নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাদাদের প্রেমে উদ্বুদ্ধ হইয়া একখানা পোস্ট প্রসব করিলাম

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

দাদাদের দেশের সিনেমা:

দাদাদের দেশের সিনেমা দেখিয়া বাংলাদেশের তরুণ/তরুণী সমাজ এতখানিই প্রভাবিত হইয়া পড়িয়াছে যে উহারা এখন শরীর থেকে মায়ের দুধের গন্ধ কাটাইয়া উঠিতে পারিলেই হিন্দি সিনেমার নায়ক/নায়িকাদের মত একখানা প্রেমিক/প্রেমিকা জুটাইয়া লইতে ব্যস্ত হইয়া পড়ে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যদি ন্যূনতম একজনও প্রেমিক অথবা প্রেমিকা না জুটাইতে পারে তাহা হইলে তাহাদের সারা জীবনটাই বৃথা হইয়া যাইবে। একজন প্রেমিকাওয়ালা আরেক প্রেমিকাওয়ালাকে হেয় করিয়া এই নিয়া টিটকিরি করিয়াও থাকে। অতএব মান-সম্মান বাচাইতে হইলে একখানা প্রেম করিতেই হইবে। অতপর দুইদিকেই যেহেতু দরজা খোলা তাই সহজে একাধিক প্রেমিক/প্রেমিকা জোগার হইয়াই যায়। এই লইয়াই তাহার সারাদিন কাটিয়া যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া জাতীয় কোম্পাণিগুলোর মোবাইল ফোনে চলতে থাকে সারাক্ষণ কথা বার্তা। ইহাই তাহাদের জীবন।



দাদাদের ফেন্সিডিল:

এর বাইরে আরেকটা অংশ দাদাদের দেশের ফেন্সিডিলের উপর মারাত্মক নেশাগ্রস্ত। ইহারা টাকার ধান্ধায় এখানে সেখানে চুরি করিয়া বেড়ায়, বাবার পকেট ফাকা করে, মাকে টাকা আদায় করিতে গিয়া মারধোর করে। দুনিয়ার অন্যকিছু ভাবিবার মত ফুসরত ইহাদের কই? লেখাপড়া করা অংশটির কথা আর কী বলবো? উহারাতো পড়ালেখাতেই ব্যস্ত। নিদেনপক্ষে একটি চাকুরি যোগারই ইহাদের জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য। সুন্দরী একখানা বউ এবং একটি এককেন্দ্রিক পরিবার নিয়া উহারা গৃহপালিত পশুর ন্যায় শান্তিতে বাকি জীবনটা কাটাইয়া দেয়। সাত-পাচ ভাবিবার সুযোগ কোথায়?



দাদাদের টিভি সিরিয়াল:

দাদাদের টিভি সিরিয়াল দেখিয়া নববিবাহিত বধূটি কি করিয়া শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির সংসার হইতে আলাদা সংসারে প্রবেশ করিবে তাহার ফন্দি আটিতে থাকে। দিনরাত তাহাদের গীবত করিয়া স্বামীর কান ভারি করাই ইহাদের প্রধান কর্ম। আর শ্বাশুড়িও কম যাবেন কেন? তিনিও তো সিরিয়াল দেখেন। তাহা ছাড়া অভিজ্ঞতার দিক দিয়া তিনিতো আগাইয়াই আছেন। নিজের শ্বাশুড়িকে ল্যাং মারিয়া তিনিওতো এক কালে এই সংসারে প্রবেশ করিয়াছেন।



জাতির যখন এই অবস্থা তখন এই জাতি দিয়া বর্তমান অবস্থার চাইতে আর বেশি কী হইতে পারে? এই জাতিটা বর্তমানে তাহাদের সমস্ত শৌর্য-বীর্য্য হারাইয়া তেনাইয়া পড়িয়াছে। গোলামী আর দারিদ্রতা ছাড়া ইহাদের কপালে আর কী জুটিতে পারে?



দাদাদের সিনেমা, দাদাদের ফেন্সিডিল আর দাদাদের আর টিভি সিরিয়ালমুক্ত একটি বাংলাদেশ আমাকে দাও, আমি কথা দিচ্ছি এই জাতিকে আমি পৃথিবীতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি বানাইয়া দিব।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: দাদা রএক্স । খোলা আকাশের নিজে হাগু করতে আর কত দেরি অহে ভারতীয় কুকুরী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.