নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার: ফতোয়াবাজ মুসলিম- ইসলামের জন্য ক্ষতিকর

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

ফারাবী এবং ফারাবীদের মত বিপরীত মেরুতে মুক্তমনা যারা নাস্তিক আছে, মূলত তাদের অবস্থা একই রকম। একপক্ষ ইসলামের নাম নিয়া অকাম করছে আর এক পক্ষ তথাকথিত মুক্তমনা দাবি করে অকাম করছে। কে কার চাইতে এগিয়ে আছে তা না হয় বাদই দিলাম। পাবলিক নাস্তিকদের অপকর্ম সম্পর্কে যথাবিহিত অবহিত আছে। তাদের থেকে সাবধান হওয়া সম্ভব। কিন্তু ফারাবীকূল হইতে সাবধান হওয়াটা মানুষের জন্য কষ্টকর। কারণ বলছি। প্রথমত মানুষ জানে নাস্তিকদের কোন আদর্শ নেই। কোন মানদল্ড নেই যার আলোকে তারা বিচার করতে পারে। আজকে এই মানদণ্ড এই তো আগামীকাল অন্যটা। নোংরা ভাষা, বেয়াদবি আচরণ, জঘন্য মিথ্যাচার করতে এরা কোন ধরনের বিবেকের তাড়না বোধ করে না। করবে কীভাবে? তারা তো ধরেই নিয়েছে এ জনমই শেষ। এর জন্য তারা কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। সুতরাং নগদ যা পাও তা দুহাতে কামাও।

সমস্যা হইলো ফারাবীদেরকে নিয়ে। ফারাবী রকমারীকে হুমকি দিয়ে ইদানীং মুজাহিদদের নিকট জাতীয় বীরে পরিণত হইছে। ফারাবীকে অনেকেই সমালোচনা করছে। কিন্তু ফারাবিও হাদিস কোরান ঝেড়ে তার কাজের যৌক্তিতা তুলে ধরেছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যারা আল্লাহ, রসুলাল্লাহকে নিয়ে কটুক্তি কিংবা ব্যাঙ্গ করবে তাদের শাস্তি হাদিস-কোরআন অনুযায়ী ফারাবী যা হুমকি দিয়েছে তাই। কিন্তু ফারাবীদের আক্কেলের অভাব এইখানে যে তাদের সময়জ্ঞান খুবই কম। তারা কাঠ মোল্লাদের মত ভুল করে চৈত্রের ওয়াজ মাঘে করে আর মাঘের ওয়াজ চৈত্রে করে ফেলে!

রসুলাল্লার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার, মিথ্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তঘাতক প্রেরণ করে রসুল তাদের মাথা চেয়েছেন। যারা তা করতে পেরেছেন তারা রসুলাল্লাহর প্রিয় পাত্র হয়েছেন। কিন্তু সে সময়টা কখন?

আমরা ইতিহাসে দেখি-রসুলাল্লাহ তার (স) মক্কা জীবনে কি অত্যাচারটাই না হজম করেছেন! প্রানপ্রিয় আসহাবদেরকে নিজের চোখের সামনে হত্যা করা হয়েছে। সুমাইয়া, খাব্বাব, ইয়াসীর (রা) এদের মধ্যে অন্যতম। শুধু আসহাবদের ক্ষেত্রেই নয়, নিজের জীবনের উপরও বার বার আক্রমণ হয়েছে।

এখানে বলা আবশ্যক, ওমর (রা) মক্কায় থাকা অবস্থায়ই দীন গ্রহণ করেছিলেন। তিনি চরিত্রগতভাবে ছিলেন দস্যুপ্রকৃতির। আজকের দিনের সন্ত্রাসী টাইপের। কিন্তু দীন গ্রহণের পর কি তিনি কাপুরুষ হয়ে গিয়েছিলেন? মোটেও নয়। তিনি রসুলের পায়ে নিজের জীবনকে সোপর্দ করেছিলেন। সুতরাং রসুলের হুকুম ছাড়া তিনি কোন কিছু করতে সক্ষম ছিলেন না। একইভাবে আমরা রসুলাল্লাহর চাচাত ভাই আলীর (রা) কথা বলতে পারি। তার বীরত্ব নিয়ে আশা করি কারো কোন প্রশ্ন নেই। এরা কী পারতেন না সে সময় একটা আবু লাহাব, একটা আবু জাহেল কিংবা প্রথম সারির নেতদেরকে হত্যা করতে? নিশ্চয় পারতেন। কিন্তু রসুল তাদরেকে সে হুকুম দেননি। তিনি যদি হুকুম দিতেন তাহলে যে আন্দোলনের সূচনা তিনি মক্কার বুকে শুরু করেছিলেন সে আন্দোলন মক্কার বুকেই নি:শেষ হয়ে যেত । আজ সুদূর বঙ্গভূমিতে বসে যারা আবু জাহেল, আবু লাহাবকে অভিশাপ দিচ্ছেন তারা জীবনেও ইসলামের নামও শুনতেন না।

কিন্তু সেই একই রসুল, একই ব্যক্তি মদীনায় গিয়ে বলা যায় একধরনের যুদ্ধবাজ নেতাতে পরিণত হোন। তার (স) একেকজন অনুসারীর বীরত্ব, সাহসের সাথে আশাকরি ফারাবীকূল ভুল করেও নিজেদের তুলনা করবে না। আর নাস্তিক কূলদের দোসরগণ তখন লেজ উড়িয়ে ইদুরে গর্তে প্রবেশ করেও রেহাই পায়নি। আবু সুফিয়ানদেরকে করজোরে জীবন ভিক্ষা করতে হয়েছিল।

শুধু সক্ষম যোদ্ধাই নন, এমনকি অন্ধ ব্যক্তিও রসুলের প্রতি বিদ্রুপকারী মহিলাকে রাতের আধারে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত শিশুকে কোল থেকে সরিয়ে হত্যা করেছেন।

একটি সময় মক্কী এবং একটি সময় মদীনার। মক্কায় একতরফা মার খাওয়া, মার খেতে খেতে এক সময় নিজেদের জন্মভূমি থেকে পালিয়ে মদীনায় চলে যাওয়া- এই দুইটি সময়ের মধ্যে পূর্বের মানুষগুলোর মধ্যে এত পরিবর্তন কেন?



কারণ হচ্ছে: একটি সময় হচ্ছে আন্দোলনের জন্ম নেওয়ার সময়, ভিত্তি গড়ার সময়। অন্যটা হচ্ছে প্রতিষ্ঠা লাভের পরের সময়। রসুলাল্লাহ মক্কায় ছিলেন অপ্রতিষ্ঠিত অবস্থায়। সেখানে তিনি কোন বৈধ কর্তৃপক্ষ ছিলেন না। সুতরাং সেখানে তিনি কাউকে কোন কাজের জন্য আদেশ করতে সক্ষম ছিলেন না। কিন্তু মদীনায় যাওয়ার পর তিনি মদীনার সর্বেসর্বায় পরিণত হন। তিনিই তখন সেখানকার বৈধ কর্তৃপক্ষ। সেখানে তার (স) আদেশই আইন (মনে রাখতে হবে আমি রাজনৈতিক দিকটির কথা বলছি। ভুল বোঝার কোন অবকাশ নেই)।

কোন একটি সংগঠন যদি কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে (হোক তা কুফর রাষ্ট্র তবুও) তা অবৈধ হিসেবে পরিগণিত হবে। আর যদি রাষ্ট্র অন্যকোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাহলে সেটা বৈধ যুদ্ধ বলে পরিগণিত হবে। ব্যক্তি কিংবা সংগঠন জেহাদের হুকুম দিতে পারে না। এর তাত্ত্বিক যুক্তি ছাড়া্ও রাজনৈতিক বিষয় আছে। রসুল যদি মক্কায় একজন ওমর (রা) কিংবা একজন আলীকে হুকুম দিতেন তবে নিশ্চয়ই অনেক মস্তক তিনি পেতেন। কিন্তু বিজয়ী হয়ে একটি আদর্শকে এবং একটি দীনকে চির স্থায়ীত্ব দেওয়া সম্ভব হতো না। কোনমতেই দীর্ঘ ১৪০০ বছর পরে আজ পর্যন্ত তার (স) সে আদর্শ টিকে থাকত না। মুসলিম জাতির মাঝে আজ আলী, ওমর, খালিদ, আবু বকরের (রা) ঈমানী তেজ নেই। কিন্তু যেটুকু নিভু নিভু আলো আছে তারই তেজ তাবত দুনিয়া সইতে পারে না। হৃদয়ে শুধু ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, রসুলের প্রতি সামান্য ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ নিজেদের প্রাণ উড়িয়ে দিতেে এরা কুণ্ঠাবোধ করে না। দীনের প্রশ্নের, রসুলের সম্মানের প্রশ্নে জীবন দিয়ে দেবে এমন মুসলিমের সংখ্যা পৃথিবী থেকে কখনোই কমে যায়নি। কারো কাছে তা অযৌক্তিক কিংবা অপ্রীতিকর হলেও তাই বাস্তব। আর কখনো তার অভাব হবে বলেও মনে হয় না।

এখন কথা হচ্ছে তাহলে ফারাবীদের ভুল কোথায়? ফারাবীদের ভুল এই যে- ফারাবীরা বৈধ কর্তৃপক্ষ না হয়েই আবেগের বশে, বাস্তবতা বর্জন করে কাউকে আক্রমণের, কাউকে বা হত্যার হুকুম দেয়। যুক্তির আলোকে যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এদের মত আউটলদের জঙ্গিবাদী কার্যক্রম দেখিয়েই বর্তমান পশ্চিমা সভ্যতা অপরাপর মানুষের কাছে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে বলছে দেখ মুসলিমরা কত খারাপ। এদেরকে ধর, মার জেলে দাও। এদের দেশ জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও।



কিন্তু ফারাবীদের মনে রাখা উচিত, শুধু তারাই নয়, রসুলের জন্য, ইসলামের জন্য প্রাণ দিতে কোটি প্রাণ প্রস্তুত রয়েছে। তাদের কাছে ফারাবীরা নস্যি। এরা ফেসবুক আর ব্লগের কার্যক্রমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু ঐ সব প্রাণ দিতে প্রস্তুত মানুষগুলোর জন্য দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা। অহেতুক ফতোয়া দিয়ে, দুই একটা ছুপা নাস্তিক (প্রকৃত নাস্তিকরা ধর্মবিদ্বেষী হয় না) হত্যা করে ইসলামের কোন উপকার করা সম্ভব হবে না। বরং ভয়ঙ্কর দানবকে খোচা দিয়ে জাগিয়ে তোলা হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না, যেমন দীর্ঘদিন যাবত হচ্ছে না। প্রস্তুতিহীন অবস্থায় তোপের মুখে পড়বে মুসলমানরা। এ কাজটি সচেতন বা অসচেতন অবস্থাই করা হোক না কেন- উভয়ই ইসলামের জন্য ক্ষতিকর। ফারাবীদের এ কথা বুঝতে হবে। সময়ের সঙ্গে সত্য-মিথ্যাও ভেরি করে। আপনার হাতে ক্ষমতা এলে আপনিই নির্ধারণ করবেন কার মানদণ্ড দিয়ে আপনি বিচার করবেন। আপনি আপাতত পরাজিত। সুতরাং আপনার যুক্তি, আপনার মানদণ্ড এখানে প্রযোজ্য নয়। আগে সার্বভেৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেন তখন কার কয়টা কল্লা লাগবে, কার মুণ্ডু লাগবে তার ফতোয়া দিয়েন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাই। :)

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১২

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫২

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: এ বেপারে ডিটেইল জানি না,ফারাবী কারা? :)

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: অনলাইনে নিয়মিত থাকলে না জানার কথা নয়।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৫

দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: জানিনা ফারাবি কারা। কিন্তু আপনার লেখায় নাস্তিকদের রক্ষা করার সুক্ষ প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। ব্যাপারখানা কি ?

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২১

উড়োজাহাজ বলেছেন: এই হচ্ছে ফারাবী-https://www.facebook.com/shafiur2012?fref=ts

যদি তাই হয় তাহলে সেটাকে আমার ব্যর্থতা বলেই স্বীকার করবো। কিন্তু কীভাবে সেটা আমি বুঝতে পারছি না। এদের জন্যই কিন্তু কলংকিত ফারাবীদের জন্ম। সুতরাং আমার লেখায় প্রকাশ না পেলেও কিন্তু তারা রেহাই পাওয়ার যোগ্য নয়।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৬

বোকার হদ্দ বলেছেন: সরকার এদেরকে খোয়ারে পাঠায়না কেন? সবকটাকে ধরে জাতির ঐক্য বিনষ্টের অপরাধে গরম ডিম দেওয়া দরকার।

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২২

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধীর বৎস। সময় তার আপন চক্রে ঘোরে। সময়ের হাতেই ছেড়ে দিন।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪০

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @ উড়োজাহাজ :

বেশ ভালো্।
কিন্তু কথা হলো মুসলিমরাতো এখন দুনিয়া গুছাতেই ব্যাস্ত।
তারা প্রস্তুতি নিবেইবা কখন এবং কি ভাবে আর কেই বা নেতৃত্ত দিবে।


ওদিকে তো নাস্তিকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০০

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনি কি বলতে পারেন আপনি সব দেখেন, সব জানেন? হ্যা, একথা সত্য যে, অধিকাংশ মুসলিমই আজকে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু যারা জীবন উৎসর্গ করতে পারে তাদের সংখ্যাও কম নয়। আর জীবন উৎসর্গকারি বেশি লোকের দরকার হয় না। যা দরকার তার সবকিছুই হয়ে গেছে। আল্লাহ যাদের চোখ দিয়েছেন তারা দেখছে। আর যাদের উপর আল্লাহর দয়া হবে তারাও দেখবে।

আপনার মন্তব্যোর জবাবটা একটু কড়া হয়ে গেলেও প্রশ্নটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। এটাকে গঠনমূলক প্রশ্ন বলা যায়।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৮

উদাস কিশোর বলেছেন: দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: জানিনা ফারাবি কারা। কিন্তু আপনার লেখায় নাস্তিকদের রক্ষা করার সুক্ষ প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। ব্যাপারখানা কি ?

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: ভুল বুঝেছেন বা মস্তিস্কে ঘিলুর ঘাটতি রয়েছে। নয়তো ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য আছে।

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ব্যক্তি বিশেষের বিষোদগার করার জন্যই এতবড় পোষ্ট দেখে ফারাবীকে দেখতে ভীষন মন চায়। কে সেই ফারাবী?

২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: ফারাবী ব্যক্তিবিশেষ হইতে পারে। মাগার ফারাবীকূলের অভাব নাই। অইরকম কিছু না। তবে একটু মাথামোটা আর কী। দু:খ হইলো তারে নিয়া নাচানাচি করার লোকেরও অভাব দেখতেছি না। এই জন্য লিখতে যাওয়া।

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪১

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: হুম। এতক্ষনে অরিন্দম কহিলা। ভাল তো! ভাল না?

২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:১৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: :)

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করা যেমন কোন ভাবেই বরদাশত যোগ্য নয় তেমনি কেউ কটুক্তি করলে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে তাকে হত্যা, হত্যার হুমকি দেওয়া, বা তার উপর হাত তোলাও মারাত্বক অন্যায়। এই ব্যাপারটি দেখার সম্পূর্ন দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান যেমন চুরি করলে হাত কাটা, মদ পান করলে ৮০টি বেত্রাঘাত, হত্যা করলে খুনিকে হত্যা করা ইত্যাদি আইন কানূন গুলো কিন্তু বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাবলিকের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এটা বরং ইসলামী সরকারের দায়িত্ব। এর বাহিরে গিয়ে যদি সাধারন কোন মানুষ এগুলো বাস্তবায়ন করতে চায় বা করার ইচ্ছা পোষন করে সেটা হবে রাষ্ট্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা। সে হবে বিদ্রোহী।
আর ফারাবী সাহেব দেশের এমন কোন শীর্ষ আলেম না যে তার কথা কে ফতোয়া বলে ঘোলা পানিতে মাছ শীকারের চেষ্টা করা হবে। এক পাগল আরেক পাগলকে গালি দিয়েছে.....তো এটা নিয়ে এত মাতামাতির কি হল?

২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১১

উড়োজাহাজ বলেছেন: ফারাবী আলেম না, বাট ফারাবীকূল ফারাবী লইয়া যেদিকে যাইতেছে তা মন্দ পথ। রাস্তার কুত্তার সাথে মেজাজ খারাপ করে ঘরে এসে বউ পেটানো ভাল নয়। ছুপা নাস্তিকদের হত্যা করার ফতোয়া, কারো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়ে সে প্রকারান্তরে ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তার জন্য আমি একটা বাক্যও ব্যয় করতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু মাতামাতি বাদ যায় নাই। আমি এর অযৌক্তিতাটাই তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
সে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করেনা। সুতরাং তার দায় ইসলামের কাধে চাপাইয়া দেওয়াও ঠিক হবে না।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৫

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: ফারাবী রকামরী ডট কমের সোহাগ ভাইকে কে হুমকি দিল, তারা সেই বইগুলি নামিয়ে রাখল। এখন আবার আসীফ গংরা তাদেরই এক সময়কার প্রিয়ভাজন রকমারী ডট কমের সোহাগ ভাই কে পাল্টা হুমকি দিল..... বেচারা রকমারী ডটকম এখন যাবে কোন দিকে?

২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: মহা ফাপরে। এদেরকে পাত্তা না দেওয়াই ভাল। বেটার বুকের পাটা থাকলে দুটোকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাক। আর নইলে চুড়ি পড়ে ঘরে বসে থাকুক।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

জগ বলেছেন: ভাল লিখছেন।

২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০০

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ জগ সাহেব। জগ নামটার মাহাত্ম জানালে খুশি হবো। অবশ্য আমার উড়োজাহাজের কোন মানে নেই। সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে কোন লাভ হবে না।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

জগ বলেছেন: জগ সাহেব ! হাহা, জগের সাথে আবার সাহেব। নামটার কোন মাহাত্ম নাই। জাস্ট একটা জগ আরকি।

তবে কার্যকলাপের কিছুটা মাহাত্ম আছে। সম্প্রতি একটা শাহবাগী হনুমানের চুলকানি রোগাক্রান্ত পোষ্টে আমার করা চিরতার পানি টাইপ কমেন্টগুলি পড়লে বুঝতে পারবেন।

Click This Link

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

উড়োজাহাজ বলেছেন: এইগুলি তো মানসিক বিকারগ্রস্ত লোক। সামু কেন এদেরকে প্রশ্রয় দেয় জানিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.