নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেরে লুকোতেই এখানে আসা.......

_আতাহার

ঐ রকম কিছুই নাই আমার। থাকার মধ্যে আসমানীটা ছিল। ছিল- বলতে এখন যে নেই তা না। এখনো আছে। আমার আসমানী আগে অল্প ক্লাসে পড়তো বলে ফ্রক পড়তো। আমার সাধ্যের মধ্যে থাকলে ওকে অন্য কিছু আর পড়তেই দিতাম না, পড়লেই ও বড় হয়ে যাবে। বড় হলে আমি আর ওরে নিয়ে লিখতে পারবোনা জানি!

_আতাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোষা আমারই, (কষ্ট সামলাতে না পেরে হয়তো দোষ দিবো, তাতে কিছু মনে করবিনা)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৩

প্রথম থেকেই বলি, মজা পাবি।

মজিদ বাড়িতে গেছিলো ঈদের ১০ দিন আগে। তখন থেকেই আমার ভয়। ও গিয়েইতো তোর সাথে দেখা করবে, তারপর আমাকে পোনোর জন্য এটা বলবে সেটা বলবে, এটা দেখেছে, ওটা দেখেছে, বোঝইতো। আমি খুব ভয়ে ছিলাম। আমি ডরে ওর ফোন দিতাম না। দিলেই কিনা তোর কথা বলে। হঠাৎ হাসিওয়ালা ছেলেটা ফোন দিয়ে বলে, ও নাকি তোর সাথে তোর আত্মীয়ের বাসায়। এই নিউসের পর থেকে টানা ৫/৭ ঘন্টা কি যে ভয়ে কাটছে তুই জানোনা। আমি ওরে ফোন দেইনা, দেই না তো দেইনা। যখন দিলাম তখন খুব ভয়ে ছিলাম। আল্লাহর রহমতে এই দিনে ও তোর সম্পর্কে তেমন কিছুই বলেনি।

ঘটনা হলো পরে দিন। ক্বদরের রাতে। ১২ টা বাজে। আমি কুরআন পড়তেছিলাম। হঠাৎ ও ফোন দিল, পড়া শেষ করে ও ফোন রিসিভ করলাম। ব্যাস এরপর ২ দিন্ েআর হুশ ফিরলোনা। হেভী মজার কাহিনী, শোন, ও ফোন করে বলল, ও নাকি তোর মোবাইল ফোন নিয়ে ঘেটে ঘুটে দেখেছে। কিসব কিসব দুস্ট ছেলেদের ছবি, ভিডিও পাইছে। আমি কই, শালা ও টা তোর ওর বর ওরে দেখাইছে, ওর দোষ কি? তুইতো তোর ব্উরে নিয়ে এর থেকেও জটিল কিছু দেখবি। আমিও কি বইসা থাকমু? এরপর হইলো কি শোন,্ প্রথম থেকেই ওর হাত পা ধরাধরি করি, বলি, দোস্ত, তুই যা দেখছো দেখছো, আমারে কইস না, তোর পায়ে ধরি, ও আছে কেমন? শুকাইছে না মোটা হইছে- এটাই এনাফ, আর কিছু কইস না। ও বলল, শুধু একটা কথা কই আর না। বললাম ক, । ও কয়, দোস্ত ও কত রোমান্টিক হইছে জানো? বলি ক্যান, বলে, ওর ম্যাসেজ এর সেন্ট আইটেমে এ খুব রোমান্টিক একটা এসএমএস পাইলাম। ও শুধু এইটা বলছে, আমার হাত পা কাপাকাপি শুরু হইছে। চিন্তা কর আমি কত বড় বলদ। বলি কি লিখছে? ও বলে, ’ তেমন কিছুনা, ’’ একটু ফোন দিবা”, একটা কল দাওনা!’’- এটুকুই দেখছি।



আসমানী, আমি বেশ হাসলাম, কইলাম, শালা, স্বামীরে এইটুকু বলছে, তাতে আর কি? এম্নিতেই বিদেশ থাকে, একা একা ভালো লাগেনা, তাছাড়া ও বেশ মায়াবতী, ভাইরে খুব মিস করে বলেই লিখছে।’’



কোনমতে ফোনটা রেখে পানি খেতে গেলাম।



আর ইবাদত করতে পারি নাই। আমার বুকের মধ্যে কি পরিমান বীট শুরু হইছে তোরে বলতে পারবোনা। আমার আসমানীর মধ্যে আর একটা মানুষের জন্য ব্যকুলতা শুরু হয়ে গেছে। সে ব্যাকুল হয়ে থাকে ডাকছে। এই ব্যাকুলতা বুক ভর্তি ভালোবাসা চিরে ম্যাসেস হয়ে আর এক প্রান্তে চলে যাচ্ছে। অথব, দ্যাখ, খোদার কি একটা রহমত, আমি দীর্ঘ ৩ বছরে, কখনো আমার আগে থেকে তোর মধ্যে থেকে এরকম একটা এসএমএস আসছে? আসছে, আমি দিয়েছি, আমার ঋন শোধে তারপরে তুই দিয়েছিস। তোর ফোনে এসএমএস দিয়ে রাখতাম, কখন তুই ফোন খুলবি, যেই ডেলিভারী রিপোর্ট আসতো, অমনি ফোন দিতাম। বলতাম, জরুরী একটা কাজে ফোন দিছি, এখন মনে আসছেনা। এম্নিতে দুমিনিট কথা বলবি?



আমার চালাকি ধরতে পারতি। বুঝতে পারতি আমার ভালোবাসা। কথা বলতি। কিন্তু আমারও কি মন চাইতো না যে, আমিও টের পাই এরকম করে আমাকে কেউ ভালোবাসুক? আমাকে ভাবতে ভাবতে বাড়ির রোড ভুলে মোড় ঘুরে আবার বাড়ি বাড়ি ফিরুক?



পরের দিন আমার ইন্টারভিউ। বরাতের রাতে ফোন করে আমাকে সালাম দিলি, বিষয়টা ইয়ার্কির মতো মনে হল। আমি তোর সাথে যেমন করে কথা বলি তাতে সালাম দেয়া যায়না। হয়তো তুই না বুঝে করেছ্সি। ঐ রাতেও আমি ওর পর আর নামাজ পড়তে পারিনি। ক্বদরের রাতে আর পড়তে পারিনি। শুয়ে পড়লাম। ১ বাজে, ২ টা বাজে, টের পাই। রাগ করে মিরাজরে গালাগালি করে এসএমএস দিলাম। আমার মাথা থেকে লাইন দুুটো সরাতেই পারছিনা। ৩.২০ পর্যন্ত খেয়াল আছে। এরপর ৪ টায় সেহরি খেতে উঠি। আর ঘুমাইনি। পরের দিনে ইন্টারভিউর টেনশন একদম ছিলোনা, ছিলো-ঐ লাইন দুটে।

দ্যাখ আসমানী, কি বোকা আমি! সে তোর সব। তোর সন্তানের বাবা, তুই তার স্ত্রী, তুইতে তাকে অনেকভাবে অনেক আদর করবি, এটা লিখবি, ওটা লিখবি.কত্ত আদর দিবি.....





আমি দুনিয়ার একটা গাধা মানুষ। এটা আমি মানতেই পারিনা। যে মানুষটা বলে যে, ”সে আমার ছিল, আমারই থাকবে, সে আর একটা মানুষরে এইরকম করে কিভাবে ভালোবাসে?’’ (এমন লাইন দেখে হাসি পায়? হাস, ১০০ বার পাবে। কিন্তু একটা ব্যাপার কি, আমি তোর এসএমএস এর রিপলাই পাইতাম না, বলতি এসএমএস দেয়া অফ করে দিছো। তাই আর রিপলাই দাওনা। হঠাৎ মিরাজের মুখে এসএমএস টার কথা শুনে তাই হয়তো ধাক্কার মতো লাগছে। পরে ভাবলাম, তুইতো হয়তো মিথ্যা বলোস নাই, এস এমএস দেওয়া হয় তবে বাইরের কাউরে আর দেয়া হয়না বলে আমার রিপলাইও আসেনা)।

আসলে আমার ছোট মন তাই ভালোবাসাও ছোট। বড় মনের খবর আমি জানবো কি করে!





আমি লোক ভালোনা-এটা এখন স্পষ্ট। ভালো হলে নিজেই বলতাম, ভাইর জন্য এটা করবি, ওটা করবি, তার কি ভালো কি মন্দ তার খোঁজ নিবি, আজকে কত কষ্ট হলো তা জানবি, ভালোবাসার আরও যত নিয়ম আছে তার প্রয়োগ করবি। সেই সব না বলে তোর বুকের মধ্যে জমে থাকা ভালোবাসার হিসাব নেই কড়ায় গন্ডায়!! ভেবে মনে হয় ওটা আমার কবলা করা সম্পত্তি!





ব্যাপারনা, হয়তো আস্তে আস্তে সব মেনে নেব। প্রতিদিন ডিসিশন নেই, সব মেনে চুপচাপ বাকী দিনটা পার করে দিব। আমার ভুল গুলোও আমি টের পাই, ভাবি, আমি যদি আগে চলে যেতাম, চলে গিয়ে আমার বউয়ের দুঠোট চেপে আদর করতাম তখন কি আর আসমানীর বুক ভরা কস্টের কথা খেয়াল আসতো? আমি কি বুঝতে পারতাম আসমানী এসব ভেবে কতবার লক্ষে অলক্ষে চোখ মুছছে? কষ্টে ওর কলজের রংটা কি পরিমান নীল হইছে?







আর ভালোলাগে না ভালোবাসা। ঘেন্না আসে মাঝে মাঝে।! এই দোষ ওর-ও না আমারও না, দোষ যা ভালোবাসার!



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.