বৌদ্ধ ধর্মে আছে জীব হত্যা মহা পাপ ! কথাটা কতটা মানছে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সম্প্রদায় ?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৩

মিয়ানমারের বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারীদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে রোহিংরা আশ্রয় নিচ্ছে বাংলাদেশের রোহিংগা ক্যাম্পগুলোতে । ২০১২ সালের জুনে প্রথম শুরু হয় রোহিংগাদের উপর অত্যাচার । কারন ছিল এক মুসলিম রোহিংগা এক বৌদ্ধ মহিলাকে ধর্ষন করে হত্যা করে। বৌদ্ধ মুসলিম সংঘর্ষে সেইসময় ২০০ জনের বেশি রোহিংগা প্রান হায়ার এবং ২০০০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। তারপর থেকে সংঘর্ষ চলছে আর চলছে মায়ানমারের বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারীদের নিজের হাতে বিচার করার মহড়া । মায়ানমারের প্রচলিত অইন কি এটাই যে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ? লাখ লাখ মানুষ বসতভিটা ছাড়তে বাদ্ধ হয়েছে মিয়ানমারের বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারীদের অত্যাচারে । হাজার হাজার বাড়িঘর পুরিয়ে দিয়েছে । এভাবেই চলছে নিরাপরাধ রোহিংগা মুসলমানদের উপর অত্যাচার । বর্তমান সরকারী তথ্য অনুযায়ী ২৮০০০০ রোহিংগা রয়েছে বাংলাদেশের রোহিংগা ক্যাম্পগুলোতে । প্রতিদিনই কাটাতারের বেড়া পেড়িয়া অবৈধ রোহিংগারা প্রবেশ করছে বাংলাদেশে । বেচে থাকার তাগিদে আজ তারা দেশ ছেড়ে অসতে বাধ্য হচ্ছে । আর বিশ্ব মহল কিছুদিন পর পর গভীর উদ্বেগ জানিয়ে নিজের দায় সেরে নিচ্ছে । এভাবে আর কত অত্যাচারের স্বিকার হবে নিরাপরাধ মুসলিম সম্প্রদায়?? এখন যদি আবার মায়ানমারের মুসলিম রোহিংগারা বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে শুরু করে তাহলে বিশ্বমহল থেকে বলবে মায়ানমারে জংগীবাদের উথ্যান হয়েছে । তখন হয়তো আমেরিকা জংগীবাদ নির্মুলে মায়ানমার কে সর্বাত্যক সহা্যতা জানাবে । কিন্তু নিরাপরাধ মুসলমান মারার জন্য মায়ানমার কে চাপ সৃস্টি করবে না । রোগিংগাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থাও করবে না ।এখন যেই চাপ সৃস্টি করে সেটা লোক দেখানো । আজ খবরে দেখলাম রোহিংগা দের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে । আর কতো অত্যাচার সহ্য করতে হবে মুসলমান রোহিংগাদের আল্লাহ পাক ভালো জানেন । ঘুমিয়ে থাকুক বিশ্ব মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতারা।

১ টি +০/-০