নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংবাদপত্রের সাথে জড়িত হওয়ায় অনলাইনের সাথে থাকতেই হয়। সেই সুবাদে ফেসবুকে একখানা আইডিও আছে। আর সবার মতামত ও চিন্তাধারা সম্বন্ধে জানতে হলে অন্যদের লেখা পড়তেই হয়। সে জন্য যারাই ফেসবুক কিংবা ব্লগে লেখা-লেখি করেন তাদেরকে নিয়মিত ফলোতে রাখি। কদাচিৎ মতামতও পেশ করি। কিন্তু ততটা এ্যাক্টিভ বলা যাবে না। আমি সব ধরনের মানুষকেই ফলো করি। বাশেরকেল্লা থেকে শুরু করে জাগরণ মঞ্চ, আইজু, পিনাকী ভট্টাচার্য, ওয়াহিদুজ্জামান, দাসত্ব, দুর্যোধন, আসিফ মহিউদ্দিনরাও বাদ নেই। এখানে আমার কোন সংস্কার নেই। মতের ভিন্নতা থাকলেও সবার খোঁজ-খবরই রাখি। কিন্তু ইদানীং আমি মনে হয় কিছুটা হাপিয়ে উঠেছি। ক্রমাগত মনে হচ্ছে এই মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে উঠছে। এদের ক্রোধ, পরস্পরের প্রতি ঘৃণার মাত্রা দেখে মনে হচ্ছে এদের অধিকাংশই মনুষত্বের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এরা পারেও বটে! কে কাকে কিভাবে আক্রমণ করবে তা নিয়েই সম্ভবত এরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে। এরা একেকজন পৃথিবীর একেক প্রান্তে বসে একের প্রতি অন্যকে যেভাবে ঘৃণার বাণ ছুঁড়ে যাচ্ছে তাতে এদেরকে আমার আর ভাল লাগছে না। মনে হচ্ছে এরা কলহপ্রিয় গ্রাম্য মহিলাদের চেয়েও নীচ। বাস্তবতায় এদের কোন প্রভাব তেমন একটা না থাকলেও এরা একেকজন অহঙ্কারের চূড়াতে অবস্থান করে। বুদ্ধি দিয়ে এরা একে অপরকে প্রতিনিয়ত হত্যা করে চলেছে। অন্তর্জালের পরিধি পেরিয়ে এদের শত্রুতা যে বাস্তবজগতে একেবারেই পড়ছে না তা নয়। মাঝে মাঝেই নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। আরো গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে অন্তর্জালের এসব বিষয়ই রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। জাগরণ মঞ্চসহ, স্কাইপ কেলেঙ্কারী, হেফাজত হত্যার গুজব সবকিছুই অন্তর্জালের ফসল। দেশের মানুষের মধ্যে বিভক্তির বীজটি ছড়াচ্ছে এখান থেকেই।
তাই লোকগুলোকে আমার ভাল লাগছে না। কিন্তু তাদেরকে ছেড়ে দিতেও পারছি না। কেননা কে কী বলে তা জানার একটা প্রয়োজন বোধ হয় প্রতিনিয়ত।
রসুলাল্লাহর একটা হাদীস আছে যে, এমন সময় আসবে যখন মানুষের জিহ্বা ক্ষুরের চেয়ে ধারালো হবে...। সম্ভবত সময়টা এখন।
প্রত্যেরকেরই যার যার লেখনির পক্ষে যুক্তি থাকতে পারে, তাদের হাজার হাজার ফলোয়ারও থাকতে পারে। অনেকের শ্রদ্ধাও কুড়াতে পারেন। কিন্তু এসব করে করে জাতি হিসেবে আমাদের মধ্যে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে, ঘৃণা বাড়ছে, ঐক্য নষ্ট হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এটা দেশের জন্য আরো বড় ধরনের অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে বলে আমি ধারনা করছি। তাই সকলের প্রতি আমার আহ্বান: আপনারা সকলেই দেশকে ভালবাসেন, সুতরাং পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করে নিজেদের অন্তরটাকে আরো বিষিয়ে তুলবেন না, প্লীজ! এটা সবার জন্যই খারাপ ফল ডেকে আনবে । হয়তো এগুলোর কারণে এক সময় আমরা আফসোস করতেও বাধ্য হবো। কী দরকার ঘৃণা বাড়ানোর? এমনিতেই তো আমরা নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। এমতাবস্থায় ঐক্যের কথা বলা যায় না, ভালবাসার কথা বলা যায় না? মনে হয় যায়..। সকলেই বিষয়টি একটু ভেবে দেখবেন কী?
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: অসাধারণ ভাবলে অপছন্দ করতাম না। বিষয়টা এখন রীতিমত ঘৃণার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আপনি কি মনে করেন যে সবাইকে ভালবেসে ফলোতে রেখেছি? মোটেও নয়। শুধু জানতে চেষ্টা করছি কে কতটা নীচ হচ্ছে।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৪
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: আমি দ্বিমত পোষন করছি। আসলে আমাদের তো মাথাই নেই, তাহলে মাথায় রাখবো কি ভাবে?
আজাইরা কথা মাথাওয়ালাদের বলবেন।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২০
উড়োজাহাজ বলেছেন: আসলেই তো! বিষয়টা আমার মাথায় ছিল না। নিজেদেরকে চরিত্রটা পরিস্কার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০
উদাস কিশোর বলেছেন: েসতু আশরাফুল হক বলেছেন: আমি দ্বিমত পোষন করছি। আসলে আমাদের তো মাথাই নেই, তাহলে মাথায় রাখবো কি ভাবে?
আজাইরা কথা মাথাওয়ালাদের বলবেন।
সহমত
২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২১
উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনার জন্যও সেতু আশরাফুল হকের উত্তরটা প্রযোজ্য।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৬
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: চমৎকার লেখা। অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২২
উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। পাশে থাকুন। সব গেলেও কিছু কিছু মানুষ থেকে যায় যাদের নিয়ে বেচে থাকতে ইচ্ছে করে।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনিও খুব সম্ভবত অনেক ভাল লিখেন। আপনার লেখাগুলো পড়া হয়নি। কিন্তু মন্তব্য ও বহুল পঠিত থেকে এমনটা মনে হচ্ছে। আশা আছে সবকটি ধীরে ধীরে পড়ে নেব্।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেউ দুধ বেচে মদ খায় আবার কেউ মদ বেচে দুধ। যার যে প্রকৃতি,সে তার বাহিরে আসতে পাড়বে না,চাইলেও। তবে যখন তর্কযুদ্ধ গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়,তখন আমার কাছেও খারাপ লাগে।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: ভার্চূয়াল ঝগড়া ভার্চূয়াল জগতে সীমাবদ্ধ থাকলে এতকিছু চিন্তা করার ছিল না। কিন্তু সেটা প্রায়শ:ই বাস্তব জগতে গড়ায় । এমনকি দেশের রাজনীতিও পরিবর্তন হয়ে যায়।
সুতরাং ভার্চূয়াল জগত যতটা ক্লীন থাকবে বাস্তব জগতের রাজনীতি ততটা ক্লীন থাকার কথা। ভার্চূয়াল জগত কল্যাণের পথে ব্যয় করা হোক সেটাই কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৬
বোকামন বলেছেন:
সুচিন্তিত লেখা। আমরা সাধারণেরা (অধিকাংশ) আপনার সাথে একমত পোষণ করবো বা করছি। কিন্তু যাঁরা ব্লগ/ফেসবুকে লেখালেখি করে নিজেদেরকে অজ্ঞানবসত অসাধারণ মনে করছেন। সমস্যা সেথানেই !
দ্বিমত থাকতেই পারে। এবং থাকা উচিত তা’না হলে মতের কি মানদণ্ড হবে। আপনার এ পোস্টে মন্তব্য করে দ্বিমত/সমালোচনা প্রকাশ করার লোক কম পাবেন। কিন্তু পিছনে সমালোচনা করার জন্যে লোকের অভাব হবে না ! শিক্ষা ও সামাজিক সমস্যা ...
আমাদের, জ্ঞানচর্চায় সময় বিনিয়োগ করা উচিত। অযথা সস্তা জনপ্রিয়তা সাময়িকভাবে আমাদের কেবল ক্যাফেইনের উত্তেজনাটুকুই দিবে ...
ধন্যবাদ আপনাকে। লিখতে থাকুন। কেউ মন্তব্য করুক বা না করুক।।