নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামে পুলিশী ব্যবস্থা নেই। সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ অথবা তার নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির হুকুমে সব নাগরিকই যখন তখন পুলিশে রূপান্তরিত হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দায়িত্ব শেষ হলে আবার আগের পজিশনে ফিরে যেতে হবে তাকে। স্থায়ীভাবে রাষ্ট্রীয় মাইনা নেওয়ার বিধান নেই। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করারও কোন সুযোগ নেই।
যাক সে কথা। যা নেই তা নিয়ে জাবর কেটে লাভ নেই। এখনকার রাষ্ট্রব্যবস্থা পুলিশী সিস্টেম প্রবর্তন করেছে। এটাকে আপাতত বাদ দেওয়ার কোন উপায় নেই।
পুলিশী ব্যবস্থা উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসকদের দান। সে সময় নাকি রাষ্ট্র তাদেরকে বেতন-ভাতা দিত না। চোর-ডাকাত ধরে তাদের লুণ্ঠণ করা ধন-সম্পদই তাদের জীবিকার উৎস ছিল। তাই তারা জীবিকার তাগিদে চোর-ডাকাত পাকড়াও করতে অত্যন্ত তৎপরতা দেখাত। ব্রিটিশ রাজের জন্য এটা দুই দিক থেকেই সুখকর ছিল। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ছাড়াই বিশৃংখলা দমন এবং একটা বিশেষ শ্রেণির আনুগত্য পাওয়া যেত। যা শাসন-শোষণের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক ছিল।
ব্রিটিশরা সেই যে পুলিশকে লায় দিয়ে মাথায় তুলেছে, মানুষের কাছ থেকে অর্থোপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে সেই স্বভাব এখনো পুলিশের যায়নি। অনেক আধুনিকায়নের চেষ্টা করা হয়েছে, তাদেরকে অনেক করে শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে তারা জনগণের সেবাদানকারী, কিন্তু তারা সেদিকে মনোযোগি না হয়ে জনগণের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের দিকেই বেশি মনোযোগ দেয়। তারা রাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে, ঐক্যের শক্তি দিয়ে সেই মানুষেরই উপর চড়াও হতে চেষ্টা করে। তাই দেখা যায় তারা অপহরণ থেকে শুরু করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, গুম ইত্যাদি কোন অপরাধই বাকি রাখছে না- টাকার জন্য।
কথা হচ্ছে জনগণতো ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে প্রতি বছর বাজেটের একটা বিরাট অংশ ব্যয় করে তাদেরকে বেতন দিচ্ছে। তারপরও কেন তাদের চরিত্র ও আচরণের পরিশোধন হচ্ছে না? এর একটা উত্তর বলে এসেছি যে তাদের উৎপত্তিই হয়েছে গুরুতর সমস্যা নিয়ে। তারপরও এই দীর্ঘ সময়ে তারা সংশোধন হবে এটা আমরা আশা করি। কিন্তু কেন হয়নি তার কারণটা জেনে নিন Ekjon Ghunpoka'র ফেসবুক পোস্ট থেকে। এখানে কপি পেস্ট করে দিচ্ছি।
"সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বাহিনীর কতিপয় (??) সদস্য যে জঘন্য কাজগুলি করছে- তার মধ্যে মুলত এএসআই, এসআই ও এর নিন্মতম্য পদের সদস্যরা জড়িত।
এইসব পদের জন্য যারা এপ্লাই করে, তারা মূলত নিন্ম মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত (শহুরে মধ্যবিত্ত নয়, গ্রামীণ মধ্যবিত্ত) পরিবার থেকে। এইসব চাকুরি পেতে হলে তাদের ক্ষেত্র বিশেষে ৮ থেকে পনের লাখ টাকা ঘুষ দেয়া লাগে। যেটার ভাগ পায়, লোকাল এমপি থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সবাই। পদ প্রত্যাশীরাও ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে জমি বেচে, চড়া সুদে ধার নিয়ে, যৌতুক নিয়ে টাকা পরিশোধ করে। চোখে স্বপ্ন তিন বছর কি বড় জোর চার বছর চাকুরি করলে ঢাকায় বাড়ি, সুন্দরী নারী, আর দামী গাড়ি। তার উপর আবার ঢাকায় বদলি হয়ে আসতে হলে, দিতে হয় ৫-১০ লাখ টাকার বাড়তি ঘুষ।
★
কার্যক্ষেত্রে এসে দেখে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। গুটিকয়েক জন ছাড়া বাকিরা টাকার বখরা পায় সামান্যই। মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী ছাত্রলীগ, উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা, ওসির হাত ঘুরে মোটা টাকার বান্ডিলটা ভীষণ চিকন হয়ে যায়। হাজারী নোট হয়ে যায় শতকের। মানুষজনও যেখানে রাঘববোয়ালই ম্যানেজ করতে পারে টাকা দিয়ে, সেখানে এইসব ছোট পুলিশদের কাছে ধর্না দেবার প্রয়োজন বোধ করে না। এদিকে সুদের টাকা বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে ফ্যামিলির চাপ। জমি ফিরিয়ে আনতে হবে। শ্বশুড় বাড়ির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। টাকা চাই। অনেক টাকা।
★
সমাজ সেবা, দেশ সেবার জন্য কেউ পুলিশে আসেনি। আর জমি বিক্রি করে, ধার-দেনা করে দেশ সেবা নামার তো কোন প্রশ্নই আসেন না। দে আর হীয়ার টু মেইক মানি। টাকা বানানো ছাড়া তারা আর কিছুই চিন্তা করতে পারে না। তাদের কাছে এইটা এক ধরনের বিজনেস। চাকুরির শুরুতে টাকা ইনভেস্ট করসে, এখন তাদের চালান উঠাতে হবে। এর পরে লাভ। সো দে বিকাম ডেস্পারেট।
★
পকেটে গাজা ঢুকিয়ে চাদাবাজি করে। টহল দেয়ার নামে গুন্ডামি করে। মাদকের আখড়ায় বখরা তুলে। গ্রেফতার বাণিজ্য করে। থানায় নিয়ে টাকার জন্য নির্যাতন করে মেরে ফেলে।
মিডিয়ায় যার সিকিভাগও আসে না।"
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২
উড়োজাহাজ বলেছেন: অধিকাংশই।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১
তট রেখা বলেছেন: পুলিশের রাজনৈতিক ব্যাবহারও এর অন্যতম কারণ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
উড়োজাহাজ বলেছেন: যথার্ত বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
রাজ বিদ বলেছেন: দে আর হীয়ার টু মেইক মানি। এন্ড এভ্রিথিং ইস ফেয়ার ইন মেকিং মানি।।