নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসপাতালগুলো হঠাৎ কেন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৪

যুদ্ধকালীন সময়েও যে কোন রাষ্ট্রের যে অংশটি সব ধরনের শত্র“ আক্রমণের উর্ধ্বে থাকার কথা সেখানে শান্তির সময়েও দেশের এ চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটছে। একের পর এক হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের সাথে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে হাতা-হাতি, সংঘর্ষ ও কর্মবিরতিসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ঘটনার সূত্রপাত ঘটলেও বিপরীত দিকে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের উত্তেজিত ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণেই এসব ঘটনার জন্ম হচ্ছে।

চিকিৎকগণ হচ্ছেন মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। যেকোনভাবেই হোক, আহত কিংবা রোগাক্রান্তরা নির্দ্বিধায় নির্ভর করেন চিকিৎসকদের উপর। অনাদিকাল থেকেই মানব সমাজে এই নিয়ম চলে আসছে। তাই চিকিৎসকগণ সমাজের সব ধরনের শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে অতি সম্মানিত শ্রেণির মানুষও বটে। অর্থ-যশ-খ্যাতির উর্ধ্বে উঠে চিকিৎসকগণও মানব সেবায় নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করেই কেমন যেন সেই শ্রদ্ধা এবং সম্মানের স্থানটিতে শূন্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্মান, বিশ্বাস ও ভালবাসায় চির ধরেছে। ক্ষেত্রবিশেষে এক পক্ষের উপর অপর পক্ষ আক্রমণ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। এর পেছনে কারণ খুঁজতে গেলে অনেক কারণই তুলে ধরা যাবে। তবে এর মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসা পেশাটির অতিরিক্ত বাণিজ্যিকীকরণ। বিপদে পড়া মানুষের দুর্বলতার সুযোগকে একশ্রেণির বক-সেবকগণ অর্থোপার্জনের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে। তাই রোগী-চিকিৎসকের মধ্যে গড়ে উঠা অনাদিকালের সেই সহাজাত সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে খরিদ্দার ও বিক্রেতার ন্যায়। পরস্পরের মধ্যে ‘গিভ এন্ড টেক’ নীতির কারণে ‘আমি টাকা দিচ্ছি তুমি সেবা দেবে না কেন’ এই মানসিকতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রত্যাশা পূরণ না হলেই একে অপরের উপর চড়াও হচ্ছে। থাকছেনা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস। চিকিৎসক টাকা না পেলে চিকিৎসা বন্ধ রাখছেন আর রোগী টাকা দিয়ে কাক্সিক্ষত সেবা না পেলে জোর জবরদস্তি করার প্রয়াস পাচ্ছেন। আমাদের সমাজব্যবস্থার সার্বিক দিক দিয়ে নৈতিক অবক্ষয় ঘটা এবং এর বৃহত্তর চাপের কারণে তার প্রভাব চিকিৎসকদের উপরও পড়ছে। তারাও রাস্তা-ঘাটের মাস্তানের ন্যায় আচরণ করছেন। অন্য দিকে প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ জোর করে তাদের কাছ থেকে সেবা আদায় করার চেষ্টা করছে। সমাজ- সভ্যতা টিকে থাকার জন্য এটি কোন স্বাভাবিক সম্পর্ক হতে পারে না। মানুষের মধ্যকার সহজাত ও স্বাভাবিক সম্পর্কের স্থানটি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।



এ কারণেই মূলত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে ঘটছে একেরপর এক অপ্রীতিকর ঘটনা। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পুরান ঢাকার এক রোগী চিকিৎসায় অবহেলার মারা গেছেন অভিযোগ করে তার স্বজনরা ৬০/৭০ লোক নিয়ে হাসপাতালে অভিযান চালায়! সেখানে অনেক চিকিৎসকের চোখের সামনেই অভিযুক্ত চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করা হয়। ভয়ে বাথরুমে পালিয়ে যাওয়া নারী চিকিৎসককেও দরজা ভেঙ্গে টেনে হিঁচড়ে বের করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। হামলাকারীদের মধ্যে পুলিশ পরিচয়ধারী একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষায়িত এই হাসপাতালে ১৫ এপ্রিল সকাল থেকে চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট পালন শুরু করেন চিকিৎসকরা। দু’দিন ধর্মঘট পালনের পর চিকিৎসকদের দাবির কারণে সরকার ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুরোধে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।



এরই ধারাবাহিকতায় অপ্রীতিকর ঘটনার জন্মস্থান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। এখানেও একজন চিকিৎসাধীন এক রোগী মারা গেছেন। এ ঘটনায় মৃতের স্বজনদের সাথে হাতাহাতি হওয়ায় চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া ১০ জন সাংবাদিককে বেধড়ক পিটুনি ও তাদের ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায়। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় উচ্ছৃঙ্খল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারায় এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 



এর আগে দিনের বেলা একুশে টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক ‘একুশের চোখ’ অনুষ্ঠানের ক্যামেরাম্যানসহ ৬ সাংবাদিককে পিটান রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা, বুম ও মোবাইল ভাঙচুর করে। 



রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেলের ঘটনার ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ইন্টার্নি চিকিৎসকরা ওই রোগীর স্বজনদের মারপিট করার জন্য ১৩ নং ওয়ার্ডের সামনে একজোট হতে থাকে। 



পরে ঘটনা শুনতে পেয়ে সংঘাত থামাতে পুলিশ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গেটে তালা মেরে দেয়। ইন্টার্নি চিকিৎসকরা তালা ভেঙে ওয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করে রোগীর স্বজনদের উপর ব্যাপক হামলা চালায়। 

এ ঘটনার খবর সংগ্রহে চ্যানেল-২৪ এর সাংবাদিক আবরার শাহরিয়ার ও ক্যামেরাপারসন রায়হানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ক্যামেরা ভাঙচুর করে রায়হানকে ছেড়ে দিলেও আবরারকে আটকে রাখে তারা। 



খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আবরার শাহরিয়ারকে উদ্ধারে ১৩ নং ওয়ার্ডে গেলে দ্বিতীয় দফায় ইন্টার্নি চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের ওপরে হামলা চালায়। এসময় যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান রাসেল, মাছরাঙ্গা টিভির মাসুদ, এটিএন নিউজের রুবেল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জাফর ইকবাল লিটন, দৈনিক সোনার দেশের সালাউদ্দিনসহ আরো ৮ জন আহত হন। হামলাকারী চিকিৎসকরা এ সময়ও সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। এর মধ্যে চ্যানেল ২৪ এর রায়হান ও যমুনার রাসেলকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে রাসেলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যমুনা টিভির ক্যামেরা পারসন রাসেল আহমেদকে রাজধানীর এপোলো হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) তে রাখা হয়েছে।



রামেকের ঘটনায় জানা যায়, ঘটনার পর খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরা রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখানেও তাদের উপর হামলার চেষ্টা হলে পুলিশ সাংবাদিকদের রক্ষায় এগিয়ে আসে। ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে রাজশাহীর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সদর আসনের সংসদ সদস্য ও রামেকের পরিচালক ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। 



তাদের অনুরোধে পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের সাহায্যে আক্রান্ত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। এ সময় আক্রান্ত কয়েকজন সাংবাদিকের অবস্থা গুরুতর হলেও রামেক হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা অনিরাপদ হয়ে ওঠার শঙ্কায় তাদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 



পরে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের কক্ষে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ ও চিকিৎসকরা সমঝোতা বৈঠকে বসেন। 



এ বৈঠকে সাংবাদিকদের উপর হামলার সময় দায়িত্বে অবহেলার জন্য বোয়ালীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদুর রহমানকে সাময়িক প্রত্যাহার করেন পুলিশ সুপার মাহাবুব। সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের যথাযথ শাস্তি দেয়া হবে। সোমবার সকালেই এ বিষয়ে বৈঠক করা হবে।’ 



এরও আগে গত ২৭ ও ২৮ মার্চ রাজশাহীর চিকিৎসকরা ধর্মঘট পালন করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলকে আদালত কারাগারের পাঠালে এর প্রতিবাদে তারা এ ধর্মঘট ডাকেন। তাদের ধর্মঘটের কারণে ওই সময় চাপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক রোগী রামেক হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। 



বস্তুত আমাদের সমাজ কাঠামোর প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই আজ এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। কি বিশ্ববিদ্যালয়, কি হাসপাতাল, কি আদালত প্রাঙ্গণ, কি পরিবহনের মত প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই দেখা যাচ্ছে এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে যাদের দ্বারা এক ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। মূলত রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তিগুলো দুর্বল হয়ে গেলে এবং সেসব থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে গেলেই এসব ঘটনা ঘটে। সুতরাং আমাদেরকে সেই মৌলিক ভিত্তিগুলোকে শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১২

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: মানুষের মন থেকে মানবতা বোধ হারিয়েছে সাথে মূল্যবোধ টুকুও নাই।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: কিন্তু কেন সেটি কখনো ভেবে দেখেছেন?

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি বিশ্ববিদ্যালয়, কি হাসপাতাল, কি আদালত প্রাঙ্গণ, কি পরিবহনের মত প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই দেখা যাচ্ছে এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে যাদের দ্বারা এক ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। মূলত রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তিগুলো দুর্বল হয়ে গেলে এবং সেসব থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে গেলেই এসব ঘটনা ঘটে। সুতরাং আমাদেরকে সেই মৌলিক ভিত্তিগুলোকে শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন।

এটাই মুল কথা।

আর এই সকল বিশেষায়িত পেশায় রাজনীতি নিষদ্ধ করা হোক।

ভর্তির সময়ই মুচলেকা নিয়ে এবং আইনানুগ ভাবে কোন প্রকার রাজনৈতিক দলের শাখা বা কার্যক্রম পরিচালনা, তাতে অংশ নেয়া নিষিদ্ধ করা হকো।

তারা রাজনীতি করতে চাইলে পেশা ছেড়ে এসে পরে রাজণীতি করুক।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনার সাথে একমত। তবে গোড়ায় সমস্যা রেখে ওসব ঠিক করা যাবে না। গোড়া ঠিক করাটা জরুরি।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৪

দুরন্ত পথিক০৫ বলেছেন: রাজশাহীতে কোনো রোগি মারা যায়নি, রোগি দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সাংঘাতিকেরা প্রচার করলো রোগি মারা গেছে। হলুদ সাংবাদিকতা করে সস্তা জনপ্রিয়তা পাবে বাট কপালে মাইর ও থাকবে। আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, ডাক্তারির ড বুঝেনা, আর উনারা সব ভুল ধইরা ফালায়।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: রোগী মারা গেল কি গেল না তা নিয়ে আমার প্রশ্ন নয়। আমার কথা নৈরাজ্য নিয়ে, মারামারি নিয়ে--তাও হাসপাতালের মত স্থানে । সে যে কারণেই

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
উড়োজাহাজ,
এ হচ্ছে সার্বিক অবক্ষয়ের নমুনা।
অরাজনীতি-চর্চা সব খাইলো ...

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩০

উড়োজাহাজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিন্তু এ থেকে আমাদের ভাল'র দিকে টার্ন করতে হবে।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হুম। ভাল’র দিকে টার্ন করতে আমরা অনেকেই চাইছি। বিশেষ করে, আমরা ভুক্তভোগীরা। সমস্যা হচ্ছে একতা নেই আমাদের মাঝে। সেই অরাজনীতির কুট কৌশলে আমি আপনি দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে আছি।

কষ্টে আছি ভাইডি ... কষ্টে আছি ...

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪২

উড়োজাহাজ বলেছেন: কিন্তু আমাদের সমস্যাও আছে। আমরা কারা সঠিক, কারা ভণ্ড তাও চিনতে পারছি না। এমনকি সে সত্যকে গ্রহণ করার মানসিকতাও আমাদের নেই। শুধু হা-হুতাশ করতে পছন্দ করি। অবশ্য কারণও আছে। কারণ চুন খেয়ে আমাদের মুখ পুুড়েছে। তাই দই দেখেও ভয় পাচ্ছি।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিছুই বলার নেই। একসময় দেখতাম একদম উচ্চস্তর থেকে গুন্ডাদের মাঝেও পারস্পরিক বিশ্বাস এবং তা রক্ষার মূল্যবোধটা অন্ততঃ ছিল। জীবন গেলেও সে এটা রক্ষা করতো। আর আজ দেখছি সাধারন অসহায় মানুষগুলির শেষ আশ্রয় তথা ভবসার স্থান নিয়েও আমর ভাষায় ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। কারন......।
চিকিৎসা পেশাটির অতিরিক্ত বাণিজ্যিকীকরণ। বিপদে পড়া মানুষের দুর্বলতার সুযোগকে একশ্রেণির বক-সেবকগণ অর্থোপার্জনের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে। তাই রোগী-চিকিৎসকের মধ্যে গড়ে উঠা অনাদিকালের সেই সহাজাত সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে খরিদ্দার ও বিক্রেতার ন্যায়।
আমি যা দিচ্ছি ততটুকু আশা করা কি আমার অন্যায়??তাহলে??

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি আসলে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কের উর্ধ্বে উঠার কথা বলছি-যা অতীতে ছিলো- যা হারিয়ে গেছে আমাদের মাঝ থেকে।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অতীতের কোন জিনিসটা আর আমাদের মাঝে আছে বা আসবে বলে আশা করছেন??যেখানে আজ ভাই-বোনের সেই চিরচেনা মধুর সম্পর্কটাও দেওয়া-নেওয়ার নিক্তিতে পরিমাপ হচ্ছে? না ভাই অনেক দেখেছি, আর আশাবাদী হতে পারছি না।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি আশাবাদী এবং প্রচণ্ড আশাবাদী। আমি আবেগ পছন্দ করি না, কিন্তু আমার চাইতে বড় আবেগী মানুষ খুব কমই পাবেন। কারণ আমি সে পথ নিজ চোখে দেখেছি। সেটা বড় হয়ে উঠছে। পৃথিবীতে বিপ্লবের জন্য একটা পথ শুরু হয়ে গেছে। আপনার সব হতাশাকে মাথায় রেখে, বিবেচনায় রেখেই আমি এই কথা জোর দিয়ে বিশ্বাস করি। আমার সাথে একমত হওয়া না হওয়া আপনার ব্যাপার। তবে আপনি সে টা দেখেননি। সুতরাং আশাবাদী হওয়াটাও কঠিন, অসম্ভব।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

টুম্পা মনি বলেছেন: পুড়া পোষ্ট পড়ি নাই। হেডিং এর উপর মন্তব্য দিতেসি। এই যে সাংবাদিক নামক সাংঘাতিক দেকতেসেন তারা অতি ভয়ংকর! তারা ডাক্তারের আগে এমন কি ডায়াগ্নস্টিক সেন্টারের আগে রোগীর রিপোর্ট কইয়ে দেয় রোগী ভালো ছিল ,তার কোন অসুখ অয় নাই, সুস্থ! এত বড় রোগ বিশেষজ্ঞ দেইখাই গ্যাঞ্জাম বাঁধে। তাদের কারণে পাব্লিক আর ডাক্তারদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি বাড়তেসে। X(( X(( X(( তাদের আরেকটু সৎ হওয়া উচিত বইলেই মনে করি! নয়ত এখন সাধারণ জনগণের চোখে ধুলা দিয়া তারা যেই প্রশংসা নিতেসেন যদি এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় তখন এই দেশের সাধারণ জনগণই তাদের থুতু দিবেন। থ্যাংকু।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:১৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: পোস্ট না পড়লেও মন্তব্য খারাপ করেন নি। আমিও একই কথা বলেছি। দোষ কারোই কম নয়। আবার দুই পক্ষকে দোষ দিয়েও খালাস পাওয়া যাবে না। আমাদেরকে পরস্পর পরস্পরের প্রতি দোষারোপের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে নিজেদের দোষ খুঁজতে হবে এবং শোধরাতে হবে। ধন্যবাদ।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৭

রাব্বী সৃজন বলেছেন: দেশের সেবাখাতের চর্চাকারীদের উপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:১৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: এভাবে দোষারোপ করলে কাজ হবে না। সিস্টেমটাই এমন। আপনি অন্যকে দোষারোপ করবেন মানে খারাপ ফল দেওয়া গাছের ফলকে প্রতি বছর ঝেড়ে ফেলে দেওয়ার মত। পরের বছর কিন্তু সে গাছে আবারও খারাপ ফল ধরবে। সুতরাং আগে গাছ উপড়ান। ভাল জাতের গাছ লাগান। এই ঘুণে ধরা সিস্টেম বদলে নতুন সিস্টেম দাঁড় করান।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৭

রাব্বী সৃজন বলেছেন: দেশের সেবাখাতের চর্চাকারীদের উপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম, অতিরিক্ত বাণিজ্যিকিকরণ, বস্তুবাদী দর্শন থেকেই এর জন্ম।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১২

নবীউল করিম বলেছেন: নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারনে সর্বত্র এই অবস্থা। এটা অবশ্যই এক দিনে হয় নাই। ছোট ছোট বালু কণা বিন্দু বিন্দু জল………………।

আমরা কি পারি না আমাদের বাচ্চাদের নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দিতে? অবশ্য এটার জন্য নিজেকেই আগে সঠিক পথে থেকে অনেক ত্যাগ স্বীকার কোরতে হবে!টাকা,গাড়ি বাড়ির লোভ কে দমন করে শুদ্ধ হওয়া প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার এই সমাজে।যেখানে মানুষের মূল্যায়ন হয় শুধু মাত্র টাকা দিয়েই!নীতি আর সততা যেখানে করুণার ও তামাশার পাত্র।

অবস্থা যে দিকে এগুচ্ছে, হতাশা ছাড়া আশা করবার মতো কনও সূত্র পাচ্ছি না!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: অন্ধকার যত গভীর হয়, ভোর তত কাছে আসে। এর বেশি আর কিছু বললাম না।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

ধুমধাম বলেছেন: ডাক্তাররা যতদিন নিজেদের আইনী লেভেলের উপরে বলে ভাববে ততদিন এসব চলতে থাকবে, উনারা নিজেদের মানুষের লেভেলে নামাতে পারলে তবেই সমাধান। এর আগে নয়

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১০

উড়োজাহাজ বলেছেন: আইন বিষয় নয়, ভাই। বিষয় মানুষের লেভেলে নামা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.