নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের প্রকৃত কল্যাণকামীরা কোথায়?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

হরতালে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। রবিবার ৬ জনের সাথে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমবার যোগ হয়েছে আরো ৬ জন। আগামীতেও আরো নিহতের সংখ্যা যোগ হবে এই সংখ্যার সাথে- এটা নিশ্চয়তার সাথে বলা যায়।



নিহতদের মাঝে কেউ আওয়ামীলীগের, কেউ বিএনপির এবং কেউ জামায়াতে ইসলামীর। আমি জানি, যখন আওয়ামী লীগের কারো মৃত্যুর খবর এসেছে তখন প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামায়াত খুশি হয়েছে, আবার যখন বিএনপি-জামায়াতের কেউ নিহত হয়েছে তখন আওয়ামী লীগ খুশি হয়েছে। আবার কেউ বা দুটি দলের মৃতের সংখ্যার ব্যালেন্স করতে চেয়েছেন। সমান সমান হলে তৃপ্তি পেয়েছেন। কিন্তু খেয়াল করেছেন কি, দেশকে তো আপনারা মা বলেন- সেই মায়ের চোখে মা এই মৃত্যুকে কিভাবে দেখবেন? তিনি তো দেখবেন তার সন্তানেরা পরস্পর আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে হানাহানি আর খুনো-খুনিতে লিপ্ত। একজন আরেক জনের রক্ত ঝরিয়ে উল্লাস করছে। তিনি ব্যথিত হবেন, দুঃখ পাবেন। আপনারা কি মায়ের সেই অবস্থানটি খেয়াল করেছেন? দয়া করে একবার সেই মায়ের অবস্থান থেকে চিন্তা করুন! অবশ্য একজন মায়ের মত মানবিক বোধ দেশমাতার থাকার কথা নয়। যদি তেমন কিছু থাকতো তাহলে আমি সেই দেশমাতাকেই এই প্রশ্নগুলো করতাম।





প্রকৃতপক্ষে দেশের একজন সত্যিকার মা অথবা একজন বাবা যদি থাকতেন তাহলে সত্যিই তিনি এ ব্যথায় কাঁদতেন। সত্যিই তিনি তার সন্তানদের মঙ্গলের জন্য শাসন করতেন, তাদেরকে বিভক্তি- ব্যবধান থেকে মুক্ত করতে যথেষ্ট শিক্ষা দান করতেন। এভাবে হেলায় তার সন্তানদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতেন না। আজ যারা দেশের মাতা-পিতা হিসেবে নিজেদেরকে দাবী করছেন তাদের আচরণ দেখে মনে হয় তারা আসল মাতা-পিতা নন। তারা সৎ মাতা-পিতা। সোলাইমান (আঃ) এর দরবারে আসা সালিশের কথা নিশ্চয়ই পাঠক ভুলে যান নি। এক সন্তানকে নিজের দাবী করে দুই মা তাঁর নিকট অভিযোগ করলো। কিন্তু দুই পক্ষকেই খুশি করার কোন উপায়তো নেই। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, শিশুটিকে দুই ভাগে কেটে দুইজনকে দিয়ে দিবেন। কিন্তু প্রকৃত মা চিন্তা করলেন, সন্তানকে যদি কেটেই ভাগ করা হয় তাহলে তো সন্তান নির্ঘাত মারা যাবে। তাই তিনি নিজের সন্তানকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা মায়ের কাছেই সন্তানকে দিয়ে দিতে মনস্থির করলেন।



অপরদিকে মিথ্যা মায়ের এ ব্যাপারে কোন অনুভূতিই হলো না। যখন শিশুটিকে দু’ভাগ করতে উদ্যত হলেন তখন আসল মা চিৎকার করে থামতে বললেন। তিনি সন্তানের দাবী প্রত্যাখ্যান করলেন। সোলাইমান (আঃ) তখন বুঝতে পারলেন ইনিই সন্তানের আসল মা। অতঃপর তিনি সন্তানের আসল মাকে সন্তান দিয়ে দিলেন এবং মিথ্যা দাবীদারকে শাস্তি দিলেন। আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রয়োগ করলে দেখা যাবে সন্তানকে দুইভাগে কেটে ফেলেই সমাধান করতে হবে। কারণ দেশের জন্য কারোই মায়া নেই। দু’দলই চাইবে ভাগ করে দিতে।



কারণ তারা কেউই দেশের আসল মা নন। এদেশের আসল মা মরে গেছেন। এদেশ এখন এতিম। অথবা এদেশের মা-বাবারা এই দেশ নিজেদের এই দাবী করার সাহসটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন। তা না হলে কোথায় তারা? তাদের কী নিজ সন্তানদের জন্য মায়া দয়া নেই? কী করে ভুলে থাকতে পারে তারা সন্তানদের মহা দুঃসময়ে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.