নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমাসুখ

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

সত্যি করে বলো দেখি, তোমারও কি আমার মতো ভালোবাসতে ইচ্ছে হয় না? নিজেকে তার মাঝে বিলিয়ে দেবার নাম কি প্রেম নয়? তোমারও ইচ্ছে করে না সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে তাকে নিয়েই শুধু থাকতে? এমন কি মনে হয় না যে, এই সব টাকাকড়ি, স্বর্ণ-মোহর-রত্ন, ক্ষমতা সব চলে গেলেও সে যেনো চলে না যায়? তার বলা কথাগুলো কি তোমার শুনতে ইচ্ছে করে না? তার বলা গল্পগুলো কি তোমার কাছে সত্য রূপকথার মতো মনে হয় না? তোমার স্বপ্নে কি সে আসে না?



জানো, আমি আমার মনের প্রেম নিয়ে শুধু কল্পনাই করে থেমে যাই না। আমি আমার সব স্বপ্ন যত্ন করে গেঁথে রাখি এবং তা অবশ্যই বাস্তবে নিয়ে এসে নিজের চেয়েও আপনের চরনে মিনতীর অর্ঘ্য চরাবো। এই জলজ্যান্ত আমাকে একদিন দেহহীন হতে হবে- তাই বলে কি আমি এখনই দেহহীন হয়ে গেছি না-কি? তাহলে আমি কেনো আমার প্রিয় অস্তিত্বকে আমার কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো না?



তাকিয়ে দেখো বন্ধু! ঐ সব প্রাণহীন দেহওয়ালা মানুষ গুলোর দিকে- যারা নিজের প্রেম কে নিজের হাতে কোরবানী করেছে নাকি জবেহ্ করেছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। এটুকুও বুঝতে পারছে না, প্রেমহীন হয়ে বেঁচে থাকা যায় না। এই মানুষগুলো এতো নির্দয় হলো কবে থেকে? নিজের জীবনের মিষ্টি অনুভূতি ও পরম পাওয়াকে ওরা কিভাবে তেজ্য করে দেয়? এরা যেনো স্বর্গ ফেরতার দল নয়, এরা হলো স্বর্গকে লাথি মারার দল। নিজ মনের প্রেম কে বিশর্জন দিয়ে কি স্বর্গ পাওয়া যায়? এর থেকে নরকে বসে প্রেমের গান গাওয়াও অনেক বেশি শান্তির। যিনি ইহোলোকে দেখা দেন না তিনি নাকি পরলোকে দেখতে আসেন। নিজের মনে যদি প্রেমের বাঁধনই না থাকে তাহলে তাকে দেখার অধীকারের যৌক্তিকতা থাকে কি করে? এই যে দেখো বিশ্ব-ভূমন্ডল-প্রকৃতি সব একটি প্রেমে গাঁথা আছে। তুমি কি আমার মতো করে দেখতে পাও না?



তাকে যদি পেতেই চাও তাহলে নিজের প্রেম দিয়ে অর্জন করে নাও। তিনিও চান তাকে আমরা যাতে অর্জন করে নেই। এর মধ্যেই সুখ ও স্থায়ীকল্যান। তার কাছে যদি কিছু ভিক্ষাই চাও তাহলে অন্তত তাকে অর্জন করার ক্ষমতাটুকু চেয়ে নিও! একবার যদি নিজেকে বুঝতে পারো তাহলে তাকেও বুঝতে পারবে আবার তাকে বুঝতে চাইলেও নিজেকে বুঝতে হবে। এভাবে তোমার মাঝে অর্জন করে নেবার ক্ষমতা চলে আসবে। তখন কোনো পথকে আর দুরের পথ মনে হবে না। অসম্ভব তখনই তোমার দাস হয়ে যাবে যখন তুমি তোমার প্রেমকে আগলে ধরে রাখতে শিখবে। সব দুর্গম তোমার কাছে এসে তোমার চাকর বাকর হয়ে তোমাকে নমস্কার করবে। দুর্গম এসে তোমার গায়ে বাতাস দিবে, গল্প শুনাবে, চামচামি করবে সেই সাথে আরও কতো কি যে তোমার কাছে এসে বলবে। তখন তোমার চরন ধুলি নিতে পেরে দুর্গম নিজেকে সম্মানিত করে তুলবে।



বন্ধু! সব ছেড়ে দিও কিন্ত নিজের প্রেমভরা প্রবল ব্যাক্তিত্বকে ধরে রেখো। এই ব্যাক্তিত্বটাই হলে তুমি সয়ং। মিথ্যে, পচা, বাজে, নষ্ট কুসংস্কার দিয়ে নিজের ব্যাক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখো না। নিজের মধ্যে শুধু ভালো ভালো জিনিস গুলো রেখে দাও আর মন্দকে ছুড়ে ফেলে দাও দেখবে তোমার ব্যাক্তিত্বকে সবাই সম্মান করবে। যে নিজেকে সম্মান দিতে জানে না সে কখনও অন্যকে যথাযোগ্য সম্মান দিতে পারে না। তোমার প্রেম তোমার ব্যাক্তিত্বের প্রাণ। সেই প্রাণকে আর নষ্ট হতে দিও না। তুমি এই মহাবিশ্বের বড় সম্পদ তখনই হতে পারবে যখন নিজের ব্যাক্তিত্বকে মহাবিশ্বের থেকেও বড় করে তুলতে পারবে। এই কাজ একদম সহজ আর তা হলো তোমার প্রেমকে শুধু কাজে লাগিয়ে যাও। কখনও নিজেদের নিজেরা অপমান করো না। তোমরাই যদি তোমাদের অপমান করো তাহলে তোমাদের সম্মান আসবে কি করে?



১১-০৫-২০১৪

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.