নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বর্তমান যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে করে বলা যায় এই পৃথিবী এমন করে আর বেশী দিন চলতে পারে না। সর্বক্ষেত্রে অনৈক্য, বিভেদ আর বিভাজন। দেশে দেশে যুদ্ধ, জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ, আবার একটা দেশের ভেতর বিভিন্ন রাজনৈতিক তরিকায় ভাগ, হানাহানি, ধর্মে ধর্মে ভাগ, আবার ধর্মের ভেতরেও বহুভাগ, মাযহাব, ফেরকা। আর এই বিভক্তি টেনে আনছে সংঘাত আর সংঘর্ষ। এই সংঘাত-সংঘর্ষ আর রক্তপাতের পরিমাণ দিন দিন যে হারে বাড়ছে তাতে করে আগামী দিনের কথা চিন্তা করে সুস্থ মানুষ পাগল হওয়ার উপক্রম। আগের দিনেও যে এই সংঘাত সংঘর্ষ ছিলো না তা নয়। তবে তা একটা সীমিত পরিধির মধ্যে ব্যাপৃত ছিলো। আজকে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী একটা ছোট গ্রামের মতো হয়ে গেছে। কোন একটা হাঙ্গামা শুরু হলে তা আর নির্র্দ্দিষ্ট পরিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। মুুহুর্তের মধ্যে তা সারা দুুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। আগের দিনে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হতো। যুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকতো রাজাদের সৈন্যদের মধ্যে। প্রজাদের উপর তার প্রভাব পড়তো খুব কমই। সিংহাসন নিয়ে লড়াই? এক রাজা গেলো তো আরেক রাজা এলো। রাজার কাজ রাজা করতেন প্রজার কাজ প্রজা করতেন। কিন্তু আজকের দিনে একটা যুদ্ধ মানে গোটা পৃথিবীকে সাংঘাতিকভাবে কাঁপিয়ে তোলা, ব্যাপক প্রাণহানী আর ধ্বংসযজ্ঞ। খুব ছোট্ট একলাইনের একটা পরিসংখ্যান দিয়েই এ প্রমাণ করা যায়। শুধুমাত্র গত শতাব্দীতে যুদ্ধের কারণে যে সংখ্যক প্রাণহানি আর ধ্বংসযজ্ঞ সাধিত হয়েছে তা মানব ইতিহাসের জানা অধ্যায়ের হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞের মোট পরিমানের সংখ্যার সমান। আর মানুষের প্রযুক্তিগত সাফল্যের মাধ্যমে আবি®কৃত ভয়াবহ যুদ্ধাস্ত্র, যা একসাথে ধ্বংস করে দেয় বিশাল এলাকা। বাদ যায় না নিরীহ কোন নিরস্ত্র মানুষ, শিশু-কিশোর, যুবক যুবতী অথবা যুদ্ধাক্ষম অচল কোন নর-নারীও। এর আওতা থেকে বাদ যায় না হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা, সীনাগগ কোন কিছুই। অন্যদিকে বিভেদ আর অনৈক্য, বিভেদ, বিভাজন এমন ধারায় বেড়ে গিয়ে যুদ্ধায়াজোন যে হারে চলছে তাতে করে ভবিষ্যত পৃথিবী সুন্দরভাবে চলার মতো আশাব্যঞ্জক কোন পথ দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং ভয়াবহ সংঘাত অত্যাসন্ন। কিন্তু বাঁচার একটা না একটা পথ মানুষকে বের করতেই হবে। কেননা এই অবস্থার স্রষ্টা ভীনগ্রহের কোন প্রাণী নয়, এই গ্রহের মানুষেরই সৃষ্টি। তাই শ্বাসরুদ্ধকর এই নারকীয় অবস্থার মধ্যে বেশী দিন বাঁচা যাবে না। হ্যাঁ, এই কথা পরিষ্কার যে-কেউ ভবিষ্যতের নারকীয় এই পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন না। আপনি যে-ই হোন না কেন- হোন আপনি বড় কোন দেশের প্রতাপশালী শাসক, হোন ছোট কোন দেশের শাসক, কোন দেশের সরকারী দলের বড় কোন নেতা, কিংবা বিরোধী দলের তুখোর কোন বিপ্লবী, হোন আপনি দেশের বড় কোন দাপুটে উপদেষ্টা অথবা আমলা, হোন আপনি কোন সেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ জেনারেল, বড় কোন মাল্টিমিলিয়নার কর্পোরেট বিজনেস ম্যাগনেট, হোন আপনি কোন ধর্মবেত্তা, কোন ধর্মের পুরোহিত বা আলেম অথবা মুয়াজ্জিন, না হয় আপনি কোন মসজিদের খাদেম, অথবা না হয় আপনি কোন মন্দিরে আছেন, গীর্জায় আছেন, সিনাগগে আছেন- যে যেখানেই আছেন, সবার জন্য এই একই কথা প্রযোজ্য। আমি আশা করি কোন মানুষ আমার এই কথাকে অস্বীকার করতে পারবেন না, যদি অন্ধ না হন। এও আশা করি যে আপনি নিশ্চয় মনে করবেন না যে আমি কোন মিথ্যা জুজুর ভয় দেখাচ্ছি কিংবা এর পেছনে আমার ব্যাক্তিগত কোন স্বার্থ নিহিত আছে। কেননা আপনি নিজেই দেখতে পাচ্ছেন যে সরকারের কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষকও আজ নিরাপদ নেই, ব্যাংকে টাকা পয়সা রেখেও কেউ নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না এই জন্য যে তার লগ্নিকৃত টাকা নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে পারবেন তো- এই দুশ্চিন্তায়, স্কুল কলেজে আপনার সন্তানকে পাঠাচ্ছেন আর দুশ্চিন্তা করছেন- নিরাপদে বাড়ি ফিরবে তো, বের হচ্ছেন জীবন জীবিকার তাগিদে-অফিস আদালতে- অন্যদিকে আপনার বাবা মা স্ত্রী সন্তান দুশ্চিন্তায় আছেন- নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন তো? ঘনঘন ফোন আসছে এখনো বেঁচে আছেন কিনা জানতে। একজন কৃষক ভয়াবহ আতঙ্কে থাকেন রক্ত পানি করা পরিশ্রমে ফলানো কৃষি পন্য ঠিকমত বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাবেন তো? নাকি আবার ফড়িয়া, দালাল আর মজুদদারের খপ্পড়ে পড়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হয়! শাসন ক্ষমতায় যারা আছেন তারাও আপনার আমার চাইতে বেশী দুশ্চিন্তায় আছেন- ঠিকমতো মেয়াদ পার করতে পারবেন তো? নাকি আবার এক হেঁচকা টানে কখন গদি থেকে নামিয়ে দেয় আর শতাধিক মামলা লাগিয়ে জেলখানা নামক শ্বশুর বাড়িতে স্থায়ী ঠিকানা করে দেয়! একজন মসজিদের ইমাম-তিনিও আজ দুশ্চিন্তায় আছেন কখন না আবার পুলিসের হাতে গ্রেফতার হন। কারণ ইতিমধ্যে এই দেশে সেই পরিস্থিতি তৈরী হয়ে গেছে। খুৎবায় তিনি সতর্ক ও সাবধান থাকেন কখন না আবার রাজনৈতিক কথা এসে যায়। কেননা ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থা-যেখানে ধর্ম থেকে রাজনীতি আলাদা করা কষ্টকর। তাকে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হয় শাসকের রোষাণল এড়াতে। সিস্টেমের ফাঁদে পড়ে আজ যারা বেআইনি কাজ করছেন তারা ঘরে ভালো মতো ঘুমাতে পারেন না এই ভয়ে যে, কখন না আবার পুলিস এসে ধরে নিয়ে যায়। অন্যদিকে পুলিসও আতঙ্কে আছে আইন অমান্যকারীরা কখন না আবার এমন সাংঘাতিক কোন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে যার দরুণ তার সাধের চাকরিখান চলে যায়, অথবা ঐ বিপথগামী সন্ত্রাসী বা হরতাল পালনকারী হিংস্র পিকেটারের পিটুনি খেয়ে পৈতৃক প্রাণটাকেও ত্যাগ করতে হয়। কোন গার্মেন্টের মালিক আতঙ্কে থাকে কখন না আবার শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে কারখানা জ্বালিয়ে দেয়, আবার শ্রমিকরা আতঙ্কে থাকে কখন কারখানা বন্ধ করে বেতন না দিয়ে মালিক উধাও হয়ে যায়! মাল্টিপারপাস কোম্পানীর গ্রাহকরা আতঙ্কে আছেন কখন কোম্পানী হায় হায় অবস্থা হয়ে যায় সব সুদ্ধ নিয়ে! শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে আছেন কখন না আবার কারসাজিতে পড়ে সব হারান (হারানোর আর বাকী অবশ্য নেইও)! এইভাবে এই তালিকা করলে এর শেষ করা যাবে না। সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয়, এমন কোন স্থান নেই, এমন কোন পরিবেশ নেই, এমন কোন ভুখণ্ড নেই যেখানে আজ ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর অবিশ্বাস নেই। এই যে আজ ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর অবিশ্বাস এর শেষ কোথায়? আপনারা নিশ্চয় জানেন, চিকিৎস্যা বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন হৃদরোগ, ডায়াবেটিকসহ বহু রোগের একমাত্র কারণ নাকি দুশ্চিন্তা। সুতরাং যতক্ষণ আপনারা মানসিকভাবে দুশ্চিন্তা মুক্ত না হতে পারবেন- ততক্ষণ আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন না। আর ঝগড়া হবেই। ঘরেও ঝগড়া হবে, বাইরেও ঝগড়া হবে, অফিসে ঝগড়া হবে, সংসদে হবে, মঞ্চে হবে, রাজপথে হবে। গালাগালি হবে, খিস্তি-খেউর হবে। কারণ আপনি শান্তিতে নেই, ঘুম নেই, আপনি উত্তেজিত। আর উত্তেজনা থাকলে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবেই। পৃথিবীর বর্তমান এই করুণ অবস্থা সম্ভবত এইভাবে সর্বব্যাপি, সর্বজনে এমন আতঙ্ক, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর কখনো মানুষের মাঝে একসাথে জন্ম নেয় নি।
যাক, যা বলছিলাম-এই অবস্থা আর চলতে পারে না, আর চলতে দেয়া যায় না। এটা জঙ্গল নয়, আমরা বন্যপ্রাণীও নই, এটা মানুষের বসবাসের স্থান, আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টি জগতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টির দুনিয়া। আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই হবে। আর তা করতে গেলে সবাইকে একটি নির্দ্দিষ্ট কথা বা বিষয়ের ভিত্তির উপর ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কোন প্রকার ভেদাভেদ রাখা যাবে না। আর এই ঐক্যের ভিত্তি হবে এমন এক জিনিস, যা চিরস্থায়ী এবং সবার জন্য প্রযোজ্য। এর ভিত্তি এমন হওয়া যাবে না যা কোন ভাষাগত, গোত্রগত, বর্ণগত, কিংবা ভৌগলিক সীমারেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ মোট কথা- এই ভিত্তির থাকবে না কোন স্থান, কাল ও পাত্রের ব্যাবধান। যদি এই বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করা হয় তাহলে কখনোই কাঙ্খিত শান্তি পাওয়া যাবে না। আমার ব্যাক্তিগত ধারণা, এই সময়ে যদি মানুষের মাঝে কোন নবী রসুল কিংবা কোন ধর্মাবতার আবির্ভূত হতেন, তাহলে তিনি সর্বপ্রথম মানব জাতিকে সর্বপ্রথম ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এই কাজটিই করতে বলতেন। সুতরাং মানবজাতি তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে অবশ্যই আজকের এই সময়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাঁচতেই হবে। সর্বপ্রকার ভেদাভেদকে কবর দিতে হবে। অথবা প্রস্তুত হতে হবে ভয়ানক পরিণতির জন্য। তখন কেউ বাঁচতে পারবে না। অবস্থা এমন দাঁড়াবে যে গ্লাডিয়েটরদের মতো লড়াই করে একজনকে বাঁচতে হলে আরেকজনকে মরতেই হবে। যতক্ষণ ভিন্নমত বা প্রতিদ্বন্দ্বি শক্তি থাকবে ততক্ষণ এই লড়াই চলতেই থাকবে, আর দুনিয়ার রূপ নেবে জাহান্নামের, যেমন বর্তমান অবস্থা, কিংবা তার চেয়েও অধিক। এই দুনিয়ায় কে সাধু, কে দরবেশ, কে প্রধানমন্ত্রি, কে রাষ্ট্রপতি, কে সেনা প্রধান আর কে ছাত্র, কে শিক্ষক, কে ধার্মিক, কে বকধার্মিক, কে আস্তিক, কে নাস্তিক, কে বাম পন্থি আর ডানপন্থি তখন তা আর বিবেচ্য বিষয় হবে না। কথায় আছে নগর পোড়ালে দেবালয় এড়ায় না। ঘরে কিংবা দেবালয়ে নিশ্চিন্তে বাঁচতে চাইলে নগরের আগুন নিয়ন্ত্রন করুণ আগে। আর তা না হলে কারো বাঁচার কোন উপায় নাই। তাই সুদৃঢ় ঐক্য ছাড়া পুরো মানব জাতির বাঁচার আর কোন আশা নাই।
সুতরাং প্রশ্ন আসে- তাহলে সেই ঐক্যের ‘ভিত্তি’টা কি হবে? যেহেতু সকল প্রকার ব্যবস্থা-ই মানুষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ঊীঢ়বৎরসবহঃ) করে ব্যর্থ হয়েছে, যার দরুন আজকের পৃথিবীর এই অবস্থা। একদিকে ব্যর্থ জাতীয়তাবাদ, ব্যর্থ গণতন্ত্র, ব্যর্থ সমাজতন্ত্র, ব্যর্থ রাজতন্ত্র, ব্যর্থ একনায়কতন্ত্র, অন্যদিকে এই ব্যবস্থাগুলোর সার্বভৌমত্বগুলোও পরষ্পর বিরোধী এবং সাংঘর্ষিক। সে-জন্য ব্যবস্থাগুলোর একটার সাথে অন্যটার উপস্থিতি চলতে পারে না। চললেই সংঘর্ষ, যুদ্ধ অনিবার্য্য। তাছাড়া বলতে গেলে এই ব্যবস্থাগুলো মানুষের ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক প্রসূত। মানুষের জ্ঞান এমনই যে তা সাধারণত নিজের মনকেই নিয়ন্ত্রণ করতে জানে না। জানে না এক মুহুর্ত পরেই তার মনে কি পরিবর্তন আসবে। এমতাবস্থায় অদূর ভবিষ্যতে মানুষ সমষ্টিগত জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে কি সমস্যার মুখোমুখি হবে তা জানবে কি করে এবং তার সমাধান দেবে কি করে? তাহলে মানবজাতিকে এই সমস্যার সমাধান কে দিতে পারে তা খুজে বের করতে হবে। তিনি হচ্ছেন মানব জাতিসহ সমস্ত সৃষ্টির স্রষ্টা, একমাত্র মহান আল্লাহ। কারণ, শুধুমাত্র তিনিই জানেন মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কি আইন কানুন, বিধি-বিধান প্রয়োজন হবে। একজন ডাক্তারই জানেন রোগীকে কি ওষুধ দিতে হবে। দুনিয়াবী হিসাবেও আমরা যে ডাক্তার নয় তার কথায় ওষুধ খাই না। তাহলে এ কেমন যুক্তি যে, যিনি স্রষ্টা তার চাইতে ভালো জানবে একজন সৃষ্টি নিজেই, আর সেই হবে তার বিধাতা? আর তাই আল্লাহ তাঁর কোরআনে বলছেন, “ যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? তিনি সূক্ষ্মদশীর্, সম্যক অবগত ( সূরা- মুলক: আয়াত ১৪)।” আবার বলেছেন,“ তোমাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে খুব সামান্যই (সূরা- বনী ইসরাঈল-আয়াত: ৮৫)।” সুতরাং আমাদের সর্বপ্রথম কর্তব্য হচ্ছে সেই মহান স্রষ্টার আদেশ-নির্দেশ কি তা গ্রহণ করে সার্বিক জীবনে বাস্তবায়ন করা। এর বাইরে গেলেই আমাদের উপর আপতিত হবে অশান্তির দাবানল, যেমনটা আজ চলছে। তিনি আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার প্রতিনিধি১ হিসাবে। অতএব আমাদের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে ঐক্যবব্ধ হয়ে তার হুকুম অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করা। আমরা স্রষ্টার প্রতিনিধি এটাই আমাদের প্রধান পরিচয়। এই পরিচয়ে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। আর তাঁরই হুকুম অনুযায়ী ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক জীবন পরিচালনা করার শপথই হচ্ছে তওহীদ, অর্থাৎ আল্লাহর সার্বভৌমত্ব। সুতরাং এই মুহুর্তে মানব জাতির প্রধান কর্তব্য হচ্ছে সেই তৌহিদের ভিত্তিতে নিজেদের একতাবদ্ধ হওয়া। এর বাইরে ডান বাম দিকে তাকানো মানে আত্মহত্যার শামিল। এই বোধ মানবজাতির ভেতর যত তাড়াতাড়ি জাগ্রত হবে মানবজাতির জন্য তা ততই মঙ্গলজনক।
১ প্রতিনিধি: প্রতিনিধি মানে কারো হয়ে কোন কাজ করা। অর্থাৎ একজনের অনুপস্থিতিতে তার হয়ে কাজ করা। ইংরেজীতে বলা হয় জবঢ়ৎবংবহঃধঃরাব আরবীতে ‘খলিফা’। এখানে স্রষ্টার প্রতিনিধি বলতে বোঝায় পৃথিবীতে স্রষ্টা, আল্লাহর দেওয়া বিধি-বিধান অনুযায়ী তার হয়ে এই পৃথিবীকে পরিচালনা করা, (খেলাফত)।
দৈনিক নিউজ
©somewhere in net ltd.