নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্রিকেট লইয়া পাশ্ববর্তী দেশ হিন্দুস্থান এবং নির্বাসিত ব্রিটিশ চোর-ডাকাতদের বশংবদরা যে ষড়যন্ত্র করিতেছে তাহার শিকার হইয়া বাঙ্গালি জাতি খুবই মর্মাহত মনে হইতেছে। বাঙ্গালি অতিশয় আবেগ তাড়িত প্রাণি। সামান্য আঘাতে তাহারা ভাঙ্গিয়া পড়ে আবার সামান্য প্রাপ্তিতেও আনন্দে অশ্রুজল বিসর্জন দিয়া থাকে। জাতির তরুণ সমাজের একটা বিশাল অংশ ভারতীয় মাদক বিশেষ করিয়া ফেন্সিডিল খাইয়া বুদ হইয়া আছে। তাই তাহাদের চিন্তা বেশি দূর যাইতে পারে না। দেশপ্রেম বলিতে শাহবাগে আড্ডা, কিছু ফটোশ্যুট, মানববন্ধন, ব্লগ এবং ফেসবুকে খিস্তি খেউরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হইয়া গিয়াছে। একটি বিষয় অবশ্য বাদ গিয়াছে। তাহাদের প্রত্যেকটা আন্দোলনে কিছু সংখ্যক নারী জাতীর উপস্থিতি আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে। মনোরঞ্জনের জন্য। এটা না হইলে আন্দোলন-ফান্দোলন কিছুই হয় না।এইবার বুঝুন তাদের বিপ্লবটা কোন সারিতে পড়ে!
যাই হোক, এই জাতিটার গর্ব করিবার মত তেমন কিছু নেই। এক ছিল মুক্তিযুদ্ধ, সেইটাকে হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবালরা কাগজে, বইয়ে, নাটকে রসিয়ে বসিয়ে অর্থাত আবেগী বাঙ্গালীর স্পর্শকাতর স্থানটিতে খুচাইয়া খুচাইয়া আঘাত করিয়া চেতনার বাতিটাকে জ্বালা্ইয়া রাখিয়াছে। কিন্তু তাহাতে ঘৃণা করার শিক্ষা ছাড়া আর কিছুই দেখিতে পাই না। অর্থাত সেই শয়তানের হাতিয়ার অর্থাত অনৈক্যের বীজই তাহাদের পুজি। যাউক, এই জাতির তরুণ সমাজ সম্ভবত একমাত্র ক্রিকেট লইয়াই একটু তৃপ্তির ঢেকুর তুলিতে পারিত। কিন্তু উহাদের ষড়যন্ত্রে এখন তাহাও ভেস্তে যাবার উপক্রম হইয়াছে।
দাদাদের ব্যাপারে বাঙ্গালিরা প্রায়ই একধরনের দুর্বলতা বোধ করেন। বিশেষ করিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইনারা আমাদের কাছে আগাইয়া আসিয়াছিলেন। যদিও কেন ইনারা আসিয়াছিলেন তাহা আমাদের অজানা নহে। তবুও আমরা বুঝিতে চেষ্টা করি যে, ইনারা আমাদের পরম বন্ধু। কিন্তু ইনারা কখনোই তাহা মনে করেন না। ধনী বন্ধু আর গরীব বন্ধুর মধ্যে যাহা হয় আর কী! কিন্তু আমরা তাহাদের সমান সমান মনে করার চেষ্টা করি। আমরা চাই একটি স্বাধীন দেশের সহিত যেমন আচরণ করা হইয়া থাকে আমাদের সহিত অমনি করা হউক। কিন্তু দাদারাতো আমাদেরকে স্বাধীন মনে করেন না। উনারা আমাদেরকে উনাদের অঙ্গরাজ্যের ন্যায় গন্য করিয়া থাকেন। অঙ্গরাজ্যের সাথে কি ইন্টারন্যাশনাল ওয়ান ডে বা টেস্ট খেলা যায়?
©somewhere in net ltd.