নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অরিত্রি অধিকারী নামে ১৫ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী আত্মত্যা করেছে। অরিত্রি রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী ছিল। জানা গেছে স্কুলে নকলের অভিযোগে পিতা-মাতাসহ অপমান হওয়ার জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে। নকলের অভিযোগে ঘটনার দিন স্কুলের ভাইস- প্রিন্সিপাল তার পিতা-মাতাকে অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং পরের দিন স্কুল থেকে বহিস্কারের ছাড়পত্র নিয়ে যেতে বলেন। অরিত্রির পিতা বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে সেখান থেকেও তিনি অনুরূপ অপমানের শিকার হন। মেয়েটির সামনেই পিতা-মাতা অপমান হওয়াতে সে পরে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পিতামাতার অভিযোগ।
১৫ বছর বয়সী ঐ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে ঘটনাটির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বাড়াবাড়িকে দায়ী করেন। আবার অনেকে ভিন্নমতও পোষণ করেন। ভিন্নমত পোষণকারীদের বক্তব্য, নিয়ম-নীতি রক্ষায় অবৈধ উপায়াবলম্বনের বিরুদ্ধে অবশ্যই ভর্ৎসনামূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বাড়াবাড়ি হয়েছে তা স্বীকার করেই নিতে হবে। এইটুকুন বয়সী একটি মেয়ের এ ধরনের অপরাধে স্কুল থেকেই বহিস্কার, আবার নিজের অপরাধে চোখের সামনে পিতা-মাতাকে অপমানিত হতে দেখা অবশ্যই বড় বিষয়। এখানে আরো একটি বিষয় ভাববার মতো। মেয়েটির বয়স মাত্র ১৫। এ ধরনের টিনেজার বয়সী ছেলে-মেয়েদের অনেকেই বয়ঃসন্ধিকালে থাকে। আমাদের জানা কথা, এ সময়টিতে ছেলে-মেয়েদের আবেগ-অনুভূতি, রাগ- অভিমান, অপমানবোধ অত্যন্ত প্রখর ও সংবেদনশীল থাকে। এ অবস্থায় অনেক সময়ই তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। এই দুঃখজনক ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, বাড়াবাড়ি শাস্তির সাথে বয়সজনিত ব্যাপারটা স্বক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।
আমরা মনে করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরিচালকদের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। কোমলমতি শিশুদের মন-মানসিকতা কেমন হয় তা তাদেরকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমরাও সবাই কিন্তু সে অবস্থাটা পার করে এসেছি। আমরা এখন অনেক পরিপক্ক। তাই ভালোমন্দ বুঝতে পারি, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। সেই সময়টাতে কি আমরাও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করিনি? অবশ্যই করেছি। সুতরাং এই বয়সে ভুল করাটা যে স্বাভাবিক তা তো বাস্তব। সুতরাং কোমলমতি শিশুদের ভুল হলে শাসন করার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষকদেরকে শ্রেণির কোন শিশুটির মানসিক গড়ন কেমন, সে কোন বিষয়কে কোনভাবে গ্রহণ করে তা বুঝতে হবে এবং সেই অনুসারে ব্যবহার করতে হবে। না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আরো ঘটতে পারে।
তবে অরিত্রির ক্ষেত্রে যে ঘটনাটি ঘটে গেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ক্ষতি অপূরণীয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সন্তান হারানো পিতা-মাতার সকল অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-পরিচালকদের বিপক্ষেই যাবে। এমনকি বিষয়টি আইন-আদালত পর্যন্তও গড়াতে পারে। যাই হোক, আমরা মনে করি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ করতে হলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে আরো সতর্ক ও সাবধানতার সাথে শিশুদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
উড়োজাহাজ বলেছেন: রাইট।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমাদের সাবধান থাকতে হবে।