নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে বসলে কিংবা খবরের কাগজ হাতে নিলেই হতাশার খবর ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না। এত মন্দ খবর, হতাশার খবর, এত যুদ্ধ, এত ক্রন্দন, এত হত্যা আর প্রাণহানীর খবরে পাঠকও নিশ্চয় হতাশায় ভোগেন। বিশেষ করে যখন দেখা যায় দিন দিন এর মাত্রা বহুগুণে বেড়ে চলছে, পরিত্রাণের কোন পথ উপায় সামনে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু হতাশ হলে কি চলে? আশা আছে বলেই তো মানুষ বেঁচে থাকে। আশা না থাকলে এতদিনে মানুষ আত্মহত্যা করে পৃথিবী থেকে পালিয়ে যেত। এত হতাশার খবর শোনালেও আমি কিন্তু খুব হতাশাবাদী নই। আমি প্রচ- আশাবাদী। সামনে আলো আছে। রাতের অন্ধকার আছে মানেই পেছনে একটি উজ্জ্বল আলোর দিন ছিলো এবং সামনে একটি আলোকোজ্জ্বল ভোর অপেক্ষা করছে। রাত যত গভীর হয় ভোর তত কাছে চলে আসে। তাই আধারে ভয় না পেয়ে আলোর কথা ভাবুন। আলোকিত দিনের জন্য আপনার কর্মসূচী ঠিক করুন।
ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, আল্লাহর শেষ রসুল যে সময়ে আরবে জন্ম নেন তখন এমনি এক হতাশা ও ঘোর অন্ধকারের যুগ চলছিল। যুগটিকে বলা হয় আইয়্যামে জাহেলিয়া, অর্থাৎ অন্ধকারের যুগ। বর্তমানে সারা মানবজাতি যেমন অশান্তিতে বসবাস করছি তার চেয়ে কোন অংশেই তাদের অবস্থা ভাল ছিল না। বংশ পরিক্রমায় তারা যুগ যুগ ধরে কলহে লিপ্ত ছিল। উটে যব খেয়েছে বলে তারা যুগের পর যুগ ধরে বংশানুক্রমে লড়াই চালিয়ে একে অপরকে হত্যা করেছে। তাদের ক্রোধ, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধপরায়ণতা চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই মানুষগুলোকেই আজ আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। তাদেরকে সোনার মানুষ বলে অভিহিত করি। তাদের নাম উচ্চারণ করলে নামের শেষে রাদি আল্লাহু আনহুম ওয়া রাদু আনহুম বলে থাকি। এর অর্থ তাদের উপর আল্লাহ রাজী এবং তারাও আল্লাহর উপর রাজী এবং খুশি। কোন জিনিসটি তাদের সেই মানুষদের এমন পরিবর্তন এনে দিয়েছিল? তওহীদ, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব। আমরা জানি আরবের লোকেরা ছিল মূর্তিপুজারী। কিন্তু তারা কখনোই মূর্তিকে তাদের ¯্রষ্টা বলে মানত না। তারা ¯্রষ্টা বলে মানত আল্লাহকেই। তারা মূর্তির পূজা করতো এই কারণে যে তারা মনে করত এই মূর্তিকে পূজা করলে বা তাদেরকে খুশি করলে তারা আল্লাহর নিকট তাদের মঙ্গলের জন্য সুপারিশ করবে। তারা মূর্তির জন্য নিয়োজিত পুরোহিতের দেওয়া আদেশ, কিংবা নিজেদের তৈরী আইন মোতাবেক সমষ্টিগত জীবন পরিচালনা করতো।
রসুলাল্লাহ সেই সমাজে এসে মানুষদেরকে এই আহ্বান করলেন যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের তৈরী আইনকানুন বাদ দিয়ে আল্লাহকে সার্বভৌমত্বের মালিক হিসেবে, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক হিসেবে মেনে নাও। তাহলেই তোমরা শান্তিতে থাকতে পারবে। কিন্তু তৎকালীন আরবের মোশরেকগণ তাদের চিরাচরিত বিশ্বাস ত্যাগ করে রসুলের আহ্বান সহজে মেনে নিল না। তারা বললো, আমরা কি আমাদের পূর্ব পুরুষদের আচরিত বিশ্বাস, ধ্যান ধারণাকে বাদ দিব? রসুলের এই আহ্বান তাদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। তাই তারা তাঁকে এ কাজে বাধা প্রদান করে। কিন্তু রসুলের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি অবিরাম পরিশ্রম, কঠোর সংগ্রাম এবং অনড় ও অটল অবস্থানের কারণে, সর্বোপরি আল্লাহর সাহায্যে তিনি এক সময় সফল হন। আল্লাহর দেয়া বিধান প্রতিষ্ঠা হলে সেই মানুষগুলো পরবর্তীতে আমূল পরিবর্তিত হয়ে একেকজন সোনার মানুষে পরিণত হন। রসুলাল্লাহর তিরোধানের পর তাঁর সুযোগ্য অনুসারীরা তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে দুনিয়ার বুকে ছড়িয়ে পড়েন। তাদের সংগ্রামের ফলে পূর্বে চীন থেকে পশ্চিমে মরক্কো পর্যন্ত, দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়া থেকে উত্তরে সাইবেরিয়া পর্যন্ত এই দীন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আসহাবদের এই পরিবর্তনের সাথে তারা দুনিয়ার বুকে শিক্ষাদীক্ষায়, জ্ঞানে- বিজ্ঞানে, সামরিক শক্তিতে, নতুন নতুন আবিষ্কারে, চিকিৎস্যা বিজ্ঞানে, অজানা অচেনা জায়গায় অভিযানে এক কথায় সর্বদিক দিয়ে এককালের অবহেলিত, অবজ্ঞাত, উপেক্ষিত এই জাতিটি সর্ব দিক দিয়ে সফলতার চূড়ায় আরোহণ করে। কিন্তু অতিশয় দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে মাত্র ৬০/৭০ বছরের মধ্যে জাতি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ভুলে গিয়ে তা ত্যাগ করে রাজা বাদশাহী শুরু করে। জাতির এই পথভ্রষ্টতা আল্লাহর ক্রোধ উদ্রেক করে। যার কারণে এক সময় এ জাতির আবার পতন শুরু হয়। প্রথমত তাদের অতিপা-িত্য, দীনের খুটিনাটি নিয়ে বিশ্লেষণ, অতিবিশ্লেষণ- যার স্বাভাবিক পরিণতি মতভেদ এবং মতভেদ থেকে অনৈক্য। আর ঐক্যহীন কোন জাতি কখনো টিকে থাকতে পারে না। ফলাফল তাই হোল। রসুলের আসহাবদের রক্তের বিনিময়ে যে ইসলাম এসেছিল, দিনে দিনে এর পতন আরম্ভ হয়। সে এক দীর্ঘ এবং তিক্ত ইতিহাস। এখানে সে ইতিহাসের অবতারণা করলাম না। সর্বশেষ আল্লাহর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ( সুরা-তওবা, ৩৮-৩৯) আল্লাহ এই জাতিকে অন্য জাতির গোলাম বানিয়ে দেন। ইউরোপের বিভিন্ন ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলো এই জাতিকে সামরিকভাবে পরাজিত করে টুকরো টুকরো করে শাসন করা শুরু করে। আমাদের এই উপমহাদেশ যায় ব্রিটিশদের অধীনে। দীর্ঘ তিনশ বছর গোলামীর ফলে আমরা আমাদের অতীত ইতিহাস ভুলে যাই। শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা আমাদের মগজ ধোলাই করে। যার কারণে আমরা আমাদের শৌর্যবীর্য হারিয়ে ঘৃণিত গোলামে পরিণত হই। তাদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে আমরা তাদের মগজ দিয়ে ভাবতে শিখেছি, তাদের চোখ দিয়ে দেখতে শিখেছি। কিন্তু ক্ষমতার আধিপত্য নিয়ে প্রভু রাষ্ট্রগুলো গত শতাব্দীর শুরুতে দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ করে কিছুটা কাহিল হয়ে পড়ে। তখন এত বড় ভূ-ভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়ল। তাই তারা অনেকটা আপোষে আমাদেরকে কথিত স্বাধীনতা দিয়ে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিদেয় নেয়। কিন্তু ততদিনে তারা আমাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে তাদের দেওয়া শিক্ষা আমাদের মন মগজে এবং আত্মায় গেথে গিয়েছে। আমাদের দ্বারা তাদের তেমন কোন ভয় নেই। আমরাও প্রকৃত গোলামের ন্যায় আচরণ করেছি। তারা আমাদের কথিত স্বাধীনতা দিয়ে যাওয়াকে প্রভুদের মাহাত্ম হিসেবে দেখেছি। এর একটা নমুনা এই যে- আমাদের এই প্রভুরা আমাদের গোলাম করে রাখার জন্য যে আইন, দ-বিধি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল, তারা চলে যাওয়ার পরেও আমরা সেই আইন, সেই দ-বিধি এবং সেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা বহাল রাখলাম। অবাক ব্যাপার এই যে এমনকি তাদের তৈরী শিক্ষাপদ্ধতিও পরিবর্তন করি নি। ঘটনাটা অনেকটা এইরকম যে- জেলপুলিশ আসামীদের রেখে চলে গেল। কয়েদীরা জেলের ভেতর থাকতে থাকতে বাইরের দুনিয়া ভুলে গেল। তারা মনে করতে পারল না যে এর বাইরেও দুনিয়া আছে। তাই তারা নিজেদের মধ্যে কয়েকজনকে পুলিশের পোশাক পরিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে জেল খাটতে লাগল। আগের পুলিশ যেমন কয়েদীদেরকে পেটাত, হুকুম পালনে বাধ্য কোরত, তারাও তাই করতে আরম্ভ করল। আর কয়েদীরাও তা নির্দ্ধিধায় তা মেনে নিল। পার্থক্য এলো এই যে আগের পুলিশ ছিলো সাদা চামড়ার আর এখনকার পুলিশ কালো কিংবা বাদামী চামড়ার। এ ছাড়া চরিত্রগত আর কোন পার্থক্য নেই।
আগের পুলিশ যেভাবে পেটাত, নতুন পুলিশও একইভাবে পেটায়। আগের পুলিশ অপরাধ করলে যে শাস্তি দিত, নতুন পুলিশও একই শাস্তি দেয়।
কিন্তু সব কিছুর একটা নির্ধারিত সময় আছে। আল্লাহ প্রকৃতিকে যে নিয়মের অধীন করে দিয়েছেন তার মধ্যে একটা হল সবকিছুরই একটা পরিণতি আছে। যার শুরু আছে তার শেষও আছে। আজকের এই আধুনিক পৃথিবী যেমন চাকচিক্যময় এবং চোখ ধাঁধানো, তেমনি এর আরো একটি আভ্যন্তরীণ দিক রয়েছে। এই চাকচিক্যতার পেছনে বিরাজ করে অন্ধকারময় এক জগত। একটা চিত্র তুলে ধরলেই এই দৃশ্যটি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর তা হোল গত শতাব্দীতে যুদ্ধে, দাঙ্গা হাঙ্গামা যত বনী আদম প্রাণ হারিয়েছে, কেঁদেছে, যত অপরাধ করেছে তা মানব ইতিহাসে আর কখনো হয় নি। শুধুমাত্র প্রথম বিশ্বযুদ্ধেই প্রায় দুই কোটি মানুষ নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দুটি মাত্র পারমানবিক বোমার আঘাতে দেড় লক্ষাধিক মানুষ বোমা বিস্ফোরণের মুহূর্তেই নিহত হয়। আহত বিকলাঙ্গের সংখ্যা এর বহুগুণ। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত চলমান এ বিশ্বযুদ্ধে নিহত হয়েছে আরো বহুগুণ ।
এছাড়াও শুধু চলতি শতাব্দীতে সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাস দমনের নামে কথিত যুদ্ধে ভয়াবহ সংঘাত, হত্যা এক আতঙ্কজনক পৃথিবীর জন্ম দিয়েছে। যারা যুদ্ধ করছে, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে উভয়ই ভয়াবহ আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। এহেন পরিস্থিতিতে পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধ, বিগ্রহ, মারামারি, অন্যায়, অত্যাচার, গৃহযুদ্ধ ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। যে কোন পরিসংখ্যান বোলে দেবে অতীতের সকল অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশে দেশে আইন শৃঙ্খলার অবনতি, সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থা আজ এই রূপ হয়েছে যে পৃথিবীর আর বাকি সব অনুন্নত, দরিদ্র রাষ্ট্রের কথা বাদ দিলাম, একক ক্ষমতাসম্পন্ন পরাশক্তির অধিকারী, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত, যাদের বাহিনী পৃথিবীর আর সব বাহিনী থেকে শ্রেষ্ঠ এবং সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত, সেই রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান (বারাক ওবামা) নিজেই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে, “আমরা আমাদের সন্তানদেরকে (সন্ত্রাসীদের হাত থেকে) রক্ষা করতে অক্ষম।” ঘটনার ভয়াবহতায়, জীবন বাঁচানোর তাগিদে, প্রানভয়ে আতঙ্কিত মানুষ বাঁচার লক্ষ্যে মাটি খুঁড়ে, বাঙ্কার বানিয়ে মাটির গভীরে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বসবাস করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ ছাড়াও মানবজাতির সামনে আরো ভয়ংকর বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে- পারমানবিক যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা। এই সভ্যতা আজ মানবজাতিকে এমন অবস্থায় দাঁড় করিয়েছে যে, তারা যে সংখ্যক পারমানবিক বোমার মজুদ ঘটিয়েছে তা দিয়ে শুধু পৃথিবী নামক এই গ্রহকেই নয়, একসাথে কয়েকটি পৃথিবী ধ্বংস করতে সক্ষম। আর তাতে যে শুধু এই সভ্যতার যুদ্ধবাজ নেতাদের আত্মহত্যা হবে তাই নয়, সাথে সাথে আত্মহত্যা হবে গোটা মানব জাতির। সুস্থ মানুষ এই ভেবে আজ দিশেহারা।
এসব কিছু কি প্রমাণ করে? এই প্রমাণ করে কি যে এইভাবেই পৃথিবী তার বাকী আয়ূ পার করবে? আর মানুষ শান্তি ফিরে পাবে না? না, তা নয়।
কালের চক্রে আবার ফিরে আসবে ভালো দিন। হিন্দু ধর্মের কথাই ধরুন। হিন্দু ধর্মে পৃথিবীর আয়ূকালকে চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর প্রথম ভাগ সত্যযুগ, দ্বিতীয়টি ত্রেতা যুগ, তৃতীয়টি দ্বাপর যুগ এবং শেষটি কলি যুগ। সত্য যুগে সত্য মিথ্যার দ্বন্দ্বে সত্য শতকরা একশবার জয়ী হোত। ত্রেতা যুগে এর হার দাঁড়ায় শতকরা পঞ্চাশ বারে। দ্বাপর যুগে এটি নেমে আসে সত্য পঁচিশবারে আর মিথ্যা পঁচাত্তর বার। আর এই ঘোর কলিযুগে শতকরা একশতবারই মিথ্যা জয়ী হচ্ছে। কিন্তু এই কালের চক্রে আবার সত্যযুগ ফিরে আসবে। ইসলামও তাই বলে। শেষ জামানায় আবার দীন পুণরুত্থিত হবে। এমন শান্তি ফিরে আসবে যেমন আগে অশান্তি ছিল। দাজ্জালকে ধ্বংসের মাধ্যমে আবার পৃথিবী পরিপূর্ণ শান্তিময় হয়ে উঠবে। ফুলে ফলে পৃথিবী ভরে উঠবে। মাটি তার বক্ষকে উন্মুক্ত করে সমস্ত ধন সম্পদ উগড়ে দিবে। গাছ এমন ফল দিবে যে একেকটা আনারের খোসাকে মানুষ ছাতা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। কবির ভাষায় বলতে গেলে-
শহীদী ঈদগাহে দেখ আজ জমায়েত ভারি,
হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফরমান জারি।
এছাড়াও আল্লাহ সিদ্ধান্তও এই যে এবলিসের সাথে সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে তিনি এবং তাঁর রসুলে বিজয়ী হবেন। সারা দুনিয়ায় দীন কায়েমের ফলে রসলাল্লাহর উপর অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণতা লাভ করবে। সুতরাং রসুলকে রহমাতাল্লিল আলামিন উপাধির বাস্তবায়ন করতে হলেও এই দীনকে প্রতিষ্ঠা হতে হবে।
তাই পৃথিবীর বর্তমান দুঃখ, দুর্দশা, ক্রন্দন দেখে হতাশ হওয়া উচিত নয়। এ হচ্ছে কালের প্রসব বেদনা, যুগসন্ধিক্ষণ। প্রতিটি মা যেমন সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে ভয়ানক বেদনা অনুভব করেন, ঠিক মহাকালও এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যন্ত্রণার অবসান হলে সন্তানের মুখ দেখে যেমন মা তার সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যান, আনন্দে আত্মহারা হন, তেমনি পৃথিবীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা দেখে মানুষ ভুলে যাবে আজকের কান্না, দুঃখ এবং কষ্ট।
©somewhere in net ltd.