নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একা আমি

ধূসর সন্ধ্যা

ধূসর সন্ধ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুলুম নয়, আওয়ামীলীগ যা করেছে কেবল তাই তাদের ফিরিয়ে দিন....

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

গত সপ্তাহে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। 'এক্সেস টু জাস্টিস' ধারণার অংশ হিসেবে আশপাশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুমানিক তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে।
পর্যবেক্ষণ:
১) মানসিক আঘাত ও ট্রমা:অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অন্তত ছয়জন শিক্ষার্থীকে দেখে মনে হয়েছে, তারা স্থায়ীভাবে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (PTSD)-এ আক্রান্ত। ভয়, আতঙ্ক, হতাশা ও সহিংসতার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার ফলে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এক শিক্ষার্থী বলছিলেন, তিনি আহত বা অসুস্থ তখনই হননি, বরং বিচার না দেখে দেখেই তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অসংলগ্ন হয়ে পড়েন।
২) পুলিশি নির্যাতন ও নিপীড়ন:একজন শিক্ষার্থী জানান, তার বাসা ছিল ধানমণ্ডি ৫, সুদা সদনের আশপাশে। তার মোবাইল থেকে জুলাই মাসের সকল অডিও, ভিডিও ও ছবি মুছে ফেলা হয়। তবে তার মা একটি নোটবুক প্যাডে এসব ট্রান্সফার করে রেখেছিলেন। পুলিশের অভিযানের সময় তার ফোনে কিছু না পেলেও, তার মায়ের নোটবুক প্যাডে থাকা ডকুমেন্টগুলো কাল হয়ে দাঁড়ায়। পুলিশ তা পাওয়ার পরই তাকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করে। ভয়াবহ নির্যাতনের ফলে সে মূত্রত্যাগ করে ফেলে, এরপর তার মা ও বোনের সামনে তাকে নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে গিয়ে তার হাঁটু ও পিঠে চরম নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় তাকে বারবার 'তুমি কে, আমি কে, বাংগালি বাংগালি'—এমন স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়, এবং বাংগালি বলার সাথে সাথেই মারধর করা হতো। পরে তাকে গভীর রাতে ভাটারা থানায় স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে আবারও নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের ফলে তার হাত ফুলে যায় এবং সে টানা ১১ দিন বন্দী ছিল।
৩) গণগ্রেফতার ও কোটার হিসাব:সেসময় প্রতিটি থানায় নির্দিষ্ট সংখ্যক বন্দি আটক করার কোটা নির্ধারণ করেছিল। ঢাকায় প্রতি থানায় ১০০ জনের কোটা ছিল একদিন, কিন্তু সেদিন রাত ৮টা পর্যন্ত সেই থানা ১০০ বন্দী গ্রেফতার করতে পারেনি । থানার কোটা পূরণ করতে এক পর্যায়ে রাত ১টায় সিএমএম কোর্ট বসিয়ে বন্দিদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত অনেক ক্ষেত্রেই যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদের বয়স ১৯ দেখিয়ে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
৪) বন্দি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ:বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকের কারাগার সম্পর্কিত কোনো পূর্বজ্ঞান ছিল না। তারা জানত না কারাগারে কীভাবে টাকা রাখা যায়, জামাকাপড় সংগ্রহ করা হয়, কিংবা খাবারের ব্যবস্থা কীভাবে হয়। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী কারাগারের খাবার খেতে পারেনি। ১২ দিন পর্যন্ত কিছু বন্দি শিক্ষার্থী শুধু বিস্কুট ও পানি খেয়ে টিকে ছিল।
৫) গুম ও গোপন সেলে আটকের অভিযোগ:অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বিশেষায়িত কিছু টিম গুম করে। একটি বিশেষ সংস্থার গোপন সেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৫ জনকে অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছিল।
৬) রাতের ব্লক রেইড ও তথ্য ধ্বংস:সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ছিল রাতে ব্লক রেইড চালিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন। বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট করার জন্য নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হয়।
৭) আহত শিক্ষার্থীদের ওপর পুনরায় নির্যাতন:বাড্ডায় এক শিক্ষার্থী তার চোখ হারানোর পর, তাকে মহাখালীতে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধর করা হয়। চক্ষু হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে থাকা এক চিকিৎসক তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। পরে যখন তার অপারেশন হয়, তখন ছাত্রলীগ সদস্যরা হাসপাতালে ঢুকে আহতদের ওপর আরও নির্দয় নির্যাতন চালায়।
৮) শিক্ষক ও প্রশাসনের ভীতিকর অভিজ্ঞতা:এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নিহত শিক্ষার্থীদের সন্ধানে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটে বেড়ান। ঢাকা মেডিকেলে অসংখ্য লাশ দেখতে পান, কিন্তু তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের খুঁজে পাননি। পরে মিরপুর ও আজিমপুরের রাস্তায় থাকা লাশের মধ্যে কিছু পরিচিত মুখ দেখেন। সরকারি হাসপাতালের মর্গে প্রবেশের অনুমতি না পেয়ে, তিনি এক নার্সের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, লাশবাহী গাড়িতে অগণিত মৃতদেহ রাখা ছিল।
৯) সাধারণ মানুষের ওপর সহিংসতা:ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের দুই শিক্ষার্থী জানান, কারফিউ চলাকালে একজন মুয়াজ্জিন আজান দিতে বের হলে, তার সামনে গুলি চালানো হয়। তাদের বাসায় গিয়ে পুলিশ ও বাহিনী হুমকি দিয়ে আসে, যেন তারা এসব ঘটনা নিয়ে মুখ না খোলে।
পোস্ট সুত্র

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯

নতুন বলেছেন: অবাক লাগছে যে আয়ামীলীগের সর্মথক হয়ে কিভাবে পুলিশ বা দলীয় ক্যাডারেরা সাধারন মানুষকে অত্যাচার করেছে।

মানবতা বোধ কি দেশে এতোই কমে গেছে?

পুলিশকে বন্দুক হাতে দিয়ে আয়ামীলীগের নেতারা গুলি করতে বললেও গুলি করার এবং মানুষটিকে হত্যা করার শেষ সিদ্ধান্তটি কিন্তু ঐ ব্যক্তিটার। সেই পুলিশের কি মানবক বোধ এতোই ভোতা হয়ে গিয়েছিলো যে এমনটা ঘটলো?

এই আয়ামীলীগের কাল্ট সৃস্টির বিষয়টা সমাজবিজ্ঞানীদের গবেষনা করা উচিত নতুবা সামনেও এমন কাল্ট সৃস্টি হতেই পারে।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আওয়ামী লীগ যা করেছে- তা ফিরিয়ে দিলে দেশে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ জনরোষে পড়ার পরও শোধরায়নি, তারই পরিণতি ধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর। কি নির্মম পরিণতি- ১৫ বছরের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোট অধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থ পাচার এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা করে আত্মউপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা না করে, ক্ষমা না চেয়ে আবার বিদেশে বসে এখন আন্দোলনের ডাক দিলে আর কি পরিণতি হতে পারে? ওদের আচরণের পরিবর্তন না হলে আমজনতা ওদের নির্মূল করতে বাধ্য হবে।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: সবচেয়ে বড় অন্যায় করেছে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করে। এখন আবার কোনভাবে পাকিস্তানের সাথে মার্জ হয়ে ওদের কবল থেকে দেশ উদ্ধার করা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

এ পথের পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
সত্য তুলে আনার জন্য ।
আম্লিকের যদি অনুশোচনা বোধ না হয় তাহলে আমাদের উচিত তারা আমাদের সাথে যে ব্যবহার করেছে তাদের তেমন ব্যবহার ফিরিয়ে দেয়া ।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

আদিত্য ০১ বলেছেন: জুলুম নয়, আওয়ামীলীগের সাথে যা করছে তাও ফেরত দিবে আওয়ামীলীগ। আপনি তখন ব্লগে বসে লিখবেন আওয়ামীলীগ খুব খারাপ।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



প্রতিশোধ গ্রহণ করা উচিৎ আইনের মাধ্যমে।

তবে, আওয়ামী লীগ আইনের বাইরেও অনেক কিছু ঘটিয়েছে। আমি ঠিক জানি না কিভাবে এর প্রতিশোধ নিতে হয়।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপির অনেক নেতা কর্মী আওয়ামীলীগের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।
তারা বুক ফুলিয়ে দেশে ফিরেছে।

কারাগার থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাড়া পেয়েছে। সব মিলিয়ে বিএনপির পোয়া বারো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.