নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব বলে- নিরাশ হওয়া যাবে না। কিন্তু আমি আমার জাতি, ভাই বেরাদরদের কর্মকান্ড দেখে নিরাশ না হয়ে পারি না। আবার যে পুরোপুরি হতাশ হয়ে বসে আছি তাও নয়। কোন একটা কোনে আশার কোন আলো দেখলেই চোখ মেলে তা্কাই। সাভার ট্রাজেডি আবার আমাদেরকে এককাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এর আগে প্রজন্ম চত্তর একইভাবে কিছুটা আলোর ঝলকানী এনে দিয়েছিলো। মনে করেছিলাম জনতা বোধ হয় এবার নিম্নরুচির ঐ রাজনীতিবিদদের প্রত্যাক্ষান করেছে। হতাশ হলাম যখন দেখলাম সেখানের নিয়ন্ত্রণ আবার চলে গেলো বামদের হাতে, হতাশ হলাম যখন দেখলা্ম নিয়ন্ত্রণ চলে গেলো সরকার দলের হাতে। হেফাজত জেগে উঠলো। আবার আশার আলো। কিন্তু হায় আমি একি দেখলাম। সেই পুরনো ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠি! ধর্ম যাদের জীবন জীবিকা! অন্ধ কুপের মতো যাদের দৃষ্টিভঙ্গি! আকাশের মতো উদার, সাগরের মতো বিশাল যে ইসলাম- তা তারা আবদ্ধ করে রেখেছে উপাসনালয়ের চার দেয়ালে। তাদের নেতাদের দেখলাম মাইক হাতে নিয়ে শাপলা চত্তরে কথা বললো ষাঁড়ের মতো চিৎকার করে আমাদের তথাকথিত রাজনীতিবিদদের মতই। কতককে দেখলাম কথা বলার সময় পানের রস বেয়ে পড়ছে ঠোটের কোনা দিয়ে। এরা পরিবর্তন করবে দেশের? বিশ্বাস হলো না। হলো না । হতাশ হলাম। ভেবে নিয়েছিলাম আর বুঝি কোন পথ নেই। এবার হেফাজত আর শাহবাগ লড়াই চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না এই দেশের মাটি পানি বায়ু বসবাসের অনুপযোগী না হয়ে যায়। দীর্ঘ একটা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। না, লড়বার জন্য নয়। এ্ লড়াই থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য। এরই মাঝে সাভারের মর্মান্তিক এই ঘটনা। এতগুলো প্রাণের বিনিময়ে নিষ্ঠুর আমি চেয়ে দেখলাম এদেশের মানুষ আবার এক কাতারে দাঁড়ালো। কে কোন দল করে, কোন মতবাদে বিশ্বাসী তা ভুলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো। কোন কিছু আশা করবো? না, আশা করে লাভ নেই। এই এরাই আবার এই ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে আবার লড়াইয়ে নামবে।
আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। মানুষের মাঝে আমার কোন প্রভাব নে্ই। কেউ আমাকে চেনে না। সাধারণ একজন ছাপোষা মানুষ আমি। সংসার ধর্ম করে যে দিনাতিপাত করছি। আমি ডাকলে একজন মানুষও আমার কাছে আসবে না। ব্যর্থতার গ্লানী নিয়ে ভাবি এ জীবনের কি অর্থ? মানব জীবনের কি অর্থ? আমি এতই ক্ষুদ্র যে সম্ভবত আমার করণীয় কিছু নেই। কে আমার কথার দাম দেবে? কে দেবে আমার চিন্তার দাম?
পৃথিবীর কোটি কোটি বছরের সময়ের হিসাবে আমি পার করছি একটা বুদবুদ উঠার একটা মুহূর্তের মতো। তার মাঝে এমনই নগন্য একজন যে- মনে হয় আমি এই পৃথিবীর কেউই নই। জন্মেছি অগোচরে, আবার অগোচরে পালিয়ে যাবো। স্রষ্টার কাছে আমার জবাব রেডী আছে। 'তুমি আমাকে যে টুকু সামর্থ দিয়েছ, আমি তার সবটুকু করেছি। এর বেশী আমার করার কিছু ছিলো না। মুক্তি দিলে দাও, না দিলে যা ইচ্ছে করো।'
ঐ যে বলেছিলাম আশার আলো উকি দেয়! জানিয়ে যায় আমাদের মুক্তি আমাদের হাতে। ভিনগ্রহের কোন প্রাণী যেমন এসে আমাদের এই করুণ হাল করে দিয়ে যায় নি- তেমনি তেমন কেউ এসে আমাদের মুক্তি দিয়ে যাবে না। তবে কি তাদের সাথে আমাদের লড়াই করতে হবে? যারা আমাদেরকে আজ শিকলে বন্দি করেছে? না তাদের সাথে আমাদের লড়াই করতে হবে না। ভাংচুর করতে হবে না। গাড়ী পোড়াতে হবে না। মিছিল মিটিং করতে হবে না। শুধু মাত্র তাদের যদি আমরা এভয়েড করি, বর্জন করি তাহলেই তারা মিশে যাবে বাতাসে। আমরা তাদের ভালো করেই চিনি। ক্ষেত্র বিশেষে আমাদের নিজেদের চাইতেও তাদেরকে ভালোভাবে চিনি। নিজেদের ক্ষূদ্রস্বার্থের জন্য আমরা তাদের তোষামোদী করি। আমরা কি পারি না টোটালি তাদের ইগ্নোর করতে? এখান থেকেই বলি! আমরা যারা ব্লগার আছি তারা সারাদিন কি নিয়ে তর্ক বিতর্ক করি? কার পেছনে কত নিখুতভাবে, সুচারুভাবে বাঁশ দেয়া যায়। তাই নয় কি? এর মাঝেই বিনোদন খুজি। যারা সুন্দর কথা লেখেন, ঐক্যের কথা লেখেন তাদের ব্লগ নিরামিশে ভোগে। আর যারা ক্যাচাল জাতীয় পোস্ট দেয় তাদের ব্লগে হামলে পড়ি। কমেন্টের পর কমেন্ট। তর্কাতর্কি, হুমকি ধামকি। ব্লগের লড়াই পথেও গড়ায়। আসলে এখানে আমরা কেন এসেছি? লড়াই করতে? অন্যের পেছনে বাঁশ দিতে। আমারতো মনে হয় না। আমারতো মনে হয় এখানে সবাই এসেছে একটা শিক্ষিত শ্রেণী থেকে। একটু হলেও অন্যদের চাইতে যারা এগিয়ে। তাহলে কেন এই আক্রমন? ঐক্যের কথা বলা যায় না? এখানে সবাই আমার চেয়ে বুদ্ধিতে হয়তো এগিয়ে, যোগ্যতায় ও এগিয়ে। আপনাদের চেনা জানা আছে। অনেকে মিডিয়ার সাথে জড়িত, প্রশাসনের সাথে জড়িত। আপনারা কি পারেন না আজ থেকে ঐক্যের কথা বলতে? বিভেদ আমাদের কি দেয়? অন্যায় আর অশান্তি নয় কি? আপনারা তো ভালো করেই জানেন একটা জাতী যদি মনে করে তারা সামথিং স্পেশাল, তাহলে তারা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে যায়। আমেরিকার কথাই ধরুণ। তাদের দেশের একটা মাতালকে দিয়েও আপনি জাতীর ক্ষতি হয় এমন কাজ করাতে পারবেন না। কিন্তু অপরদিকে আমরা নিজেরাই স্বীকার করি বাঙ্গালী জাতির চরিত্র বলতে কিছু নেই। কথা সত্য। ব্যক্তিস্বার্থের জন্য এখানে পারলে প্রায় সবাই দেশটাকেও বিক্রি করে দেয়। হাজার হাজার উদাহরণ আপনাদের সামনে আছে। কাউকে নাম ধরে আমি বলছি না। আমার চাইতে আপনারা ভালো জানেন। আরো একটা কথা। কোন জাতির জনগণ যদি মনে করে আমি একজন সামথিং স্পেশাল- আমি স্বাধীন, যা খুশি তাই বলতে পারি, করতে পারি- তাহলে সেই জাতির কপালে ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই নাই। এখানেও যারা রয়েছেন- সবাই মনে করেন একেকজন স্পেশাল। তাই এখানে কোন ঐক্য নাই। শক্তি নাই। ব্লগগুলো বিরাট একটা শিক্ষিত মানুষের প্লাটফর্ম। তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে, (আমি সত্যিকার ঐক্যের কথা বলছি) কোন কাজ হাতে নেয় তাহলে আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি আমাদের ঠেকায় এমন কোন শক্তি নেই। আমাদের কোন উদ্যোগই ব্যর্থ হবে না। আসলে সবাই আমরা তাই চাই। কিন্তু কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। চুন খেয়ে মুখ পুড়েছে তো। আমি আমাকে বিশ্বাস করতে বলছি না। আমাকে বিশ্বাস করার মতো কোন যোগ্যতাও আমার নাই। আমি আপনাদের মত্ই অন্যকে আহত করা পাপী একজন। আজকেও একজনকে আঘাত করেছি। আমাকে বিশ্বাস করার দরকারও নেই। এটা আপনারও কাজ।
কথা হলো কি উদ্যোগ নেবো? কি কাজ আমাদের? আমাদের কি করার আছে? না, খুব বড় কিছু করার দরকার নেই। শুরুটা ছোট কাজ দিয়েই শুরু হোক। তারমধ্যে:
১। আমরা এই ব্লগে কেউ কাউকে কথার মাধ্যমে আক্রমন করবো না।
২। কারো বা কোন দলের মনে আঘাত লাগতে পারে এমন কোন লেখা লিখবো না।
৩। যেহেতু আমরা প্রত্যেকেই প্রচলিত রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ভুক্তভোগী এবং অখুশি- সেহেতু আমরা এই রাজনৈতিক কোন আলাপ করবো না। কারো ছিদ্রান্বেষণ করে কিছু লিখবো না।
৪। যারা সাংবাদিকতার সাথে জড়িত আছেন তারা যারা রং হেডেড, উল্টা পাল্টা মন্তব্যকারী, উষ্কাণীমুলক কথাবার্তা বলে সেই সব রাজণীতিবিদদের কাভারেজ করবে না। চাকরী যাবে? ভয় পাবেন না। যে পরিস্থিতি! চাকরী এমনিতেও যাবে। আপনারা তাদের কে আমাদের চাইতে আরো ভালো জানেন। ব্যখ্যায় যাবো না।
৪। তারা যদি কোন কথা বলেও আমরা তা নিয়ে কোন আলোচনা করবো না। উদৃতি দেবো না। সেই সূত্র ধরে কাউকে আঘাত করবো না।
আপাতত এই টুকুই করি? কেউ যদি আমাকে হতাশ না করে একমত হোন তাহলে আওয়াজ দিয়েন। নয়তো আবার হতাশার অন্ধকারে ডুব দেবো। আমার ব্যর্থতা, আমার অসামর্থতাকে মেনে নিয়ে চুপে চুপে পর্দার অন্তরালে ডুব দেবো। তবে ভা্ই কেউ আক্রমন করতে আসবেন না। আমি নীরিহ ছা পোষা মানুষ। অন্তরে কষ্ট দিবেন না। এমনিতেই অনেক কষ্ট, ব্যথা সয়ে আছি। আর আমার অতীত যা ছিলো, যাদের কটু কথা বলেছি- তা ভুলে গিয়ে মাফ করে দিন। আমিও আপনাদের ব্যপারে আমার মনে আর কোন ক্লেদ রাখলাম না।
আরেকটা কথা, রসিকজন প্রশ্ন করতে পারেন এই চারটা কাজ যদি না করি তাহলে ব্লগে এসে কি করবো? ঘোড়ার ঘাস কাটবো? অন্য কিছু করার যদি সত্যিই ব্লগে না থাকে তাহলে তাই করেন। আমি আমার দায়িত্ববোধ থেকে আপনাদের নিকট একটা অনুনয় করলাম। রাখলে রাখবেন, না রাখলে না রাখবেন। দু:খ পাবো না। এমনিতে অনেক দুখ।
ফজরের আজান পড়ছে আর ঠিক এই সময়ে পোষ্টটা রেডী হলো।
আলহামদুলিল্লা্হ!
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০১
উড়োজাহাজ বলেছেন: পাশে থাকুন। আমি ও আপনার চাইতে কম হতাশ নই। তবে যার কোন উপায় থাকে না, যখন ডুবতে থাকে তখন সামান্য শ্যাওলা ধরেও উদ্ধার পেতে চায়। আমি ও সেই ডুবন্ত এক মানুষ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: ও, হ্যাঁ! আপনার কথাটাই মনে হয় সঠিক। অনেকক্ষণ ভাবার পর তা মনে হলো। আসলেই আমার এই আশা ব্যর্থ হতে বাধ্য। কারণ, আমি তো কোন নামী দামী ব্যক্তি নই, কোন সেলিব্রেটি নই। আমার কথা কেউ শুনবে না। তবে কিছু একটা হওয়ার সুযোগ আমারও হয়েছিলো। যদি শুধু লেজুর বৃত্তি করতে পারতাম তাহলে আমিও এতদিনে কিছু একটা হয়ে যেতাম। পারলাম না। বিবেক বাধা দিলো। হেলায় সুযোগ হারালাম। কিন্তু আফসোস নেই। এই মুহূর্তে আমার পকেটে মাত্র ১২ টা টাকা আছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মতো সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুবই কম আছে। অসৎ উপায়ে বড় হওয়ার যন্ত্রণা বোধ হয় খুব বেশী। একদিন তার প্রমাণও পেয়েছি। রেল লাইনে একটা মোবাইল ফোন কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। ২ ঘন্টা পাছার নিচে রেখে বসেছিলাম। যদি মালিক আসে তো ফিরিয়ে দেবো। যতক্ষণ না দিতে পেরেছি ততক্ষণ নিজেকে বড় ধরণের একটা চোর মনে হয়েছিলো। যখন ফিরিয়ে দিলাম মনে হলো আমার মুক্তি মিলেছে। আসলেই আমি ব্যক্তিগতভাবে সুখী। আমার বউ আমার নিকট কোন কিছুর জন্য প্যান প্যান করে না। এই নাই ওই নাই বলে জ্বালা যন্ত্রণা করে না।
আমার এই উদ্যোগ যদি মাঠে মারা যায় তবে কোন আফসোস হবে না। কারণ আমার দৌড় এতটুকুই। স্রষ্টার কাছে তো জবাব দেওয়ার জন্য তৈরী হয়েই আছি।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৭
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: bangladesh badly need a war
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: আপিনি কি তাই চান? আর এই যুদ্ধটা নীরবে হলে কেমন হয়?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২০
উড়োজাহাজ বলেছেন: আমার মনে হয় যদি একটা গণভোট হয় তাহলে যুদ্ধের পক্ষে হয় তো কেউ একটা ভোটও দেবে না। কিন্তু তবুও কি একটা যুদ্ধ অনিবার্য্য?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫১
উড়োজাহাজ বলেছেন: তোরাব ভাই! দায়িত্ববান নাগরিকের দায়িত্বহীন কমেন্টের জন্য আমি তার হয়ে আপনার নিকট ক্ষমা চাই। এইটা নিয়ে আর ক্যাচাল করবেন না। আপনি যদি বলেন তো আমি তার কমেন্ট মুছে দিতে পারি।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৯
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: তোরাব মিয়া জামাত শিবিরের পড়ে পড়ে মার খাওয়া পছন্দ করে না। যুদ্ধ চায়। এগুলা একটু অন্য লাইনে কথা বলে। বুঝতে হবে।
Sorry for interrupting .
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩১
উড়োজাহাজ বলেছেন: এই তো শুরু মনে হয়! প্লীজ ভাই, একটু এভয়েড করেন।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১২
উড়োজাহাজ বলেছেন: পাশে থাকবেন? ছোট্ট অনুরোধটুকু রাখতে পারবেন? এই দেশটাকে ভালোবাসেন? এই সুন্দর পৃথিবীটাকে ভালোবাসেন? সুন্দর করে লেখার জন্য বসিনি, নাম কামাতেও নয়। এই লেখনি তে যদি কিছু হয় এই আশায় আমার ক্ষূদ্র প্রচেষ্টা।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট । ভালো থাকবেন,
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২১
উড়োজাহাজ বলেছেন: পাশে থাকবেন, কথা দিন। কথা দিন আর অনৈক্যের কথা বলবেন না। ভেঙ্গে খান খান করবেন না আমাদের হৃদয়কে। আমাদের ভবিষ্যতকে। ভালো থাকতে পারছি না। একটু ভালো রাখার চেষ্টা করুন।
৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৩
জাতির চাচা বলেছেন: এটা ঠিক সাভার আনাদের একত্রিত করেছে।বাম আর হেফাজত বলুকনা তাদের কথা।জনগন যেটা চাইবে সেটাই হবে।শাহবাগী মুলসুর আমরা প্রথমে ধরতে পারিনি।এক জনগোষ্টীর নির্মুল চেয়ে আপনি ঐক্যর স্বপ্ন দেখেন! রাজাকার মাত্রই অপরাধী এই চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে।যারা সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধী তাদের বিচার সবাই চায়।অনেক মানুষ রাজাকার বাহিনীতে নাম লিখিয়েছিলো ।কেউ স্বেচ্ছায় কেউ চাপে পড়ে কেঊবা তার ভাবনা মতে দেশ রক্ষার জন্য । আ্মাদের মধ্যে কম্বোডিয়া বা দক্ষিন আফ্রিকার মত উদারতা নাই।তবুও ঐক্যের একটা গ্রহনযোগ্য সুত্র থাকতে হবে।আপনার সুচিন্তার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: কারটা নির্মূল চেয়ে আমি ঐক্যের স্বপ্ন দেখছি একটু বলবেন কি? যদি তাই বলে থাকি আমি আমার সে চাওয়া উঠিয়ে নেবো- কথা দিচ্ছি।
৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
জাতির চাচা বলেছেন: আপনাকে বলা হয়নি।শাহবাগীরা কী চায়? শাহবাগী চেতনার গডমাদার প্রয়াত সুফিয়া কামালের সেই বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে দেশে তিন কোটি শিবির আছে এদের পিষে মারতে তিনদিন সময় লাগবে।আপনার ঐক্য চাওয়াকে আমি আবারো স্বাগত জানাচ্ছি।আমার বক্তব্য পরিষ্কার।অপরাধীর বিচার চাওয়া যেতে পারে কিন্তু একটা জনগোষ্ঠীকে নির্মুল করতে চাওয়া শাহবাগী চেতনা কখনো ঐক্যের ভিত্তি হতে পারেনা।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: সহমত, পাশে থাকুন।
৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
সাউন্ডবক্স বলেছেন: "Jatir chacha" valo bolechen........ Ar "dayittoban nagorik" ar kotha boila lav nai.... Oni amon e.......
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: যাক ছেড়ে দিলাম! এগিয়ে আসার কথা বলুন। পাশে থাকুন।
৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আপনার মত আছে লেখক ভাই?
হ্যা/না?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: আমার জায়গায় আপনি হলে কি করতেন? জবাব পেয়েছেন? আমি এক কথায় জবাব দিবো না। এক কথায় জবাব দিলে আপনি আমাকে ট্রাপে ফেলতে চাইবেন। আমি আশা করি আপনি খামোখা সাধারণ সাধাসিধা একজন লোককে ফাদে ফেলে মজা লোটার চেষ্টা করবেন না।
১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
এ সামাদ বলেছেন: আপনাকে বলা হয়নি।শাহবাগীরা কী চায়? শাহবাগী চেতনার গডমাদার প্রয়াত সুফিয়া কামালের সেই বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে দেশে তিন কোটি শিবির আছে এদের পিষে মারতে তিনদিন সময় লাগবে।আপনার ঐক্য চাওয়াকে আমি আবারো স্বাগত জানাচ্ছি।আমার বক্তব্য পরিষ্কার।অপরাধীর বিচার চাওয়া যেতে পারে কিন্তু একটা জনগোষ্ঠীকে নির্মুল করতে চাওয়া শাহবাগী চেতনা কখনো ঐক্যের ভিত্তি হতে পারেনা।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
উড়োজাহাজ বলেছেন: দোহাই লাগে ঐসব কথা বাদ দিন। এসব বলতে গেলে ব্লগের সার্ভার লোড নিতে পারবে না। আপনার সাথে আমি একমত। কাউকে নির্মূল করার মধ্য দিয়ে ঐক্য গঠন সম্ভব নয়।একজন পিতার দৃস্টিতে দেখুন দেশটাকে। পরম পিতা কি তাই চান?
১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৯
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
"স্রষ্টার কাছে আমার জবাব রেডী আছে। 'তুমি আমাকে যে টুকু সামর্থ দিয়েছ, আমি তার সবটুকু করেছি। এর বেশী আমার করার কিছু ছিলো না। মুক্তি দিলে দাও, না দিলে যা ইচ্ছে করো।' "
সহঅবস্থান।
ভাল লাগলো লেখাটা।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
উড়োজাহাজ বলেছেন: আর কী করার আছে, বলুন!
১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
কাজের কথা বলেছেন: এত সুন্দর একটা লিখার সাথে শিরোনামটা খুবই সস্তা হয়ে গেছে। কাকুতি মিনতি করে কোন শিরোনাম হওয়া উচিৎ না।
পরিশেষে চমৎকার উপলব্ধি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: মাফ করবেন ভাই, সমাজের নীচু শ্রেণীর মানুষ। শত চেষ্টা করেও নিজের ল্যাজ আড়ালে রাখতে পারি না। বেরিয়ে পড়ে। আমাদের ব্যাকবোন বলে কিছু নাই তো । তিন শ বছরের গোলামীতে সব গেছে। ভিক্ষুকের জাত। এর চেয়ে আর বেশী কি করতে পারি। বুকের পাটা এত বড় নয়। হৃদয়টা অতি ক্ষুদ্র। পাশে থাকুন- দেখি কিছু হয় কিনা! হৃদয়ের কোন স্ফীতি ঘটে কি না।
১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১২
s r jony বলেছেন: চমৎকার উপলব্ধি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
উড়োজাহাজ বলেছেন: শুধু পাশে থাকুন। উপরের কথাগুলো মানার চেষ্টা করুন। এতে জান মালের কোন ক্ষতি হবে না।
১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
অরন্য জীবন বলেছেন: এই পোষ্টে কয়েক শ কমেন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিনতু কমেন্ট করেছে মাত্র ১৩ জন। এটাও কোনো সমস্যা না আপনার সদিচ্ছার ক্ষেত্রে। একটা প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কতটুকু ত্যাগ করতে রাজি আছেন এই দেশের জন্য?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: ভাই সকাল থেকে আমি নিজেই এখানে প্রবেশ করতে পারছিলাম না। আর প্রথম পাতা থেকে পোষ্টটি বিনা ঘোষণায় সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
আর আপনার শেষ প্রশ্নের জবাবে বলবো- ঠিক জানি না। কিন্তু মনে হয় অনেক কিছূ করতে পারবো। তবে বিশ্বাস নেই। কারণ এখনো কিছুই করতে পারি নি। আরো একটা কথা- আমার একার জান দিয়ে বা ত্যাগে কিছু হবে না, এটা আমি ভালো করে জানি। সবাই এক কাতারে না দাঁড়ালে সব ব্যর্থ হবে। সবাইকে কাছে চাই।
১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৫
তোমোদাচি বলেছেন: ভাল লিখেছেন
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: কিছু করার থাকলে বলুন।
১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৩
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: সাভারে স্তম্ভের নীচে লাশ দেখে আমারা স্তম্ভিত,স্তম্ভ ঠেকেছে লাশের পিঠে, তবুও বাঙ্গালীর পিঠ ঠেকল না দেয়ালে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: আরো বড় আঘাত কি তাহলে অনিবার্য্য?
১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৬
বাংলার হাসান বলেছেন: ভাল।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনার 'ভালো'টা খুব শুকনো মনে হলো।
১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩০
স্বাধীনচেতা মানবী বলেছেন: আপনি অনেক ভালো কথা বলেছেন কিন্তু ওই যে সবাই সবাইকে সুচারু ও নিখুঁত ভাবে বাঁশ দেয়ার কথা ভাবে, এই জন্যই একটা বড় রকমের উদ্যোগ নিতে হবে একসঙ্গে । +++++++্
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: আশা করি পাশে আছেন। কথাগুলো শেয়ার করুন। ডেকে ডেকে আমার একার পক্ষে সবাইকে টেনে আনা অসম্ভব।
১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৫
আব্দুল্লাহ নাটোর বলেছেন: {{{{{{{{{ঐ যে বলেছিলাম আশার আলো উকি দেয়! জানিয়ে যায় আমাদের মুক্তি আমাদের হাতে। ভিনগ্রহের কোন প্রাণী যেমন এসে আমাদের এই করুণ হাল করে দিয়ে যায় নি- তেমনি তেমন কেউ এসে আমাদের মুক্তি দিয়ে যাবে না। তবে কি তাদের সাথে আমাদের লড়াই করতে হবে? যারা আমাদেরকে আজ শিকলে বন্দি করেছে? না তাদের সাথে আমাদের লড়াই করতে হবে না। ভাংচুর করতে হবে না। গাড়ী পোড়াতে হবে না। মিছিল মিটিং করতে হবে না। শুধু মাত্র তাদের যদি আমরা এভয়েড করি, বর্জন করি তাহলেই তারা মিশে যাবে বাতাসে। আমরা তাদের ভালো করেই চিনি। ক্ষেত্র বিশেষে আমাদের নিজেদের চাইতেও তাদেরকে ভালোভাবে চিনি। নিজেদের ক্ষূদ্রস্বার্থের জন্য আমরা তাদের তোষামোদী করি। আমরা কি পারি না টোটালি তাদের ইগ্নোর করতে?}}}}}}}}}}
সুন্দর বলেছেন । ভালো লাগলো মনের কথা গুলোই বলে দিয়েছেন। দুঃখের কথা কি বলব ভাই দালালী আজ আমাদের রক্তে মিশে গেছে, আমরা ৫২ আর ৭১ এর মত জাতীয়তাবোধ নিয়ে জেগে উঠতে পারছিনা । তাই বার বার আমরা পরাজিত হচ্ছি , আর এর শেষ কোথায় আমার যানা নাই।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: আমরা কি পারি না টোটালি তাদের ইগ্নোর করতে? পারি কি? একমত আছেন?
২০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫১
আব্দুল্লাহ নাটোর বলেছেন: কোন ব্যাপারই না। প্রয়োজন শুধু মানসিকতা
সহমত
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০২
উড়োজাহাজ বলেছেন: চালিয়ে যান। সাথে থাকুন। কারো কাছে জবাব দিহি করতে হবে না। নিরবে যুদধ চালিয়ে যান। নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকুন।
২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৬
ইয়ার শরীফ বলেছেন: সুযোগ থাকা সত্তেও ব্লগে কোনদিন কারো সাথে বিবাদে যাইনি,
ক্যাচাল পোস্ট পড়ি কিন্তু পক্ষে বা বিপক্ষে মন্তব্য করে ক্যাচাল বারাইনা।
আপনার চাওয়া পুরন হোক এই কামনা করি।
স্রষ্টার কাছে আমার জবাব রেডী আছে। 'তুমি আমাকে যে টুকু সামর্থ দিয়েছ, আমি তার সবটুকু করেছি। এর বেশী আমার করার কিছু ছিলো না। মুক্তি দিলে দাও, না দিলে যা ইচ্ছে করো
আপনার এই কথার মত করে আমিও যেন বলতে পারি সেই চেষ্টা করে যাব।
ভালো থাকবেন
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: আমিও যেনো বলতে পারি। আপনিও ভালো থাকবেন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ভালো বলেছেন। কিন্তু এগুলো মনে হয় সম্ভব না, খুব বিশাল একটা বিপ্লব না হলে। আমি এসব নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমার এটাই মনে হয়েছে এই চক্রটা শেষ হবে না কখনো। এই দোষগুলো আমাদের বাঙ্গালীদের সবার রক্তে মিশে আছে।
আপনি যে চারটা পয়েন্ট বললেন এই চারটা পয়েন্টই যদি সবাই পালন করে তবে আসলেই সব চেন্জ হয়ে যাবে। খুব বেশি কিছু লাগে না। কিন্তু আমি বলে রাখি আপনি চেষ্টা করলেও পারবেন না। বাধ্য হবেন ! সিস্টেম হয়ে গেছে একদম শিকড়ে।
খুব বিশাল বিশাল একটা বিপ্লব দরকার। বিশাল একটা রেভ্যুলুশন না হলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ গতিপথ চেন্জ হবে না। কালকেই আরেকটা দূর্যোগ, বিপদ নামতে সময় লাগবে না। আবার একটা অস্থিরতা তৈরি হতে সময় লাগবে না।
যাইহোক আপনার চিন্তাভাবনাকে সাধুবাদ জানাই। খুব ভালো লাগলো।