![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
খুব বাজে একটি সময় আমার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসছে। কুৎসিত এর চেহারা। আমি যতো এই কুৎসিতকে এড়িয়ে যেতে চাই –ততোই আমার সামনে এসে বাঁধা দেয়। বেশিরভাগ মানুষই একে বলবেন নিষ্ঠুর বাস্তবতা। আমি তাঁদের সাথে একমত না। আমার বাস্তবতা আমি নিজে। আমার স্বাধীনতাই আমার বাস্তবতা। আমার কর্মই আমার বাস্তবতা। আমার অর্জনই আমার বাস্তবতা। আমার দ্বায়িত্বই আমার বাস্তবতা। যে চিরসুন্দরের সাথে আমার গাঁটছেড়া বাঁধন – তিনি কখনও ম্লান হবার নয়। আমি ভালো করেই জানি স্বপ্ন আর বাস্তবতার মিল আর অমিল কোথায়। তাইতো পরমআত্মা আমাকে চিরআনন্দ দিয়ে দিয়েছেন। যার দুঃখেও আনন্দ আবার সুখেও আনন্দ। একাকি থেকেও আমি চীরস্বাধীন, নির্ভয় ও অনন্ত।
আমার সামনে কুৎসিত এই বাঁধাগুলো হলো অনেক দিনে মানবসৃষ্ট্র অনিয়মের খেসারত। আমার আগেও অনেকের উপর এই বাঁধা এসেছে, এখনও আসছে আর এই অনিয়মের জালে আটকা পড়া আসল নিয়মকে প্রতিষ্ঠিত না করতে পারলে আরও আসবে। আমার মঙ্গলের পথের অনন্ত অভিযান তাই বলে থেমে থাকবে না। এটা শুধু আমার আশাবাদি মনের স্বপ্ন না বরং এটাই সত্যবাস্তব।
যে রুদ্রকর্ম সম্পাদন করার জন্য আমার এই অভিযান, সেই কর্ম আমি করছি ঠিকই কিন্তু এ যে শুধু আমার একার সম্পদ না। এই সম্পদ সব সত্য-স্বাধীন-চিরমঙ্গলের যাত্রী মানুষের একান্ত কর্তব্য। নিয়ম খুব শক্ত জিনিষ। সবথেকে শক্ত জিনিষ স্রষ্ট্রার বিধানের নিয়ম, যাকে মিথ্যে অনিয়ম দ্বারা হয়তো বাজে প্রলেপ লাগিয়ে ধ্রুম্রজালের মতো করে অন্যদের সামনে তুলে ধরে রাখা যায়। তাই বলে এমনকার সাধ্য আছে যে, খোদার উপর খোদকারী করবে? খোদার উপর খোদকারি কি কখনও স্থায়ী হয়? এটা মানুষের বোকামি ছিলো আমি সেই বোকামিকে শুধু বোকামিই বলে চলেছি। এর বাইড়ে আমি কিছুই করছি না। মানুষ ভুল করে মানুষই তার খেসারত দেয় আবার অন্য মানুষ সেই ভুলকে সরাসরি ভুল বলে সবাই কে ঐ কুৎসিত জগত থেকে সরে আসতে বলবে। এ কথা চিরন্তন।
যে অসহায় মানুষগুলোর জন্য আমার এই কথা বলা তাঁরা আজ আমাকে কষ্ট দিলেও আমার মোটেও দুঃখ নাই। আমি ওদের ঐ পাহাড়সম দুঃখের বোঝা হালকার করার জন্য কথা বলছি এই বোধটা আসলেই আমার শান্তি। আমি চাইনা আমার জন্য কেউ অনুতাপ করবে আর আমি সেই অনুতাপগুলোকে নিজের সাফল্য বলে ধরে নেবো। অনুতাপ আর সাফল্য ভিন্ন জিনিস। এগুলো গুলিয়ে ফেলতে নেই। কাউকে ভালোবাসলে শুধু নির্বিচ্ছিন্ন ভাবে ভলোবেসেই যেতে হবে। আমি এই মানুষগুলোকে অনেক ভালোবাসি। ওদের দেয়া দুঃখে আমার ভলোবাসা কাবু হবে কেনো? আমি জানি লাঞ্চনা, অপবাদ, মোনাফেকি, মিথ্যা, ভৎসনা, কষ্ট, আঘাত সহ আরো যতো প্রকার বাজে বাজে জিনিস আছে তার সাথে লড়াই করতে হয় নিজের ভালোবাসার অর্ঘ্য নিবেদন করে। এর ফলে ভালোবাসাই থেকে যায় আর ঐ অশুভগুলো হারিয়ে যায়। কারণ প্রেম ভালোবাসার মধ্যে গভীর সত্য থাকে। সত্য কখনও ধ্বংস হয় না। সত্যের রক্ষক আমার সৃষ্ট্রিকর্তা। আমি চিরসত্যের একজন দূত মাত্র।
০৫-০৫-২০১৪
আজ বুদ্ধপূর্ণিমা। প্রিয়ার মতো চাঁদ উঠেছে। অনেক সুন্দর মিষ্টি আলো বিলাচ্ছে। মাঝে মাঝে মেঘ চাঁদের উপর এসে পূর্ণিমার চাঁদকে ঢেকে ঠেকে ফেলছে আবার একটুক্ষন বাদে মেঘ সরে গিয়ে পূর্ণিমা সুন্দরের চাঁদমুখ দেখাচ্ছে। অসম্ভব সুন্দর আলো আধারির খেলা। প্রকৃতির গাছপালা এমন ভাব করছে যে, আজ যে বুদ্ধ পূর্ণীমা তা তারা গোপনে গোপনে একা একাই উপভোগ করবেন। আমাদের জানাবে না! এজন্যই সব গাছ নিরবে বুদ্ধকে কি যেনো বলতে চাচ্ছে।
বুদ্ধ ঘর ছেড়েছিলো মানুষকে দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা ও কষ্টের পথ থেকে স্থায়ী মুক্তির রাস্তা দেখিয়ে দেবার জন্য। বুদ্ধ রাজপ্রসাদ ছেড়ে মানবতার চিরসৌন্দর্য রক্ষার্থে স্রষ্টার বাঁশির সুরে চলে যান বনে। আর সাধারণ মানুষ এই বনে যাওয়া অবতারকে মনের মধ্যে চিরকাল পুষে রাখতে বাধ্য হয়। স্রষ্ট্রা সবসময় দুঃখি বাঁধনহারাদেরই দেবতা করে এই সুন্দরের ধরায় বাঁচিয়ে রাখতে পছন্দ করেন।
আমার অন্তরের চাঁদকে পাশে বসিয়ে রেখে যদি এই সুন্দর পূর্ণিমাকে উপভোগ করতে পারতাম তাহলে আমি সত্যি সত্যি নিজেকে অনেক বেশি সামাজিক সুখি মানুষ হিসেবে দেখাতে পারতাম! অন্তরের চাঁদ অন্তরেই থাক। হোক না সেটা বুদ্ধের কিংবা অন্যকারো ঘর ছাড়ার স্বাক্ষী! যে মানুষ অন্য মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে ঘরের বাইড়ে বেড়িয়ে যায় তার আর নিজের ঘরের দরকার হয় না- তাঁর ঘর হয়ে যায় কোটি মানুষের অন্তর।
বুদ্ধ আমাকে দেখা দেন। গভীর ধ্যানে। তখন ভুলে যাই আমি আর বুদ্ধ কে বা কারা! এই গভীর ধ্যানলোকের দেবালয়ে নিজেকে হারিয়ে শুধু সৃষ্ট্রিকর্তাকে দেখার স্বাধ জাগে! মাঝে মাঝে স্রষ্ট্রার কাছে নালিশ করতে ইচ্ছে করে। ঠিক যেমন ভাবে কোনো আল্হাদি শিশু মেয়ে সন্ধ্যায় তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কোলে ওঠে সারা দিনের নালিশ গুলো বলে যায়।
আমি অহেতুক মেরে কেটে শান্তি প্রতিষ্ঠার দলে না। আমি জানি শান্তি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্তের গঙ্গার প্রয়োজন হয় না। শুধু নিজেকে শান্তির পথের পথিক করে এগিয়ে নিয়ে গেলেই হয়। প্রেম থেকে প্রেম হয়। প্রেম দিয়ে প্রেম টেনে নিয়ে আসা যায়। শান্তি দিয়ে শান্তি নিয়ে আসা যায়। না হয় বাজে কিছু মানুষের লাথিকে নিজের বুকে ধরে রেখেও অন্যদের শান্তিবার্তা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে নিলাম –এও বা মন্দ কিসের? আমার নিজের জীবনের শান্তি অশান্তির জন্য যে আমার শান্তি পথের অনন্ত অভিযানের ব্যাঘাত ঘটবে এটা তো অযুক্তিক। সবার আনন্দের মাঝে আমি থেকে যাবো। কারো অনেক দুর্দিনে নিজেকে সাথী করে রেখে দিলাম। সুদিনে না হোক কারো কষ্টে তো আমি অন্তত সাথী হতে পারি!
বাবা, মা এর মুখের দিকে তাকালে খুব খারাপ লাগে। সারাজীবন কষ্ট করেছেন। টাকা টাকা করে দৌড়ে বেড়িয়ে টাকা কামাতে পারে নি সেই সাথে নিয়ে এসেছে নিজেদের বার্ধক্য আর বিশাল বিশাল টেনশনের জ্বালা। আমি টাকার জন্য নিজেকে কখনও উজাড় করে দেই নি। দেবোও না। শুধু টাকা কামানোর জন্যই আমাদের এই মূল্যবান মানবজীবন না। যারা অন্যের শান্তির জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয় তারা অবশ্যই অন্যদের টেনশন বুঝে শুনেই , সেই টেনশনকে লাঘব করার উপায় বেড় করে। আর যারা সারাজীবন এক টেনশন থেকে অন্য টেনশনের মধ্যেই পরিচলন করতে শেখে তারা কিভাবে শান্তি ও জীবনের পূর্ণ স্বাদ পায় বলুন?
১৩-০৫-২০১৪
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার শুভ কামনার দরজা দিয়ে বেড়াতে আসছি।
২| ২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
সুইট এঞ্জেল বলেছেন: eto boro post likhecho je?
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সবগুলো পোস্ট পড়ে দেখুন, দেখবেন কোন পোস্টকেই বড় মনে হবে না।
পোস্টগুলো একবার পড়লে যদি কাজ না হয় বার বার পড়ুন দেখবেন আপনার কাছে কোনো কিছুই আর বড় মনে হবে না। সবকিছু নিজের সাধ্যের মধ্যেই মনে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
সোজা কথা বলেছেন: চির সত্যের দূতের জন্য শুভ কামনা।