![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নামক চলমান চিত্রের এক জীবন্ত অভিনেতা আমি। খল চরিত্রের। নিজেই নিজের সাথে ভিলেনি করে নিজেরই সর্বনাশ করে চলেছি প্রতিনিয়ত। জানিনা, এর শেষ কোথায়! মহান পরিচালক দৃশ্যপটের শেষ দৃশ্যে কি লিখে রেখেছেন সেটুকু দেখার অপেক্ষা করছি মাত্র। আপনাকে অভিনন্দন কষ্ট করে আমার প্রোফাইল দেখতে এসেছেন বলে।
'চীন' দেশের নাম শুনেছেন?
বানিজ্যিক বিশ্বে সারা বিশ্বকে চালিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে যেই দেশটা।
এই দেশটাও কিন্ত বৃটিশদের অধিনে ছিল। বৃটিশদের অত্যাচারে জর্জরিত ছিল দেশের মানুষজন।
সেখান থেকে স্বাধীনতা পাবার পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা দেখা দিল, তা হল বেকার সমস্যা।
দেশটির সরকার প্রধানে যারা ছিলেন তারা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে, বেকারও বাড়ছে। এভাবে চললে তো সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটা একেবারেই দুমড়ে মুচড়ে যাবে!
ঠিক তখন তারা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিলেন। যা গোটা চীনকে বদলে দিয়েছিল।
আপাত দৃষ্টিতে এই সিদ্ধান্ত হটকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে হলেও এর ফলাফল ছিল সুদুর প্রসারী।
চীন সরকারের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গোটা চীনের সকল ভার্সিটি বন্ধ করা হল। এতো শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থান সরকারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াই যথেষ্ট জনগনের৷ আর এরপর সরকার প্রদত্ত যে সকল ট্রেনিং চালু করা হচ্ছে সেগুলো যে কোন একটা ট্রেনিং সবাইকে বাধ্যতামুলক নিতে হবে। সরকার এ জন্য ভাতাও প্রদান করবে।
গোটা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠলেও কেউ তেমন বেশি বাড়াবাড়ি করেনি।
সেই যে শুরু হল ট্রেনিং এর কাজ৷ এর ফলে চীনের ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা গড়ে উঠল।
কেউ কুটির শিল্পের ট্রেইনিং নিল, কেউ মোটর মেকানিক এর ট্রেনিং নিল, কেউ লেদ মেশিনের, কেউ এগ্রো, কেউ মাছ, কেউ খামার, বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শুরু করল তারা।
কয়েক বছর যেতে না যেতেই, গোটা চীনে আমুল পরিবর্তন আসা শুরু হল।
অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে আবার ভার্সিটি খুলে দেওয়া হল।
আর আজকের সেই চীনের অবস্থা কারও অজানা নয়।
শিক্ষা সকলের দরকার আছে৷ কিন্ত তার সাথে উদ্যোক্তা হবার মানসিকতাও যদি থাকে তবে আপনাকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না।
আপনি মাস্টার্স পাশ করা হতাশ বেকার, মাঝে মাঝে আত্মহত্যার চিন্তাও করছেন, কিন্ত পার্কে বা স্টেশনে যেয়ে দেখেন আপনার হাটুর বয়সী টোকাইরা বাদাম বা চা বিক্রি করেও দিনে ৩০০-৪০০ টাকা রোজগার করছে।
এবার ভাবেন তাদের যদি শিক্ষা থাকত? তবে তারা কিন্ত আরও বড় কিছু করতে চাইত।
আমি শিক্ষাকে ছোট করছি না। সেই সাহস আমার নেই৷
কিন্ত শুধু সাইকেল কিভাবে চালাবেন টাইপের বই পড়ে যেমন সাইকেল চালানো শেখা যায় না। তেমনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ছোট থেকে শুরু না করলে বড়ও হওয়া যাবে না।
তাই আসুন না, হতাশা, দুশ্চিন্তা সব ঝেড়ে ফেলে কিছু একটা থেকে শুরু করি?
জীবনকে গুরুত্ব দিন, ছোট যে কোন কাজ দিয়েই শুরু করুণ, আপনার শিক্ষাই সেই ছোট কাজকে একসময় বড় করে তুলবে।
=> আপনার শিক্ষা শুধু চাকুরী খোজার জন্য নয়।নিজে উদ্যোক্তা হয়ে অন্যকে চাকরির সুযোগ করে দেবার জন্যও!
নিজের উন্নতি মানেই দেশের উন্নতি।
-অতনু বারীশ
কপিরাইট স্বত্তাধিকারী, ([email protected])
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২
অতনু বারীশ বলেছেন: জানিনা।
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য। ওনেক শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
হাবিব বলেছেন: আপনি কি মন্তব্যের উত্তর দেওয়া পছন্দ করেন না নাকি মন্তব্যের উত্তর দিতে হয় কিভাবে তা জানেন না?