নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি কে, আমি কে? কেউ না।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪


আমরা আসলে কেউই কিছু না। একেবারেই কিছু না। কি মূল্য আছে আমাদের অস্তিত্বের? এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কতটা অংশই বা আমরা দখল করে আছি! বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সস্বন্ধে যারা খবর রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন মহাবিশ্বের তূলনায় এই পৃথিবীটা একটা ধূলিকণার মত। এর মধ্যেই আছি আমরা। আমাদের কাছে একটা ধূলিকণা কতই না ক্ষুদ্র। কিন্তু এই ধূলিকণা কিংবা প্রতিটি অনু-পরমাণুর ভেতরেও কি আলাদা জগত নেই? বিজ্ঞান বলছে আছে, এবং সেখানেও আমাদের সৌরজগতের মত পরিভ্রমণশীল গ্রহ/জগত রয়েছে। যদি আমাদেরকে তার একটার ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তবে দেখব সেখানেও আবার ধূলিকণা আছে। সেখানেও দূরত্ব আছে ঠিক এখানকার মতই। একটা থেকে আরেকটায় যেতে আমাদেরকে রকেটের সাহায্য নিতে হবে। সেখানকার ডাইমেনশন এবং আমাদের এখানকার ডাইমেনশনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সেখানকার সময় হবে অবশ্যই আমাদের তুলনায় আরো বেশি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশের। অর্থাৎ সমগ্র বিষয়গুলো নির্ভর করে আপেক্ষিকতার উপর।

আমাদের এখানে যে সময় বাইরের কোন জগতের তুলনায় তা অতি ক্ষুদ্র। আমাদের ষাট-সত্তর কিংবা ১০০ বছরের দীর্ঘ জীবন সে সময়ের তুলনায় খুবই নগণ্য। যেমন আল্লাহ কোরআনে বলছেন: 'তারা বলবে হায়, পৃথিবীতে আমরা কত অল্প সময়ই না ছিলাম!' অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় আমাদের সময়ের চেয়ে ধীরগতি সময়ের কোন একটা ডাইমেনশন অবশ্যই আছে। কিংবা এমনও হতে পারে যে সেই ডাইমেনশনে কোন সময় নেই, মুহূর্ত নেই। আসলেই কি তা হতে পারে না? বিজ্ঞান কিন্তু বলছে, অবশ্যই পারে।

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছে? এই প্রশ্ন কেন আসে? কারণ, যুক্তি দেওয়া হয় যে যেহেতু সৃষ্টি আছে তাই স্রষ্টাও আছেন। তো পাল্টা প্রশ্ন আসতেই পারে যে তাহলে স্রষ্টা কোথা থেকে এলেন?
সময় এবং ডাইমেনশনকে আমলে নিলে এখানে এই প্রশ্নটি অবান্তর হয়ে যায়। কারণ, যেখানে সময় নেই, এমনকি স্থানেরও প্রশ্ন নেই সেখানে আগে পরে বা কোথা থেকে এই প্রশ্নও নেই। স্রষ্টা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তিনি বর্তমান থাকা অবস্থায় অর্থাৎ শূন্য সময় অবস্থা থেকেই একটা ডাইমেনশন সৃষ্টি করলেন এবং সময় সৃষ্টি করে দিলেন। সময় সেই ডাইমেনশনের জন্য প্রয়োজন, কিন্তু এর বাইরে সময়ের কোন দাম নেই। সেখানে অতীতও নেই, ভবিষ্যতও নেই। শুধুই বর্তমান।

যে ডাইমেনশনগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে সেগুলোতে যেহেতু সময় দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেহেতু সেগুলোর নির্ধারিত মেয়াদও আছে। মেয়াদ শেষ হলে তারা মিলিয়ে যাবে কিংবা গুটিয়ে যাবে। ঠিক কোনটা হবে সেটা অবশ্য নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে কোরআন থেকে ও বিজ্ঞানের আলোকে যতদূর জানা যায় তা হচ্ছে গুটিয়ে যাবে, আল্লাহর কাছে চলে যাবে (প্রত্যেকের গন্তব্যই তাঁর দিকে)।

বাস্তবে আমরা বর্তমানের মধ্যে থেকেই দিন গুনে যাচ্ছি। আমাদের এই সীমার বাইরে সবই বর্তমান। এখান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হলে আমরা দেখতে পাব কি এক মিথ্যার জগতে আমরা আবদ্ধ হয়ে ছিলাম। আসলেই, এ জন্যই অনেকে বলে থাকেন জগৎ এক মায়া। জগৎ এক ভ্রম। এই ভ্রমের মধ্যে থেকেই আমরা আকাশ-পাতাল কতকিছু ভাবছি। অথচ সময় শেষে আমরা সবাই এক। কিন্তু এই মোহ মায়ায় পড়ে আমরা কত ব্যবধান বাড়িয়ে চলছি। আমরা সবাই এক। কিন্তু আবার আমরা কেউই কারো না। আমাদের সন্তান নেই, আমাদের পিতা নেই, মাতা নেই। সবই ক্ষণিকের অভিনয়। কেননা, আমাদের জীবনও নেই, আমাদের মৃত্যুও নেই। দুটোই আমাদের জন্য সমান। অদ্ভুত, অদ্ভুত! চিন্তা করলে একেবারে মাথা গুলিয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.