নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখ, কষ্ট, হতাশা, মানসিক বেদনা ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষ নিজেই। সে নিজেই এসবের সৃষ্টি করে আর নিজেই সে সব ভোগ করে। দুঃখের জন্ম কোথায়? কারো প্রেমিক-প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে গেছে, সন্তান পিতা-মাতাকে ছেড়ে গেছে, পিতা-মাতা সন্তানকে ছেড়ে চলে গেছে, কোন আপনজনের মৃত্যু হয়েছে, অর্থবিত্তের হানী ঘটেছে, রোগাক্রান্ত হয়েছে- মূলত এমনি করে কোন কিছু হারানোর মধ্য দিয়েই কষ্টের জন্ম। আবার কোন কিছু প্রত্যাশা করার পর তা না পাওয়া থেকেও কষ্টের জন্ম হয়। কিন্তু একবার ভেবে দেখতো, তুমি যা হারিয়েছ তা কবে তোমার ছিল? তুমি তোমার যে প্রেমিক/প্রেমিকাকে আপন মনে করছো সে আসলেই কি কখনোই তোমার ছিল? তার সাথে কবে থেকে তোমার পরিচয়? এর আগে তুমি কি ছিলে, সেই বা কি ছিল? যে সন্তানকে তুমি নিজের বলে মনে করো তার জন্মদানে তোমার কি ভূমিকা ছিল? তোমার যে সন্তানটি জন্ম নিল সে কি অন্য কারো গর্ভে/ঔরসে জন্ম নিতে পারত না? সে কি জন্মের সাথে সাথেই মরে যেতে পারত না? কিংবা যে কোন বয়সে সে হারিয়ে যেতে পারে না? আর তুমি যে জাত্যাভিমান কর তার কি মূল্য আছে? তুমিওতো যে কোন দেশে, যে কারো গর্ভে জন্ম নিতে পারতে, যে কোন গায়ের রং পেতে পারতে। সেসব নির্ধারণে তোমার কোন ভূমিকার কথা স্মরণ করতে পার? তুমি যেসব বিষয় নিয়ে গর্ব কর, যে সব বিষয় নিয়ে দুঃখ কর, ভেব দেখ- এসবের কোন মূল্য আছে? তাহলে কারো হারিয়ে যাওয়ায়, সম্পদের হানী ঘটায়, প্রতাশ্যা অপূর্ণ থেকে গেলে তুমি দুঃখ পাও কেন? আর বড় কথা- দুঃখ পেয়ে লাভ কী? তাতে কী হারানো মানুষ, হারানো সম্পদ, প্রত্যাশিত সফলতা ফিরে আসে?
তোমার প্রথম ভুল ছিল সে সবকে নিজের মনে করা। আর সেই ভুলের পরিণামেই তোমার দুঃখ পাওয়া। কোন কিছুকে আপন মনে করো না, কারো কাছে কোন প্রত্যাশা কোরো না- ব্যস তুমিই সুখী। কোন দুঃখ, কোন হতাশা তোমাকে আঘাত করতে পারবে না। এটাই সুখী হওয়ার একমাত্র উপায়।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জামান ভাই।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
খাটাস বলেছেন: দুঃখ পেয়ে লাভ কী? তাতে কী হারানো মানুষ, হারানো সম্পদ, প্রত্যাশিত সফলতা ফিরে আসে?
ভাল বলেছেন। বেদে বা গীতাতে এমন প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত আছে। ভাল লাগল আতাহার ভাই।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ অনিক ভাই। কি করবো- বেদ, গীতা, মহাভারত, বাইবেল, কোরআন সবই যে আমার উপর ভর করেছে!
মানুষ সম্পদে সুখ খোজে। সুখ সেখানে নেই। আকাংখায়, প্রত্যাশায় শুধু কষ্ট। এটাই এই সভ্যতার ব্যর্থতা। কারণ, এই সভ্যতা আমাদের শুধু শেখাচ্ছে আমরা এটা নেই, ওটা নেই। আমার এটা চাই ওটা চাই। শুধু খাই খাই। এটাই জাহান্নামের নমুনা। অশান্তি।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যে কোন অর্থেই লেখার মূল বক্তব্যের একমত না হয়ে পারলাম না। আমাদের দুঃখ বা কষ্টকে, আমরাই আমন্ত্রন করে আনি বেশীর ভাগ সময়ে। আরেকটা হলো,আমাদের প্রত্যাশা। (যা শেষের প্যারাটিতে উদ্ধৃত করেছেন।
আমি এর থেকে কিন্তু মূক্ত। আমি আমর সন্তানদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। তবে কিছু "দুঃখবিলাস" আমর আছে।
ব্যাপার কি? ঘর-সংসার ছাড়ার মতলব না কি?? একেবারে সন্যাসী ভাষা!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪২
উড়োজাহাজ বলেছেন: না, ঘরবাড়ি ত্যাগের সন্ন্যাস আমি নেব না। আমি গৃহি সন্ন্যাসী হয়েছি। কর্ম করছি কিন্তু কর্মের কোন ফল আমি নেব না। এটাকে সনাতন শাস্ত্রে কর্মযোগ বলা হয়। আমি কর্মযোগী হতে চাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
জামান শেখ বলেছেন: হ্যা ভাই ভালো বলেছেন, পুরানো গল্প আছে একজনের জুতা নেই সেই কষ্ট চলে গেল যখন দেখলো আরেকজনের যে পা ই নেই। আপনার কথাগুলো সত্য।