নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একেবারে নিকটে চলে এসেছে। সব দলই ব্যস্ত নিজেদের গুছিয়ে নেওয়াতে। বিএনপিসহ অন্যন্য সব দল এতে অংশ গ্রহণ করায় দীর্ঘদিন পর যেনো ফিরে এসেছে ভোটের ইমেজ। ইতোমধ্যে সব দল তাদের মনোয়ন বিক্রির কার্যক্রম শেষ করে প্রার্থীদের কাছে প্রাথমিক মনোনয়ের চিঠি পাঠাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ২৭০ টি আসনে দলীয় প্রার্থীদেরকে চিঠি দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির চিঠি পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। এ সময়ে কাক্সিক্ষত মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই দল পরিবর্তন করছেন। এছাড়াও নির্বাচনী কৌশল হিসেবে অনেকেই আগে থেকে দল পরিবর্তন করে বা দলসহ বিভিন্ন জোটে যোগদান করছেন। দল পরিবর্তন বা পূর্বেকার আদর্শের বিপরীত আদর্শের জোটে যোগ দিয়ে যারা আলোচনা উঠেছেন তাদের কয়েকজন হলেন-
বদরুদ্দোজা চৌধুরী:
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের অন্যতম উৎসাহী প্রবক্তা। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এর কিছুদিন পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালে সৃষ্ট এক বিতর্কিত ঘটনার জের ধরে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ও পরবর্তীকালে আরেকটি রাজনৈতিক দল বিকল্প ধারা বাংলাদেশ গঠন করেন। গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগে এবারে ঐক্যফ্রন্টের সাথে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তিনি নিজের দল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে জোটের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ধানের শীষ নিয়ে লড়াই করা এ রাজনীতিকের ভাগ্যে তার বর্তমান দলীয় প্রতীক না হয়ে নৌকা প্রতীক যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
মাবি বি চৌধুরী:
মাহি বি চৌধুরী ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে। তিনি ১৯৯২ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন। ২০০২ সালে তার পিতা রাষ্ট্রপতি হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ-১ আসন খালি হয়ে যায়, পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাহি বি চৌধুরী প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সালের ২১ জুন, সম্ভাব্য অভিশংসনের সম্মুখীন হওয়ায় মাহির বাবা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে মাহিও ২০০৪ সালের ১০ মার্চ বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি তার পিতার দল বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন। সম্প্রতি বিকল্পধারা ঐক্যফ্রন্টের সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে তা সম্ভব না হওয়ায় পিতার সাথেই তিনি আওয়ামী লীগের সাথে জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ঐক্যফ্রন্টের সাথে যুক্ত হওয়ার চেষ্টাকালে তিনি ‘প্ল্যান বি’ নামে একটি মত তুলে ধরে বেশ আলোচনায় আসেন।
শমসের মবিন চৌধুরী:
শমসের মবিন চৌধুরী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। জেল খেটেছেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থেকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। কিন্তু তিনি ছেড়ে দিলেন বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে শমসের মবিন চৌধুরীর উত্থানটা ছিল বেশ নাটকীয়। তিনি ছিলেন একজন কূটনীতিক এবং সেনা অফিসার। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর জোট সরকারের আমলে তিনি পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ একই সরকারের আমলে তাকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ করা হয়। চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর তিনি দ্রুত দলে এক গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হন। বিএনপি’র আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে তিনি কারাবন্দি হন। কারাগার থেকে বেরিয়ে ২০১৫ সালে তিনি বিএনপি’র রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল এবং তার সঙ্গে গত কিছুদিন ধরে কথাবার্তা চলছিল দাবী করে তিনি বলেন, “উনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। উনার অনেক কিছুর সঙ্গে, নীতির সঙ্গে, আদর্শের সঙ্গে, কথা-বার্তার সঙ্গে আমার মিলে যায়। মতের মিল থাকাতে, মনে হলো একটা চেষ্টা করে দেখি। সেই কথা ভেবেই আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়েছি।” কিন্তু ভিন্ন একটি খবরও চাউর হয়েছে। সে খবরে জানা যায়, শমসের মবিন চেয়েছিলেন সিলেট এক আসনের টিকিট। যেখানে এবার খুব সম্ভবত তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান নির্বাচন করবেন। এ নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই তিনি বিকল্পধারার সাথে যুক্ত হয়েছেন।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর:
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন বর্ষীয়ান নেতা। একসময়ে তিনি ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। ডাকসুর ভিপিও ছিলেন তিনি। তিনিও ছেড়ে গেলেন আওয়ামী লীগ। সুলতান মনসুর ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তার আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চলে যান সংস্কারপন্থীদের দলে। তাই আওয়ামীলীগ পরবর্তী নির্বাচনে তাকে মনোয়ন দেয়নি। এরপর থেকে তিনি দলের কাছে উপেক্ষিত ছিলেন। এবার জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ধানের শীষ প্রতীকেই ভোট করতে যাচ্ছেন এক সময়ে নৌকার শক্তিশালী এই প্রার্থী।
এম এম শাহীন:
অতীতে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের সুলতান মনসুরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এম এম শাহীন। ২০০১ সালে বিএনপির বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। এরপর ফিরে আসেন বিএনপিতে। কিন্তু ১/১১ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় যোগ দেন কিংস পার্টিতে। পরে আবারও দলে ফিরে গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শক্ত প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় দীর্ঘদিন মাঠে ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টে (বিকল্পধারা) যোগ দিয়েছেন। এর ফলে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার। যদি তিনি নৌকায় এবং সুলতান মনসুর ধান প্রতীকে নির্বাচন করেন তবে সত্যি তা এক আলাদা বিষয় হয়ে দেখা দেবে স্থানীয়দের কাছে। কেননা এরা যে প্রতীকে নির্বাচন করেবন, এতদিন যে সেই প্রতীকেকেই সবচেয়ে বেশি নিন্দা করে বেড়িয়েছেন।
রেজা কিবরিয়া :
পিতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া ছিলেন আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী। সিলেটের মানুষের কাছে তিনি নৌকা এবং আওয়ামীলীগের প্রতিশব্দ। তিনি ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। অর্থনীতিবিদ রেজা জানান, তাঁর বাবাকে ২০০৫ সালে হত্যার পর বিএনপির সরকারের সময়ে বিচার করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরেও এ মামলার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি। সম্প্রতি তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে মনোনয়ন নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রীর ছেলে তাই এবার ধানের শীষ নিয়েই মাঠে নামতে চলেছেন।
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী :
ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম কুশীলব হিসেবে আলোচিত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে এবং পরে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনায়ন লাভের জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করে চমক সৃষ্টি করেছেন। মাসুদ উদ্দিনের ভায়রা সাঈদ এস্কান্দার এক সময় ফেনী-১ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। সাবেক সেনা কর্মকর্তা প্রয়াত সাঈদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই। বোনের ছেড়ে দেওয়া আসনে এমপি হয়েছিলেন তিনি।
তার মনোনয়ন নেওয়ার কথা ছিলো আওয়ামীলীগ থেকে। নিয়েছিলেনও তিনি। শেষ মুহূর্তে নীতিনির্ধারকদের মনে হয়েছে, এক-এগারোর এই সেনা কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়বে দল। তাছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমেও এক-এগারোর সময়ের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চেয়ে একটি ঘর রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের মিত্র জাতীয় পার্টি থেকে তাঁকে মনোনয়ন চাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গোলাম মাওলা রনি:
আওয়ামী লীগের হয়ে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা রনি। তিনি শেখ রেহেনার কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত। দলের বিরুদ্ধে সমলোচনামূলক বক্তব্যের কারণে ২০১৪ সালে মনোনয়ন বঞ্চিত হন। এবার তিনি যোগ দিলেন বিএনপিতে। পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। গোলাম মওলা রনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে বিএনপি জামাত জোটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কড়া সমালোচনা করছেন। সেই তিনিই আজ ঠাঁই নিয়েছেন সরাসরি বিএনপিতে। আর বিএনপির সাথেই যুক্ত আছে নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের অন্যান্য প্রার্থীগণও ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই লড়বেন।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ:
ভোটের লড়াইয়ে নামতে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবু সাইয়িদ যোগ দিয়েছেন কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরামে। গত সোমবার দুপুরে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেন। ১৯৯৬ সাল থেকে পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আবু সাইয়িদ। ওয়ান-ইলেভেনের পর দলে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েন আওয়ামী লীগের তখনকার এ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আবু সাইয়িদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর কাছে হেরে যান। ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়াতে সাবেক এই নৌকাযোদ্ধা এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হয়েছিলেন অধ্যাপক সাইয়িদ।
মাহমুদুর রহমান মান্না:
১৯৬৮ সালে ছাত্রলীগ এর আহ্বায়ক থেকে শুরু করে ১৯৭২ সালে চাকসুর জিএস নির্বাচিত ও ১৯৭৩ সালে জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭৬ সালে জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন মাহমুদুর রহমান। ১৯৮০ সালে তিনি বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ গঠন করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় হয়ে পড়েন। এরপর ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ যোগ দিয়ে ২০০৭ সালে আলোচিত এক-এগারো সরকারের সময় বাংলাদেশে আওয়ামীলিগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে আওয়ামীলিগ এর পদ থেকে বাদ পড়ে যান। বর্তমানে তিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর প্রথম সারির নেতা হিসেবে সক্রিয় আছেন। ৯টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে তার দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এক সময়ের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের নৌকার বিরুদ্ধে।
কাদের সিদ্দিকী:
মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও ১৯৯৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেন এবং কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এই দলের সভাপতি। এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে। ঐক্যফ্রন্টের সকলেই ধানের শীষ প্রতীকে লড়ার কথা থাকায় ঋণখেলাপী হিসেবে প্রার্থিতা সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয় না হলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক এই নেতার ভাগ্যেও অবধারিতভাবেই জুটবে ঐ প্রতীক।
লতিফ সিদ্দিকী:
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রিত্ব পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েই এমপি নির্বাচিত হন। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে মন্ত্রিত্ব হারান এবং দলীয় সভাপতিম-লীর সদস্য পদ থেকে অপসারিত হন। এরপর সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। এবার তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন টাঙ্গাইল- ৪ (কালিহাতি) আসন থেকে।
সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপিতে ফিরছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তিনি, পাছে পুলিশি হয়রানিতে পড়তে হয় যদি।
নাজমুল হুদা:
বিএনপি থেকে দুইবারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হলে এক পর্যায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি বিএনপির পরিচয়েই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করেন। পরে ২০১২ সালের জুনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন একটি দল গঠন করেন। ওই দলের কর্তৃত্ব হারানোর পর গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। ওই দল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়ে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হতে জোর চেষ্টা চালান। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহও করেন। তবে সেখানে ব্যর্থ হয়ে ফের বিএনপিতে ফিরতে চাচ্ছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৮ নভেম্বর নাজমুল হুদাকে ৪ বছরের কারাদ- দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে আদালত। এসময় নিম্ন আদালত রায়ের কপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নাজমুল হুদা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে গেছেন বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। এ কারণে তার পরিবর্তে মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন। ইতোমধ্যে বিএনপির মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: হা হা হা! মুড়ি পাব না। চালভাজা নিয়ে বসতে হবে।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চাইলে চিনে বাদাম পাঠায়ে দিব ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: আগাম ধন্যবাদ!!
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: আমি মৌলভীবাজার-২ আসনের দিকে তাকিয়ে আছি, দেখা যাক শেষপর্যন্ত কার জয় হয়।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: দেখা যাক!
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪১
বাকপ্রবাস বলেছেন: মাঝিরা যে হারে শীষের হাল ধরছেন না জানি হাসিনা বলে বসে আমি ও শীষ। তবে খালেদা জেলে থাক
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধানের শীষ জয়ী হলে খালেদা জিয়া জেলে থাকবেন না- এই আশা নিয়ে উনারা লড়ছেন।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: তারা রঙ্গ করুক। আমরা দর্শক দেখি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: তাছাড়া আর কাম কী?
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নানা অঘটন ঘটতে যাচ্ছে,
মনে হয়, ভােটের মাঠে ফুটবল খেলা দেখব