নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃত ইসলামের তুলনায় বর্তমানের বিভ্রান্ত মোসলেম সম্পর্কে মোহাম্মদ আসাদের দৃষ্টিভঙ্গি-দাজ্জাল কি?পর্ব-১

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

মোহাম্মদ আসাদ। পূর্ব নাম লিওপোল্ড ওয়েইস। অস্ট্রিয়ার এক রাব্বী পরিবারে তার জন্ম। ছোট বেলা থেকে বাবার ইচ্ছে ছেলে বড় হয়ে নিজ ধর্মের প্রতি অনুগত থাকবে এবং সেই ধর্মের পুরোহিত হবে। কিন্তু তার সে আশা অপূর্ণই থেকে গেলো। তৎকালীন ইউরোপের সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ম হয়ে গিয়েছিলো এক বিতর্কিত বিষয়। বহুপূর্বেই পার্থিব তথা রাজনৈতিক বিষয়ে খৃস্ট ধর্মের ব্যর্থতার কারণে ধর্মকে সমষ্টিগত জীবন থেকে বাদ দিয়ে ব্যক্তি জীবনের ক্ষুদ্র গণ্ডিতে নির্বাসনে পাঠানো হয়। সমষ্টিগত জীবনে এই ধর্মের কোন ভুমিকা না থাকায় মানুষ পার্থিব ক্ষেত্রে এর কোন নির্দেশনা না পেয়ে এই ধর্মের প্রতি হতাশ হয়ে পড়ে। তরুণদের অধিকাংশই ধর্মকে বর্জন করে। যার দরুণ তাদের মধ্যে একধরণের আত্মিক শুন্যতা দেখা দেয়। তৎকালীন ইউরোপীয়ান সভ্যতায় জন্ম নেয়া তরুন লিওপোল্ডও এর বাইরে ছিলেন না। কিন্তু তার মন ছিলো সর্বদাই সত্য সন্ধানী। ইহুদী ধর্মের একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ মহান আল্লাহ শুধুমাত্র ইহুদীদের স্বার্থ রক্ষা কোরে যাবেন এই এক পেশে দৃষ্টিভঙ্গি তাকে সন্দেহ প্রবণ করে তোলে। স্রষ্টা অন্য জাতির জন্য নন। তিনি একতরফাভাবে শুধুমাত্র ইহুদীদের ভাগ্যকে প্রসন্ন করার মানসে নিয়োজিত। এই চিন্তা তাকে ইহুদী ধর্ম সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। অতপর তার আর রাব্বী হয়ে ওঠা হয়নি।

ইউরোপীয়দের জীবনধারা তাকে অবাক করে। তারা ভোগ বিলাস কোরছে, টাকা পয়সা, কল কারখানার মালিক হচ্ছে, ভাল পোশাক পড়ছে, কিন্তু তাদের আত্মায় শান্তি নেই। মনে হয় তাদের মাঝে সর্বদা একধরনের আতংক, উদ্বেগ এবং কষ্ট বিরাজ করছে। তিনি তাদের এই হতাশার কারণ বুঝে উঠতে পারেন নি। ভাগ্রক্রমে তিনি একবার মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ করার সুযোগ পান। সেখানে তিনি ইসলাম এবং মুসলিমদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পান। তাদের সহজ সরল জীবনাচরণ দেখে তিনি উপলদ্ধি কোরতে পারেন ইউরোপিয়ানদের আত্মিক শুন্যতার কারণ কি এবং এ থেকে মুক্তির উপায় কি। বিখ্যাত এক সংবাদপত্রের রিপোর্টার হওয়ার সুবাদে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অঞ্চল সফর করার সুযোগ পান এবং ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানতে পারেন। ব্যাপক চিন্তা এবং গবেষনার পর অবশেষে তিনি সিদ্ধান্তে পৌছেন তাকে ইসলাম কবুল করতে হবে। মনে রাখতে হবে ঐ সময়ে তার ইসলাম গ্রহণ আর সাধারণ আট দশজনের ইসলাম গ্রহন করার মত সাধারণ ঘটনা ছিলো না। আবেগের বশে নয়, সম্পূর্ণ সজাগ এবং সচেতনভাবে তিনি ইসলামকে কবুল করেন। তিনি একজন বহুভাষাবিদ এবং পণ্ডিত ব্যাক্তি ছিলেন। ইসলাম সম্পর্কে তার ধারণা অন্য যে কোন মুসলিমের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তার সমকালীন ইসলামী ব্যাক্তিগনও তার এই প্রজ্ঞা ও জ্ঞানকে সমীহ করতে বাধ্য হতেন। তার সম্মান সম্বন্ধে সমকালীন পণ্ডিত ও সম্মানিত ব্যাক্তিগণ অবগত ছিলেন। এমন কি বর্তমান সময়েও ইসলামী জগতে তার যথেষ্ট মর্যাদা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাযাবরের মতো দিন অতিবাহিত করেছেন। পুরো মধ্যপ্রাচ্যসহ আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশে তিনি সফর করেছেন। তাঁর এই দীর্ঘ যাযাবর জীবনে বহু ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন, বহু ইতিহাস সৃষ্টিকারী ব্যাক্তিত্বের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। তাদের মধ্যে সৌদির বাদশাহ ইবনে সৌদ, লায়ন অব ডেজার্ট খ্যাত লিবিয়ার বিপ্লবী বীর ওমর আল মুখতার, মক্কার বিশিষ্ট ধর্মবেত্তা ইবনে বুলাইহিদ নযদি, পারস্যের প্রধানমন্ত্রী রিজা খান, বাদশাহ আমানুল্লাহ খান, মরুচারী সাধারণ আরব বেদুইনরা অন্যতম। তিনি নিজেকে জড়িত করেছিলেন ইসলামের পবিত্রতম এবাদত -জেহাদে। তিনি ইতালি দ্বারা আক্রান্ত লেবাননের সেনুসি গোত্রের সাহায্যার্থে এক গোপন মিশনে অংশগ্রহণ করেন।

তার আতœজীবনীমূলক বই ‘রোড টু মক্কা’ অর্থাৎ ‘মক্কার পথ’ বইটিতে পাওয়া যাবে তার জীবনের ঘটনাপঞ্জিসমুহ। বইটি যারা পড়বেন, তারা উপলব্দি করবেন এক অনাস্বাদিত দীর্ঘ মরুপথের সফর এবং যাযাবর জীবনের মর্মার্থ। শিহরিত হবেন এক অজানা রোমাঞ্চে। স্বাদ পাবেন এক অনন্য গুণবিশিষ্ট কাব্যিক ভাবধারার লেখনির, সেই সাথে ভাষা ও বিশ্লেষণে ভিন্নমাত্রার এক জগতের সাথে। এ বই থেকে কিছু বিষয় এই প্রবন্ধে হুবহু তুলে ধরবো, ইনশা’আল্লাহ। এই বিষয়গুলি আমার তুলে ধরার একমাত্র লক্ষ্য হলো মোহাম্মদ আসাদ একজন জন্মগতভাবে ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করার পরেও তার দৃষ্টিতে বর্তমান মুসলিম বলে পরিচিত জাতিটি প্রকৃত ইসলাম থেকে কত দূরে চলে গেছে তা দেখানো, যাতে করে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রকৃত ইসলাম এবং তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি তার মর্ম সহজে উপলদ্ধি করা যায়। আমি তার এই বিশ্লেষণকে একজন বিশুদ্ধাচারী, প্রকৃত অনুসদ্ধিৎসু- জ্ঞানপিপাসু মানুষের বিশ্লেষণ বলে অভিহিত করবো।

এখানে বলে রাখা ভালো যে মোহাম্মদ আসাদের লেখা ‘রোড টু মক্কা’ বা ‘মক্কার পথ’ বইটি তাঁর সারা জীবনের ভ্রমণ অভিযাণ ও সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আত্মোপলব্ধিমুলক বর্ণনা। তার সারা জীবনের উপদ্ধি ও অভিজ্ঞতাসমূহ তিনি এই বইটিতে ঘটনা আকারে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং সবগুলো ঘটনা এখানে তুলে ধরা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কয়েকটি বিষয় এখানে তুলে ধরবো যাতে পাঠক মাত্রই সহজে বুঝতে পারেন এই জাতির অতীত কি ছিলো এবং বর্তমানে তা থেকে কতটা দূরে চলে এসেছে, কোথায় নেমে এসেছে তাদের অবস্থান।

নিচের ঘটনাটি লেখক তুলে ধরেছেন যখন মক্কার তৎকালীন বিখ্যাত পণ্ডিত সাইয়্যেদ ইবনে বুলাইহিদসহ তার ভক্তদের সাথে কোন এক আসরে অন্তরঙ্গ আলাপরত অবস্থায় মোহাম্মদ আসাদকে তার ইসলাম গ্রহণের কারণ জানতে চান। এর উত্তরে তিনি তার ইসলামকে কবুল করার পেছনের ঘটনাটি বলেন। ঘটনাটি ঘটে আফগানিস্তানে। হুবহু তার ভাষায় পাঠকের জন্য এখানে তা তুলে ধরা হলো। কাহিনীর একটা অংশে তিনি বলছেন, “দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় আমরা বসেছি রোজকার মতো ভুরি ভোজনে। এরপর একজন গেঁয়ো লোক সেতারের সঙ্গে একটি গাঁথা গেয়ে আমাদের আপ্যায়িত করে। সে গান গাইছিলো ‘পশত’ুতে- যে ভাষা আমি বুঝি না- কিন্তু তার গানের কয়েকটি ফার্সী শব্দ স্পষ্ট যেনো লাফ দিয়ে উঠলো মৃদুষ্ণ গালিচা- ঢাকা গরম পক্ষ এবং জানালার ফাঁক দিয়ে বরফের যে ঠাণ্ডা দীপ্তি এসেছে তারই পটভুমিতে। আমার মনে আছে, সে গাইছিলো গোলিয়াতের সংগে দাউদের যুদ্ধের কথা-ঈমানের সংগে পশুশক্তির সংগ্রামের কথা- যদিও আমি গানের শব্দগুলি খুব অনুসরণ করতে পারছিলাম না, তবু গানের বক্তব্য স্পষ্ট হয়ে উঠলো আমার কাছে যখন তা শুরু হলো নরম মোলায়েম সুরে এবং তারপর তা উর্দ্ধাভিসারী হলো আবেগের প্রচণ্ড উচ্ছাসে, একটা চূড়ান্ত বিজয়ের সহর্ষ চিৎকারে।

গানটি যখন থামলো, হাকিম মন্তব্য করেন: ‘দাউদ ছিলেন ক্ষুদ্র কিন্তু তার ঈমান ছিলো বড়.........।’

আমি তাঁর সঙ্গে এই কথাগুলি যোগ না করে পারলাম না, ‘এবং আপনারা সংখ্যায় অনেক কিন্তু আপনারা ঈমানে কম।’

আমার মেজবান আমার দিকে বিষ্মিত দৃষ্টিতে তাকান এবং আমি প্রায় অনিচ্ছাকৃতভাবে যা বলে ফেলেছি তাতে অপ্রতিভ হয়ে তাড়াঘড়ি আমার কথার ব্যাখ্যা করতে শুরু করে দেই।

‘এ কেমন করে হলো যে, আপনারা মুসলমানেরা, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেললেন, যার ফলে আপনাদের পূর্ব পুরুষরা একশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আপনাদের ধর্মকে বি¯তৃত করেছিলেন আরব দেশ থেকে পশ্চিমে সুদূর আটলান্টিক পর্যন্ত এবং পূর্বদিকে মহাচীনের অভ্যন্তরে, আর এখন নিজেদের এত সহজে এত দুর্বলের মত সমর্পন করছেন পাশ্চাত্যের চিন্তা ধারা ও রীতিনীতির নিকট। কেন! আপনারা, -যাদের পূর্ব পুরুষেরা একদিন এক সময়ে পৃথিবীকে জ্ঞানবিজ্ঞান ও শিল্পকলার আলোকে উদ্ধাসিত করছিলেন যখন ইউরোপ নিমজ্জিত ছিলো চরম বর্বরতা ও অজ্ঞতার মধ্যে; এখন সাহস সঞ্চয় করতে পারছেন না আপনাদের আপন প্রগতিশীল উজ্জল ধর্মাদর্শের দিকে ফিরে যাওয়ার? এ কি করে সম্ভব হলো যে, আতাতুর্ক, সেই নগণ্য মুখোশধারী ব্যক্তিটি, যে ইসলামের কোন মুল্য আছে বলে স্বীকার করে না, আপনারা- মুসলমানদের কাছে সে হয়ে উঠেছে মুসলিম পুণর্জাগরণের প্রতীক?’

আমার মেজবান স্তব্ধ, নির্বাক। বাইরে তখন বরফ পড়ছে। দেহ জাংগি পৌছানোর আগে আগে আমি বেদনা ও আনন্দ মেশানো যে তরঙ্গ অনুভব করছিলাম আবার তা অনুভব করি। আমি উপলদ্ধি করলাম- অতীতে সেই গৌরব যা একদিন ছিলো বাস্তব এবং সেই লজ্জা যা একটি মহৎ সভ্যতার এই পরিবর্তন কালের সন্তানদের অপমানে ঢেকে দিচ্ছিলো!

-‘আমাকে বলুন এ কেমন করে হলো যে আপনাদের নবীর ধর্ম এবং এর সকল সরলতা ও স্বচ্ছতা আপনাদের আলিমদের বন্ধ্যা ধ্যান ধারণা ও কূটতর্কের জঞ্জালের নিচে চাপা পড়ে গেল?’

‘এ কেমন করে হলো যে আপনাদের রাজা বাদশাহ এবং জমিদারেরা ধন-ঐশ্বর্য এবং ফুর্তিতে মাতলামী করছে যখন তাদের বিপুল সংখ্যক মুসলিম ভাইয়েরা কোনরকমে জীবন ধারণ করছে অনির্বচনীয় দারিদ্র ও নোংরা পরিবেশে- যদিও আপনাদের নবী শিখিয়েছিলেন কোন মানুষই দাবী করতে পারে না সে মুমিন যদি সে পেট বোঝাই করে খায় যখন তার প্রতিবেশী থাকে ক্ষুধার্ত?’ আপনি কি আমাকে বুঝাতে পারেন, আপনারা কেন স্ত্রী লোকদের ঠেলে সরিয়ে দিয়েছেন জীবনের পশ্চাৎভুমিতে যদিও নবী এবং তাঁর সহচরদের চারপাশে যে-সব মহিলা ছিলেন তাঁরা তাঁদের পুরুষদের জীবনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ব্যাপকভাবে? এ কেমন করে হলো যে, আপনারা- মুসলমানদের মধ্যে এত বেশী লোক অজ্ঞ এবং অতি সামান্য সংখ্যক মানুষই কেবল লিখতে ও পড়তে পারে- যদিও আপনাদের নবী ঘোষণা করেছিলেন, “ জ্ঞানের অনুসন্ধান করা প্রত্যেক নর এবং নারীর জন্য বাধ্যতামূলক পবিত্র কর্তব্য,’ যদিও তিনি বলেছিলেন ‘কেবলই যে ব্যক্তি ধার্মিক তার উপর জ্ঞানী মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অন্যসকল তারার উপর পূণিমার চাঁদের শ্রেষ্টত্বের মতো?’ তখনো কোন কথা না বলে পলকহীন দৃষ্টিতে আমার মেজবান আমার দিকে তাকিয়ে আছেন এবং আমি ভাবতে শুরু করি, আমার এই বিষ্ফোরণে তিনি হয়তো আহত হয়েছেন, তার অন্তরের গভীরে। বীণাবাদক লোকটি আমাকে অনুসরণ করার মতো ফার্সি বুঝে না বলে অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকে বিদেশী লোকটির দিকে- যে এত আবেগের সাথে কথা বলছে ‘হাকিমের সাথে। শেষ পর্যন্ত হাকিম তার চওড়া হলদে ভেড়ার চাদরটি গায়ে জড়ালেন, যেন তার ঠাণ্ডা লেগেছে। তারপর ফিসফিস করে বললেন:

“কিন্তু আপনি তো একজন মুসলমান।” আমি সশব্দ হাসিতে উচ্চকিত হই এবং বলি “ না, আমি মুসলিম নই। কিন্তু আমি ইসলামের মধ্যে এত সৌন্দর্য দেখতে পেয়েছি যে, মাঝে মাঝে রেগে যাই যখন দেখি আপনারা এর অপচয় করছেন।........আমি যদি খুব রুঢ় কথা বলে থাকি আমাকে মাফ করবেন। আমি দুশমন হিসাবে কথা বলিনি”। আমার মেজবান মাথা নাড়ালেন, “ না, আমি যা বলেছি তা সত্যঃ আপনি একজন মুসলমান; কেবল আপনি জানেন না, এই যা...।”

‘কেন আপনি এখানে, এই মুহূর্তে বলছেন না “লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ- আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর রসুল?” এবং কেন কার্য্যত একজন মুসলমান হচ্ছেন না, যেমন আপনি ইতিমধ্যেই আছেন আপনার অন্তরে? বলুন ভাই, এখনি একবার উচ্চারণ করুন, আগামীকাল আমি আপনার সাথে যাবো কাবুল এবং আপনাকে নিয়ে যাবো আমীরের কাছে, আর তিনি দু’বাহু বাড়িয়ে জানাবেন অভ্যর্থনা। তিনি আপনাকে দেবেন ঘরবাড়ি, বাগান এবং গরু-বাছুর, আর আমরা সবাই আপনাকে ভালোবাসবো। বলুন ভাইজান.........’

-‘আমি যদি কখনো এই কথা উচ্চারণ করি তা করবো এই কারণে যে, আমার মন শান্তিতে স্থিতি লাভ করেছে- আমীরের ঘরবাড়ী এবং বাগিচার জন্য নয়।’ কিন্তু তিনি জেদ করতে থাকেন, ‘আমাদের মধ্যে বেশীরভাগই ইসলাম সম্পর্কে যা জানি আপনি তো এখনি তার চাইতে অনেক বেশী জানেন। কি সেই জিনিসটি যা আপনি এখনো বুঝতে পারেন নি?’

সূত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.