নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন প্রমাণ করি পৃথিবীর সব সেনাবাহিনী, আইনশৃংখলা বাহিনী এবং সব ধর্মই কিভাবে সন্ত্রাসী!!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২০

আসিফ মহিউদ্দিন। বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে তথাকথিত মুক্তমনা তথা প্রগতিশীল দাবিদার উগ্র নাস্তিকদের মধ্যে অন্যতম একজন। সাম্প্রতিক আরেক উগ্র মুক্তমনা অভিজিত রায় এর মত তিনিও উগ্র মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রায় ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। এখন তিনি জার্মানীতে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি নিয়মিত ধর্মীয় বিষয় বিশেষ করে ইসলামের সমালোচনা তুলে ধরে ক্রমাগত লিখে চলছেন। এ কারণে তাকেও দেশে এলে অনেক এদেশীয় উগ্রপন্থী ধর্মান্ধরা অগ্রিম হত্যার হুমকি দিয়ে রেখেছে। তার প্রায় প্রতিটি পোস্টেই তাকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি থামেননি। মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত রায়ের হত্যায় তিনিই সবচেয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি তার সর্বশেষ দেওয়া পোস্টটি পড়লাম। পোস্টটিতে তিনি কোরান থেকে কয়েকটি আয়াত তুলে ধরেছেন যেগুলোতে বলা হয়েছে:



১। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। (৮:১২)

২। যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (৫:৩৩)

৩। যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (৯:১৪)

৪। তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম। (৯:২৯)

৫। হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা। (৯:৭৩)




এসব উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘এবারে বলুন, ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলামে কোন অবস্থাতেই রক্তপাতের, সন্ত্রাসের স্থান নেই।’



আসিফ মহিউদ্দীনকে আমি ফেসবুকে দীর্ঘদিন থেকেই ফলো করি। তার যুক্তি আর ইসলামের প্রতি তার বিদ্বেষের মাত্রা দেখে আমি রাগান্বিত হই না। বরং তার প্রতি আমার এক ধরনের করুণা অনুভূত হয়। মনে প্রশ্ন জাগে, এত স্থুল বুদ্ধি নিয়ে মানুষ কিভাবে জীবন দিয়ে দেওয়ার মত কাজগুলো অনায়াসে করে যায়। এই দিক দিয়ে সে ও তার সারথী মুক্তমনা দাবীদার আর আল-কায়েদা, আইএস এর যোদ্ধাদের মধ্যে কোন পার্থক্য আমি খুঁজে পাই না। উভয় গোষ্ঠীই কোন ধরনের পার্থিব স্বার্থ ছাড়া কারে যাচ্ছে। জীবনের কোন পরোয়া এরা করে না। আইএস, আল-কায়েদারা যেমন অকাতরে প্রাণ দেয় তেমনি নৃশংস মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়েও তথাকথিত মুক্তমনারা ক্রমাগত লিখে যাচ্ছে। এক অভিজিত কিংবা একজন হুমায়ুন আজাদ হত্যা হলে হাজার জনের জন্ম হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।



এর পেছনে যে শক্তিটি কাজ করছে আমার ধারণা তা হচ্ছে এটাকে তারা আদর্শ বলে মানে। আদর্শের জন্য প্রাণ দেওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। অতীতে বহু মানুষ আত্মহত্যা করেছে শুধুমাত্র আত্মসম্মান বজায় রাখার জন্য। বহু কাপুরুষও যুদ্ধে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছে সম্মান রক্ষার্থে। আসিফ মহিউদ্দীনদের মত এই আদর্শের সৈনিকদের এই দিকটি অবশ্যই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু আমার আফসোস হয় তারা কি ভুল বিষয়টিকেই না আদর্শ মনে করে লড়াই করে যাচ্ছে! তারা তাদের জীবন দিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু বুঝতে পারছেনা যে তাদের ভুলটি কোথায়।



আমি আসিফ মহীউদ্দিনকে আমি ফলো করলেও কখনো তার বক্তব্যকে খণ্ডাতে যাইনি। কোন যুক্তি দিতে যাইনি এবং কোনদিন কোন মন্তব্যও প্রদান করিনি। কারণ, আমি শুরু থেকেই খেয়াল করেছি যুক্তি শোনা বা মেনে নেওয়ার মত মানসিকতা তার নেই। সে তার চিন্তা ও সিদ্ধান্তে একেবারে স্থির, অটল। সুতরাং তাকে ফেরানো যাবে না। তার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে গেলে 'ছাগু' বলে উড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। তা ছাড়া তার অনেক সমর্থক রয়েছে যারা একযোগে আমাকে আক্রমণ করবে, গালি দেবে, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবে। আমি এই অপ্রীতিকর অবস্থায় যেতে চাই না। তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে খিস্তি-খেউর করার মত দম আমার নেই।

আমার ধারণা তাকে এভয়েড করাই উত্তম। সে নিজের বুদ্ধির উপর শতভাগ আস্থাশীল। সে এবং তাদের মত যারা আছে তারা যেহেতু ধর্মীয় মানদণ্ডকে স্বীকার করেনা সেহেতু তারা নিজেরা কিছু মানদণ্ড ঠিক করে নিয়েছে এবং তাকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে চলেছে। তারা অহঙ্কারী, যা তাদের মানদণ্ড দ্বারা অসিদ্ধ নয়। নিরহঙ্কারী ব্যক্তির মনে বিশ্বাস থাকে, যে কোন বিষয়েই তার কৃতিত্ব নেই। কৃতিত্ব সব সৃষ্টিকর্তার। অপরদিকে তারা স্রষ্টা বলে কাউকে স্বীকার করে না বলে সে সম্বন্ধে কোন কিছু তাদেরকে বলে লাভও নেই।



যাক এবারে আসি তার সর্বশেষ পোস্টটির বিষয়ে। কে তাকে বলে দেবে যে উপরোক্ত নির্দেশানগুলো রাষ্ট্রীয় দণ্ডবিধি? বর্তমান পৃথিবীতে যে সকল জাতিরাষ্ট্র আছে এবং সেগুলোর সংবিধানে যে দণ্ডবিধি আছে এগুলো হুবহু এ ধরনেরই। মানুষের তৈরি আইনেও রাষ্ট্রে শান্তি বজায় রাখার জন্য কঠোর কঠোর দণ্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়। এরা যেসব রাষ্ট্রকে আদর্শ রাষ্ট্র বলে মনে করে সেসব রাষ্ট্রেও রাষ্ট্রের জন্য যারা হুমকিস্বরূপ তাদের সকলকেই কঠিন দণ্ড প্রদান করা হয়। মুখে কিংবা সাংবিধানিকভাবে তারা মৃত্যুদণ্ড বিরোধী আইন তৈরি করলেও তাদের সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বন্দীদের সাথে কতটা নির্মম আচরণ করে সে সম্বন্ধে তারা নিজেরাও জ্ঞাত আছে। কিন্তু এরা সেগুলোকে ইসলামের আইনের সাথে বিবেচনা করে দেখবে না। কারণ, তাদের দৃষ্টি কেবল লাল কাপড়ের দিকে। ঠিক যেমনটা হয়ে থাকে অন্ধ ষাঁড়ের।





এবারে আসি উপরোক্ত কোরানিক হুকুমগুলো কোথায় প্রয়োগ হবে সেই বিষয়ে।



“আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। (৮:১২)”




উপরোক্ত আয়াতটি যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একে আসিফ মহিউদ্দিনের মত ধর্মবিদ্বেষী বনাম ধর্মান্ধদের মধ্যে বিচার করলে হবে না। যুদ্ধের ময়দানে কে কাকে কোথায় আঘাত করবে তা যোদ্ধাদের বিষয়। যে যেখানে সুযোগ পাবে সে সেখানে আঘাত করবে। এখানে আল্লাহ মোমেনদেরকে বিজয় লাভের জন্য কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন মাত্র। এটা ভিন্নমতের জন্য নয়, প্রতিপক্ষ যোদ্ধাদের জন্য।



“যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (৫:৩৩)”



এখানে আল্লাহ এবং রসুল হচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে এবং অশান্তি বিস্তার করে তাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি কি মানুষের দেওয়া শাস্তির থেকে কঠিন হয়ে গেল? রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারীদেরকে মানুষের তৈরি আইনও কোন ধরনের করুণা প্রদর্শন করে না। এই এরাই একাত্তরের যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ তোলপাড় করে। আদালত নব্বই বছরের বৃদ্ধ গোলাম আযমকে বয়স বিবেচনায় ফাঁসির দণ্ড না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। অথচ রাষ্ট্রের শত্রুকে আল্লাহ প্রদত্ত দণ্ডকে এরা অবিচার মনে করে! কী সাংঘাতিক দ্বিচারীতা! সেটা দিয়ে ইসলাম সহিংস প্রমাণের চেষ্টা করে।



“যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (৯:১৪)”



এখানে আসিফ মহিউদ্দীনদের মত উগ্রবাদীদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যারা মিথ্যা দিয়ে, আল্লাহ এবং রসুলের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে মোমেনদের অন্তরকে ক্রোধিত করেছে এবং রাস্ট্রে বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের কথা বলা হচ্ছে। আপনি যা মনে আসবে তাই বলবেন, সত্য মিথ্যার ধারবেন না, মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হানবেন আর রাষ্ট্র আপনাকে দুধ দিয়ে গোসল করাবে এমন আশা না করাটাই উত্তম। এমনটা করলে সেটা বোকামী হবে। বরং বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা এই শ্রেণিটাকে শাস্তি না দিয়ে যেটুকু প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটাই বরং অন্যায় হচ্ছে। রাষ্ট্রের সঠিক দায়িত্ব রাষ্ট্র পালন না করায় এখন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্য উগ্রবাদীদের জন্ম হচ্ছে। তারা নিজেদের হাতে হাতে আইন তুলে নিচ্ছে- যা আরেকটি বড় অন্যায়। এই অন্যায় থেকে সমাজ- রাষ্ট্র কি রেহাই পাচ্ছে?



“তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম। (৯:২৯)”



যারা নিজেদেরকে আহলে কিতাব কিংবা যে কোন মতবাদের অনসারীই দাবী করবে কিন্তু তাদের কিতাব কিংবা সংবিধানে বর্ণিত হারামকে হারাম (অন্যায়টাকে অন্যায়) বলে মানবে না, হালালকে হালাল (বৈধটাকে বৈধ) বলে মনে করবে না, নিজেদের ইচ্ছেমত হালাল-হারাম (বৈধ-অবৈধ) নির্ধারণ করবে- তারা অবশ্যই ভণ্ড এবং মিথ্যুক। তাদের ভণ্ডামীর শাস্তি রাষ্ট্রকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে। যেমন করে বর্তমান যারা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে, কেউ ঘুষকে বৈধ বলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করে তবে রাষ্ট্র কি সেখানে চুপ করে বসে থাকবে? যদি তাই মনে করে তবে রাষ্ট্রের কোন অর্থ থাকে?



“হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা। (৯:৭৩)”



রাষ্ট্রের শত্রুর সাথে, যারা তলে তলে ষড়যন্ত্র করবে তাদের সাথে কঠোর না হয়ে ঘরে বসিয়ে খাওয়াবে? এই সব মুক্তমনারা তাহলে এ ধরনের স্থূল বুদ্ধি নিয়েই চলেন?



আল্লাহর দেওয়া উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ না করা হলে রাষ্ট্রে অবশ্যই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। শান্তি থাকবে না। সমষ্টিগত শান্তির জন্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই অপরাধীদের রক্তপাত ঘটাতে হবে। এটা যারা অস্বীকার করতে চাইবে তারা হীনম্মন্যতা আক্রান্ত মানুষ। এদের মেরুদণ্ড নেই। এরা রাষ্ট্র কি জিনিস তা বোঝে না। এরা নৈরাজ্যবাদী। রাষ্ট্রের হাতে এই বৈধ রক্তপাতকে যারা অস্বীকার করবেন তাদের প্রতি অনুরোধ হচ্ছে আগে পৃথিবীর সব সেনাবাহিনী এবং তাদের করা যুদ্ধ এবং অস্ত্রকে অবৈধ প্রমাণ করুন।



অন্যায়কারীদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান করাকে যদি সন্ত্রাস বলা হয় তবে ইসলাম সেই অর্থে সন্ত্রাসী ধর্ম, সব রাষ্ট্রই সন্ত্রাসী, সব আইনশৃংখলা বাহিনী এবং সব সেনাবাহিনীই অবৈধ। এমনকি এভাবে বিচার করলে পৃথিবীতে থাকা অধিকাংশ ধর্মই সন্ত্রাসী ধর্ম।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

যেযং‡ঙ ের্অ রনচদ বলেছেন: চমৎকার ও অনুধাবন যোগ্য লিখা। যারা মুক্ত মন নিয়ে মুক্ত চিন্তা করেন তারা বিষয়টি সহজেই বুঝে যাবেন। আর আসিফ মহিউদ্দিন তো কোন অথেই মুক্ত চিন্তার ধারক নয়।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

উড়োজাহাজ বলেছেন: সহমত এবং ধন্যবাদ।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: খুব ভালো আর গুছিয়ে লিখেছেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন। কোনটা কোরানের কততম আয়াত সেটা ঠিক ভাবে তুলে ধরতে প্পারেন নি, কিছু ভুয়া জ্বাল কথাও বলেছেন । কোরানের আয়াতের সাথে মিলিয়ে দেখুন । তবে আপনার যুক্তু গুলো একে বারে কানায় কানায় !!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি যাচাই করে দেখার প্রয়োজন বোধ করিনি। কারণ, কোরানে এ ধরনের এই আয়াত অনেক আছে। এসব দেখিয়ে বিরুদ্ধবাদীরা ইসলামকে সহিংস প্রমাণ করতে চায়।

আমার কথা হচ্চে এই যুক্তিতে যদি ধর্মকে সহিংস বলা যায় তবে মানুষের তৈরি দণ্ডবিধিও কোন অংশে কম সহিংস নয়। আর বন্দী নির্যাতন, পুলিশ রিমান্ড ইত্যাদির নামে যা করা হয় তা ইসলামের এই দণ্ডের চেয়ে বহুগুণ নৃশংস। ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: “আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। (৮:১২)”

আয়াতটি আল্লাহ ফেরেশতাগণদের (যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন) উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তাদের উৎসাহিত করার জন্য।
সূত্রঃ http://al-quran.info/#8

লিখার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

উড়োজাহাজ বলেছেন: মোমেনদেরকে বললেও অসুবিধা কোথায়? কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ পান্ডব বাহীনিকে বুদ্ধি দিয়ে সহযোগিতা করেন নি?

কোন ফুটবল দলের কোচ কি তার দলকে খেলার মাঠে বুদ্ধি দিতে পারবে না?

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তার যুক্তি আর ইসলামের প্রতি তার বিদ্বেষের মাত্রা দেখে আমি রাগান্বিত হই না। বরং তার প্রতি আমার এক ধরনের করুণা অনুভূত হয়। মনে প্রশ্ন জাগে, এত স্থুল বুদ্ধি নিয়ে মানুষ কিভাবে জীবন দিয়ে দেওয়ার মত কাজগুলো অনায়াসে করে যায়।

দারুন সত্য বলেছেন।

প্রতিটা লাইন যথাযথ। স্যালুট টু ইউ। আল্লাহ এবং রাসূল সা:ই এর প্রতিদান আপনাকে দিতে পারবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সহমত এবং কৃতজ্ঞতা।

দেখা যাক- স্থুল বুদ্ধিরা এই বুদ্ধির দৌড়ে কি কি কু-যুক্তি নিয়ে হাজির হয়।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

উড়োজাহাজ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। সেটাই যেন হয়। এর প্রতিদান আল্লাহ রসুলের কাছেই চাই । মানুষের কাছে চাই না।

আর করুণার কথা কেন বল্লাম এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন।-http://www.somewhereinblog.net/blog/atahar/29981056


তবে স্থুল বুদ্ধিওয়ালার সেটা ধরতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন!
আমি বুঝিনা স্বাধীন মত প্রকাশের মানে কি এমন?

০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: শুধুমাত্র উগ্রতা। যে কারণে আএস-আলকায়েদা মানুষ মারে।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪২

এবং অভ্র বলেছেন: প্রতিটা লাইন যথাযথ। স্যালুট টু ইউ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: থ্যাংক্স এ লট।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০০

আছিফুর রহমান বলেছেন: এইসব নাস্তিক উগ্রবাদীর সাথে আইএস বা আল কায়েদার কোন পার্থক্য নাই
সহমত

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০০

আছিফুর রহমান বলেছেন: এইসব নাস্তিক উগ্রবাদীর সাথে আইএস বা আল কায়েদার কোন পার্থক্য নাই
সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.