নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন কিছু শুনলাম, মনে হয় আরো কিছু শুনতে হবে

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২

নতুন কিছু শুনলাম। যদিও এসব রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই তবুও এ বিষয়টি নিয়ে দু'চার কথা বলার লোভ সঙবরণ করতে পারলাম না। এখন পর্যন্ত অনেক কিছু শুনলাম, অনেক কিছু দেখলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছুই দেখতে হবে। প্রাচীন রাজা বাদশাহরা তাদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ ও বৈধতা পাওয়ার জন্য ধর্মীয় মোল্লা কিংবা পুরোহিত লালন পালন করতেন। আর কথিত গণতান্ত্রিকরা পালন করেন বুদ্ধিজীবী। এরই একটি নমুনা দেখলাম ড. মো: আনোয়ার হোসেন নামের একজন বুদ্ধিজীবীর লেখনি থেকে। তিনি এবং সমভাবনার অধিকারীরা আওয়ামী সরকারকে বৈধতা ও চিরস্থায়ী ক্ষমতা দেওয়ার জন্য অদ্ভুত ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছেন। আর তা হলো ‍"গণতান্ত্রিক একনায়কত্ব"।



মানুষের একধরনের রোগ হয় মৃত্যুকালে। একে ভিমরতি বলে। ইংরেজিতে সম্ভবত স্যানাইল বলে। এই রোগের লক্ষণ হচ্ছে উল্টাপাল্টা আচরণ করা। অনেকটা গরু হারানো হোজ্জার মত। গরু হারানো গেলে নাকি ছেলেকে ভাই এবং এর প্রতিবাদকারী বউকে মা বলে ডাকে। আমাদের তথাকথিত গণতন্ত্র প্রেমিদের গণতন্ত্রের প্রতি এতটাই বড় প্রেম যে ইনারা একনায়কত্ব কায়েম করেও এর সাথে গণতন্ত্র জুড়ে দিতে চান। এই চিত্রটি আমরা অনেক আগে থেকেই দেখে এসেছি। একশ্রেণির পথভ্রষ্ট ধর্মীয় রাজনীতিকরা গণতন্ত্রের দ্বারা এতটাই বায়াসড যে, তা ইসলামী গণতন্ত্র কায়েম করার স্বপ্ন দেখেন এবং পশ্চিমা সভ্যতার আবিষ্কৃত গণতন্ত্রের শিখানো মিটিং মিছিল, মানববন্ধন ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চান। আবার সমাজতন্ত্রের যুগে মুসলমানদের ভোট আদায় করার কৌশল হিসেবে ইসলামিক সমাজতন্ত্রও আবিষ্কার করেছিলেন। অনেকটা ইসলামি সুদের ব্যাংক ও ইসলামি মদের দোকানের মত আর কি।

আচ্ছা, এই বুদ্ধিজীবীরা তো কূপমুণ্ডুক মোল্লাদের খুব সমালোচনা করে থাকে। কিন্তু চরিত্রগতভাবে এই বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে তাদের দূরত্বটা কোথায়? এদের এক অংশ ধর্ম নিয়ে ফতোয়া দেয় আর অন্য অংশ গণতন্ত্র নিয়ে একটার পর একটা ফতোয়া দেয়। তাদের চেহারা সূরত ছাড়া তো আমি আর কোন পার্থক্য দেখি না। কেন এই হিপোক্রেসি? একনায়কত্ব বলতে দোষ কোথায়? ওহ পশ্চিমা প্রভুরা নাখোশ হবে এই ভয়? কিন্তু তারা এই অদ্ভুত আবিস্কারের কথা শুনলে কি মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে? যদি একনায়কত্ব দরকার হয় তাহলে তার সাথে গণতন্ত্রকে মেশানো হচ্ছে কেন? ডাইরেক্ট একনায়কত্ব কায়েম করে ফেলা হউক। বাধা দেবে কে? বিরোধী দল? কিন্তু তাদে সে জোর কোথায়?

ভদ্রলোকের লেখাপড়ে মনে হচ্ছে আসলেই দেশের একটা স্থিতিশীলতা চান। কিন্তু সেনাইলের রোগীর মত আচরণ করলে কি হয়? আওয়ামী লীগকে যেদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানে থাকার জন্য একটি মিনিমাম যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। কঠোর হাতে বিশৃঙ্খলা দমন করার আগে নিজেদের নৈতিক জোর প্রয়োজন। কিন্তু সে নৈতিক জোর কি তাদের আছে? তারা যদি দুর্নীতি না করতো, চুরি না করতো, স্বজনপ্রীতি না করতো তাহলে তাদের হাতে একনায়কত্ব দিতে ভয় পেত না। সেই সাথে ৭২ থেকে ৭৫এর কালো অধ্যায় যে ফিরে আসবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? যদি নৈতিক জোর থাকে তাহলে লীগ জোর খাটাক। কিন্তু তাতে যদি ব্যর্থ হয় তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই তাদের উপর '৭৫ ফিরে আসবে। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম। এই প্রকৃতি বেটাও খুব অটোক্রেট।

কারা করবে? খুব কাছের লোকেরাই যেমন করেছিলো ৭৫ এ। কিন্ত আমি গণতন্ত্রেও বিশ্বাসী নই আবার গতানুগতি একনায়কতন্ত্রেও বিশ্বাসী নই।

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেকটা ইসলামি সুদের ব্যাংক ও ইসলামি মদের দোকানের মত আর কি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: এছাড়া আর কী?

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২০

ভারসাম্য বলেছেন: ভাল লিখেছেন। +++

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.