![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফরমালিন বিষয়ক কিছু ইনফরমাল তথ্য:আগে এনটিভির আজকের(১৮-০৬-১৪) রিপোর্ট দেখুন
“প্রচলিত শনাক্তকরনের প্রক্রিয়ায় ফরমালিনের আসল চিত্র উঠে আসছে কিনা এনিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই সন্দিহান। তাদের অনেকে আবার এও মনে করছেন, খুচরা বাজারে ফরমালিন বিক্রি নিষিদ্ধ না করে কেবল অভিযান চালিয়ে এটি নির্মূল করা সম্ভব নয়। ফরমালিন নামটি প্রচলিত হলেও এটি বিশেষজ্ঞদের কাছে বেশী পরিচিত ফরমালডিহাইড নামে। এবছর ভেজাল বিরোধী অভিযানে ফরমালিন মাছের চেয়ে অনেক বেশী পাওয়া যাচ্ছে ফল এবং সবজিতে। অথচ বিজ্ঞান বলছে প্রোটিনের কারনে মাছের মত প্রানীতে ফরমালিন প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করলেও তা ফলে বা সবজিতে কাজ করার কথা না। সরকারী সংস্থা বিএসটিআই মূলত ফলে বা সবজিতে ফরমালিন শনাক্তকরনের কাজটি করে থাকে। অভিযান চলাকালে তাতক্ষনিক পরীক্ষায় একধরনের সংকেত পেলেই বিএসটিআই নিশ্চিত হয় ফরমালিন আছে কি নেই। কিন্তু কথা উঠেছে ফলে বা সবজিতে অন্য কোন উপাদান থাকলেও ঐ সংকেত দিতে পারে। আবার বিজ্ঞান এও বলছে ফলে প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফরমালিন থাকে। এই অবস্থায় বিএসটিআই ফলে যে ফরমালিন শনাক্ত করছে তা মানুষের দেয়া না প্রাকৃতিক সেই বিষয়টি সম্পর্কে তারা কতটা নিশ্চিত,তবে বাতাসে ফরমালিন শনাক্তকরনে মতস্য অধিদ্প্তর যে মেশিন এনেছে সে বেপারে কর্মকর্তারা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ফরমালিনের একটি বৈশিষ্ট হল এটি যদি ফলে বা অন্যকিছুতে দেয়া হয় তবে তা খুব দ্রুত বাতাসে হারিয়ে যায়। এই অবস্থায় ফলের কাছের বাতাসে ঐ মেশিন যে ফরমালিন পাচ্ছে সেটাইবা কতটা সঠিক তা নিয়েও অনেকেই আপত্তি করছেন। ফরমালিন শনাক্তকরনের প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান তারা এও বলছেন ফরমালিনের চিত্রটি যদি বাস্তবে আরো ভয়াবহও হয়ে থাকে তবে তা এই প্রক্রিয়ায় উঠে আসবেনা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মত যৌক্তিক কিছু কারনে ফরমালিনের ব্যবহার এতটাই সীমিত যে এক্ষেত্রে ব্যবহারীরা অনুমোদন নিয়ে আমদানী করে চাহিদা মেটাতে পারেন। তাসত্ত্বেও কেন খুচরা বাজারে ফরমালিন কেনাবেচা নিষিদ্ধ না করে কেবল বাজারে ফরমালিন খোজা হচ্ছে তা নিয়েও তৈরী হয়েছে বিতর্ক।” লিংক এখানে
আগের বিভিন্ন নিউজের সুত্র ধরে আমার কিছু কথা?
১।ফরমালিন তথা ফরমাল ডিহাইট বিক্রিয়া করে প্রোটিনের সাথে তার মানে এটা মাছের পছন রোধ করে। তাহলে সেটা সুগার, ওয়াটার এবং শর্করা সমৃদ্ধ ফলে প্রয়োগে লাভটা কি? কেন এই ব্যাপারে সচেতনাতা কার্যক্রম নেই?
২) বিভিন্ন ভাবে প্রমাণীত হয়েছে যে ফরমালিন সনাক্তের যন্ত্রটিতে(সম্ভবত থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত) কাঁচা আম দিলেও সে ফরমালিন সনাক্তের রিডিং করে। এবং এই যন্ত্রটি মুলত ফলের আশে পাশের বাতাসকে ইভালুয়েট করে। তার মানে যন্ত্রটি কেবল মাত্র ফলে বা মাছে থাকা ফরমাল ডিহাইডকেই কেবল সনাক্ত করে না সেটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ভাবে থাকা ফরমালিনকেও রিড়িং এ নিয়ে আসে।
৩)আমেরিকাতে বেশীর ভাগ ফল যায় আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে। কলা গুলা এক ধরণের গ্যাস দিয়ে পাকানো হয়। পলিথিনে ভরে সেখানে চিপসের প্যাকেটের মত গ্যাস ভরে তার পর মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়াও তারা বেশীর ভাগ প্যাকেট জাত খাবারের উপর নির্ভরশীল যেমন টিন জাত মাছ, প্যাকেট জাত মুরগী/মাংস ইত্যাদি যে গুলাতে প্রিজারভেটিভ অবশ্যই দেয়া হয়। কিন্তু সে সব বিষয়ে তেমন আলোচনা আসে না কেন?
৪) ফরমালিন বিষয়ে আলোচনা হয় কিন্তু এনার্জি ড্রিংকের নামে কি বিক্রী হচ্ছে দেশে? সেটাতো একদিনে বন্ধ করা যায় অথবা এই সব কোম্পানীর দেয়া এড গুলাও বন্ধ করা যায় । আরো একটি রিলেটেড রিপোর্ট: এনটিভি
বাজারের পরিচিত বেশ কয়েকটি এনার্জি ড্রিংকের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা একদিক থেকে যেমন নেশা তৈরী করতে পারে, অন্যদিকে সৃষ্টি করতে পারে ক্যানসারের মত জটিল সব রোগ। এনার্জি ড্রিংক নিয়ে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে সরকারী ল্যাবের পরীক্ষায় উঠে এসেছে এসব বিষয় । বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী মারুফ। পথের ক্লান্তি দূর করতে তিনি বেছে নিলেন বাজারের পরিচিত ব্র্যান্ডের একটি এনার্জি ড্রিংক। তবে কেবল ক্লান্তি দুর করতে নয়, তার ধারনা আরো কিছু ক্ষেত্রেও এটি কাজে লাগে। বিশেষজ্ঞদের এসব এনার্জি ড্রিংকে এমন কিছু উপাদান আছে যা সত্যিকারের এনার্জি দিতে না পারলেও একধরনের নির্ভরশীলতা তৈরী করে। সেই উপাদানগুলো আসলে কি সেটা জানার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটকে দায়িত্ব দেয় এসব পানীয় পরীক্ষা করার জন্য। বাজারের পরিচিত সাতটি কোম্পানির এনার্জি ড্রিংক পরীক্ষার করার পর দেখা গেলো এখানে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন রয়েছে যা কৃত্রিমভাবে এক ধরনের উদ্দীপনা তৈরী করে। ক্যাফেইনে সাধারন মাত্রা যেখানে প্রতি লিটারে ৩০০ মিলিগ্রাম সেখানে কোম্পানিভেদে বিভিন্ন এনার্জি ডিংকে পাওয়া গেছে ৩৫০ থেকে ৫০৬ মিলিগ্রাম পর্যন্ত। সরকারী ঐ ল্যাব পরীক্ষায় দুটি এনার্জি ড্রিংকসে প্রিজারভেটিভ- সোডিয়াম বেনজয়েট পাওয়া গেছে ভয়ংকর মাত্রায় । সোডিয়াম বেনজয়েটের স্বাভাবিক মাত্রা যেখানে প্রতি লিটারে ১৫০ মিলিগ্রাম সেখানে জিনসিং এনার্জি ড্রিংকে পাওয়া গেছে ৪৮৩১ মিলিগ্রাম এবং ফিলিং এনার্জি ড্রিংকে পাওয়া গেছে ২০৪১ মিলিগ্রাম। এসব এনার্জি ড্রিংকসের বোতলের গায়ে যেখানে চিনির কথা লেখা আছে সেখানে প্রতিটির মধ্যেই চিনির পরিবর্তে পাওয়া গেছে স্যাকারিন। প্রতি লিটারে মাত্র ৫ মিলিগ্রাম স্যাকারিন যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা সেখানে এক জিনসিং এর মধ্যেই পাওয়া গেছে ১৪৬৫ মিলিগ্রাম স্যাকারিন। চারটি কোম্পানির এনার্জি ড্রিংকে পাওয়া গেছে ১.৫৯ শতাংশ থেকে ১.৬৩ শতাংশ মাত্রার এ্যালকোহল, যার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর উতস্য প্রাকৃতিক না কৃত্রিম তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার ।
আমার মনে হচ্ছে ফরমালিন নিয়ে আমাদের দেশে ব্যাপক সমীক্ষা এবং পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো হয়নি। ফরমালিন বিষয়ক কার্যক্রম গুলা যারা পরিচালনা করছেন তারাও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আম/লিচু গুলা নালায় ফেলে দেয়ার মাধ্যমে তাদের সর্বসান্ত করে লাভ কি ? আর ঢাকার মানুষকেই কেবল ফরমালিন মুক্ত রাখলেই কি চলবে? ডিএমপির লোক দেখানো অদক্ষ কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। আসলেই ফলে ফরমালিন প্রয়োগ হয় না অন্য কিছু প্রয়োগ করা হয় সে সব নিয়ে ভালো পরীক্ষা চালানো হয়নি।
[email protected]
২| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
রওনক বলেছেন: বিষয় টা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
+ ও প্রিয়তে।
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২২
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
প্রতিবাদী আর যুক্তিবাদি বলেছেন: ফলে ফরমালিন কাজ করে না এইটা কোন গাধা বিশেষজ্ঞ আপনাকে বলছে? নাকি আপনি ফলের ব্যবসা করে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
বেগুনী ক্রেয়ন বলেছেন: এমন আরো লেখা চাই