নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ, ভীনদেশি পতাকায় নিষেধাজ্ঞা

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

যশোরের জেলা প্রশাসন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ভীনদেশি পতাকা উড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। খবরটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের ভেতরে একপক্ষ এই বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে, অন্যদিকে এ ব্যাপারে সমালোচনার যুক্তিগুলোও একেবারে দুর্বল নয়। ভীনদেশি পতাকা উড়ানো বন্ধের পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি হচ্ছে এটা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। এছাড়াও একটি স্বাধীন দেশে ভীনদেশের পতাকা নিয়ে মাতামাতি করাটা দৃষ্টিকটু বলেও মনে হয়। অন্যদিকে যারা ভীনদেশি পতাকা উড়ানোয় খারাপ কিছু দেখছেন না তাদের মত হচ্ছে এটা এমন কোন গুরুতর অপরাধ নয় যে তা আইনের দোহাই দিয়ে বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া এটা বছর জুড়েই করা হয় না। শুধুমাত্র চার বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবল বেশি করা হয় এবং টুকটাক করা হয় বিশ্বকাপ ক্রিকেট এলে। এটা এমন কোন গুরুতর বিষয়ও নয় যে তাতে রাষ্ট্রের কোন বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এটা মানুষের এক ধরনের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বিশ্বকাপ এলে সারা বিশ্বেই এক ধরনের উত্তাপ লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীর নানা দেশে এ নিয়ে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের মানুষের আনন্দ এবং বিশ্বকাপে নিজেদের সম্পৃক্ততার স্বাক্ষর রাখে তাদের পছন্দনীয় ও সমর্থিত দেশের পতাকা উড়ানোর মাধ্যমে।



মূলত ভীনদেশি পতাকা উড়ানোর বিষয়ে এই দুই ধারার চিন্তাই ভারসাম্যহীন। একদিকে এটাকে বড় ধরনের অপরাধ মনে করে তা বন্ধে হৈ চৈ করার যেমন প্রয়োজন নেই তেমনি লম্বা লম্বা ভীনদেশি পতাকা তৈরিতেও কোন কৃতিত্ব নেই। এ বিষয়ে উভয় পক্ষই যদি নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে তাহলেই ভাল এবং সকলের চিন্তাগত ভারসাম্য ও ঐক্য ফিরে আসবে। বাংলাদেশের আকাশে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার পতাকাই মূলত বেশি উড়ানো হয়। অথচ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা মোটেই আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি নয়। তারা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য কোন ধরনের হুমকিও নয়। তারা সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ। এমনকি তাদের অনেক খেলোয়াড় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নামও শোনেনি। তাদের সাথে আমাদের বৈদেশিক যোগাযোগও খুব একটা জোরালো নয়। এ কারণে দেশ দু’টির সাথে আমাদের বাণিজ্যিক স্বার্থও উল্লেখযোগ্য নয়। তাহলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের দেশের পতাকা উড়ায় কেন, কিংবা যারা ব্্রাজিল ও আর্জেন্টিনার চেয়ে যারা ভাল ফলাফল করে তাদের পতাকা উড়ায় না কেন? কারণ ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা ফুটবলের দেশ। ফুটবলই তাদের ধ্যান-জ্ঞান। বিশ্বের বুকে তাদের অন্যান্য সফলতা থাকলেও তারা ফুটবলের জন্যই বেশিরভাগ সমাদৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের মানুষ চার বছর পর পর বিশ্বকাপ এলেই মূলত তাদের নিয়ে ও তাদের দেশের পতাকা নিয়ে মাতামাতি করে। বাকি সময় কিন্তু ঠিকই ভুলে থাকে। সুতরাং এ বিষয় নিয়ে এত সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই।



হ্যাঁ, তবে কথা আছে। আপনি পক্ষেই বলেন আর বিপক্ষেই বলেন, আগে আপনাকে নিজ দেশের প্রেমিক হতে হবে। আপনি ভীনদেশি পতাকা উড়ানো নিয়ে বড় বড় কথা বলবেন, নীতি কথা শোনাবেন, ফেসবুক-ব্লগে কিংবা খবরের কাগজে নিবন্ধ লিখবেন, আর নিজে ঠিকই ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের বারোটা বাজাবেন- তা মেনে নেওয়া যায় না। আবার নিজ দেশের পতাকা নিয়ে গর্ব করবেন না, নিজ দেশকে ভালোবাসবেন না, এদেশে বাস করে ভীনদেশি পতাকা উড়াবেন তাও কিছু মেনে নেওয়া যায় না। আসলে আমরা যাই করি না কেন, আগে আমাদের নিজেদের দেশকে ভালোবাসতে হবে। তাই বিদেশি পতাকা উড়াতে বাঁধা দেওয়ার আগে নিজের দেশের কল্যাণে আপনার ভূমিকা কি তা হাতিয়ে দেখুন। একই সাথে একশো গজ, পাঁচশো গজ কিংবা হাজার গজ ভীনদেশি পতাকা বানিয়ে আবেগে লাফালাফি করেও লাভ নেই। কারণ, এমনিতেই বহির্বিশ্বে আবেগপ্রবণ ও হুজুগে জাতি হিসেবে আমাদের যথেষ্ট বদনাম আছে। এখন উভয় পক্ষকেই একটু ভারসাম্য রক্ষা করে চলা উত্তম।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

পংবাড়ী বলেছেন: পতাকা নামাতে হবে, না হয় বাধ্য করা হবে; আনন্দ লাগলে আনন্দিত হোন, তবে জাতির প্রতিকের বিপরিতে অন্য প্রটীক ধারণ করে তা প্রকাশের দরকার নেই।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: এটা আপনার দৃষ্টিভংগি। ভিন্ন দৃষ্টিভংগিও কিন্তু আছে। অবশ্য আইনও আপনাকেই সমর্থন করবে। কিন্তু এটার খুব একটা দরকার আছে কি?

২| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: ধন্যবাদ।ভাল লিখেছেন।

অনেকেই বলছেন এটা স্রেফ আনন্দ। আমাদের কে আনন্দ করতে দিন।তাহলে আমাকেও বলতে হয় যে ভারতীয় গুন্ডে ছবি তাহলে কি দোষ করলো। ওটা দেখে আমি আনন্দ পেয়েছি আমাকে আনন্দ করতে দিন।ভুলে যান ওখানে বাংলাদেশ কে নিয়ে কি বলা হয়েছে।

ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে অনেক মানুষ সোচ্চার কিন্তু কি দোষ করলো সেই সিরিয়াল।আনন্দ করতে দিন আমাদের কারণ আমরা ভারতীয় সিরিয়াল দেখে আনন্দ পাই।আমরা একটু আনন্দ করতে চাই।
আসুন না আনন্দ করতে করতে আমরা আমাদের দেশ কে বিলিয়ে দিই অন্যকে।টি ২০ বিশ্বকাপের কনসার্টে বাংলাদেশের শিল্পীদের অবহেলা করা হয়েছিল কিন্তু তাতে কি।আমরা এ আর রহমানের গানে আনন্দ পেয়েছি।

অপ্রিয় হলেও সত্যি যে এই খেলা উপলক্ষে যতটা ভিনদেশী পতাকা ওড়ানো হয় সারা বাংলাদেশে তার ১০ভাগের একভাগ পতাকা দেখা যায়না বিজয় কিংবা স্বাধীনতা দিবসে।

আমি চেতনার কথা বলবো না কিন্তু সচেতনতার কথা বলবো। বাংলাদেশে বিদেশী পতাকা ওড়ানোর ব্যাপারে স্পষ্ট আইন আছে।আমরা যেভাবে অন্য দেশের পতাকা কিনছি কিংবা বাসায় লাগাচ্ছি সেটা বাংলাদেশের পতাকা আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষেধ।গত টি২০ বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তান খেলার সময় স্টেডিয়ামে এই পতাকা ওড়ানো নিয়ে বেশ সমালোচানাও হয়েছিল কিন্তু আমরা সাধারন মানুষ সেই একই ভুল এবং আইন বিরোধী কাজটি বার বার করছি। হয়তো ব্যাপারটা অনেকের কাছে ছোট মনে হবে কিন্তু আইন না মানাটা খুব ভাল জিনিস নয়।অনেকেই হয়তো আইনটি জানেন না কিন্তু জানা উচিৎ।

চেতনার কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু এটা একটা আইডেন্টিটি বা পরিচয়।যখনই আমি একটা দেশের পতাকা ধারণ করবো তার মানে আমি সেই দেশের পরিচয় বহন করছি। যেমন বাংলাদেশের পাসপোর্টে সবুজ রং থাকে। এটা আর কিছুই না কিন্তু একটা পরিচয় আমি কোন দেশের নাগরিক কিংবা আমি কোন জাতি।ঠিক একইভাবে আমরা কোন দেশের পতাকা বহন করা মানে আমি সেই দেশের নাগরিক কিংবা সেই জাতী।আর পতাকা একটা দেশের পরিচয় বহন করে বলেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন কিংবা খেলা গুলোতে সেই দেশের পতাকা ওড়ানো হয় এবং স্যালুট দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

ধরুন বাংলাদেশ থেকে আলিম্পিকে খেলতে যায় প্রতি চার বছর পর পর।ওখানে আমাদের বাংলাদেশ টিমের অনেকেরই প্রিয় দলের খেলোড়াররা খেলছেন যেমন ধরুন ব্রাজিল ফুটবল খেলছে।এখন বাংলাদেশ টিমের কোন খেলোয়াড় যদি মার্চ পাস্টের সময় বাংলাদেশের পতাকা না নিয়ে ব্রাজিলের পতাকা ওড়ায় মানে তার প্রিয় দলের পতাকা তাহলে সেটা কেমন হবে? আপনার কথা অনুযায়ী এটা জাস্ট একটা মজা এক মাসের জন্য। তাহলে ব্রাজিলের পতাকা ওড়াতে সমস্যা কি তাইতো?কিন্তু কতটা দৃষ্টিকটু লাগবে ব্যাপারটা ভেবে দেখুন।

দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশের দুতাবাসগুলোতে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয় কেন? এটা আমার জাতীয়তা এবং পরিচয়। পতাকা দেখেই কিন্তু বোঝা যায় এটা কোন দেশের হাইকমিশন কিংবা দূতাবাস হতে পারে। তা না হলে কিন্তু সব দেশের দূতাবাদগুলো প্রায় একই।অন্য দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে ঐ দেশের পতাকা ওড়ালে কি যায় আসে?কারন আসলে সেটাতো বাংলাদেশের দূতাবাস তাইতো?যদি আপনার কথা মেনে নিই।

আর যেহেতু আমাদের দেশে পতাকা আইন আছে সেটা মানা উচিৎ আমাদের সবার। এটা একটা নাগরিক দায়িত্ব।

আপনি আনন্দ করবেনতো?ভাল কথা প্রিয় দেশের জার্সি পরুন।ফুটবল রাখুন সাথে কিন্তু পতাকার ব্যাপারটাই ভিন্ন।জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে যেমন চেতনা আনা যায় না মনে তেমনি অন্য দেশের পতাকা ওড়ালেই যে আমাদের দেশ বিক্রি হয়ে যাবে তাও না কিন্তু আমি ব্যাখ্যা করেছি পতাকার বিষয়টা। আর যেহেতু আইন আছে সেই আইনটা মানা উচিৎ। আর যদি এই আইনটা ভাল না হয় তাহলে সেই আইনটা বাতিলের জন্য দাবি জানানো উচিৎ কিন্তু আইন যতক্ষন পর্যন্ত আছে ততক্ষন পর্যন্ত সেটা মানা উচিৎ আমাদের।এটা একটা প্রাকটিস। আর তাছাড়া এই আইনটা মানলেতো আমাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমার কথা বোঝেননি। অথবা চিন্তায় একটু ভারসাম্য আনার চেষ্টা করুন।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যেটা কেবলই বিনোদন এবং সাময়িক এক উচ্ছাসের প্রতীকি প্রকাশ যেখানে আনুগত্য, বা সার্বভৌমত্বের কোন প্রশ্ন নেই..তা নিয়ে বাড়াবাড়ি দেখে হাসি লাগে!!!

অথচ পুরা দেশের প্রকৃত সার্বভৌমত্ব, যখন হত হয়, সীমান্তে পাখির মতো নির্বিচারে মানুষ মেরে যখন দেশের পতাকাকে প্রকৃত অসম্মান করা হয়,
৫৪ নদী মরে, বানিজ্যে অসম ঘাটতিতে দম বেরিয়ে যায়, দুর্নীতি আর প্রশাসনিক ব্যর্থতায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়, মিজানের লাশ এনে যখন বলে - আরেকবার যেন এইরকম না হয়- হলে আমরা দেখে নেব!!!! তখন পতাকার যে অপমান হয়, পতাকাকে মাটিতে শুইয়ে দেয়া হয়...

তখন কারও চেতনা জাগে না। সামান্য খেটে খাওয়া মানুষ একবেলা না খেয়ে যে সন্তানের খুশির জন্য পতাকা কিনে
নিজের দেশের তো সার্কই জিততে পারেনা- কিন্তু মনের অজান্তে সকলেরই যে বিশ্বজয়ী সত্বা তা যখন প্রিয় দলের বিজয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত জয়ে আনন্দিত হয়
সেই উচ্ছাস, সেই আনন্দ প্রকাশের পতাকায় কি হারিয়ে যায়?

সার্বভৌমত্ব?

স্বাধীনতা?

কি জানি বাপু? আমরাতো আর ডিসি এসপি নই!!! আমলাও নই। খেটে খাওয়া কামলা। আমরা কি আর বুঝি???????

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: আসলে সব কিছুর চূড়ান্ত অবস্থানে চলে যা্ওয়াটাই সমস্যা। আমরা নিজস্ব চিন্তা-চেতনায় উগ্র। অথচ ভারসাম্য বজায় রাখলেই কিন্তু দ্বন্দ্ব মিটে যায়।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৪

পংবাড়ী বলেছেন:


@ বিদ্রোহী ভৃগু ,
যাদের কাছে বাংলাদেশ বড় নয়, তারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধীতা করেছিল, ওদের নাম আছে একটা।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: একটু ভারসাম্য রক্ষা করে চলুন, সবার মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হবে। আপনি একটা মনে করবেন, অন্যরা আরেকটা মনে করবে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে অনন্তকাল। কোন সমাধান হবে না।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: :( :( :(

৬| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৫

টিকি টাম টাম বলেছেন: সামুতে প্রচুর বাগস্‌ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.