নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কাছে জীবন মানে ক্ষণিক সুখে অপরকে ভুল না বোঝা।

অসিত কর্মকার সুজন

আমার আকাশে আমি ধ্রুবতারা।

অসিত কর্মকার সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধুসূদনের জন্মভিটা হতে

১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৯






কিছুদিন আগে খুলনা গিয়েছিলাম বেড়াতে । সেখান থেকে হঠাৎ একদিন ঘুরে এলাম ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার "মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভিটা থেকে। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে অবস্থিত এই সাহিত্যিকের জন্মভিটা ।

ক্ষীণ হয়ে যাওয়া কবির সেই কপোতাক্ষ



কবির প্রসুতিস্থল




ঠাকুর দালান



দুর্গা মন্দিরে আজো দুর্গাপুজা হয়





১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি শনিবার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী গ্রামের এই বাড়িতেই জন্ম নেন কবি। তিনি ধনাঢ্য পরিবারের অধিকারী ছিলেন । তার শৈশবও এখানেই কাটে । এখানে রয়েছে তার ব্যবহার করা কয়েকটি ভবন, পুকুরঘাট এবং কবির নানা স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র যা নিয়ে বর্তমানে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে । যশোর শহর থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার।

মধু পল্লী গ্রন্থাগার



কাচারি ঘরের সামনের অংশ




১৮৩০ সালে এই বাড়ী ছেড়ে কলকাতার খিদিরপুর চলে যান তিনি। ১৮৬২ সালে কলকাতায় থাকাকালীন সময়ে তার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে স্ত্রী-পুত্র -কন্যাকে নিয়ে নদীপথে আবার আসেন সাগরদাঁড়িতে । যখন তিনি সপরিবারে এখানে এসেছিলেন তখন ধর্ম পরিবর্তনের কারনে জ্ঞাতিরা তাঁকে এই বাড়িতে উঠতে দেননি । পরে তিনি কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী এক কাঠবাদাম গাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে ১৪ দিন অবস্থান করেছিলেন । পরে বিফল মনে সেখান থেকেই কলকাতায় চলে আসেন । এর পর কোনোদিন তিনি আর এ বাড়িতে ফিরে আসেন নি।

কবির বংশ পরিচয় ও সংক্ষিপ্ত জীবনী





বর্তমানে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় কবির স্মৃতি নিদর্শন এবং আলোকচিত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি জাদুঘর । বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংস্কার করা এই দোতলা বাড়িটিতে রয়েছে মোট ছয়টি কক্ষ । এর মধ্যে উপরে রয়েছে তিনটি এবং নিচে রয়েছে তিনটি কক্ষ । নিচতলায় রয়েছে কবি পরিবারের একটি মন্দির আর মধুসূদন জাদুঘর । জাদুঘরে আছে কবির ব্যবহার করা খাট, চেয়ার ও আলমারি । এর পাশে রয়েছে একটি ছোট পাঠাগার । এই ভবনের একদম উত্তরদিকে আছে ছাদহীন-দেয়াল ঘেরা একটি অসাধারন নির্মাণশৈলীর একটি কক্ষ । এই কক্ষেরই কোণার দিকে রয়েছে তুলসী গাছ


কবির লিখা কিছু কথামালা




















মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর বাড়ির প্রবেশ পথের সামনে রয়েছে ১৯৮৪ সালের শিল্পী বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাসের নির্মিত কবি মধুসূদন দত্তের একটি ভাস্কর্য



হঠাৎ চোখে পরলো কবি বাড়ির পিছনের পুকুরের গাছে একটি কাঠঠোকরা



হয়তো দীঘির এই ঘাটে বসেই কিছু সময় একান্তে থাকতেন কবি


দীঘির জলে শাপলা শালুক


বিকেলের কপোতাক্ষে সূর্যের খেলা


কবির বাড়ি ঘুরে বের হয়ে আসার সময় ফুসকা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে খেয়ে নিলাম । বিশ টাকা প্লেট মাত্র ।ফুসকার খোল গুলো খুব মচমুচে ।এগুলো কলকাতা থেকে আনা হয় , ফুসকাওয়ালা তাই বললো।


কপোতাক্ষের তীরে নৌকা দুটি যেনো আজো কবির অপেক্ষায়


মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ; প্রিয় কবির জন্মস্হানের, ঘরের, বাহিরের এত ছবি ও তথ্য দেয়ার জন্য।

১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্লগ পোষ্টটি ঘুরে যাবার জন্য ।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলি সুন্দর হয়েছে। আমার বাড়ি যশোরে কিন্তু আজ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । সময় করে ঘুরে আসতে পারেন ভালো লাগবে ।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

রাতু০১ বলেছেন: সুন্দর ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট ঘুরে যাবার জন্য ।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: সনেটের গুরুর কথা মনে পড়ল ছবি গুলো দেখে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পোষ্টটি ঘুরে যাবার জন্যে ।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট । বাংলাদেশে জন্ম নেয়া তিনিই সর্বশেষ্ঠ কবি। তিনি ছিলেন যুগপ্রবর্তনকারী কবি । মেঘনাদ বদ বাংলা সাহিত্যে তথা বিশ্বসাহিত্যাঙ্গণে সেরার দাবী নিয়ে চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে । বাংলা সনেটের স্বার্থক কারিগর তিনি।

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছেন আপনি । ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। কোন দিন যাইনি। আপনার কল্যাণে দেখা হয়ে গেল।

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: সময় করে ঘুরে আসতে পারেন । ভালো লাগবে ।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনার চোখে দেখে নিলাম প্রিয় কবির জন্মভিটা। ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.