নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপিপন্থী একজন একেএম ওয়াহিদুজ্জামান শিক্ষক যিনি কয়েকদিন আগে একটি মামলায় জেল খেটে এসেছেন, আজ একটি ফেসবুকের বিশেষ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে যশোরে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে একটি সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন। বিভিন্ন খবরের লিঙ্ক দিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, যে যশোরে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগেরই অন্তর্দন্দ্বের ফল। এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগেরই সাবেক হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব। তার নির্দেশেই এই কাজটি সাধিত হয়েছে। কারণ, লীগ এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি। অন্য একজন রণজিত রায়কে ভোট দেওয়ার অপরাধেই সংখ্যালঘুদের উপর এই হামলা হয়েছে। হামলাকারীর প্রকৃত ইতিহাস কি তা তার দেওয়া স্ট্যাটাসটিতেই পাবেন। এ ব্যাপারে আমার কথা নেই। আমার কথা হোল:
আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়নটা দিলেইতো সব লেঠা চুকে যেত। অবশ্য তখন এই ঘোলাজলের পরিবেশটা সৃষ্টি হতো না। সেই সাথে ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলাটাও খেলা যেত না। অন্যদিকে অধ্যক্ষ সাহেবের কথাটাও কিন্তু স্মর্তব্য,
"এদেশের জামায়াত-শিবির শুধু সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সেটা ঠিক নয়, এদেশের সংখ্যালঘুরাও সাম্প্রদায়িক।"
সেই সাথে সাম্প্রদায়িক বিএনপিও। কারণ তারাও জামাত-শিবিরের সাথে জোট রক্ষা করে চলে। আর আর পথভ্রষ্ট বামদের করুণ পরিণতিতো Prothom Alo দেখিয়েই দিল। অন্যদিকে চেতনাবাজদের নিশ্চুপ ভূমিকাতো দেখতেই পাচ্ছি। আসলে সংখ্যালঘু ইস্যুতে সবাই সুযোগ লাভের আশা করে। কেউ নেই এই সংখ্যালঘুদের পক্ষে। এমনকি হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও যে ভূমিকা পালন করে তাও সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকেই করে। একমাত্র সঠিক ইসলাম, সঠিক হিন্দুইজম প্রতিষ্ঠা করলেই পৃথিবীর যেকোন ভূ-খণ্ডে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নির্মূল করা সম্ভব। আজ সেই সঠিক ধর্ম বাস্তবায়নের অভাবেই সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার লাভ করেছে। আর সে সুযোগে নাস্তিকরা ধর্মের বিরুদ্ধে ম্যাতকার করতে পারছে। মোট কথা হলো কেউই আজ যার যার অবস্থানে নেই। যে যার আসল অবস্থানে ফিরে আসুক তাহলেই পৃথিবী থেকে এসকল নোংরা কাজ বিদায় নেবে। সেটা কী? সেটা আল্লাহ রসুলের প্রকৃত ইসলাম। যে ধর্ম বলা হয়েছে অন্য ধর্মের লোকেরা মোমেনদের কাছে এতটাই নিরাপদ যেমন নিরাপদ দাতের ভেতরে জিহ্বা। আমি আশা করি হিন্দু ধর্মেও ভিন্ন ধর্মের লোকেদের ব্যাপারে অনুরূপ কথাই আছে। কারণ তাদের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত হলেও প্রথমত কিন্তু তা একই স্রষ্টার কাছ থেকে এসেছে।
সুতরাং সে আলোয়-ই দূর হোক সকল সাম্প্রদায়িকতা, দূর হোক ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলা, দূর হোক ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতা। সবাই ফিরে আসুক ধর্মের মূল কথায় যেখানে বলা হয়েছে মানুষ একই দম্পতি থেকে আগত। সুতরাং তারা পরস্পর ভাই ভাই। ভাই ভাই এর এই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত দূর হোক পৃথিবীর সকল প্রান্তে। কি লাভ বলুন আপনারই মতো অনুভূতিপ্রবণ একজন মানুষের শরীর থেকে রক্ত ঝড়িয়ে? তারওতো এমনি কষ্ট হয় যেমনটা হয় আপনার!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
উড়োজাহাজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। নয়তো আরো কঠিন পরিণতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬
কলাবাগান১ বলেছেন: ১৯৯০ শতকের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের মধ্যে ১৩টি ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয় হিন্দু ছাত্র/ছাত্রীরা, এর মধ্যে থেকে একজন কেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। এর মধ্যে চার জন এখন আমেরিকার রিসার্চ ওয়ান লেভেলের ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
উড়োজাহাজ বলেছেন: আমাদের রাষ্ট্রপরিচালকদের এটাই ব্যর্থতা। নিজেদের লোককে ধরে রাখতে পারে না, ওদিকে ভারত থেকে ঠিকই যোগ্যলোকদের এনে বড় বড় পদে পদায়ন করেছে।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওয়াহিদুজ্জামানরা বলবেই, আগেও এরকমই বলেছে! এদের ভোতা 'ব্লেম গেইম' অনেক আগে থেকেই চলে আসছে।
বিম্পি-জাশি চক্রের ককটেল আগুনে বোমা, আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানানো সহ সকল প্রানঘাতি হামলাকেই এই চুপা শুশিলরা সাজানো বলে সরকারকে দায়ী করে চিপা মন্তব্য করে যাচ্ছে, কোন প্রাথমিক তথ্য প্রমান ছাড়াই!
বলে "কাছেই পুলিশ থাকার পরও 'কেমনে' হইল" .. নিশ্চই ..? বাসটির মালিক আম্লিগ .. তাই আম্লিগই দায়ী ...!!
এরা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে 'অভিযুক্তদের পাপ' হালকা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে।
এরা গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন মারা যাওয়ার পরও একে সাজানো ঘটনা বলে আসছে
এই গোষ্ঠিরা এখনো বলে ৭১এর বুদ্ধিজীবি হত্যা ভারতীয়দের কাজ!
মালালাকে হুমকি দিয়ে ঘোষনা দিয়ে সাবধান করে কয়েক দিন পরে গুলি করা হয়েছিল। এর পরও এই গোষ্ঠি মালালা ঘটনা আমেরিকানদের সাজানো বলে ধারনা করে।
নাইন ইলেভেনের ধ্বংশকান্ডকেও তাই মনে করে।
লাদেন হত্যাকেও বলে কাল্পনিক!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি বলিনি ওয়াহেদুজ্জামানের সবই দাবিই সত্য। তবে সবই মিথ্যা নয়। বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষমতাসীনরা্ও যে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়েছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ আছে। বরিশাল ও সাতক্ষীরায় তো হাতে নাতে ধরা পড়েছে।
আর আপনিও যদি দলকানা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি তা অস্বীকার করবেন। প্রকৃতপক্ষে সত্য কথা হচ্ছে সবাই সংখ্যালঘু ইস্যুতে খেলা করছে, সুবিধা নিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৩৮
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার। নয়তো আরো কঠিন পরিণতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
Click This Link