নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামীলীগের প্রচারণা বুমেরাং
বিলবোর্ড প্রচারণা তুঙ্গে। শহরের বিলবোর্ডগুলো ছেয়ে গেছে ক্ষমতাসীন দলের উন্নয়ন প্রচারণায়। কিন্তু জনসাধারণের প্রশ্ন- বিষয়টি একটু বেশী বাড়াবাড়িই হয়ে গেল না? সরকারের শেষ সময়ে এসে সরকার ইমেজ উদ্ধারে যে কৌশল গ্রহণ করেছে, তাকে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করে নি বলেই মনে হচ্ছে। অন্ততপক্ষে রাজপথে নিয়মিত চলাচলকারী পেশাজীবী, শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের আলোচনা থেকে, তাদের সাথে কথা বলে তাই জানা গেল। এ নিয়ে পত্র পত্রিকা, ব্লগসহ গণমাধ্যমগুলোতেও আলোচনা তুঙ্গে। কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা এ নিয়ে শীর্ষ নিউজ থেকে শুরু করে মতামত, বিশ্লেষণ ছাপিয়েছে এবং আরো ছাপাবে বলেই মনে হয়। টকশোগুলোও মেতেছে এই বিলবোর্ড রাজনীতির সমালোচনায়। রাজধানী শহর ঢাকায় এ এক অভাবনীয় কাণ্ড বলেই বিবেচনা করছেন সাধারণ মানুষ। অপরদিকে প্রশ্ন উঠছে কার বুদ্ধিতে আওয়ামীলীগের এই কার্যক্রম। যে হারে উন্নয়নের চিত্র ভেসে উঠেছে বিলবোর্ডগুলোয়, তা দেখে মনে হয় উন্নয়ন জোয়ারে ভাসছে দেশ। কিন্তু এত উন্নয়ন যদি হয়েই থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের চোখ এড়ায় কি করে? এত উন্নয়ন যদি হয়েই থাকে তবে বিলবোর্ডে তা তুলে ধরতে হবে কেন? খালি চোখেই তা দেখতে পারার কথা। এই ভাবে কি ভোট বাড়ানো যাবে?
অপরদিকে এই প্রচারণার অর্থের উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন বিলবোর্ড প্রচারণায় খরচ হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। তিনি সরকারের কাছে এই অর্থের উৎস কি তা জানতে চেয়েছেন। গত মঙ্গলবার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার’ বন্ধের দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদী যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, “আইনের তোয়াক্কা না করে সারা দেশে বাণিজ্যিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে মিথ্যাচার করছে সরকার ও আওয়ামী লীগ।” তিনি বলেন, ভাড়া না দিয়ে দখল করা এ বিলবোর্ডে ভোট আসবে না।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বিলবোর্ড দখল করা হলেও ভাড়া দেওয়া হয়নি। বিলবোর্ডে আইনের শাসনের কথা বলা হয়েছে, অথচ বিলবোর্ড দখল করা হয়েছে, যা বেআইনি।’
যেকোন দেশে একটি সরকার ক্ষমতায় যায় উন্নয়ন করার জন্যই। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারী ক্ষমতার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের এই দলীয় প্রচার প্রচারণা কতটা যুক্তিযুক্ত- মানুষ কিন্তু বিবেচনা করছে এই বিষয়টিই। মানা গেল যে সরকার খুব উন্নয়ন করেছে, মানুষ তা বিবেচনায় না এনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছে। এ থেকে আওয়ামীলীগে নেমে এসেছে এক ধরনের হতাশা। সেই হতাশা থেকেই কি তাদের এই মরিয়া প্রচারণা? কিন্তু সর্বসাকুল্যে এই প্রচারণার ফল কি তাদের পক্ষে আসবে নাকি বিপক্ষে যাবে? প্রচারণা বুমেরাং হবে না তো? এই বিষয়টি চিন্তা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করছেন এই সিদ্ধান্ত আওয়ামীলীগের জন্য এক আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত, হাইব্রীডিয় মস্তিষ্কের ফল। কেননা সংবাদে প্রকাশ হচ্ছে যে, এই বিলবোর্ডগুলো একদিকে যেমন আইনকে তোয়াক্কা না করে করা হয়েছে, তেমনি পূর্বে যাদের বিজ্ঞাপনগুলো শোভা পাচ্ছিল, বিশেষ করে ঈদ বাজারে যাদের ব্যবসায়িক মুনাফা অর্জনে ব্যাপক ভুমিকা রাখতো-তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যতদিন এই উন্নয়ন প্রচারণা চলবে ততদিন ঠিকই তাদের ভাড়া গুনতে হবে, ভ্যাট-টেক্স পরিশোধ করতে হবে। তা না দিলে মালিকদের এ ক্ষতি গুনতে হবে। এই অংশটি দেশীয় অর্থনীতির চালিকা শক্তি। তারা এই কর্মকাণ্ডে মোটেও খুশি হন নি। তাদের কথার সূত্র ধরে পত্রিকাগুলো সংবাদ করছে ‘জোর যার বিলবোর্ড তার’ শিরোনামে। তাই ফল কোনদিকে গেল তা ভালোভাবে ভেবে দেখা দরকার।
সেই সাথে হানাহানির রাজনীতি আওয়ামীলীগ আরো একটি নতুন কালচার চালু করেছে। আগে দেওয়ালে দেওয়ালে, পোস্টারে এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিজ্ঞাপন শোভা পেলেও এখন কয়েকধাপ এগিয়ে বিলবোর্ডে স্থান পেয়েছে। আগামীতে যদি অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসে তারাও নিশ্চয় এই নীতি অনুসরণ করবে। কিংবা এই সরকারও যদি সফলতা লাভ করে তাহলে তারাও এর পুনরাবৃত্তি করবে। তবে আর যাই হোক, খোদ আওয়ামীলীগের অনেক সমর্থকও এই প্রচার-প্রচারণাকে ভাল চোখে দেখছেন না। তাদের মতে, বিষয়টি দৃষ্টিকটু মনে হচ্ছে। তারা প্রশ্ন করছেন আওয়ামীলীগ আসলে চালাচ্ছে কে? দলকি দিশেহারা হয়ে ভীমরতিতে পড়েছে, নাকি দলের ঘাড়ে ভুত চেপেছে?
সব কিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে শেষ সময়ে আওয়ামীলীগের কোন পদক্ষেপই আখেরে লাভবান হচ্ছে না। যত দাপাদাপি করছে তত পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত পুরনো রীতিরই বাস্তবায়ন হতে চলেছে বলে মনে করছেন তারা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কোন সরকারই পরপর দুইবার আসতে পারছে না। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবার যারা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে- তাদের অবস্থা কী- তাও মানুষের ভাল জানা আছে। নিরুপায় মানুষ একবার এই দলকে আনে তো আবার ঐদলকে টানে। কিন্তু বার বার তাদের কাছ থেকে প্রতিদান পায় হাতাশাই। কারণ তাদের উপর এমনই এক সিস্টেম চেপে আছে- যার অবশ্যম্ভাবী ফলই এটা। যে গাছ জাতি রোপণ করেছে- সে ফলই তারা গিলছে। তাই গাছ উপড়ানো ছাড়া কি আর কোন পথ আছে?
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩১
উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না। আপনার জবাব নিচে অন্যদের কমেন্টে পেয়ে যাবেন।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন: সরকারের সাফল্য থাকলে সে সেটা প্রচার করবেই....... বিরুধী দলের রিয়্যাকশান দেখে মনে হয় উনারা বিল বোর্ডে কি লিখা আছে তা নিয়ে কোন কথা নাই... উনারা ব্যস্ত যে টাকা না দিয়ে বিলবোর্ড ইউজ করা হচ্ছে তা নিয়ে
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩২
উড়োজাহাজ বলেছেন: ৩ নং কমেন্ট দেখুন।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
আহলান বলেছেন: Are eta to ekjoner bou k hijack Kore babohar korar motoi abostha...
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩২
উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম, উপমাটা ভাল হয়েছে।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: দেশের মানুষকে কতবড় মূর্খ গাধা মনে করে আমাদের সরকার। এভাবে প্রচারণা সরকারের জনপ্রিয়তা ফিরাবে?? এই বুদ্ধি সরকারকে কোন গাধা দিয়েছিলো বুঝলাম না।
ব্যাপারটা এমন যে আমার বাবাকে আমার চোখের সামনে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলে আমার ঘরের সামনে একই ব্যাক্তি লিখে রেখেছে আমি তোমার বাবার জন্য অনেক খরচ করেছি। কবর খোড়া থেকে শুরু করে কাফনের কাপড় দাফনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: ভাল বলেছেন।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: বিলবোর্ড উন্নয়ন নিয়ে আমার একটা ছবি ব্লগ দেখুন
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: আম্লীঘ দেশটাকে নিজেরা লুটে পুটে খেয়ে একেবারে ছোবড়া বানিয়ে ছেড়ে দিবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ১ লাখ কোটি টাকা মেরেছে বলে শোনা যায় এখন আর এই ৬০ কোটির কথা বলে কি লাভ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: বিএনপিও ধোয়া তুলসী নয়।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১২
মেদভেদ বলেছেন: স্বয়ং সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিএনপিও চাইলে বিলবোর্ডে প্রচারণা চালাতে পারে।তো বিএনপি'র সেই বিলবোর্ডগুলো কেমন হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা। ঢাকা শহরের যেখানে যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা BAL GOVERNMENT এর বিলবোর্ড আছে তার ঠিক একশ মিটার দূরত্বের মধ্যে বিএনপি'র বিলবোর্ডগুলোর কনসেপ্ট হতে পারে এরকম....
বিলবোর্ড নং এক. পাঁচজন গ্র্যান্ড মাস্টার জিএম এনামুল হোসেন রাজীব ভাইয়ের বাসায় বসে জি বাংলা সিরিয়াল দেখছেন আর লুডু খেলছেন কারণ গত পাঁচ বছর ধরে দেশে কোন জিএম টুর্নামেন্ট নাই!
বিলবোর্ড নং দুই.সাগর-রুনি'র কিছু পারিবারিক ছবি আর তাদের মৃত্যুবার্ষিকীর তারিখ।
বিলবোর্ড নং তিন. জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারির সময় হলের তিন তলা থেকে প্রতিপক্ষকে ফেলে দেওয়ার ছবি।
বিলবোর্ড নং চার. বিডিআর বিদ্রোহে সারি সারি লাশের ছবি।
বিলবোর্ড নং পাঁচ. ত্বকীর ছবি
বিলবোর্ড নং ছয়. আবুল হোসেন, সুরন্জিত আর গোলাম রনিকে নিয়ে কার্টুনিস্ট সাদাতের একাধিক কোলাজ।
বিলবোর্ড নং সাত. রানা প্লাজা।
বিলবোর্ড নং আট. পদ্মা সেতু দূর্ণীতি।
বিলবোর্ড নং নয়. শাহবাগ ও হেফাজত নাটক!
বিলবোর্ড নং দশ. হলমার্ক কেলেংকারী
বিলবোর্ড নং এগারো. শেয়ার বাজার ( এই বিলবোর্ডের ছবি কালেকশন সেইরকম হলে পাবলিককে যথেষ্ট ইমোশনাল করা যেতে পারে)
বিলবোর্ড নং বারো. জাবি, বুয়েটের ভিসি হটাও আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্লজ্জ দলীয়করণ
এবং লাস্ট বাট নট দি লিস্ট .....
বিলবোর্ড নং তেরো. গ্রামীণ ব্যাংকের ১৯ টুকরা ১৯ জন সরকার দলীয় এম.পি'র পকেটে! এই জাতীয় কোন কার্টুন।
সবাইকে ধন্যবাদ
LINK
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম। আগেই পড়েছি। সুন্দর হয়েছে। কিন্তু তাদের টেকে সে জোড় নেই।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
শফীক রহমান বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: সরকারের সাফল্য থাকলে সে সেটা প্রচার করবেই....... বিরুধী দলের রিয়্যাকশান দেখে মনে হয় উনারা বিল বোর্ডে কি লিখা আছে তা নিয়ে কোন কথা নাই... উনারা ব্যস্ত যে টাকা না দিয়ে বিলবোর্ড ইউজ করা হচ্ছে তা নিয়ে
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: জবাব ভাল হয়েছে।
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
এস দেওয়ান বলেছেন: @medbhed, BNP nijer ruling amoler kichhui likhbe na karon lekhar moto bhalo kaj BNP koreni. Education chhara onnyo kono khate BNP-ir success nei.
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: থাকলেও এখন করতে পারবে না।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৩
হায়দার সুমন বলেছেন: রাষ্ট্রের টাকায় যদি বিলবোর্ড তৈরী হয় তাহলে এই খরচ আমি বহন করতে পারবনা। আমাদের টাকা তসরুপ করার অধিকার সরকারের নাই
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: বুঝলাম না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০০
এস দেওয়ান বলেছেন: Ek Tarek zauto corroption korechhen puro mauhajoto ta kaureni. jot+leaguer success BNP-ir cheye onek beshi. Procharonar maddhyome ta public ke janano hochchhe bole birodhider ga jala shuru hoyechhe.