নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-ড. আনিসুজ্জামান
অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে “মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই এই মহতী আলোচনাসভায় যোগদান করতে পেরে তার ভালো লাগার কথা প্রকাশ করেন। দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে ‘মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ’ করার মত আকাঙ্খাকে তিনি আন্তরিক সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, “ দিন দিন এই আকাঙ্খা আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।” তিনি দুঃখ ভারাক্রান্তভাবে বলেন যে আমার খুব ইচ্ছে ছিলো এদেশের যে কয়জন প্রজারঞ্জক জমিদার ছিলেন, যারা প্রজাদের দাবিদাওয়া আদায় করতে গিয়ে জেল খেটেছেন, তাদেরই রক্তধারা যার মাঝে বয়ে চলেছে, টাঙ্গাইলের সেই কৃতি সন্তান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর সাথে আমি সাক্ষাৎ করব। কিন্তু আজ আমি জানতে পারলাম তিনি আজ আর আমাদের মাঝে নেই। জানি না আমি এই অপূরণীয় ক্ষতি কি দিয়ে পূরণ করব, আল্লাহই ভালো জানেন!” মাননীয় এমামুয্যামান প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “ আমি খবরে কাগজে পড়েছি এই মহান ব্যাক্তিকে হেযবুত তওহীদ করার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল, জেরা করা হয়েছিল। রসুলাল্লাহকেও সত্য প্রকাশের কারণে নির্যাতন সইতে হয়েছিল।” জামানার এমামের দাজ্জাল চিহ্নিতকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ আমরা জানতাম, এক চোখ বিশিষ্ট বিরাট এক দানব আসবে যার নাম হবে দাজ্জাল, যার এক হাতে থাকবে জান্নাত আর আরেক হাতে থাকবে জাহান্নাম। সে যাকে খুশি জান্নাতে দেবে, যাকে খুশি জাহান্নামে দেবে। কিন্তু এমামুযযামান বোলেছেন দাজ্জাল কোন প্রাণী নয়, দাজ্জাল হচ্ছে ঈহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা। যা আমাদের প্রচলিত চিন্তাধারা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু তিনি এ সত্য যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছেন, যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।” দৈনিক দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি রুফায়দাহ পন্নীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, “ আপনি যে পথ বেছে নিয়েছেন, This path is not a bed of roses.এখানে ঝড় আছে, ঝঞ্জা আছে, বিপদ আছে। জেল-জুলুম হতে পারে, এমন কি জীবনও চলে যেতে পারে। আমি ভীরু লোক. আমি আপনাদের মত সাহসী ভুমিকা নিতে পারব না। আমরা যারা বুদ্ধিজীবি- তারা আসলে নিজেদের গা বাঁচিয়ে কথা বলি। যেখানে যা বলা প্রয়োজন, যেভাবে বলা প্রয়োজন, সেভাবে বলি না। নিজেদের বিপদ হবে জানলে তা মোটেও বলি না। এই জন্যই আমরা ‘বুদ্ধিজীবী’। নিজে আপনাদের মত না হতে পারলেও আপনাদের এই সাহসী উদ্যোগকে আমি স্যালুট জানাই।”
তিনি আরো একটি কথা যোগ করেছেন যা পত্রিকার পাতায় ছাপা হয় ন। তবে এখানে পোষ্ট করছি। তিনি বলেছেন, 'সত্য আমরা বলি- যখন ঘরে যাই তখন বউয়ের কাছে বলি।'
©somewhere in net ltd.