নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ফক্স টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আলকায়েদা যুক্তরাষ্ট্রেরই সৃষ্টি। তিনি আরো বলেছেন, আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত বাহিনীকে পরাস্ত করতেই যুক্তরাষ্ট্র আলকায়েদা বাহিনী সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়াও তিনি আলকায়েদা গঠন ও নিয়ন্ত্রণ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন যা আমাদের দেশের প্রায় সবকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার তুলে ধরা এই তথ্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই। কিন্তু এসব কথা এখন তথ্যাভিজ্ঞ যেকোন ব্যক্তির কাছেই অনেক পুরনো সত্য। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা মোটেও নতুন নয়। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে হেন কাজ নেই যা তারা করে না। মাঝে মধ্যে তাদের প্রতিযোগীদের বরাত দিয়ে টুকটাক কিছু তথ্য বেরিয়ে এলেও খোদ সাবেক এক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে এই ন্যাক্কারজনক কাজের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে, এরা নীতি-নৈতিকতার কোন ধার তো ধারেই না, বরং সেসব কাজকে তারা নিজেদের কৃতিত্ব হিসেবেই গ্রহণ করে।
আলকায়েদার উত্থান ও তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে, বিশেষ করে ২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে টুইন টাওয়ার হামলাসহ অন্তত আরো তিনটি স্থানে আত্মঘাতী বিমান হামলার ঘটনায় গোটা পৃথিবীর রাজনৈতিক অবস্থা সাংঘাতিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এর জের ধরে কয়েকটা দেশের লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে তার কয়েকগুণ বেশি। আর উদ্বাস্তুর সংখ্যা এই সম্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশি। দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে অস্থিরতা। বেশিরভাগ দেশই আজতক মোকাবেলা করছে জঙ্গিবাদী দলগুলোর হুমকি। এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সবচাইতে বড় ক্ষতিটা যা হয়েছে তা হলো গোটা একটা প্রধান ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বের বুকে চিহ্নিত হয়েছে সন্ত্রাসী হিসেবে। বাস্তবেও পরিস্থিতিতে পড়ে শান্তির ধর্ম হিসেবে খ্যাত ইসলামের অনেক অনুসারীই সন্ত্রাসের পথ ধরতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু সেটা ধর্ম রক্ষার জন্য নয়, বরং নিজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটিই তাদের কাছে ছিলো মুখ্য। কিন্তু মূল সত্যিটা এই যে, তাদেরকে নানা প্রক্রিয়ায় সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটির পেছনে কল-কাঠি নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মত শক্তিশালী দেশগুলোই। কারণ তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত করে তুলতে পারলে তখন এই অজুহাতে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে দেশ দখল করার সুযোগ পাওয়া যায়। সুযোগ ঘটে তাদের তেল, গ্যাস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়ার। এই পরিস্থিতির মূলে যে তারাই দায়ী তা হিলারি ক্লিনটনের এই আত্মস্বীকৃতির ঘটনাই প্রমাণ করে। কিন্তু সবচেয়ে অবাক ব্যাপার এই যে, যুক্তরাষ্ট্রের মত এই বিশ্ব মোড়লরাই আবার নিজেদেরকে মানবতাবাদী এবং উদ্ধারকর্তা হিসেবে জাহির করে। এমনকি তারা নিজেদেরকে ধর্মযোদ্ধা হিসেবেও মনে করে। যুদ্ধের উন্মাদনা সৃষ্টিকারী হিসেবে মিডিয়া মালিক এবং যুদ্ধে অর্থলগ্নীকারী বড় বড় ধনকুবেরগণ মনে করেন এর মাধ্যমে তারা যিশু খ্রিস্টের আসন্ন আগমনের পথকে সু-প্রশস্ত করে রাখছেন।
কিন্ত অন্যায়ভাবে কোন একটি জনগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী বানিয়ে আবার সেই সন্ত্রাসের দোহাই দিয়ে তাদের হাতের সুখ মেটাতে তাদেরকে বন্দুক ও গোলার টার্গেট অবজেক্ট বানানোর মাধ্যমে তারা কোন ধর্মের কাজ করছেন তা মানুষের বোধগম্যের বাইরে। যে ধর্মের অনুসরণ করতে গিয়ে তারা এই কাজকে বৈধ মনে করছে তা কি খোদ এই ধর্মের প্রবক্তা (তাদের মতে সদাপ্রভু ঈশ্বর) হিসেবে যাকে মানা হয় তিনি বরদাস্ত করবেন? আমরা যতটুকু জানি, ইসা মসীহ (আঃ) হলেন শান্তির দূত। তাঁর দ্বিতীয়বারের আগমনকে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরাও মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন। এই শান্তির দূত কি মানুষকে অন্যায়ভাবে সন্ত্রাসী সৃষ্টিকারীদের স্বীকৃতি দেবেন? না, কিছুতেই তিনি তা দিতে পারেন না। কারণ, তিনি হবেন মানবতার শান্তির দূত। মানুষে মানুষে সমস্ত বিভেদ-ব্যাবধান ঘুচিয়ে শান্তি আনাই তাঁর প্রধান দায়িত্ব। সুতরাং একদিকে কোন একটা সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসী বানিয়ে আবার ধার্মিকের ছদ্মবেশ ধারণ কিংবা মানবতাবাদী সেজে তাদেরকেই উদ্ধার করার এই ওঝা নীতি তাঁর কাছে স্থান পাবে না। এসব আসলে ধর্মের নামে ভণ্ডামী। সুতরাং তারাই যে এই শান্তি দূতের শিকারে পরিণত হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাদের অনুসারী, আমাদের স্বজাতীয়দের পরিণতি কি হবে তাও সহজেই অনুমেয়। মনে রাখা প্রয়োজন, প্রত্যেক নবী, রসুল ও অবতারগণই নির্যাতিতদের পক্ষে, কখনোই নির্যাতনকারীর পক্ষে নন।
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০০
উড়োজাহাজ বলেছেন: তারা বাইবেলে হাত রেখে রাষ্ট্রপ্রধানের শপথ নেয়
আমাদের কোরআনে হাত রেখে শপথ নেবার দাবী তুলে দেখূন- নগদা রাজাকার বানায়া ফেলব! কারণ একটা আত্ম পরিচয়হীন শ্রেণী অলরেডি তারা সফল ভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
তারা ধর্মের নামে ধর্ম রাজ্য প্রর্ভর রাজ্য ইশ্বরের রাজ্যের নামে সব করবে। তাদের সংসদে এন্টি ইসলামিক বিল অনুমোদেন করবে! তার পরও তারা দুধৈ ধৌয়া!!!!!!!!!!
আর মুসলমানরা আত্মরক্ষায়, অস্তিত্ব রক্ষায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করলেও তাকে ট্যাগিংবাজি করা হয়।!!----সহমত
এখন মুসলমানকে তার মূলে ফিরতে হবে।
ডমিনেশনে আর মূল্যায়নের আত্ম-স্বীকৃত পথে ফিরতে হবে।
কারো দ্বারা মূল্যায়িত হয়ে নয়, হতে নয়- নিজের বিশ্বাসের দ্বারা চলতে হবে।-----কবি এখানেই হতাশ, সাংঘাতিক নিরব।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
ইউর হাইনেস বলেছেন: পোস্টটা সুন্দর হয়েছে..... বিদ্রোহী ভৃগু ভাই আপনার কমেন্ট চমৎকার...................... প্লাস
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০১
উড়োজাহাজ বলেছেন: সুন্দর শুনতে ভাল লাগে না রে ভাই! কি যে হতাশা কাজ করে আমাদের মুসমাইন্ন্যাদের দেখলে। মুঞ্চায় আগে তাদেরকে চিবাইয়া খাই।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মদন বলেছেন: ++++++++++
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০২
উড়োজাহাজ বলেছেন: প্লাস দিয়ে কি হবে, যদি নিজেরা পরিবর্তিত না হই?
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫
নবীউল করিম বলেছেন: ++++++++++++++++
১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
দারুন বিশ্লেষণ
১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৪০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না এসবের পিছনের শক্তিগুলি ধর্মের অনুসারী বা প্রবক্তা হিসাবে কাজ করছে না। করছে নিজেদের সাম্রজ্যবাদ আর অস্ত্রবাজার বিস্তারের জন্য। আর কায়েদা যে আমেরিকার সৃষ্টি তা তো আর কারো অজানা ছিল না। অভাব ছিল শুধু দেশটির স্বীকৃতি। হিলারী বুঝে-শুনেই কাজটি করেছে।
এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সবচাইতে বড় ক্ষতিটা যা হয়েছে তা হলো গোটা একটা প্রধান ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বের বুকে চিহ্নিত হয়েছে সন্ত্রাসী হিসেবে- একেবারে সত্যি এবং বাস্তসম্মত কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই শান্তির ধর্মের অনুসারীরা খুব সহজেই তাদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে।
১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
উড়োজাহাজ বলেছেন: এই জন্যই বলি, আগে পিটানো দরকার এই নামধারী মুসলমানদের।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা নিজেরা ভন্ড! তারা ভীষণ রকম ধর্মতাড়িত! আর তারা এটাও জানে ধর্ম তাড়নায় মুসলমানরা সবচে বেশী পাক্কা!
তাই তারা তাদের ধর্মের তাড়নাকে লুকিয়ে রেখে সুশীলপণার বেশ ধরে
ধর্মকেই মৌলবাদ, গোড়া বলে নতুন শ্রেনীকে ধর্শ বিমূখ করে - মূলত তাদের ভবিস্যতের ধর্ম রাজ্যের একক শক্তির আসনে বসতে চাইছে। যেখানে কেউ প্রতিপক্ষ থাকবে না।
ইসলামকে তো এক নম্বরে রেখেছে আবেগে নয়- সত্য যুক্তি আর শক্তির বিচারেই। তাই এদেশী নাস্তিক গং যখন খেউ করে
আর ওদের ভেকধারী সুশীল যখন খেউ করে একই শোনায়। তাদের স্টাইল এক উপস্থাপনা এক, মটো এক...
তারা বাইবেলে হাত রেখে রাষ্ট্রপ্রধানের শপথ নেয়
আমাদের কোরআনে হাত রেখে শপথ নেবার দাবী তুলে দেখূন- নগদা রাজাকার বানায়া ফেলব! কারণ একটা আত্ম পরিচয়হীন শ্রেণী অলরেডি তারা সফল ভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
তারা ধর্মের নামে ধর্ম রাজ্য প্রর্ভর রাজ্য ইশ্বরের রাজ্যের নামে সব করবে। তাদের সংসদে এন্টি ইসলামিক বিল অনুমোদেন করবে! তার পরও তারা দুধৈ ধৌয়া!!!!!!!!!!
আর মুসলমানরা আত্মরক্ষায়, অস্তিত্ব রক্ষায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করলেও তাকে ট্যাগিংবাজি করা হয়।!!
এখন মুসলমানকে তার মূলে ফিরতে হবে।
ডমিনেশনে আর মূল্যায়নের আত্ম-স্বীকৃত পথে ফিরতে হবে।
কারো দ্বারা মূল্যায়িত হয়ে নয়, হতে নয়- নিজের বিশ্বাসের দ্বারা চলতে হবে।