নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষকে তিনটি ক্ষুধা দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর একটি জৈবিক ক্ষুধা, অর্থাত Animal Hunger. এই জৈবিক ক্ষুধার তাড়নায় মানুষ খাদ্য খায়, ভোগ করে, ঘুম যায়, কামনা বাসনায় লিপ্ত হয়, সন্তান-সন্তুতির জন্ম দেয়। অর্থাত জৈবিক ক্ষুধার কারণে মানুষ অন্যান্য সাধারণ প্রাণীরা যা যা করে তার সব কিছুই করে। দ্বিতীয় একটি ক্ষুধা হচ্ছে জ্ঞানের ক্ষুধা। পেটে ভাত থাকার পরেও এই ক্ষুধার কারণে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে। জ্ঞান অর্জন বলতে শুধু পুথিগত বিদ্যা নয়। চিত্রকলা, সঙ্গীত, সাহিত্য, ভ্রমণ করা, শিকার করা ইত্যাদি সকল প্রকার যাকে আমরা মানবিক বৃত্তি বলে থাকি তার সবই ও জ্ঞানক্ষুধার অন্তর্ভুক্ত। এই ক্ষুধার তাড়নায় মানুষ চাদে নভোযান পাঠিয়েছে, সেখানে পা ফেলেছে, মঙ্গলে চালিয়েছে অভিযান। জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সে কিভাবে আরো বেশি ভোগ করতে পারবে তার উপায়ও খোজে। এ জন্য আবিষ্কার হয়েছে পৃথিবীর অধিকাংশ যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন কলাকৌশল।
মানুষের তৃতীয় ক্ষুধাটি হচ্ছে আধ্যাত্মিক ক্ষুধা। আধ্যাত্মিকতা হচ্ছে নিজ অস্তিত্বের ভূত-ভবিষ্যত জানা। সে কে, কি তার জীবনের উদ্দেশ্য, তার কর্তব্যটাই বা কি কোথা থেকে তার আগমন, কোথায় তার প্রত্যাগমন ইত্যাদি জানা।
এই তিনটি বিষয়ের ভারসাম্য রক্ষা না করতে পারলে কেউ মানুষ হয় না। যদি কেউ শুধু Animal Hunger কে প্রাধান্য দিয়ে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে, ভোগ করে, সন্তান জন্ম দেয় আর বুড়ো হলে মরে যায় তবে তার জীবন পশুর কাতারে পর্যবসিত হয়। বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এই পর্যায়ে পড়ে। এরাই সংখ্যায় অগ্রগামী।
এই Animal Hunger কে প্রাধান্য দিয়ে তার সাথে জ্ঞানের ক্ষুধাকে সমন্বয় করে জীবনকে আরাম-আয়েশে পূর্ণ করে তোলা হয়েছে। কিন্তু এদের আধ্যাত্মিক পূর্ণতা নেই। পৃথিবীতে এরা আধুনিক হিসেবে পরিচিত। এদের হাতে পৃথিবীর আধুনিক প্রযুক্তি দাসত্ব খাটছে। কিন্তু সেই প্রযুক্তি মানবতার যতটা কল্যাণ করছে তার চেয়ে বেশি করছে অকল্যাণ। অথচ এর সাথে আধ্যাত্মিকতা যুক্ত করলে পৃথিবীকে স্বর্গের ন্যায় গড়ে তোলা সম্ভব হোত।
জ্ঞানের ক্ষুধাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান পৃথিবীকে জৈবিক বিকাশের জন্য যথেষ্ট উপযোগী করে তোলা হয়েছে, প্রযুক্তির সমন্বয় মানুষকে দিয়েছে প্রভূত আরাম-আয়েশ। কিন্তু তার সবচাইতে বড় ক্ষুধার স্থান আধ্যাত্মিকতা আজও ক্ষুধিতই রয়ে গেছে। পশ্চিমা বিশ্ব এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে এই তিনটি ক্ষুধার সুসমন্বয় ঘটাতে পারলেই কোন একজন মানুষে পরিণত হয়। এর একটি বাদ গেলেও আর পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। এই বিচারে আমরা কি আমাদের নিজেদের অবস্থান চিন্তা করে দেখতে পারি?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনি সেই তিনটা নিয়েই এসেছেন। এখন একে সমন্বয় করুন।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
খাটাস বলেছেন: আত্তোন্নয়ন অনেক মূল্যবান। সবাই চেষ্টা করে, কিন্তু একেক জন একেক বিষয় কে প্রাধান্য দেয়।
সুন্দর আলোচনা করেছেন। ভাল লাগল আতাহার ভাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ খাটাস (অনিক ভাই)। আপনি কি ফেসবুকে নেই? থাকলে ফেসবুকে আসেন পিরিতি করি। আমার ইমেইল[email protected]
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৮
খাটাস বলেছেন: আতাহার ভাই, আমার আইডি আপাতত ডিএকটিভেট করা আছে।
ওপেন করলে জানাব।
ধন্যবাদ জানবেন ভাত্রিসুলভ ভালবাসার জন্য।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: ঠিক আছে। কোন সমস্যা নেই। ভাল থাকবেন।
৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আরেকটিি ক্ষুধা হলো,আর্থিক। যার আছে তার আরও চাই আর যার না আছে তার বেলায় শুধু কপালকে দোষ দেয়া।।
আপনাকে সত্যি মিস করছি। ভাল করে কথা,বোঝাও হলো না। দোষ অবশ্য আমারই,সময়ের।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
উড়োজাহাজ বলেছেন: আর্থিক ক্ষুধা জৈবিক ক্ষুধার মধ্যেই পড়ে। আমি যে তিনটি ক্ষুধার কথা বলেছি তা আমার আবিষ্কার নয়। আমার গবেষণাও নয়। এটা সম্ভবত সনাতন কিংবা বৌদ্ধ ধর্ম হতে পাওয়া। হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সর্বধর্মীয় সভায় একজন পণ্ডিত কথাগুলো বলেছিলেন। কিন্তু সঠিকভাবে উদৃতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমি এ তার বক্তব্য নিয়ে একটি সংবাদ তৈরি করেছিলাম। কথাগুলো মনে গেঁথে গিয়েছিল। চিন্তারও জন্ম দিয়েছিল।
মিস আপনাকেও করছি আমি। সময় মত অনলাইনে পাচ্ছি না। ভাল থাকবেন।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পাবেন কিভাবে? নিজ ইচ্ছেমত আসছি। আশা করছি নিয়মত হবো।।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৯
উড়োজাহাজ বলেছেন: তাই? ওকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
নাহিদ হাকিম বলেছেন: ভালো লেগেছে। আমার তিনটিই চাই