নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিবাদ দমনে আমাদের করণীয় কী?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩১



[গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে দৈনিক দেশেরপত্র আয়োজতি মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশে গণমাধ্যমের করণীয় এবং জঙ্গিবাদ/সন্ত্রাসবাদ নিরসনে আমাদের প্রস্তাবনা শীর্ষক আলোচানা অনুষ্ঠানে দৈনিক নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জনাব হুমায়ূন কবির নিম্নোক্ত বক্তব্য রাখেন।]

আল্লাহ সকল জাতিগোষ্ঠীতে ও জনপদে ঐ এলাকার ভাষায় রচিত ধর্মগ্রন্থ সহকারে তার নবী-রসুলদেরকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ঐ নবীদের বিদায়ের পরে তার শিক্ষা ও ধর্মগ্রন্থ বিকৃত কোরে ফেলা হোয়েছে। ফলে ঐ এলাকার মানুষকে নতুন কোরে পথ দেখাতে আবির্ভূত হোয়েছেন অন্য নবী যারা পূর্বের বিকৃত গ্রন্থকে রদ ঘোষণা কোরেছেন এবং নতুন বিধান জাতিকে প্রদান কোরেছেন। কেউ তাকে মেনে নিয়েছে, কেউ মেনে নেয় নি। এভাবে জন্ম হোয়েছে একাধিক ধর্মের। কালক্রমে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এক এলাকার ধর্মের অনুসারীরা অন্য এলাকায় অন্য ভাষায় নাযেলকৃত ধর্মকে ধর্ম হিসাবে এবং ঐ ধর্মের প্রবর্তককে নবী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। যেমন ইহুদীরা ঈসা (আ) কে আল্লাহর প্রেরিত বোলে স্বীকার করে না, খ্রীস্টানরা আখেরী নবী মোহাম্মদ (দ)-কে নবী হিসাবে স্বীকার করেন না, একইভাবে মোসলেমরা ভারতীয় অঞ্চলে ভারতীয় ভাষার মানুষের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত বুদ্ধ ও শ্রীকৃষ্ণ এঁদেরকে নবী হিসাবে স্বীকার করেন না। কিন্তু তাদের প্রচারিত ধর্মগ্রন্থের মধ্যে আখেরী নবীর আগমনের বহু ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখিত আছে । আল্লাহ বলেন, আমি প্রত্যেক জাতি-গোষ্ঠির মধ্যে কোন না কোন রাসুল পাঠিয়েছি” (সুরা নাহল-৩৭)। এমন কোন জাতি নেই, যার কাছে সতর্ককারী (নাযের) আগমন করে নাই (সুরা ফাতির -২৫)।

ভারতবর্ষে আগত মহাপুরুষদের মধ্যে যুধিষ্ঠির, বুদ্ধ, মনু, শ্রীকৃষ্ণ, রাম, মহাবীর- এঁদের জীবন, দর্শন, প্রকৃতি ও ধর্মগ্রন্থ বিশ্লেষণ কোরে অনেক মনিষী তাদের গবেষণামূলক গ্রন্থে অসংখ্য যুক্তি, প্রমাণ, তথ্য, উপাত্ত উপস্থাপন কোরে মত প্রকাশ কোরেছেন যে এঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন আল্লাহর প্রেরিত অবতার তথা নবী-রসুল।



এই উপমহাদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখি এক ধর্মের অনুসারীদের অজ্ঞতা এবং ভুল জানার কারণে তারা এক ধর্মের অবতারদেরকে, মহাপুরুষদেরকে আরেক ধর্মের ধর্ম গুরুরা, ধর্ম ব্যবসায়ীরা অসম্মান করেন, অপমান করেন, গালাগালি করেন। এটা দুনিয়াময় ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় সা¤প্রদায়িকতার বীজ। আমরা বিশ্বাস কোরি প্রত্যেক ধর্মের মানুষ যদি অন্য ধর্মের প্রভু এবং অবতারদের প্রকৃত পরিচয় জানতে পারে তারা দেখবে যে তারা সকলেই এক স্রষ্টার থেকে আগত, তাদের ধর্মগুলিও সেই প্রভুরই অবতারিত, এবং সকল ধর্মের অবতারগণ মানুষের কল্যাণার্থেই এসেছিলেন। এই সত্য জানতে পারলে প্রত্যেকেই সেই অভিন্ন স্রষ্টার অবতারদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি পোষণ কোরবে, তখন সকল ধর্মের অনুসারীদের হৃদয় থেকে অন্যদের প্রতি বিদ্বেষভাব বিদূরিত হোতে বাধ্য। এভাবে সা¤প্রদায়িকতার অপচর্চা চিরতরে বন্ধ হোয়ে যাবে।

হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধরা শেষ নবী, বিশ্বনবী মোহাম্মদ (দ) কে নবী হিসাবে অস্বীকার করে। তাদের অনেকে এতটাই এসলাম-বিদ্বেষী যে কার্টুন, চলচ্চিত্র, সাহিত্য, চিত্রকলা দিয়ে প্রায়ই এসলামের নবীকে এবং পবিত্র কোর’আনকে অবমাননা কোরে চোলছে যার ফলে অসংখ্য দাঙ্গায় প্রাণহানী, রক্তপাত ঘোটেছে, আজও সেই আগুন জ্বলে যাচ্ছে কোটি এসলামপ্রিয় মানুষের হৃদয়ে। কিন্তু গত ১৪০০ বছরে একজন মোসলেমও ঈসা (আ)-কে নিয়ে কোন কটূক্তি কোরেছে বোলে কেউ দেখাতে পারবে না। কিন্তু হিন্দুধর্মের যাঁরা অবতার তাদের ব্যাপারে মোসলেমদের সঠিক জ্ঞান নেই। ফলে তাদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে সেই মহামানবদের হেয় কোরে কথা বোলেছে, হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। এই কাজটি হিন্দুরাও কোরেছে- যেখানে যে সংখ্যাগুরু সেই সেখানে সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ কোরেছে, তাদের উপাসনালয় ধ্বংস কোরেছে। এই কারণে আমরা চাই ভারতীয় নবীদের সঠিক পরিচয় মানুষের সামনে তুলে ধোরতে।

সমস্ত দুনিয়ায় অন্যায় অবিচার অশান্তির মূল হোচ্ছে ইহুদি-খ্রিস্টান যান্ত্রিক ‘সভ্যতা’। আত্মাহীন, স্রষ্টাহীন, নৈতিকতাহীন, দেহসর্বস্ব এই বস্তুবাদী সভ্যতাকে সব ধর্মের লোকেরাই অবলীলায় গ্রহণ কোরে নিয়েছেন তাদের উচিত ছিল তাদের সামষ্টিক জীবন পরিচালনা করার জন্য জীবনবিধান দিতে যে মহামানবদেরকে স্রষ্টা আল্লাহ পাঠিয়েছেন, সেই অবতারের শিক্ষা তাদের গ্রহণ করা। তা না কোরে সবাই যার যার ধর্মীয় শিক্ষাটাকে ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ কোরে রেখেছেন। কেউ মন্দিরের মধ্যে ঢুকিয়েছেন, কেউ মসজিদে ঢুকিয়েছেন, কেউ প্যাগোডায় ঢুকিয়েছেন, কেউ ঢুকিয়েছেন গির্জায়, আর ঐ সমস্ত উপাসনালয়ে বোসে প্রত্যেক ধর্মের ধর্মজীবীরা ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা কোরে খাচ্ছেন। তারা তাদের অবতারদের শিক্ষাকে গ্রহণ করেন নি, সাধারণ মানুষকেও সঠিক শিক্ষা দেয় নি। ফলে সাধারণ মানুষ চিরকালই ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থেকেছে, এখনও বঞ্চিতই আছে। তারা যদি তাদের সেই অবতারদের প্রকৃত শিক্ষাকে গ্রহণ কোরে নেয় তাহোলে মানুষ সত্যিই মুক্তি পাবে। তারা যদি প্রত্যেকে সত্যসন্ধানী মন নিয়ে তাদের নিজেদের ধর্মগ্রন্থগুলি অভিনিবেশ সহকারে প্রণিধান করে তবে তারা বুঝতে পারবে যে, তাদের ধর্মের ধারাবাহিকতাই হোচ্ছে এসলাম নামক দীনটি। বিশ্বধর্মগুলির ধর্মীয় গ্রন্থাদিতে যে ভবিষ্যদ্বাণী উৎকলিত আছে সেখানেও এই শেষ এসলামের এবং শেষ নবীর উল্লেখ রোয়েছে।

ভারতীয় নবীদের প্রকৃত পরিচয় ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাসের গহ্বর থেকে তুলে এনে তাঁদেরকে সঠিক স্বীকৃতি দিয়েছেন এ যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। আবারও বোলছি, আমরা তাদের সঠিক পরিচয় তুলে ধোরছি প্রধানত দু’টি উদ্দেশ্যে, (এক) অন্য ধর্মের অবতাররাও যে একই স্রষ্টার প্রেরিত নবী ও রসুল এই সত্য না জানার কারণে মানুষ তাঁদেরকে অশ্রদ্ধা ও অবমাননা করে এবং তাঁদের ব্যাপারে কটূক্তি করে, এটা সা¤প্রদায়িক হানাহানি ও হিংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। কিন্তু প্রত্যেক মানুষই একই বাবা মায়ের সন্তান, তাদের প্রত্যেকের জন্য আল্লাহ একই ধর্ম পাঠিয়েছেন। স্থান-কাল-পাত্রভেদে কিছু বিধানের পার্থক্য থাকলেও সকল ধর্মের মর্মবাণী ছিল এক - আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, লক্ষ্য ছিল এক - শান্তি, এবং ধর্মগুলির প্রবর্তকেরা সবাই ছিলেন এক স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রেরিত। এই সত্য মেনে নিলে ধর্মীয় সহিংসতার ও সা¤প্রদায়িক দাঙ্গার কোন সুযোগ থাকবে না।

(দুই) সকল ধর্মের মানুষের উচিৎ নিজেদের ধর্মের অবতারদের নির্দেশ মোতাবেক শেষ রসুলের (দ) আনীত সিস্টেম গ্রহণ কোরে নেওয়া। আমরা জানি, আপনাদের ধর্মগুলিতে জাতীয় জীবন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন-কানুন নেই, যে বিধানগুলি আপনাদের ধর্মে আছে সেগুলিও কালপরিক্রমায় বিকৃত হোয়ে গেছে। সুতরাং ইচ্ছা কোরলেও আপনাদের ধর্মগুলি দিয়ে জাতীয় জীবন চালাতে পারবেন না। সেজন্যই ইহুদী খ্রিস্টান বস্তুবাদী ‘সভ্যতা’র গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি তন্ত্র-মন্ত্রের শরণাপন্ন আপনারা হোয়েছেন। তার পরিণামও দেখতে পাচ্ছেন, বিশ্বজুড়ে জ্বলছে অশান্তির আগুন। কিন্তু আল্লাহ তাঁর শেষ প্রেরিতের মাধ্যমে যে জীবনব্যবস্থাটি দান কোরেছেন এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। অর্থাৎ মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, আধ্যাত্মিক সকল প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম এই দীন। বৈদিক যুগে শাস্ত্র দিয়ে রাজারা রাজ্যশাসন কোরতেন, তখন মানুষ তো বটেই একটি কুকুরের উপরও অন্যায় করা হোত না। সেটা ছিল সত্যযুগ, যার বর্ণনা আপনাদের ধর্মগ্রন্থাদিতে আছে। ইহুদিরা যখন তওরাতের বিধান দিয়ে জীবন চালাতো তখন তারা সর্বদিকে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হোয়েছিল। একইভাবে অর্ধ-পৃথিবীতে যখন আল্লাহর শেষ এসলাম প্রতিষ্ঠিত হোল, সেখানেও প্রতিষ্ঠিত হোল এমন শান্তি ও নিরাপত্তা যে মাসের পর মাস আদালতে অপরাধ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আসতো না, মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এতটাই স্বচ্ছল হোয়ে গিয়েছিল যে, মানুষ টাকা নিয়ে গরীব মানুষের সন্ধানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো, কিন্তু সেই অর্থ গ্রহণ করার মত কোন লোক খুঁজে পেত না। সেই শান্তি আবারও আসবে যদি মানবজাতি আবারও আল্লাহর দেওয়া এই সিস্টেম গ্রহণ কোরে নেয়। তাহোলেই প্রচলিত হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা হবেন সনাতন ধর্মের সত্যিকার অনুসারী, আর বিকৃত এসলাম ধর্মের অনুসারীরা হবেন সত্যিকার মোসলেম।



দুনিয়া আজ অসুন্দর দিয়ে কানায় কানায় ভরপুর।

আসুন আমরা এই মিথ্যার বেড়াজাল থেকে বের হোই।

আমি আহ্বান কোরছি সমস্ত মিডিয়াকে, আসুন আমরা একটি কথার উপরে ঐক্যবদ্ধ হোই । আমরা মিথ্যা বোলব না, মিথ্যা লিখবো না।

আমরা কারো তাবেদারী কোরবো না, কারো গোলামী কোরবো না,

আমরা সকল অসত্যের বেড়াজাল থেকে স্বাধীন হব। অন্ততঃপক্ষে আত্মা থেকে স্বাধীন হব। আমরা ঐক্যবদ্ধ হব, সত্যের পথে ঐক্যবদ্ধ হব। আসুন যা ঘোটছে তাই তুলে ধোরি, যিনি সত্য বলেন তাকে তুলে ধোরি। যিনি সত্যকে ধারণ করেন, সত্যকে প্রকাশ করেন তাকে তুলে ধোরি, তার প্রশংসা কোরি, যিনি মিথ্যা দ্বারা কলুষিত নন তাকে তুলে ধোরি।

তাহোলেই সমাজ দেশ থেকে অন্ধকার দূর হবে, সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

এনশাল্লাহ সত্যের জয় অনিবার্য।

ধন্যবাদ সবাইকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.