নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে আমিও কৃষ্ণের প্রেমে পড়ে গেলাম!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

মহাভারত দেখছি:



অবশেষে আমিও যে কৃষ্ণের প্রেমে পড়ে গেলাম! উহু, যে প্রেমের কথা মনে করছেন এটা সেই প্রেম নয়। সেটা শ্রদ্ধা ও ভক্তিযুক্ত প্রেম। সত্যিই কৃষ্ণ ছিলেন প্রেমের অবতার, ভালবাসার অবতার। যাদের চোখ অন্ধ কিংবা বস্তুবাদিতায় পূর্ণ তারা সেখানে কামনা বাসনা দেখতে পেয়েছে। তাই শ্রী কৃষ্ণের আচরণে তাদের আপত্তি। কিন্তু তিনি সত্যিকারের প্রেম শিখিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষের সম্পর্ক করে দিয়েছেন। নবী রসুলদের মধ্যে আমি ঈসা (আ) কেও ঐ রূপে দেখেছি। উভয়েই মানুষকে ধর্মের অন্ধ অনুশাসন থেকে বের করে এনে মানুষকে সৃষ্টি কর্তার কাছাকাছি যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন। ধর্মান্ধ, শাস্ত্রকানা ও কঠোর অনুশাসনে বিশ্বাসী, স্রষ্টাকে শুধু ভয় পাওয়ার বার্তা প্রদানকারীদের হাত থেকে বের করে এনে তাকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন।

স্রষ্টাকে বাঘের মত পাওয়া নয়, পিতার মত শ্রদ্ধা ও সমীহ করাই তাদের মূল শিক্ষা। সেটা হলেই সম্ভব স্রষ্টার জন্য সব কিছু বিসর্জন দেওয়া। যাকে শুধু ভয়, তার জন্য কোন কিছু উতসর্গ করা হয় না। সেটা শুধু মাস্তানকে চাদা দেওয়ার মতই। মানুষ কি এটাই ধরে নিয়েছে যে ধর্মান্ধরা ভয় দেখিয়ে কিংবা পরকালীন সুখের বিনিময়ের আশ্বাস দিয়ে যা স্রষ্টার নামে আদায় করা হচ্ছে তা তিনি গ্রহণ করবেন? তিনি কি মানুষের দানের মুখাপেক্ষী? না, তিনি বে-নেয়ায। তিনি শুধু মানুষকে দানই করেন। গ্রহণ করেন না। তবে দানের মত মানসিকতা আছে কি না শুধু তাই পরখ করে দেখেন।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৫

আমায় ডেকো না বলেছেন: কৃষ্ণের ৩০ হাজার গোপীনী ছিলো এইটা জানেন তো। যাদের নিয়ে সে লীলা খেলা করতো।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: ৩০ হাজার কেন এমন ৩০ লাখেওতো কোন সমস্যা নয়। এটা দৃষ্টিভংগির ব্যাপার। আপনার দৃষ্টিভংগি যেমন তেমনটাই মনে হবে আপনার কাছে। এটা গোপিনীদের সমর্পন ছিল।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

bakta বলেছেন:
মনটা আপনার সদা কৃষ্ণময় হয়ে থাকুক । জয় রাধেকৃষ্ণ । ভালো থাকুন তাঁর অপার করুনায় ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রত্যেক মহামানবের প্রতিই আমার শ্রদ্ধা আছে।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: কৃষ্ণ সারাজীবন পাণ্ডবদেরকে ধর্মের জ্ঞান দিয়ে এসেছে, সেই কিনা আবার কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদেরকে একের পর এক অধর্মের বুদ্ধি দিয়েছে কেবলমাত্র যুদ্ধে জেতার জন্য।

সারাজীবন নানা ঘাত প্রতিঘাতে কখনও মিথ্যা না বলা যুধিষ্ঠিরকে মিথ্যা বলার প্ররোচনা দিয়েছে এই কৃষ্ণ। অর্জুন পুত্র অভিমন্যুকে যেদিন বোধ করার ষড়যন্ত্র করা হয়, তখন সেই ষড়যন্ত্রে কৃষ্ণও যোগ দেয় কুরুক্ষেত্র থেকে অর্জুনকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে।

যেখানে কৌশলে কোন কাজ হয়নি, সেখানে সে প্রতিপক্ষের অর্থাৎ কৌরব সেনাপতিদেরকে মোহ জালে আবদ্ধ করে আত্মহত্যায় উদ্বুদ্ধ করেছে। ভীষ্ম, দ্রোণ আর কর্ণকে কথার জালে ভুলিয়ে পাণ্ডব পক্ষের সহজ শিকারে পরিণত করেছে।

সিন্ধুরাজ জয়দ্রথকে বধ করতে কৃষ্ণ যে কৌশলের আশ্রয় নেয়, তাকে ঐশ্বরিক শঠতা ছাড়া আর কিছু বলতে মন চায়না।

এমনিতে ব্যক্তি হিসেবে কৃষ্ণের প্রতি আমার একটা শ্রদ্ধাবোধ ছিল, কিন্তু মহাভারত সিরিয়াল দেখার পর এটাকে একটা ভিলেন ছাড়া কিছুই মনে হয়নি। এহেন ব্যক্তির প্রেমে পড়ার মত কি খুঁজে পেলেন বোধগম্য হলনা।



১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনি পুরো বিষয়টাই বুঝতে ভুল করেছেন। যুদ্ধ নিজেই একটা ছলনা। যুদ্ধ নিজেই একটা অধর্ম। অনিবার্য বলেই সেখানে যেতে হয়। আর একটু উপর থেকে দেখলে পৃথিবীতে সত্যে আর মিথ্যায় প্রভেদ খুব কম। বিষয় হচ্ছে আপনি কোন দৃষ্টিভংগিতে দেখছেন। তিনি যে কাজ করেছেন প্রত্যেকটা উচিত কাজ।

ধর্মরাজ হয়ে লাভ কী যদি অধর্মের কাছে পদে ধরা খেতে হয়? অপমান হতে হয়? এটা কোন ধর্মই ছিল না। ধর্মের নামে অযথা পেৌরিহিত্যবাদ, সংকল্প। এই ধর্ম দিয়ে মানব জাতির কি কল্যাণ হয়? আমার মনে হচ্ছে আপনি মনোযোগ দিয়ে সিরিয়ালটি দেখেননি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

আমায় ডেকো না বলেছেন: কৃষ্ণের লীলাখেলা স্বেচ্ছায় সমর্পন ছিলো। তাই ঠিক আছে। হাঃ হাঃ হাঃ। এইটারে কয় ধর্ম? নৈতিকতার বালাই নাই। তাহলে আজকালকার যারা লিভ টুগেদার করে তাদের কি দোষ? আর তসলিমা নাসরিনেরই বা কি দোষ? তারা তো আসলে যৌন স্বাধীনতার জন্যই সমালোচিত হচ্ছে।আর কেউ সমর্পন করলেই নিয়ে শুয়ে পরতে হবে।তাও আবার ত্রিশ হাজার।এ তো দেখা যাচ্ছে সাইদীর মতো মেশিনম্যান।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনার দৃষ্টিতে কোনটা ধর্ম? যে নারীরা সমর্পিত হয়েছিল তাদেরকে কৃষ্ণ সম্মানিত করেছিলেন। রক্ষা করেছিলেন। অন্যথায় তাদের কোন উপায় ছিল না। আর মানুষ সেটাকে কাম লীলা বলে গণ্য করেছে। আসলে মানুষের দৃষ্টিভংগিই নিচের দিকে। যেমন ভিক্ষুকের নজর ঝোলার দিকে। মাহাত্মটা দেখবে না, শুধু ছিদ্র খুজবে।
যাক ভাই, শ্রী কৃষ্ণের জীবনী নিয়ে বহু তর্ক আছে, রহস্য আছে। এত কিছুর পরও আমি তার প্রতি আমার ভালবাসাই দেখি। কোথাও এর ঘাটতি নেই। তিনি সত্যিকার অর্থেই মহামানব ছিলেন। হয়তো সবাই তাদের দৃষ্টি দিয়ে তাকে বুঝতে পারে নি।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেটা হলেই সম্ভব স্রষ্টার জন্য সব কিছু বিসর্জন দেওয়া। যাকে শুধু ভয়, তার জন্য কোন কিছু উতসর্গ করা হয় না। সেটা শুধু মাস্তানকে চাদা দেওয়ার মতই। মানুষ কি এটাই ধরে নিয়েছে যে ধর্মান্ধরা ভয় দেখিয়ে কিংবা পরকালীন সুখের বিনিময়ের আশ্বাস দিয়ে যা স্রষ্টার নামে আদায় করা হচ্ছে তা তিনি গ্রহণ করবেন? তিনি কি মানুষের দানের মুখাপেক্ষী? না, তিনি বে-নেয়ায। তিনি শুধু মানুষকে দানই করেন। গ্রহণ করেন না। তবে দানের মত মানসিকতা আছে কি না শুধু তাই পরখ করে দেখেন।

+++

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু। মহাভারত দেখার পর নজরুলের বিদ্রোহী কবিতাটা আরো একটু পরিষ্কার হয়েছে আমার কাছে। আর ভৃগুতো সেই কবিতারই একটি চরিত্র।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

আমায় ডেকো না বলেছেন: ঠিকই বলেছেন সবই দৃষ্টিভন্গির ব্যাপার। এই যেমন ধরেন দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকার। কিংবা ধরেন যুদ্ধপরাধের দায়ে ফাঁসীতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত কাদের মোল্লা ওরফে মিরপুরের কসাই। কিংবা ধরেন কুখ্যাত গো আযম। এদের কি এই বাংলার যমীনে ভক্ত বা প্রেমিক নাই। অসংখ্যা আছে। যেমন ধরেন এই ভন্ড সাঈদীটার জন্য ২৫০ জনেরও বেশী লোক মৃত্যুকে বরন করে নিয়েছে। তাই বলে কি সে আদর্শ বা মহামানব হয়ে গেছে। কখনই না।ঠিক তেমনই একটা চরিত্রহীন কোন দিন মহামানব হতে পারে না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: সাইদীর সাথে যদি শ্রী কৃষ্ণকে মেলাতে যান তবে সেটা আপনার অজ্ঞানতা। সেটার জন্য আমার কোন দায় নেই।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনি বলেছেন, যুদ্ধ নিজেই একটা ছলনা - একটা অধর্ম। খুব ভালো কথা। তাহলে যুদ্ধের শুরুতে দুই পক্ষকে বসে নিয়ম কানুন ঠিক করতে হয় কেন? নিরস্ত্রকে আঘাত করা যাবেনা, ধনুর্ধারী গদাধারীকে দন্দ্বে আহবান করতে পারবেনা। নারীর সাথে দন্দ্ব করা যাবেনা - এগুলো কি তাহলে?

রাসুল (সঃ) তার সৈন্যবাহিনীকে কোন অভিযানে পাঠালে কঠোর নির্দেশ দিয়ে দিতেন - কোন নারী, শিশু, পশুপাখি বা বৃক্ষরাজির ক্ষতি না করতে। এটা কি তবে ধর্ম নয়?

পাণ্ডবদের যদি যুদ্ধে ধর্ম পালনের বাধ্যবাধকতা না থাকে, কৌরবদের কেন থাকবে? ভীষ্ম কেন শিখন্ডির সামনে অস্ত্র ত্যাগ করলেন? কর্ণ কেন নকুলকে বাগে পেয়েও ছেড়ে দিল, অর্জুন যেখানে অপ্রস্তুত অবস্থায় কর্ণকে হত্যা করে ধর্মকে একেবারে বিসর্জন দিয়ে।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ তো একা কৃষ্ণের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ। কৌরবরা বা পাণ্ডবরা কেউই যুদ্ধ করতে চায়নি। কৃষ্ণ কখনও নিজে কখনোবা দ্রোউপদীর মাধ্যমে পাণ্ডবদেরকে প্ররোচিত করেছে এই অন্যায় যুদ্ধে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: বেধে দেওয়া যুদ্ধের নিয়ম সব সময় চলে না। যদি তাই চলত তাহলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রয়োজন থাকত না। আর মহাভারতের সব অংশকেই পারফেক্ট মনে করে বসে থাকলে চলবে না। ধনুর্ধারী গদাধারীকে দ্বন্দে আহ্বান করতে পারবে না ইত্যাদি নিয়মগুলো সে সময়ের জন্যই প্রয়োজন ছিল হয়ত। এর ভিন্ন কোন ব্যাখ্যা আমি জানি না। কিন্তু সে নিয়ম কতটুকু পালিত হয়েছে সেখানে?

রসুল (স) যে আদেশ সৈন্যবাহিনীকে দিতেন সেটা অনন্য। যারা যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত নয় তাদের হত্যা করার কোন আবশ্যকতা নেই। কিন্তু রসুলের ইংগিতে কোলে ঘুমন্ত শিশুকে সরিয়ে (মহিলা কবি) মাতাকে হত্যা করা হয়েছে-এটাও সত্য।
যুদ্ধে ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে সুক্ষ দূরত্ব থাকে মূলত যুদ্ধে বিচার্য: কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কোন কাজটি করছে। বিজয়ের জন্য যা অনিবার্য তাই করাটাই তখন কর্তব্য।

মহাভারতের অনেক বিষয়ই আমার কাছে অব্যাখ্যাত রয়ে গেছে।

কুরুক্ষেত্র শ্রী কৃঞ্চের চাপিয়ে দেওয়া কোন যুদ্ধ নয়। পুরনো ধর্ম, নিজ শপথকে জাতীয় স্বার্থের উর্ধ্বে বিবেচনা, ভাল মানুষ সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ ইত্যাদি বিষয় তখনকার সমাজকে দুষিত করে ফেলেছিল। চেপে বসা এসব বিষয়গুলো মূলত ধর্মের নামেই চলে আসছিল। এগুলোকে উতপাটন করাটা শ্রী কৃষ্ণের জন্য একান্ত কর্তব্য ছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মাধ্যমে সেটা সম্ভব হয়েছে। বিষবৃক্ষ উতপাটিত হয়েছে। কৃষ্ণকে স্রষ্টার স্থানে বসিয়ে দেওয়া একটা বিকৃতি। মনে রাখতে হবে কৃষ্ণ ছিলেন শুধুমাত্র এক জন্য অবতার। স্রষ্টার মনোনীত ব্যক্তি। পুরনো যুগকে গুড়িয়ে তিনি নতুন যুগের স্থাপনা করেছেন। এ জন্য যা প্রয়োজন ছিল তখন তাকে তাই করতে হয়েছে। এ যুদ্ধ না হলে ধর্ম তার অধিকার হারিয়ে বসত।
সততা, ছলনা বিষয়গুলো আপেক্ষিক।
বিষয় হচ্ছে আপনি কোন পক্ষ ধারণ করেছেন। এটার উপর আপনার বিচার হবে। পরাজিতরাই যুদ্ধাপরাধের বিচারের মুখোমুখি হয়। কিন্তু বিজয়ীদেরকে কেউ প্রশ্ন করার মত থাকে না।

বড় কথা হচ্ছে মহাভারতের কাহিনীকে আমি পুরোপুরি অবিকৃত বলে মনে করি না। আমারও বহু প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার উপযুক্ত প্রশ্নের জন্য।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তিনি সত্যিকারের প্রেম শিখিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষের সম্পর্ক করে দিয়েছেন।

স্রষ্টা সৃষ্টির সম্পর্ক নিয়ে কৃষ্ণ দর্শন অত্যন্ত শক্তিশালী এক দর্শন। ভয় ভক্তির পাশাপাশি ভালোবাসার বোধের ভেতর দিয়ে গল্পের ছলে স্রষ্টার আরাধনা এক চমৎকার নির্দেশিকা। মধুর ভাবে ডুবে জগতকে দেখা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম, একদম তাই।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আমায় ডেকো না বলেছেন: আমরা মাধ্যমিক লেভেলে যখন পড়তাম তখন একটা ভাবস্প্রসারন পড়তাম " দুর্জন বিদ্বান হলেও সর্বদা পরিত্যাজ্য।" এর ব্যাখ্যা আমরা শিখেছি যে, চরিত্র অমুল্য সম্পদ। চরিত্রহীন ব্যাক্তি যতগুনের আঁধারই হোক না কেন তার উদাহরন হচ্ছে মহামুল্যবান মনির অধিকারী বিষধর সাপের ন্যায়। যে ঐ মহামুল্যবান মনির লোভে পরে সংগ্রহ করতে যাবে, তার ঐ মনির চেয়েও অমুল্য প্রান হারানোর সমুহ আশংকা বিদ্যমান। তাই লোভে পরে প্রান হারানো বুদ্ধিমান ব্যাক্তির পরিচয় নয়। ঠিক তেমনি ভাবে চরিত্রহীন ব্যাক্তি যতই বিদ্ধান হউক বা গুনের অধিকারী হউক না কেন তা অর্জন করতে গিয়ে তার সাহচার্যে গমন করা মোটেই উচিত কাজ নয়। এতে এতে মানবজীবনের সবচেয়ে অমুল্য সম্পদ চরিত্রহানীর আশংকা বিদ্যমান। আর চরিত্রহীন ব্যাক্তি পশুর মতো। তাই তার সাহচার্য ত্যাগ করাই উচিত।
এখন যে ব্যাক্তি ৩০ হাজার গোপিনী নিয়ে লীলা খেলায়(বিবাহ বহির্ভুত যৌন মত্ততায়) মত্ত হয়েছে, সে আর যাই হোক অসৎ চরিত্রের অধিকারী ছিলো এ কথা বুঝা কঠিন কিছু নয়। তাই এ ধরনের ব্যাক্তির সাথে কোনরুপ সম্পর্ক রাখা বা তার প্রশংসা করা একেবারেই অনুচিত।
প্রয়োজনে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: ভাই, আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন। আমিও আগে কৃষ্ণ সম্বন্ধে এমনটাই ধারণা করতাম। আর আমি ভাল করেই জানি যে, বিতর্ক করে কারো মনে কারো সম্বন্ধে ভালবাসা জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়।
আমি কৃষ্ণের প্রেমে পড়েছি। আমি বলিনি যে আপনাকেও তার প্রেমে পড়তে হবে। আমি ভালটা দেখতে পেয়েছি। নিশ্চয় এখন আপনার কর্তব্য নয় যে আমাকে তার খারাপ দিক দেখিয়েই দিতে হবে। আপনি তাকে শ্রদ্ধা করেন না, আপনার মত বহু মানুষ আছে। কিন্তু আবার বহু মানুষ আছে যারা তাকে শ্রদ্ধা করেন। তাছাড়া আমাকে সংশোধন করার দায়িত্ব আপনাকে আমি প্রদান করিনি। আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বিশ্বাসে মিলয়ে বস্তু,তর্কে বহুদুর।।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০২

উড়োজাহাজ বলেছেন: তর্ক এড়াইতে চাই।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিন্তু গিট্ঠু তো লাগিয়ে বসে আছেন।।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: গিট্টুর দায়টা তো আমার নয়।

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৬

আমায় ডেকো না বলেছেন: মেশিনম্যান সাঈদী ওরফে দেইল্ল্যা রাজাকারকে তো বহু লোক ভালোবাসে। তাহলে কি সে ভালো হয়ে গেল। মদ,ইয়াবা ইত্যাদি নেশা দ্রব্যতেও বহু লোক আসক্ত। তাই বলে তা গ্রহন করা যৌক্তিক হয়ে যাবে এই যুক্তিতে যে, এগুলো অনেক লোক গ্রহন করে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: দেখুন, দেলোয়ার হোসেন সাইদীর রাজনীতির সাথে আমারও দ্বিমত আছে। তাই বলে আপনি তার নামের আগে যে বিশেষণটা ব্যবহার করেছেন সেটা আমি কখনোই করবো না এবং মেনেও নেব না। নোংরা ভাষার মাধ্যমে আপনি আপনার জাত চিনিয়ে দিলেন।
নিজের শত্রুকেও যদি শ্রদ্ধা করতে জানেন তবে আমার পোস্টে কমেন্ট করবেন। নতুবা খোয়াড়ে পাঠাতে বাধ্য হবো। নিজের শ্রম আর সময় ব্যয় করে আপনাদের অশ্লীল ভাষা হজম করতে আমি রাজি নই।

হ্যা, আপনার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, যা সত্য তাই সত্য। অধিকাংশ লোক তা স্বীকার করলো, না বর্জন করলো তাতে কিছুই যায় আসে না। আপনি কাউকে ঘৃণা করেন এটাতেই যদি প্রমাণ করতে চান তিনি খারাপ তবে সেই ব্যক্তিকে যদি অন্য ব্যক্তি ভালবাসে তবে তিনি ভাল হয়ে যান না?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫১

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনার ব্লগে ঘুরে এলাম। দেখলাম আপনি ইসলামিক মাইন্ডেড লোক। কিন্তু এসব অশ্লীল ভাষা কিভাবে ব্যবহার করেন? শত্রুর প্রতিওতো এমন ভাষা কোন মুসলিমের পক্ষে মানায় না। ধিক আপনার এই ভাষার প্রতি।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

আমায় ডেকো না বলেছেন: যারা ১৯৭১ সালে দেশ ও জাতীর সাথে বেইমানী করেছে, অসহায় নারীকে নির্যাতন করেছে, লুটতরাজ করেছে, অসহায়ের বাড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের প্রতি এর চেয়ে ভালো ভাষা ব্যবহার? বলেন কি?
নিজের শত্রুকে ক্ষমা করা যায় , কিন্তু দেশ ও জাতীর শত্রুকে ক্ষমা করার অধীকার জাতি কাউকেই দেয়নি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: এই জন্য এমন অশ্লীল গালি দেওয়া যায়? এতে কি নিজের মুখটাই অপবিত্র হয়ে যায় না?
আর যারা এমন ভাষা প্রয়োগ করতে পারে তারাও যে সুযোগ পেলে জাতীর শত্রুদের মতই কাজ করবে না তার নিশ্চয়তা কী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.