নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের চলমান সঙ্কটে অবশেষে বিরোধী দলীয় নেত্রী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দ্বারস্থ হয়েছেন । ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতির কাছে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় ব্যক্তির অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি এই দাবীসহ মোট আটদফার একটি লিখিত দাবি পেশ করেন রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুসারে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন।
বিরোধী দলীয় নেত্রীর এই সাক্ষাৎকার রাজনৈতিক সঙ্কটের আকাশে দেখা দিয়েছে সামান্য আলোকচ্ছটা। সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রের কর্ণধার ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্রপতির উপর আস্থা রাখার চেষ্টা করছেন। তারা আশা পোষণ করছেন রাষ্ট্রপতি সঙ্কট উত্তরণে তার সাধ্য মোতাবেক করণীয় নির্ধারণ করবেন। কারণ তাদের বিশ্বাস একমাত্র তিনিই পারেন এই সঙ্কটে আলোর মুখ দেখাতে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতায়। যা তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীর কাছে প্রকাশ করেছেন সংবিধান অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব সহযোগিতার আশ্বাসের মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে আমরা দেখতে পাচ্ছি সংবিধান অনুযায়ী বিরোধী দলের দাবী পূর্ণ করার সাধ্য রাষ্ট্রপতির হাতে নেই। কারণ সংবিধান দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার কথাই বলা আছে। অপরদিকে বিরোধী দলের আপত্তি এই সংবিধানেই। আদালতের নির্দেশনায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে সংসদ থেকে আইন করে এই ব্যবস্থাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যদিও আদালতের নির্দেশনায় আরও দু’এক টার্ম তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চলতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়েছিল। বিরোধীদলের দাবী, সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা হিসেবে সরকার আদালতের এই অভিমতকে পাশ কাটিয়ে আগে ভাগেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে যাতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে এবং সে নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা যায়। এছাড়া বিরোধী দলের আরও অভিযোগ আছে যে, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে আইন পাশ এবং সংবিধানে বিভিন্ন পরিবর্তন এনেছে। এমতবস্থায় তাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে, তারা দলীয় সরকারের অধীনে কিছুতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অপরদিকে নতুন করে সংবিধানে পরিবর্তন আনার সময়ও শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং এখন যদি রাষ্ট্রপতিও সঙ্কট উত্তরণের জন্য সংবিধানের দোহাই দেন তাহলে ক্ষমতাসীন সরকার থেকে বেশি কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না। এমতবস্থায় সামনে উপায় আছে দু’টি। প্রথমত, সংবিধান পরিবর্তন করা, যা আগেই বলেছি সময়োত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আর দ্বিতীয় পথ হচ্ছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে উভয়পক্ষের জন্য সন্তোষজনক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কর্ণধার হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে মনে রাখতে হবে যে, সংবিধান রক্ষাই বড় কথা নয়। সংবিধান রক্ষার থেকে বড় বিষয় হচ্ছে মানুষ বাঁচানো, জনগণের সম্পদের সুরক্ষা দেওয়া। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট যদি এভাবে চলতেই থাকে তাহলে দেখা যাবে সংবিধান রক্ষা হচ্ছে বটে, কিন্তু পথে-ঘাটে মানুষ মারা পড়ছে, রাষ্ট্রে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। রাষ্ট্রের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে রাষ্ট্রপতিরও এ ব্যাপারে বড় দায় রয়েছে। সংবিধান রক্ষা করাই চূড়ান্ত কথা নয়, কারণ ‘সংবিধান মানুষের প্রয়োজনে, সংবিধানের প্রয়োজনে মানুষ নয়’-এই আপ্তবাক্যকে মাথায় রেখেই রাষ্ট্রপতি দেশের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এই আশাই মানুষ করছে।
এতটুকু লেখার পরেই খবর পেলাম রাষ্ট্রপতি সর্বদলীয় সরকার চালিয়ে যেতে অনুমতি দিয়েছেন। তা ছাড়া তার আর কীইবা করার আছে? অতএব জ্বালাও পোড়াও অবশ্যম্ভাবী। জেগে উঠছে হরতালের চাঁদ।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম, তাই মনে হচ্ছে?
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
রাষ্ট্রপতির দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী- কিন্তু এ কী করলেন তিনি?
এটি কী বললেন ভাইজান?
বি.এন.পি নিশ্চিত জানে এটি কোন কাজ দেবে না। তবু করা হয়েছে আমেরিকার ইঙ্গিতে। রুটিন ওয়ার্ক। নিয়মাতান্ত্রিকভাবে শেষ পদক্ষেপ।
এখন শুধু অপেক্ষা, শেখ হাসিনা কতদিন লাষ্টিং করে।
বল এখন দাতা দেশগুলোর কোর্টে। ইন্ডিয়ার কাজ শেষ। আমেরিকা, চীন, সওদী আরব ও ইইউ কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপর নির্ভর করছে।
ওদিকে জয়ের ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের সম্পদের খোঁজ পেয়েছে এফ.বি.আই। কাগজপত্র রেডি। এই ট্রামকার্ড কীভাবে খেলা হয় তাই-ই দেখার বিষয়। আমেরিকা চূড়ান্ত জনসমক্ষে আনার আগে আর একটু খেলবে।
নিশ্চিত কেউ বলতে পারে না কী হতে যাচ্ছে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
উড়োজাহাজ বলেছেন: সেটা জানি। আমিও নিয়মতান্ত্রিকতার জন্যই কথাগুলো বলেছি। যথাযথ প্রায়শ্চিত্যের আগে আমাদের মুক্তি নেই- সেটাও জানি। এভাবেই গোলামী করে আমাদের জাতিগত দায় শোধ করে যেতে হবে।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: Mamu, rastropor BICHI KAR HATE? Kheyal ase?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: ভাষাটা আমার কাছে সংযত মনে হয় না। মামু মীনস বাপের শালা।
কার বিচির কার হাতে তারই তা ভাল জানার কথা।
তবে তথাকথিত গণতন্ত্রের বীচি পশ্চিমাদেরই হাতে।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: Mamu, rastropotir BICHI KAR HATE? Kheyal ase?
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুলত জামাতের চাপেই বিএনপি নির্বাচনে আসছে না।
বিম্পির জামাত নির্ভরতা নতুন কিছু না।
গতকালও ছেচড়ার মত নিষিদ্ধ জামাতের নেতাদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে গেলেন
অবস্য এর আগেও ২০০৮এ বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে যেতে চায়নি।
তখন জামাত নেতা মোজাহিদ খন্দকার দেলয়ার কে সাথে নিয়ে জেলে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে নির্বাচনে রাজি করায়।
এবার জামাত নিজের অস্তিত্ত টিকিয়ে রাখতে আওয়ামীলীগকে নির্বাচনের আগেই পরাস্ত করে জয় নিশ্চিত করা ছাড়া নর্মাল নির্বাচনে না যেতে বদ্ধ পরিকর।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
উড়োজাহাজ বলেছেন: উহারা একে অপরের পরিপূরক। মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ। আর আম্বালীগও তাই। ক্ষমতাই সবার টার্গেট। এদের যে কেউই জয়ী হোক, আমাদের জনগণের দুর্ভোগ যাবে না।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
খাটাস বলেছেন: যে সংবিধানে কোন সমঝোতায় আসা যায় না, সেই সংবিধান দিয়ে লাভ কি, এটাই বুঝি না।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: এইটা না বোঝার কোন যুক্তি নাই খাটাস ভাই। প্রথম ভুল নিজেদের তৈরি সংবিধান গ্রহণেই। মানুষ এখন পর্যন্ত এমন কোন জীবন ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয় নি যা দিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
মানুষ আইন তৈরির যোগ্যতা রাখে না। এটা তাদের অনধিকার চর্চা। ফলাফলও যা হওয়ার তাই হচ্ছে।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
নূর আদনান বলেছেন: জাতি একি সংকটে..!! নাজানি সামনে আরো কি অপেক্ষা করছে...?!?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: মানসিকভাবে তৈরি থাকুন। যার নার্ভ বেশি শক্তি, পায়ের তলায় যার মাটি শক্ত, যার আত্মার শক্তি বেশি সেই টিকে থাকবে। অন্যরা আনুষংঙ্গিক ক্ষয়-ক্ষতির কাতারে কালের গর্বে হারিয়ে যাবে।
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
মনে নাই বলেছেন: বিরোধীদল রাষ্ট্রপতির থেকে কিছু আশা করতে পারেনা বর্তমান সংবিধানের মধ্যে থেকে, তাই হতাশ হওয়ারও কিছু নাই।
বড়ই অদ্ভুত আমাদের বর্তমান সরকারীদল, নিজের মত কর সংবিধান চেইন্জ করে এখন আবার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: আসলেই বড় অদ্ভুত। আরো অদ্ভুত আমাদের নিবীর্যতা, আমাদের চেতনা ও চিন্তাধারা।
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
পরোবাশি২০১৩ বলেছেন: কিন্তু পথে-ঘাটে মানুষ মারা পড়ছে, রাষ্ট্রে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
Because BNP will not participate in election as per existing constitution. So, the President has nothing much to do. BNP knows that. President-khaleda meeting was just a show, drama, and unnecessary.
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম! রাজনৈতিক কলাকৌশল।
১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১
সুমন কর বলেছেন: হরতাল আসছে...........
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৭
উড়োজাহাজ বলেছেন: জ্বী মনে হয় হরতাল আসছে, কয়েকটা লাশ চোখের সামনে ভাসছে।
১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪
িনলয় আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: আমাদের কি শান্তিতে বসবাস করার অধিকার নাই???
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: না, নাই। আমরা সে অধিকার হারিয়ে ফেলেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
সেমিবস বলেছেন: মনে হয়না রাষ্ট্রপতির সাথে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতেও কোন সমাধা হবে....