বে। আরো খোলাসা করলে আপনি কিন্তু স্টুডেন্টদের সামনে সিসি ক্যামও ফিট করে রাখতে পারছেন। শিক্ষক পিছনে বসে ছাত্রদের সামনে থেকে দেখছেন আর সেই সাথে চমৎকার ভাবে প্রেজেন্ট এন্ড সাউন্ড এর মাধ্যমে শিক্ষাও দিতে পারছেন। মহামানব বুদ্ধদের প্রয়োজন কখনও ফুরায় না। আল্লাহ্ কোনো শুভ ইচ্ছাই অপুর্ণ রাখেন না।
এবার যদি আমরা এমন করে ভাবি যে, ক্লাসে বাচ্চাদের জন্য গান থাকবে। গানের মাধ্যমে কি আমরা বাচ্চাদের মাথায় ম্যাথমেটিক্যাল টার্মগুলো সহযে ঢুকিয়ে দিতে পারি না? অবশ্যই পারি। আমাদের সমস্যা হলো আমাদের নিজেদের আন্তরিকতাকে কেমন করে যেনো হারিয়ে বসেছিলাম।
শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্য হলো সাবজেক্ট নয়, প্রতিটা সাবজেক্ট এর সম্বন্নয়ের অভাবও প্রধান সমস্যা নয়, প্রধান সমস্যা হলো শিক্ষাদানে ধারাবাহিকতার অভাব। একটু বুঝিয়ে বলছি। একজন স্টুডেন্ট যখন শিক্ষা গ্রহন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে তখন ঐ স্টুডেন্ট এর মনোযোগ আকর্ষনের জন্য আপনাকে সাবজেক্ট এর ক্লাসগুলোকে এমন ভাবে সাজাতে হবে, যাতে করে স্টুডেন্ট আজকে বিষয়টি বুঝে তো যাবেই সেই সাথে তার অন্তরে বাকিটুকু জানার আগ্রহ নিজ থেকে এসে যাবে। একজন স্টুডেন্ট কখনই এই শিক্ষার মজাটুকু মিস করতে চাইবে না বলেই আজকের বিষয়টির গুরুত্ব নিজ থেকেই উপরব্ধি করবে। এজন্য শুধু আমাদের আন্তরিকতাই যথেষ্ঠ। আমরা আমাদের শিক্ষা গ্রহন প্রক্রিয়াকে তেতো কোনো অষুধের মতো বানিয়ে বাচ্চাদের খেতে বলছি। আরে বন্ধু! শিক্ষা গ্রহনের প্রয়োজন কখনও ফুরায় না শুধু মাত্র আগ্রহ আর মনোযগ থাকলেই হলো। আমরা নিরাশা নামক ঘাতক ব্যাধিতে ভুগি বলেই বলে উঠি “আগ্রহ আর মনোযোগ থাকলে তো সবই পারতাম!”। এই কথা শুনে আপনার মধ্যে যে সম্ভাবনা থাকে তা দৌড়ে পালিয়ে বেড়ায়। সবারই মনযোগ আছে কিন্তু যে জিনিস আপনার মনে যোগ করার জন্য পরিবেশন করা হচ্ছে তার উপরে তিতা স্বাদ দিয়ে দেয়া তাই আপনি ঐ তেতোর মধ্য থেকে মিষ্টি খুঁজতে চান না। এখন আপনাদের একটু প্রচেষ্টাই ঐ তেতো আবরনটাকে তুলে দিতে সক্ষম।
বন্ধু! আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষা গ্রহন করার বয়স নাই। শুভ কর্ম করার জন্য বয়স বড় ফ্যাক্টর না। আমরা শুধুমাত্র পরিবেশনের স্টাইল পরিবর্তন করার চেষ্টা করলেই পুরো পৃথিবীর শিক্ষা ব্যবস্থার অসম্ভব অগ্রগতি করা সম্ভব। এতে করে সবাই কৃয়েটিভ হয়ে উঠবে। সমাজের মধ্যে কুসংস্কার হানাহানি ও অন্যায্য আচরন দুর হয়ে যাবে। অপকর্ম কমে যাবে। সুন্দর জিনিস মানুষ নিজে থেকে ভালোবেসেই মনের মধ্যে গেঁথে রেখে দেয়। সুন্দরের জন্য তাগাদা দিতে হয় না। আর বাজে জিনিস অথবা বাজে ভাবে পরিবেশন করা জিনিস মানুষের মন গ্রহন করতে চায় না আর যদি গ্রহন করেও তা মন থেকে মেনে নিতে পারে না। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে সবাইকে অনেক কিছু দিতে সক্ষম।
বর্তমানে আমাদের হাতে যে প্রযুক্তি আছে তা দিয়েই পাঠ্যপুস্তকের বিষয়গুলোকে কাহিনিচিত্র, এ্যানিমেশন পদ্ধতি সহ বিভিন্ন ভাবে ভিজুয়ালাইজ করে প্রেজেন্ট করার সুযোগ আছে। এতে বাচ্চারা দ্রুত বিভিন্ন কালচারের সাথে পরিচিত হয়ে, সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ হয়ে পৃথিবীর সবমানুষের জন্য নিরাপদ এবং সম্পদ বলে বিবেচিত হবে। এবং এর প্রভাবে বড়রাও তাদের কুসস্কার গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বর্গের রাস্তা সহযে খুজে পাবে।
মনে রাখবেন, বাচ্চারা চায় একজন বন্ধু সুলভ অভিবাবক আর এই চাওয়া সব মানুষের মনের মধ্যে চিরকালই থেকে যায়।
আজ আমাদের অভিভাবক আছে কিন্তু অভিভাবকের ভিতরের যে বন্ধুটি আমাদের শিশুদের কাছে নিজেকে প্রকাশ করতে চায়, সে বন্ধুটি বহু আগেই খারাপের দিকে পা বাড়িয়েছিলো বলে নষ্ট হয়ে গেছে। বাচ্চারা বুঝুক আর না বুঝুক বড়রা এই সত্য উপলব্ধি যদি একবার করতে পারতো তাহলে এতো অল্প সময়ের মধ্যে এই পৃথিবী এতো খারাপের দিকে যেতে পারতো না।
আল্লাহ্ এর একটি গুন বাচক নাম হলো আল-রাজ্জাক অর্থাৎ রিজিকদাতা। এখন আপনি যদি নিজেকে রাজ্জাক ভেবে নিজের চাষযোগ্য জমির খাবার অন্য মানুষকে খাওয়াতে চান তাহলে আপনি রাজ্জাকের মতো নিজে স্রষ্ট্রার অনুভুতি ভোগ করবেন। আপনি যেটা ভোগ করছেন সেটা অনুভুতি। আপনি তো আর সার্বিক ভাবে অর্থাৎ এক আল্লাহ্ যে সমস্ত বিশ্বজাহানের রেজেকদাতা তাকে তো অস্বীকার করছেন না। এখানে আমাদের দোষ কোথায়? সমস্যা হলো বাংলাদেশ এর সমাজে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে, “বনের বাঘে নয় মনের বাঘে খায়”। কি খায়? মিথ্যে পাপের ভয়? আমরা পাপ না বুঝেই নিজেকে পাপি বানিয়ে তুলে শয়তানের সাথে মিশে যাই। আপনি নিশ্চই আপনার সম্পর্কে অবগত আছেন যে, আপনি এই মহাবিশ্বের সবাইকে চেনেনই না তাহলে কিভাবে তাদের খাবার দেবার যোগ্যতা আপনার আছে? আপনি কি আল্লাহ্ এর সমকক্ষ? অবশ্যই না।
এই সব হলো সমাজের কুসংস্কার মাত্র। এই সব কুসঙ্কার সরাসরি তাওহিদ এর বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক পর্যায়ে গিয়ে মানুষের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেয়। আমরা আর বাজে অভ্যাসের দাস হয়ে নিজেদের অগ্রগতিকে পিছিয়ে দিতে পারি না।
আপনার আমার আমাদের সম্মিলিত শুভ ও কল্যানকর প্রয়াস আমাদের এই সুন্দর সভ্যতাকে চিরন্তন স্বর্গে রূপান্তর করে দিতে পারে- এ বিশ্বাস মনের ভিতর সুন্দর করে গেঁথে রেখে দিন।
আপনি নিজে নিজেই বিবেচনা করে দেখুন যে, বর্তমান মিডিয়ার ভাষা কি আরো সুন্দর করা যায় না। আমি বলছি শুধু প্রেজেন্টেশনই না , রিপোর্টিংগুলো হবে সরল, সুন্দর এবং শিক্ষা মূলক ম্যাসেজপূর্ণ। আমাদের বাংলা ভাষায় অনেক বিদেশী শব্দ নিজ গুনে স্থান করে নিয়েছে। এর জন্য আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে চিরঋণী। আজ এই সময়ে আমরা কিন্তু মিডিয়ার পজেটিভ ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের ভাষার উপরই প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। আমি বলছি এক জাতির ভাষার উপর অন্য জাতির ভাষা বিনিময় সিস্টেম। যারা মিডিয়ায় কাজ করেন তারা অবশ্যই বুঝে গেছেন যে, আমি কি বলতে চাচ্ছি। দেখুন আপনি একটি বিদেশি শব্দ প্রকাশ করবেন, যেমন ধরুন হিন্দি শব্দ “ইশ্ক”। এখন এই হিন্দি শব্দটিকে আপনি এমন এক অঞ্চলে প্রচার করতে চাচ্ছেন যেখানে হিন্দি ভাষায় কথা বলে না বা প্রচলিত নাই। এখন প্রথম কিছু দিন এই শব্দটি ব্যবহারের সময় “ইশ্ক (প্রেম)” এভাবে ব্যবহার করুন। এতে একটি জাতি গোষ্টি বুজবে যে প্রেম আর ইশ্ক একই শব্দ। কিছুদিন পর শুধু “ইশ্ক” লিখুন। এভাবে আপনি বার বার শব্দ (যা আপনি মানব জাতির ভাব বিনিময়ের সহযিকরণের জন্য করছেন এবং এটা অবশ্যই মানবজাতির জন্য কল্যানকর কাজ হিসেবেই করছেন) প্রকাশ করলে দেখবেন এখন সবাই “ইশ্ক” শব্দটির সাথে পরিচিত হয়ে গেছে এবং ঐ ভাষার সম্পদ হিসেবে চিরস্থায়ী ভাবে থেকে যাবে। এটা একটা উদাহরন মাত্র। এভাবে মিডিয়া পুরো পৃথিবীর সাধারণ মানুষের জন্য উপকার করতে পারে।
টিভি সিরিয়াল গুলোর মধ্যে আমরা সমন্বয় করে নিতে পারি। নেগেটিভ টিভি সিরিযাল এর ইফেক্ট যে কতো ভয়াভহ তা আজ পুরো ভারতবর্ষ কেনো পুরো পৃথিবীই হারে হারে টের পাচ্ছে। এমন কোনো টিভি সিরিয়াল প্রচার করা ঠিক না যা সামাজিক রীতি নিতিকে ধ্বংসাত্বক ও মানুষকে আক্রমানত্বক হতে শিখায়। এখানে আমাদের সমস্যা হলো আমরা সবসময় পাবলিক ডিমান্ড দিতে গিয়ে নিজের মেধাকে মূলত ক্ষয় করে চলি। আপনি যদি ভালো সুরুচিবোধ সম্পন্ন মানুষ বলে নিজেকে মনে করেন তাহলে মনে রাখবেন সুরূচি অন্য মানুষের উপর যদি চাপিয়েও দেন তা হবে ন্যায় এবং পূর্ণের কাজ আর কুরুচি যতো সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করুন না কেনো তার ইফেক্ট হবে ভয়াভহ। এটা শয়তানের বা মন্দ ক্রিয়ার বিপরিতে প্রতিক্রিয়ার সহজ ব্যাপার যা আপনি নিশ্চই বুঝতে পারছেন।
মানুষ এর জন্য যা কল্যানকর তা সবসময় থেকে যাবে এবং তার রক্ষক আপনার সৃষ্ট্রিকর্তা সয়ং আল্লাহ্। আর যা অকল্যানকর তার জন্য খেসারত দিতে হবে খুব করুন ভাবে। এইটুকু অন্তত নিজের জীবন থেকেই বুঝতে পারবেন।
সমভাবে মিডিয়ায় আপনি সেক্স কে পরিবেশন করতে পারেন না। কিন্তু আপনি যদি বিবাহিত দম্পত্তি নিয়ে কাজ করেন বা প্রেম করে বিয়ে করেছেন এমন কিছু দেখান তাতে যারা গোপনের পক্ষপাতি তাদের কাজও হবে আবার নেগেটিভ ইফেক্ট পরার সম্ভাবনা থাকবে না।
আমাদের বুঝতে হবে সব শ্রেনীর মানুষ একরকম না। কিন্তু আমাদের মেধা বিনিময় দিয়ে সবাইকে একটি কমন ফরমাট বা প্লাটফর্মে দ্বারা করিয়ে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে তাওহিদের সৃষ্টিকর্তার পরম অনির্বান সুধা লাভ করতে পারি। এবং তা অতি দ্রুত করা সম্ভব।
মিডিয়াকে সমাজের অনেক ছোট খাটো ব্যাপার এড়িয়ে যেতে হবে। আমি আগেও বলছি এখনও বলছি যে, সমকামিতাকে মিডিয়ায় স্থান দিয়ে মিডিয়ার পবিত্র অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।
যে সব মিডিয়া ব্যাক্তিত্বরা তাদের রুচি কে চোখ বন্ধ করে কাকের মতো লুকিয়ে রাখতে চান তারা জেনে নেবেন যে, আপনার মিডিয়াই আপনার রুচি বোধের পরিচয়। এখানে একটু মেধা থাকলেই মানুষ বুঝে নেবে এই আইডিয়া কি আপনার নিজের নাকি আপনার চেয়ে কম রুচিশিল কোনো বিশেষ কর্ম সম্মাদনের জন্য আপনাকে প্রনদিত করা হচ্ছে। এখানেই মিডিয়ার মজা। এখানেই মিডিয়ার শান্তি। আপনি মিডিয়ায় যতো ভালো কিছু দিবেন ততো ভালো কিছু আপনার কাছে এসে ধরা দেবে। আর যতো বাজে কিছু দিতে চাইবেন ততো বাজে জিনিস আপনার কাছে এসে আপনার সত্যিকারের অগ্রগতিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে তুলে আপনার কনফিডেন্স নষ্ট করে দিবে। তার মানে আপনি ঈমান হারা হয়ে গেলেন তো বটেই সেই সাথে আপনার সুন্দর পথচলা শেষ হয়ে গেলো।
জোড় করে ঈমান আনার চেষ্টা করা যেমন কষ্ট সাধ্য ও দুর্বোধ্য ঠিক তেমনি ভাবে জেনে শুনে ঈমান নষ্ট করার কষ্ট আজ নিশ্চই আপনি অনুধাবন করতে পারছেন। এখন থেকে প্রতিজ্ঞা করুন, নিজের কাছে নিজে দায়বদ্ধ হয়ে নিজেকে তাওহিদের আল্লাহ্ এর পথে সপে দিয়ে পৃথিবির এই বর্ণীল সুন্দর অগ্রযাত্রায় নিজে সুন্দর ফুল হয়ে মালার মধ্য গেঁথে থাকুন। দেখবেন আপনিই পৃথিবী ও অনন্ত জীবনে স্থায়ী জান্নাত পেয়ে গেছেন বা নিজে থেকেই জান্নাতের সুখবর পেয়ে যাচ্ছেন।
আমাদের মিডিয়ার উপর যে সব খারাপ প্রভাব বিস্তার করে ছিলো তার জন্য কে দায়ি আজ সে বিচার করার দিন না। আজ পিছনের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সামনে এগিয়ে যাবার সময়। আমরা আমাদের সব হারিয়ে, সব পেয়েই গেছি এখন থেকে এই মানব প্রজাতি তার জয়গাথা পৃথিবীর বুকে এমন ভাবে লিখে রাখবে যে, অনন্তকাল ধরে মহাবিশ্বের সকল প্রাণী আমাদের এই পৃথিবিকে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য হবে। মানুষ যা মন থেকে চায তা পেয়ে যায়। শুধু মাত্র তাওহিদের আল্লাহ্ কে কখনও অস্বীকার করবেন না। আল্লাহ্ পরম দয়ালু ও করুনাময়। আল্লাহ্ তার বান্দাদের মঙ্গল সর্বদা কামনা করেন কিন্তু আমরা বুঝতে চাই না বলেই এতো সমস্যা জট পেকে যায়।
বন্ধু! বর্তমান মিডিয়া হলো বিশ্বশান্তির প্রধান অন্যতম অস্ত্র। আপনাদের এখন আর বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে, আপনাদের মধ্য, থেকেই আপনাদের মতো একজন মানুষ, আপনাদের অনেক দুরে থেকেও কাছে এসে একটি পয়েন্টে সবাইকে এ্যাডজাষ্ট করার ক্ষমতা রাখেন। তাহলে আপনার সৃষ্টিকর্তা মহান কারিগর তাওহিদের আল্লাহ্ কত বেশী সৈন্দর্য প্রিয় ও পজেটিভ কৃয়েটিভিটিকে উৎসাহিত করেন। কখনও ভুলে যাবেন না যে, তাওহিদের স্রষ্টা সর্বদা সর্ববিষয়ে পারদর্শি এবং তিনি আপনার মঙ্গল চান বলেই এই সুন্দর গ্রহটিতে মানুষ হিসেবে পাঠিয়েছেন। এখানেই মানব জনমের সার্থকতা নামক সুন্দর গোলাপ ফুল ফুটে ওঠে।
©somewhere in net ltd.